২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশালে এসে হতাশ সুজন সম্পাদক!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ, ১৪ জুলাই ২০১৮

বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে আচরণ বিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা চালানো, টাকা দিয়ে ভোট না কেনা, নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশীশক্তি ব্যবহার না করা, নগরীকে সন্ত্রাস-মাদক মুক্ত রাখা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে করপোরেশনের কার্যক্রম পরিচালনা, বিজয়ী হলে ভবিষ্যতে দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না হওয়াসহ নানা বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকার করেছেন ৬ মেয়র প্রার্থী।

পাশাপাশি ফলাফল যাই হোক না কেন তা মেনে নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন মেয়র প্রার্থীরা। শুক্রবার নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে জনগনের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে প্রার্থীরা ওই অঙ্গীকার করেন।

সু-শাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ৬ মেয়র প্রার্থী অংশ নিলেও রহস্যজনক কারণে অংশ নেননি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। সাদিকের অংশ না নেওয়ার বিষয়টিতে আয়োজক সংস্থা সুজনের নেতৃবৃন্দ হতাশ হয়েছন।

যদিও তাকে ছাড়াই নগরীর ভোটারদের উপস্থিততে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজনের বরিশাল মহানগর কমিটির সভাপতি প্রফেসর শাহ সাজেদা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুজনের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দীলিপ কুমার সরকার।

সুজনের সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার উপস্থিত সর্বস্তরের নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, মানুষ যাতে জেনে শুনে বুঝে ভোট দিতে পারে সে জন্যই সুজনের এ আয়োজন। তিনি ভোটারদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান এবং দুর্নীতিবাজ, কালো টাকার মালিক, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী, ঋণ খেলাপী, ধর্ম ব্যবসায়ী, অসৎ ব্যক্তিকে ভোট না দেয়ার জন্য ভোটারদের শপথ পাঠ করান।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, বিসিসির নির্বাচন নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে ভয় শংকা আছে তারা ভোট দিতে পারবেন কিনা।

ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন- আপনাদের কমিটমেন্ট করতে হবে যে, আমার ভোট আমি দিবো, যাকে খুশি তাকে দিবো এবং জনগনের ভোট যারা দখল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সরোয়ার বলেন, আসন্ন নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হলে শহর রক্ষা বাঁধের কাজ সমাপ্ত করা, রাস্তা-ঘাট প্রস্তসহ নাগরিক সংকটগুলো দুর করে বরিশালকে প্রযুক্তি সম্পৃক্তি সুন্দর নগরী করে গড়ে তুলবেন।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, বরিশাল নগরী এখন জরাজীর্ণ। নাগরিক অধিকার পাচ্ছে না নগরবাসী। নির্বাচিত হলে নগরবাসীর সেবক হবেন তিনি। নগরভবনের নাম হলে সেবকভবন। তিনি সুষ্ঠ ও নিরাপদ নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য নগরবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা ওবাইদুর রহমান মাহবুব বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতি ও পারসেন্টটিস মুক্ত করবেন। বাসদের মেয়র প্রার্থী ডা. মনীষা চত্রক্রবর্তী বলেন, বরিশাল নগরীর বর্তমান বেহাল দশার জন্য বিগত ১৫ বছরে যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের দায় রয়েছে। তিনি নির্বাচিত হলে জনগণের মতামত নিয়ে নগরী উন্নয়ন করবেন। নারী বান্ধব নগরী গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সবধরনের প্রদক্ষেপ নিবেন।

কমিউনিস্ট পার্টির আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে বরিশালকে দৃস্টিনন্দন নগরীতে পরিনত করবেন। কর্মসংস্থানের জন্য কৃষি ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠা, বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন ও নারী সহায়ক নগরী করবেন।

জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী বশির আহমেদ ঝুনু বলেন, তিনি নির্বাচত হলে সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নকে সিটি করপোরেশনের আওতায় আনবেন। বশির আহম্মেদ ঝুনু অতীতে যারা উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে কমিশন খেয়েছেন তাদের বর্জনের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সুজনের বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আক্কাস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রনজিত দত্ত  ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম।’

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন