বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আসাম, ত্রিপুরা ও মনিপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংস বিক্ষোভ। বসে নেই দিল্লিবাসীও। রোববার বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলো গোটা রাজধানী। এসময় বেশ কিছু বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। এই বিক্ষোভের জন্য পরোক্ষভাবে সংখ্যালঘু মুসলিমদের দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে দিল্লির পুলিশই বাসে আগুন ধরিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই অভিযোগ করেছেন স্বয়ং দিল্লি তথা কেজরিওয়াল সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। নিজের এই দাবির সপক্ষে তিনি একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ইতিমধ্যে সেই ছবি এবং ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

সিসৌদিয়া বলেন, ‘দেখুন এই ছবিগুলো। কারা বাস, গাড়িতে আগুন লাগাচ্ছে। এই ছবিই প্রমাণ করে যে বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে। বিজেপি নেতারা কি এর উত্তর দেবেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তারা অমিত শাহকে রিপোর্ট করে। দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী আসনে এবং তারা আম আদমি সরকারের চরম বিরোধী।’

তবে সিসৌদিয়ার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের গণসংযোগ কর্মকর্তা এম এস রণধাওয়া বলেন, ‘আগুন বাসের বাইরে জ্বলছিল। পুলিশ সেই আগুন নেভানের চেষ্টা করছিল।’

দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার চিন্ময় বিসওয়ালও পুলিশের আগুন লাগানোর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন ‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি (সিসৌদিয়া) সত্যিটাকে বিকৃত করার চেষ্টা করেছেন।’

এই চিন্ময় বিসওয়ালের নেতৃত্বেই দিল্লির বিক্ষোভকারীদের হঠাতে রোববার শহর জুড়ে অভিযানে নেমেছিল পুলিশ।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যা থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ দিল্লির নিজ়উজ় ফ্রেন্ডস কলোনি এলাকা। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সারা রাত ধরে চলে দু পক্ষের সংঘর্ষ। এ সময় বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দেয়া হয়। রোববার রাতেই বাসে আগুন লাগার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কিছু পুলিশ ভাঙচুর হওয়া বাসের মধ্যে একটা গ্যালন থেকে কিছু ঢালছেন। তারপর থেকেই দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে বাসে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ছড়িয়ে পড়েছে। পরে পুলিশের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী সিসৌদিয়া।