বার্তা পরিবেশক, অনলাইন::: দিল্লিতে পুলিশ ও জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া (জেএমআই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর উত্তর প্রদেশে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েও (এএমইউ) পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট সেবা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) জেএমআই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানাতে সন্ধ্যার পর এএমইউ শিক্ষার্থীরা সড়কে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেয়। এ অবস্থায় পুলিশ তাদের গাড়ি জড়ো করলে একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। যা ধড়পাকড়, আহত ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।
জানা যায়, সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ১০ সদস্য ও ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
আলিগড় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অজয় আনন্দ জানিয়েছেন, আমাদের জনবল নিয়োজিত রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে ভারতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘বিতর্কিত’ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিষয়ে জেএমআই, এএমইউ ছাড়াও হায়দ্রাবাদের মাওলানা আজাদ উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়, দ্যা বানারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইআইটি বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ করেছেন। এছাড়া জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিল্লিতে পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের সামনে রাতভর অবস্থান করেন।
এর আগে রোববার বিকেলে দিল্লিতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জনতাও যোগ দিলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা বাস ভাঙচুর করে ও আগুন দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।