পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে সোমবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার প্রবাসীর স্ত্রী তিনদিন অজ্ঞান থাকার পর জ্ঞান ফিরলে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।
মামলার সূত্রে জানা যায়,উপজেলার উদয়তারা বুড়িরচর গ্রামের দেলোয়ারের ছেলে নাঈম,আব্বাসের ছেলে রাসেল ও ইসমাইল খানের ছেলে নিজাম ওই গৃহবধূকে দীর্ঘদিন কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ঘটনার দিন গত শনিবার ধর্ষিতার নানি কাজে ঘরের বাইরে যায়। এসময় কৌশলে তারা খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে রাখে।
পরে ওই খাবার খেয়ে প্রবাসীর স্ত্রী অচেতন হয়ে পড়ে। এদিকে তার দুটি শিশু সন্তান পাশের বাড়িতে টিভি দেখতে যায়। এ সুযোগে ওই তিন বখাটে গৃহবধূর ঘরে ঢুকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরের দিন রবিবার সকালে অজ্ঞান অবস্থায় এলাকাবাসী ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তিনদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার তার জ্ঞান ফেরে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে নাঈম,রাসেল ও নিজামকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।