বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় ভারত থেকে আসা নিম্নমানের চোরাই চা পাতার কারণে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন বাগান মালিকগণ। চায়ের বাম্পার ফলন হলেও ভারতীয় চোরাই পাতার আগ্রাসনে দেশীয় চায়ের বাজার মূল্য কমে গেছে। এছাড়া মৌসুমের শেষের দিকে মূল্য কমে যাওয়ার কারণে এক থেকে পাঁচ লাখ কেজি চা আটকা পড়েছে। ফলে উপজেলার লস্করপুর ভ্যালির ১৭টি চা বাগান পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন মালিকরা।

জানা যায়, হবিগঞ্জের দক্ষিাণাঞ্চল চুনারুঘাট সীমান্ত দিয়ে প্রায় এক বছর ধরে দেশে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় নিম্নমানের চা পাতা প্রবেশ করেছে। এসব চা পাতা জেলাসহ উত্তরাঞ্চলের বাজারে যাচ্ছে। ভারতের নিম্নমানের চায়ের অবাধ প্রবেশ এবং অন্যদিকে চায়ের রের্কড পরিমাণ উৎপাদনের কারণে চায়ের মূল্য কমে গেছে। বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে দফায় দফায় মিটিং করেও চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না।

এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে চন্ডিচড়া চা বাগানে চুনারুঘাট সীমান্তে ভারতীয় চা পাতা চোরাচালান বন্ধে সীমান্ত এলাকায় টাস্কর্ফোস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হবিগগঞ্জর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। এ উপলক্ষে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় যে কোনো মূল্যে সীমান্তে চা পাতা চোরাচালান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।

তথ্যানুযায়ী চলতি বছর জানুয়ারী থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চুনারুঘাটের সীমান্তের কথিত চারটি ঘাট দিয়ে প্রায় এক কোটি টাকার চোরাই চা পাতা দেশের বাজারে প্রবেশ করেছে। পাচারকারীদের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক বৃহৎ শক্তি। তাদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে বিশাল সিন্ডিকেট। যারা দিনে প্রশাসনের সাথে চোরাচালান বন্ধের জন্য জোরালো বক্তব্য দেন তারাই আবার রাতে চোরাকারবারিদের মদদ দিচ্ছেন।

চন্ডিছড়া চা বাগান ব্যাবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কেজিতে এক থেকে দেড়শ টাকা কম দরে চা পাতা বিক্রি করা হচ্ছে। বাগান যদি লাভ না করে তাহলে একজন মালিক নিজের ক্ষতি করে বাগান চালাবেন না। ভারতীয় চোরাই চা পাতা বন্ধ না করা হলে হুমকির মুখে পড়বে মালিক-শ্রমিক স্বার্থ।