৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শিরোনাম
বরিশালসহ ৭ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা ঝালকাঠিতে পারিবারিক বিরোধে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যা, ছোট ভাই গ্রেপ্তার নাব্যতাসংকটে কীর্তনখোলা, লঞ্চসহ পণ্যবাহী নৌযান ঘাটে ভিড়তে ভোগান্তি উজিরপুরে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: প্রায় সোয়া কোটি টাকায় সংস্কার কাজে চরম অনিয়ম-দুর্নীতি ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা ঝালকাঠিতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ হবিগঞ্জে দুর্ঘটনা: গলাচিপায় একই পরিবারের নিহত চারজনের দাফন সম্পন্ন ভোলায় দেড় হাজার টাকা কেজির নিচে মিলছে না ইলিশ

এমপি শাওনের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গোয়েন্দা নজরদারিতে

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:৫৪ অপরাহ্ণ, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: চলমান অভিযানে আটক ও অভিযুক্ত যুবলীগের তিন নেতা নুরুন্ন্নবী চৌধুরী শাওন, জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া এবং তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১০ প্রতিষ্ঠানের অর্থ বা সম্পদ কোনো ব্যাংকের লকার বা ভল্টে থাকলে তা জব্দ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের এফডিআর, ক্রেডিট কার্ড ও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা অর্থও জব্দ করতে বলেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)। গত সপ্তাহে সিআইসি থেকে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে এসব প্রতিষ্ঠানের হিসাব ও সম্পদ জব্দের একাধিক চিঠি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ১১৬-এ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সিআইসির পাঠানো চিঠি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ব্যাংক হিসাবের বিভিন্ন লেনদেন জব্দের মধ্যে এমপি নুরুন্ন্নবী চৌধুরী শাওনের নিজের ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সাতটি, জি কে শামীমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দুটি ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার স্বার্থসংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের পরিচিতিতে দেখা যায়, মেসার্স নাওয়াল কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স আয়েশা ট্রেডার্সের মালিকের নাম উল্লেখ নেই। তবে উভয় প্রতিষ্ঠানের টিআইএন নম্বর-৩৬০২২৫৬৯২৪০৯। মেসার্স নাওয়াল কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিদ্যানিকেতন প্রি-ক্যাডেট স্কুলের স্বত্বাধিকারী নুরুন্নবী চৌধুরী। এ ছাড়া নাওয়াল কনস্ট্রাকশন নামের আরো একটি প্রতিষ্ঠানের কোনো ঠিকানা উল্লেখ নেই। তবে টিআইএন নম্বর দেওয়া আছে-১৫৯৪৪১৬৩৮৯৬৫। মেসার্স ফারজানা বুটিকের স্বত্বাধিকারী ফারজানা চৌধুরী এবং মেসার্স ইনটিশার ফিশারিজ ও মেসার্স ডিজিটাল টেকের স্বত্বাধিকারীর জায়গায় নুরুন্নবী চৌধুরীর নাম উল্লেখ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান নুরুন্নবী চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বলে জানা গেছে।

জি কে শামীমের দুই প্রতিষ্ঠান হলো মেসার্স জি কে বিল্ডার্স। এর স্বত্বাধিকারী জি কে শামীম নিজেই। আর জিকেবি অ্যান্ড কম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের কোনো মালিক উল্লেখ করা হয়নি, তবে টিআইএন দেওয়া আছে ৩৭৮০৭০১৬৩২৪৫ এবং মেসার্স অর্পণ প্রপার্টিজের মালিকানায় রয়েছেন খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

এই তিন যুবলীগ নেতার প্রতিষ্ঠানের অর্থ ও সম্পদ জব্দের বিষয়ে সিআইসির চিঠিতে বলা হয়, এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত যেকোনো মেয়াদি আমানত (এফডিআর এসটিডি), মেয়াদি সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে হবে। এ ছাড়া এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংকের লকার বা ভল্টে রাখা যেকোনো সম্পদ, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ জব্দ করার পাশাপাশি অন্য যেকোনো ধরনের সেভিং ইনস্ট্রুমেন্ট বা ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট থাকলে তাও জব্দ করতে হবে।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর নুরুন্ন্নবী চৌধুরী শাওন ও তাঁর স্ত্রী, জি কে শামীম ও তাঁর স্ত্রী ও মা এবং খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার সব ধরনের ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এর পরদিন ২৩ সেপ্টেম্বর ওই ছয় ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয় সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল।

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন