ঘন কুয়াশার কারণে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার বিষখালী নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া সিমেন্টভর্তি একটি কার্গো ও নিখোঁজ দুই শ্রমিককে দুই দিনেও উদ্ধার করা যায়নি। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে খুলনা নৌবাহিনীর লে. কমান্ডার মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি দল ও বিআইডাব্লিউটিএ’র একটি ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে।
উদ্ধারকর্মীরা ডুবে যাওয়া কর্গোটির সন্ধান পেয়েছেন। কার্গোটি জেলেদের জালে জড়িয়ে পড়ায় ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা। নিখোঁজ দুই শ্রমিক কার্গোর কেবিনের ভেতর থাকতে পারেন বলেও ধারণা করছেন উদ্ধার কর্মীরা।
এদিকে সকাল থেকে নিখোঁজ শ্রমিক পান্নু মিয়া ও মো. হাসানের স্বজনসহ স্থানীয়রা নদীতীরে তাদের সন্ধান করছেন। ট্রালার নিয়ে তারা নদীর বিভিন্ন স্থানে নিখোঁজ দুই শ্রমিককে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
উদ্ধারকর্মী রবিউল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘আমরা নদীর গভীরে গিয়েছি। সেখানে ডুবে যাওয়া কার্গোটির সন্ধান পেয়েছি। কিন্তু কার্গোটি জেলেদের জালে জাড়িয়ে আছে। জাল কেটে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভেতরে না ঢোকা পর্যন্ত কার্গোটি উদ্ধার করা যাচ্ছে না। হয়তো কার্গোর কেবিনেই নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।’
এর আগে গত মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে বিষখালী নদীর কাঁঠালিয়া উপজেলার মশাবুনিয়া পুরনো লঞ্চঘাট এলাকায় ১৫৬০ বস্তা সিমেন্টবোঝাই নোঙর করা একটি কার্গোকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এম ভি পূবালী ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কার্গোতে থাকা তিন শ্রমিকের মধ্যে একজন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ হন দুই শ্রমিক।
শিরোনামOther