বার্তা পরিবেশক, অনলাইন::: কাগজে-কলমে দেশের কোথাও এখন শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবু সারা দেশই কাঁপছে শীতে। মূলত হিমালয় অঞ্চল থেকে আসা শীতল বায়ু এবং ঘন কুয়াশার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দু-একটি অঞ্চল বাদে শনিবার দেশের কোথাও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এ কারণে দিনে উষ্ণ হতে পারেনি ধরণী। ফলে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে গেছে। ওই পার্থক্য ৩-৪ ডিগ্রি হওয়ায় হাড়ে লাগার মতো শীত অনুভূত হচ্ছে। দেশের কয়েকটি অঞ্চলে বুধবার শুরু হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শনিবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির উপরে উঠে আসে। সে অনুযায়ী এদিন শীতের প্রকোপও কমে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি। আবহাওয়া বিভাগ (বিএমডি) জানিয়েছে, মঙ্গলবার বৃষ্টি হতে পারে। তখন কুয়াশা কেটে যাবে। ঘন কুয়াশা না কাটা পর্যন্ত শীতের প্রকোপ দূর হবে না।

শীতের প্রকোপে মানুষের জবুথবু অবস্থা। কোথাও পরিস্থিতি এমন যে, ভোর ও সন্ধ্যায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির রূপ নিয়েছে। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। দিনে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়েও দূরের জিনিস দেখা যাচ্ছে না। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে, গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে দেরিতে।

বেড়েছে শীতজনিত রোগও। ৩-৪ দিন ধরে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর ভিড় বাড়ছে। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫৬ জন। এদের বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। এ তথ্য ২৯৬টি উপজেলা থেকে পাওয়া। সারা দেশের সব হাসপাতালের হিসাব যুক্ত হলে এ সংখ্যা বাড়বে আরও।

শীতজনিত রোগে পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় মাহমুদ হাওলাদার নামে ১০ দিনের এক শিশু মারা গেছে। একইদিনে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে মারা যান ফাতেমা বেগম নামে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর এক গৃহবধূ। শনিবার রংপুরের কাউনিয়ায় আবিজন নেছা নামে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধা দগ্ধ হয়েছেন। এ নিয়ে ৪ দিনে ১২ জন আগুনে দ্বগ্ধ হওয়ার তথ্য মিলেছে।

তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যদি ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে তবে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আর ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ফরিদপুরে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এরপরও শীতের অনুভূতি কেন বেশি- জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ সাংবাদিকদের জানান, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান যত কমবে, শীতের অনুভূতিও তত বাড়বে। ফরিদপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হলেও এর চেয়ে এদিন ঢাকায় শীতের অনুভূতি বেশি ছিল। এর কারণ, ফরিদপুরে সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ১ আর সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল এদিন। পার্থক্য সাড়ে ৬ ডিগ্রি। অন্যদিকে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেশি হলেও শীত বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ হচ্ছে, এখানে (ঢাকা) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পার্থক্য মাত্র ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি। আবার রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি, আর সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি। ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি পার্থক্য। শনিবার ঢাকা ও রংপুরের শীতের অনুভূতি প্রায় একই ছিল।

আবহাওয়াবিদরা মনে করেন, সাধারণত বয়স, বাতাসের গতি, কুয়াশার প্রকোপ, সূর্যের কিরণকাল ইত্যাদির ওপর শীতের অনুভূতি নির্ভর করে। বয়স বেশি হলে শীতের অনুভূতি বেশি হয় (শিশুদের প্রেক্ষাপট ভিন্ন)। বাতাসের গতি কম থাকলেও শীতের অনুভূতি ও প্রকোপ বেশি মনে হয়।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শনিবার যে কুয়াশা ছিল, তার আস্তরণ ১০০-২০০ মিটার। ওই কুয়াশা প্রায় সারা দিন ধরেই কোথাও না কোথাও ছিল। ফলে এসব এলাকায় সূর্যের আলো পৌঁছাতে বাধা পায়। তবে কক্সবাজারের টেকনাফ, বরিশালসহ উপকূলীয় কয়েকটি এলাকায় দুপুরের দিকে কিছু সময়ের জন্য সূর্য উঁকি দিয়েছিল। তখন কুয়াশা কিছুটা কেটে গেলেও মিষ্টি রোদ আর সেভাবে ভূপৃষ্ঠ গরম করতে পারেনি।

কয়েকদিন ধরে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল বেশি। শনিবার সকালের পর্যবেক্ষণে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সবচেয়ে কম ছিল ৯৪ শতাংশ- সিলেট, রাজশাহী ও খুলনায়। ঢাকায় ৯৭, ফরিদপুরে ১০০ শতাংশই ছিল জলীয় বাষ্প। সাধারণত ৮০ শতাংশ জলীয় বাষ্প থাকলেই তা কুয়াশা তৈরির জন্য উপযুক্ত হয়।

আবহাওয়াবিদদের মতে, ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা যখন বেশি থাকে এবং এর (বায়ুমণ্ডলের) নিচের অংশে তাপমাত্রা কম থাকে তখন কুয়াশা তৈরি হয়। কুয়াশাও এক ধরনের মেঘ। বাংলাদেশে চার ধরনের কুয়াশার দেখা মিলে। এগুলো হচ্ছে, বিকিরণজনিত, বায়ুতাড়িত, ভ্যালি (উপত্যকা) ও স্টিম (জলাশয়)। দেশে বর্তমানে সবই বিদ্যমান। বর্তমানে যে কুয়াশার বিস্তার দেখা যায়, তা নয়াদিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করেছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ।

কাউনিয়া (রংপুর), নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম), গাইবান্ধা, দিনাজপুর, পাবনা, চাটমোহর (পাবনা), নিয়ামতপুর (নওগাঁ), শেরপুর, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার), কাউখালী ও ইন্দুরকানী (পিরোজপুর), কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ), বেনাপোল (যশোর), চারঘাট (রাজশাহী), সিংড়া (নাটোর), বোরহানউদ্দিন (ভোলা), টাঙ্গাইল, জয়পুরহাট, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ), বুড়িচং (কুমিল্লা), কালিয়াকৈরসহ (গাজীপুর) দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাংবাদিকদের জানান এবং বরিশাল, সিলেট, বগুড়া, রাজশাহী, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন সাংবাদিকদের জানান শীত পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন।

রংপুর ব্যুরো জানায়, খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে ৭২ ঘণ্টায় এক অন্তঃসত্ত্বাসহ ১১ জন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। ডা. সোহানুর রহমান শুভ জানান, বালিয়াডাঙ্গির সাদেকুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম মারা যান শুক্রবার রাতে। এ ছাড়াও আরও ১০ জন ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এরা হলেন- নীলফামারীর আরিফা ও লালমনিরহাটের পাটগ্রামের রসুলপুরের জয়নব বেওয়া।

রংপুর ব্যুরো আরও জানায়, পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় রংপুর অঞ্চলের দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ। তিস্তা, ধরলা, ঘাঘট, করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন চরাঞ্চলে বসবাসকারী হাজার হাজার পরিবার মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি। রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, রংপুর অঞ্চলে জানুয়ারির শুরুতে আবার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি জানান, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে উপজেলায় ৩০০ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। শেরপুর প্রতিনিধি জানান, জেলা প্রশাসন কম্বল বিতরণ করে। টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, শীত জেঁকে বসায় গরম পোশাক কেনাকাটায় হিড়িক পড়েছে হকার্স মার্কেটে।

শীতজনিত রোগের প্রকোপ : বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব জীবাণু তাপমাত্রার সঙ্গে সম্পৃক্ত শীতকালে তারা সক্রিয় হয়ে ওঠে। এরা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ও মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটায়। ফলে এ সময় মানুষ বিশেষ ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, হাঁপানি, টনসিলোটাইসিস, ব্রংকিওলাইটিস, সাইনোসাইটিস, বাত, আর্থাইটিস, চামড়ার শুষ্কতা অন্যতম। এসব রোগ থেকে সুরক্ষায় শীত এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর শীতের তীব্রতা বেশি। স্বাভাবিক শীতকালীন রোগ-ব্যাধির পাশাপাশি তীব্র শীতে হাইপোথার্মিয়া হতে পারে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি বেশি। তিনি বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এমনিতেই মানুষের শরীরের তাপ উৎপাদন ক্ষমতা কমতে থাকে। তীব্র শীতে বয়স্কদের ক্ষেত্রে হাইপোথার্মিয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীর শরীর ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হয়ে আসে। শরীরে তাপ উৎপাদন কম হওয়ায় হাত-পা কুকড়ে যায়। এমনকি শরীর অবশ হয়ে আসতে থাকে। এছাড়া হাঁপানি, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশিসহ অন্যান্য রোগতো আছেই।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ বলেন, এসব রোগ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই শীত এড়িয়ে চলতে হবে। শরীর গরম রাখতে গরম পোশাক পরতে হবে, গরম পানি খেতে হবে। এমনকি গোসলের ক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু এসব রোগে বয়স্ক ও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে তাই তাদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। রুম গরম রাখতে রুম হিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম) ডা. আয়েশা আক্তার
সাংবাদিকদের জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ২৯৬টি উপজেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে- এ সময়ে ৪ হাজার ৫৫৬ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৩৫ জন, এআরআই-এ (অ্যাকিউট রেসপারেটরি ইনফেকশন) আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৮২৯ জন ও অন্যান্য রোগে (জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, চর্মরোগ ও জ্বর) চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৯২ জন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, জেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও পরিচালকদের বরাত দিয়ে ডা. আয়েশা আরও জানান, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৯ হাজার ১৭১ জন, এআরআই আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৯ হাজার ৬৮ জন এবং অন্যান্য রোগ যেমন- জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, চর্মরোগ ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন এক লাখ ৪ হাজার ৭৮০ জন। এ সময়ে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এআরআই-এ ১৬ জন, ডায়রিয়ায় ৪ ও অন্যান্য রোগে ৯ জন।

চেস্ট অ্যান্ড হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবু রায়হান সাংবাদিকদের জানান, শীতের সময়ে বৃদ্ধ ও শিশু উভয়ের ক্ষেত্রে শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। কারণ এ দু’বয়সের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। শীতে শিশু ও বৃদ্ধদের অ্যাজমা, হাঁপানি, ব্রংকিউলাইটিস, নিউমোনিয়া থেকে বাঁচাতে পর্যাপ্ত গরম কাপড়সহ হাত-পায়ে মোজা পরিয়ে রাখতে হবে। কোনোভাবেই ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না। গোসলসহ সবক্ষেত্রে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। তারপরেও যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, শ্বাসকষ্টে ঘুমাতে না পারেন, ঠোঁট-মুখ নীল হয়ে যায়, বুক স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি উঠানামা করে তাহলে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।