বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: কক্সবাজারের টেকনাফে পাওনা টাকা পরিশোধ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে রোহিঙ্গা যুবকের দায়ের কুপে আরেক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। টেকনাফের হোয়াইক্যং ঊনছিপ্রাংয়ে রইক্ষ্যং পুটিবনিয়া ক্যাম্পে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আবু তৈয়ব (৩৫)। তিনি উখিয়ার বালুখালী বি-২ ক্যাম্পের ১৩০৭নং রোমের বাসিন্দা মো. আলমের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, টেকনাফের হোয়াইক্যং ঊনছিপ্রাংয়ে রইক্ষ্যং পুটিবনিয়া ক্যাম্পের নারীবান্ধব কেন্দ্রের লাগোয়া বোন হাসিনার বাসায় ৫ মাস আগে বেড়াতে আসেন বালুখালী ক্যাম্পের আবু তৈয়ব। শুক্রবার সন্ধ্যার পর বাসার পেছনের দোকানে বসে তৈয়ব কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করছিলেন। এমন সময় একই ক্যাম্পের ডি-৩ ব্লকের ১৬৪৬ নং রুমের বাসিন্দা রশিদ আহমদের ছেলে ছৈয়দুল আমিন (৩০) একটি ধারালো দা নিয়ে পেছন থেকে এসে তৈয়বের গলার পেছনে উপরাংশে জোরে কোপ দিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। উপস্থিত রোহিঙ্গারা ধাওয়া করে আমিনকে ধরে ফেলেন। পাশাপাশি রক্তাক্ত আবু তৈয়বকে উদ্ধার করে ক্যাম্পের হাসপাতালে চিকিৎসার নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে হোয়াইক্যং ফাঁড়ির আইসি নাজমুল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর তা মর্গে পাঠানোর জন্য উদ্যোগ নেন এবং আমিনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ক্যাম্পের অন্যরা জানান, ছৈয়দুল আমিনের কাছে পাওনা ১২শ টাকা পেতেন আবু তৈয়ব। বৃহস্পতিবার এ টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। হয়তো এরই এ সূত্র ধরে আমিন এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে।
ক্যাম্পের একাধিক সূত্রের দাবী, এ ক্যাম্পের বেশির ভাগ নারী-পুরুষ মাদক সংশ্লিষ্ট অপরাধে সম্পৃক্ত। দুর্গম এলাকা হওয়ায় এ ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের অপকর্ম অন্ধকারে রয়ে যায়।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। আটক রোহিঙ্গাকে টেকনাফ থানায় আনা হচ্ছে।