প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রতিষ্ঠানের নাম বেসরকারি এবং অবৈধ প্রতিষ্ঠানে জুড়ে দিয়ে জনগণের সাথে প্রতারণা পূর্বক ব্যবসা করার দায়ে বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে ইসলামিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম। ৬ অক্টোবর বরিশাল সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। একই সাথে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের সাথে এভাবে প্রতারণা করা এবং অবৈধ ভাবে ব্যবসা করার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ৯টি দপ্তরেও জানানো হয়েছে।

দপ্তরগুলো হল, মহা-পরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিচালক (স্বাস্থ্য) বরিশাল বিভাগ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার বরিশাল, জেলা শিক্ষা অফিসার (মাধ্যমিক), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাকেরগঞ্জ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা বাকেরগঞ্জ এবং বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

img_397367

নির্দেশ সূত্রে জানা গেছে, ০৩ অক্টোবর দুপুর ১২টায় বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কালে স্থানীয় চরামদ্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দোতালায় ইসলামিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনিস্টিক সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা হতে দেখে সাইনবোর্ডে দেয়া মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে অপর প্রান্ত থেকে জানায়, প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদিত। কাগজপত্র সহ তাদের সাক্ষাতের জন্য অনুরোধ করলে জনৈক মিঃ মামুন এবং ডাঃ মো. ইকবাল সিভিল সার্জনের সাথে দেখা করে জানায় প্রতিষ্ঠানটি তারা পরিচালনা করেন।

জনৈক মামুন ও ডাঃ ইকবাল পরিচালিত ঐ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যে লাইসেন্স প্রদর্শন করেন তার মেয়াদ ৩০ জুন ২০১৫ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিপ্তরের প্রদত্ত লাইসেন্স ফুটনোট তে স্পষ্ট উল্লেখ মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার ১ মাসের মধ্যে নবায়ন না করা হলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। এছাড়াও অবৈধ ঐ প্রতিষ্ঠানের কমিউনিটি ক্লিনিক নাম ব্যবহার করেছেন।

এই কমিউনিটি ক্লিনিক নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত এবং জনগণের দোড় গোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ায় সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছেন। যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। কিন্তু অবৈধ ওই প্রতিষ্ঠানের সাথে কমিউনিটি ক্লিনিক নাম ব্যবহার করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। যা সরাসরি আইন লঙ্ঘন। এ কারনে ঐ প্রতিষ্ঠানের সকল কাডর্যক্রম এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অবহিত করা হয়।