বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় আটক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার সকালে ধর্ষককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান। তবে ধর্ষকের নাম-পরিচয়সহ এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ধর্ষক সন্দেহে একজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি ইউনিট। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
ওই ঘটনার ছায়া তদন্তে থাকা একটি বাহিনীর সূত্রে জানানো হয়, আজ আটককৃত ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর মুখোমুখি করা হবে।
সেই অনুযায়ী এক ব্যক্তিকে আটকের পর তার ছবি ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে দেখানো হয়েছে। তিনি তাকে ধর্ষক বলে শনাক্ত করেছেন।
এর আগে ওই ছাত্রীর দেওয়া চেহারার বর্ণনা অনুযায়ী, ধর্ষকের একটি স্কেচ আঁকা হয়। সেই স্কেচ ধরে অনুসন্ধানে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ছাড়া ঘটনাস্থলের আশপাশের কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজও বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাস স্টপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে রাস্তার পাশে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন।
এরপর ওই ছাত্রী ঘটনাস্থল থেকে গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় সহপাঠীরা। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই প্রতিবাদ ও ধর্ষকের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে ঢাবি ক্যাম্পাস। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সবকটি ইউনিট ধর্ষককে খুঁজে পেতে একযোগে কাজ শুরু করে। এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার কথা জানিয়েছেন।
ধর্ষণের এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি)।