৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ঝালকাঠিতে হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ৫ সন্তানের মায়ের মৃত্যু

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:৪৪ অপরাহ্ণ, ২৯ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় জেসমিন বেগম নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত জেসমিন বেগম উপজেলার পশ্চিম ফুলুহার গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম হাওলাদারের স্ত্রী। তার পাঁচ সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় নিহত রোগীর স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাজাপুর কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবুল খায়ের রাসেলকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাওয়া যায়নি।

নিহতের স্বামী আব্দুল আলিম হাওলাদার বলেন, মঙ্গলবার রাতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে বুধবার সকালে জেসমিনকে রাজাপুর কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিছানায় জায়গা না থাকায় তাকে বারান্দায় চিকিৎসা দেয়া হয়। সকাল ১০টার দিকে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবুল খায়ের রাসেল স্যালাইন ও একটি ইনজেকশন পুশ করার পর জেসমিন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা চিকিৎসক ও নার্সদের কাছে একাধিক বার গেলেও তারা কেউ আর রোগীর কাছে আসেননি। উল্টো আমাদের ধাক্কা দিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দেয় এবং অশালীন আচরণ করে। এর কিছুক্ষণ পর দুপুর ১২টার দিকে রোগী মারা যায়। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় জেসমিন বেগমের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত জেসমিনের স্বামী আব্দুল আলিম হাওলাদার বলেন, ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তারের কাছে গেলে সে আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছেন। আমি আমার স্ত্রী হত্যার বিচার চাই।

রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবুল খায়ের রাসেল বলেন, জেসমিন বেগমকে সকাল ৯টায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন তার অবস্থা ভালো ছিল না। তার খিঁচুনি রোগ ছিল। অতিরিক্ত পানিশূন্যতায় কিডনির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এখানে চিকিৎসকের কোনো অবহেলা কিংবা ভুল চিকিৎসা ছিল না।

এদিকে, ভুল চিকিৎসা ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, এখানে ভুল চিকিৎসার কোনো ঘটনা ঘটেনি। রোগীর অবস্থা ভালো ছিল না। তাকে সময়মতো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে পারেনি স্বজনরা। গুরুতর অবস্থায় তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাকে বাঁচাতে পারিনি।

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন