বরিশালের উজিরপুর পৌর এলাকায় স্ত্রী রিমা বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূ স্বামীর পরকীয়া আর যৌতুকের বলি হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শারিরীক নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পিতা।
রোববার (০৪ মার্চ) রাত ১টার দিকে পৌর এলাকার দক্ষিণ মাদার্শী গ্রামে স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে নিহত রিমার স্বামী শিপন হাওলাদার ও শ্বশুর ইসমাইল হাওলাদার ও শ্বাশুড়ি সুফিয়া বেগমকে গ্রফতার করেছে।
নিহত রিমা বেগম পাশ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের বাসুদেবপাড়া গ্রামের আক্কেল আলী সরদারের মেয়ে।
নিহতের বাবা আক্কেল আলী সরদার বরিশালটাইমসকে জানিয়েছেন- মাত্র দেড় বছর পূর্বে উজিরপুর পৌর এলাকার দক্ষিণ মাদার্শী গ্রামের ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে শিপন হাওলাদারের সঙ্গে রিমাকে বিয়ে দেন। বিয়ের পরই শিপন তার আপন বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। একইসাথে তার মেয়ে রিমাকে দিয়ে তাদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে যৌতুকও দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। এরই জের ধরে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন রোববার রাতে রিমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে নিহত রিমার স্বামী শিপন হাওলাদার (৩৫) ও তার ছোট ভাই ইউনুস হাওলাদার (৩০), বাবা ইসমাইল হাওলাদার (৫৮) ও মা সুফিয়া বেগমের (৫০) নাম উল্লেখ করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল বরিশালটাইমসকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।
এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে আটক করা হয়েছে।”
শিরোনামOther