রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন- নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজম্মকে মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধো চেতনা ইতিহাস সঠিকভাবে জানাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে চেনতাকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। সরকার ইতিমধ্যে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্নবাসনে কাজ করছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়কে এগিয়ে চলছে। মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমেছে দারিদ্রের হার। বৈদেশিক বিনিয়োগ ও রেমিটেশন প্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলার উপ-শহর বাংলাবাজারে স্বাধীনতা জাদুঘর উদ্বোধন শেষে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিজিটাল বাংলাদেশে এখন আর কল্পনা নয় মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালেল মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হবে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আরও বলেছেন, উন্নয়নে টেকশই ও বেগবান করতে হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
কারণ গণতন্ত্রই মানুষের মৌলিক অধিকার। তাই দলমত নির্বিশেষে সকলের সম্মনিত প্রয়াস জরুরি। আর্থ সামাজিক নানা খাতে বিপুল অর্জন কেবল দেশে নয় বিশ্ববাসীকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ভোলা সরকারি কলেজের প্রফেসর অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বন ও পরিবেশ উপ-মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ভোলা-৩ আসেনর সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ আফজাল হোসেনসহ প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে তিনতলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন এ স্থানপনাকে সাজানো হয়েছে মক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের আলোকে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদের পৃষ্ঠপোশকতায় জাদুঘরের তিনটি তলার প্রথম তলায় লাইেব্রেরী, অডিটরিয়াম এবং প্রদর্শনী রয়েছে। এছাড়াও দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় স্বাধীনতার ইতিহাসের আলোকে সাজানো হয়েছে। এর আগে রাষ্ট্রপতি চরফ্যাশনের কুকরী-মুকরীতে একটি ইকোপার্কের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন শেষে হেলিকপ্টারযোগে বাংলাবাজারে অবতরণ করেন। সুধী সমাবেশে শেষে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।”
শিরোনামOther