বরিশালের বানারীপাড়ায় ট্রিপল মার্ডার এর ঘটনায় প্রবাসী আব্দুর রব হাওলাদারের ভাই সুলতান মাহমুদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ জানায় গতকাল সন্ধ্যায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে এ হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। র্যাব ও পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে তারা।
এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি ছুরি, খোয়া যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতরা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনি সবকিছু জানানো হবে না।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার একটি গ্রাম থেকে জুয়েল হাওলাদার নামে একজনকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আটক করে র্যাব-৮। এর আগে, এদিন দুপুর দেড়টার দিকে বানারীপাড়া উপজেলার শালিয়াবাকপুর এলাকা থেকে জাকির হোসেন নামক একজনকে আটক করে জেলা পুলিশ।
শনিবার মধ্যরাতে জাকিরের বরিশাল নগরীর সাগর-দী এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ১টি ছুরি, ৩টি মোবাইল সেট ও বেশকিছু স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজের সূত্র ধরে প্রবাসীর বাড়িতে যাতায়াত ছিল জাকিরের। শুক্রবার রাতে লোভের বসে জুয়েলকে নিয়ে ওই বাড়িতে যাওয়ার কথা স্বীকার করে সে। এদিকে পুলিশ জানায়, আটককৃত দুজন জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এ ব্যাপারে এখনই বিস্তারিত জানাতে চায় না পুলিশ।
এদিকে ওই তিনজনের মরদেহের ময়না তদন্ত শেষ হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার ১৪ ঘন্টার মধ্যে ২ জনকে আটক করা হয়।
গত শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর এলাকার কুয়েত প্রবাসী আব্দুর রব হাওলাদারের বাড়িতে একই পরিবারের তিন সদস্যকে হত্যা করা হয়। এরা হলেন, প্রবাসী আব্দুর রবের মা মরিয়ম বেগম, খালাত ভাই মো. ইউসুফ এবং ভগ্নীপতি শফিকুল আলম।
আব্দুর রব ১১ বছর যাবত কুয়েতে একটি মসজিদে ইমামতি করেন। তার স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে থাকেন। নিহত তিনজনের মধ্যে ইউসুফ এবং শফিকুল আলম দুই দিন আগে বেড়াতে এসেছিলেন।