১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:০৬
দেশজুড়ে অপরাধের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড, চুরি-ছিনতাই, গণপিটুনির মতো ঘটনা বাড়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরাও হামলার শিকার হচ্ছেন। ২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ৩৬৮টি।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে সারা দেশে বিভিন্ন অপরাধে মামলা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৭৮৩টি। একই সময়ে খুনের মামলা হয়েছে ২ হাজার ২৯৩টি, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ১৩ হাজার ১৩০টি, অপহরণ ৬২৫টি, ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটেছে ৫ হাজার ৩৮৭টি। ডাকাতি, দস্যুতা, দাঙ্গা, সিঁধেল চুরিসহ অসংখ্য মামলা হয়েছে।
২০২৪ সালে সারা দেশে বিভিন্ন অপরাধে মোট মামলা হয়েছিল ১ লাখ ৭২ হাজার ৫টি। খুনের মামলা ছিল ৩ হাজার ৪৩২টি, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ১৭ হাজার ৫৭১টি, অপহরণ ৬৪২টি এবং পুলিশ হামলা-লাঞ্ছনার মামলা ছিল ৬৪৩টি।
মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) তথ্য অনুযায়ী, শুধু আগস্ট মাসেই ৩৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৩ জন নিহত ও ৪৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। জুলাই মাসে গণপিটুনির সংখ্যা ছিল ৫১, নিহত হয়েছিলেন ১৬ জন।
নিহতদের মধ্যে ১০ জনকে চুরির অভিযোগে, ৪ জনকে সন্দেহজনক চুরির অভিযোগে, ৩ জনকে ডাকাতির অভিযোগে, ২ জনকে পূর্বশত্রুতার জেরে, ২ জনকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে, ১ জন মাদক মামলার অভিযুক্ত এবং ১ জনকে চাঁদাবাজির অভিযোগে হত্যা করা হয়।
এমএসএফ-এর আগস্ট মাসের রিপোর্টে দেখা যায়, ৩৪৯টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণ ৪৭টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৯টি, ধর্ষণ ও হত্যা ৪টি। ধর্ষণের শিকারদের মধ্যে ১১ জন শিশু ও ১৭ জন কিশোরী। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা ২৪টি, যৌন হয়রানি ২১টি এবং শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৯৪টি।
আগস্ট মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার ৪৯টি ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪৯ জন। নিহত হয়েছেন দুজন এবং আহত ৫৪৭ জন। সহিংসতার মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর অফিস, বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিকাণ্ড এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।
এমএসএফের তথ্যমতে, এসব ঘটনায় ২৩টি বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্ব, ৫টি বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষ, ২টি এনসিপি-আওয়ামী লীগ দ্বন্দ্ব, ১টি বিএনপি-এনসিপি সংঘর্ষ, ২টি বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক সংঘর্ষ অন্তর্ভুক্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, দেশে এক ধরনের অপরাধচক্র তৈরি হয়েছে যারা অপরাধকে আয়-উপার্জনের উৎস বানিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় কিছুটা স্বাভাবিক হলেও অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে।
দেশজুড়ে অপরাধের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড, চুরি-ছিনতাই, গণপিটুনির মতো ঘটনা বাড়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরাও হামলার শিকার হচ্ছেন। ২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ৩৬৮টি।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে সারা দেশে বিভিন্ন অপরাধে মামলা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৭৮৩টি। একই সময়ে খুনের মামলা হয়েছে ২ হাজার ২৯৩টি, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ১৩ হাজার ১৩০টি, অপহরণ ৬২৫টি, ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটেছে ৫ হাজার ৩৮৭টি। ডাকাতি, দস্যুতা, দাঙ্গা, সিঁধেল চুরিসহ অসংখ্য মামলা হয়েছে।
২০২৪ সালে সারা দেশে বিভিন্ন অপরাধে মোট মামলা হয়েছিল ১ লাখ ৭২ হাজার ৫টি। খুনের মামলা ছিল ৩ হাজার ৪৩২টি, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ১৭ হাজার ৫৭১টি, অপহরণ ৬৪২টি এবং পুলিশ হামলা-লাঞ্ছনার মামলা ছিল ৬৪৩টি।
মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) তথ্য অনুযায়ী, শুধু আগস্ট মাসেই ৩৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৩ জন নিহত ও ৪৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। জুলাই মাসে গণপিটুনির সংখ্যা ছিল ৫১, নিহত হয়েছিলেন ১৬ জন।
নিহতদের মধ্যে ১০ জনকে চুরির অভিযোগে, ৪ জনকে সন্দেহজনক চুরির অভিযোগে, ৩ জনকে ডাকাতির অভিযোগে, ২ জনকে পূর্বশত্রুতার জেরে, ২ জনকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে, ১ জন মাদক মামলার অভিযুক্ত এবং ১ জনকে চাঁদাবাজির অভিযোগে হত্যা করা হয়।
এমএসএফ-এর আগস্ট মাসের রিপোর্টে দেখা যায়, ৩৪৯টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণ ৪৭টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৯টি, ধর্ষণ ও হত্যা ৪টি। ধর্ষণের শিকারদের মধ্যে ১১ জন শিশু ও ১৭ জন কিশোরী। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা ২৪টি, যৌন হয়রানি ২১টি এবং শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৯৪টি।
আগস্ট মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার ৪৯টি ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪৯ জন। নিহত হয়েছেন দুজন এবং আহত ৫৪৭ জন। সহিংসতার মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর অফিস, বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিকাণ্ড এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।
এমএসএফের তথ্যমতে, এসব ঘটনায় ২৩টি বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্ব, ৫টি বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষ, ২টি এনসিপি-আওয়ামী লীগ দ্বন্দ্ব, ১টি বিএনপি-এনসিপি সংঘর্ষ, ২টি বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক সংঘর্ষ অন্তর্ভুক্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, দেশে এক ধরনের অপরাধচক্র তৈরি হয়েছে যারা অপরাধকে আয়-উপার্জনের উৎস বানিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় কিছুটা স্বাভাবিক হলেও অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:০৮
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে কাজ করার দায়িত্ব আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে (এপিবিএন) দেওয়া হচ্ছে এবং বিমানবাহিনীর টাস্কফোর্সের সদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দফতর।
এক বছর ধরে দুই বাহিনী নানা আলোচনার জন্ম দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে অতিরিক্ত ডিআইজিকে বিমানবন্দর থেকে সরিয়ে নিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) পুলিশের মহাপরিদর্শকে (আইজিপি) চিঠি দিলে তোলপাড় শুরু হয়। এমনকি পুলিশে ক্ষোভ দেখা দেয়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অভিযোগ, বিমানবন্দরের ভেতর থেকে তাদের অফিস পর্যন্ত সরিয়ে দিয়েছে অ্যাভসেক। এ বিরোধের জের শেষ পর্যন্ত ঠেকে প্রধান উপদেষ্টার দফতরে। গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টার দফতরে এক বৈঠকের পর এপিবিএনকে অতিসত্বর বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব শেষে বাহিনীতে ফেরত পাঠানোসহ ৬টি সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানে গত বছর আগস্টে পটপরিবর্তনের পর ‘আনসার বিদ্রোহের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত হাজারখানেক আনসার এক রাতে দায়িত্ব ফেলে চলে যায়। তখন সেখানে নিরাপত্তা দিতে বিমানবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার কথা জানানো হয়।
একই সঙ্গে আগস্টের পর থেকে এপিবিএন সদস্যদেরও বিমানবন্দরের ভেতরে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়। এরপর অক্টোবরের শেষ দিকে বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএনের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, টার্মিনালের ভেতরে (এয়ারসাইডে) তাদের অফিস কক্ষটির মালামাল সরিয়ে নিয়েছে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি বা অ্যাভসেক সদস্যরা। এ নিয়ে এপিবিএনের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর থানায় জিডিও করা হয়।
এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দুই বাহিনীর মধ্য বিরোধ দেখা দেয়। তা ছাড়া, বিমানবন্দরে বিমানবাহিনী সদস্যদের দ্বারা যাত্রী হয়রানির কয়েকটি ঘটনা সমালোচিত হয়।
অ্যাভসেকের পক্ষ থেকে এপিবিএনের কর্মকর্তাদের ওই ঘটনার ভিডিওগুলো গণমাধ্যমে সরবরাহের অভিযোগ তোলা হয়।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে এপিবিএন অধিনায়কের বিরুদ্ধে একটি সভায় শিষ্টাচার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পুলিশ সদর দফতরে চিঠি দেন বেবিচক সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল।
পুলিশ ও বেবিচক সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টার দফতরে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী।
সভায় পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার দফতরের সচিব এম সাইফুল্লাহ পান্না, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব (সংযুক্ত) মাহমুদুল হোসাইন খান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়সাল আহমেদ, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অনুপ কুমার তালুকদার, বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল এবং শাহজালাল বিমানবন্দরের সাবেক নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম অংশ নেন।
সভার শুরুতে সভাপতি লুৎফে সিদ্দিকী প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন এবং বিমানবন্দরে আন্তঃসংস্থা সহযোগিতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কথায় ও কাজের প্রতি পেশাদারত্ব এবং সম্মান দেখাতে হবে।’
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘বিমানবন্দরে পুলিশের মূল কাজ হচ্ছে অপরাধ প্রতিরোধ ও শনাক্তকরণ। আইনগতভাবে অন্য আর কোনো সংস্থা এ কাজগুলো করতে পারে না। সভায় ছয়টি সিদ্ধান্ত হয়।
সেগুলো হচ্ছে বিমানবন্দরের একক কমান্ড, রেগুলেশন এবং নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের জন্য কার্যকর সব সংস্থা বেবিচকের একক কর্তৃত্বে কাজ করবে। এপিবিএন এবং অ্যাভসেক তাদের ওপর দায়িত্ব পালন করবে। যত দ্রুত সম্ভব এপিবিএন বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের ভেতরে কাজ শুরু করবে। আইজিপি এবং বেবিচক চেয়ারম্যান অপারেশনাল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সভা করবেন।
বিমানবাহিনীর টাস্কফোর্স তাদের দায়িত্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাতৃ সংস্থায় ফিরে যাবে। সব বিমানবন্দরে প্রতি সপ্তাহে নিরাপত্তা সভা হতে হবে। সুদূরপ্রসারী কাঠামোগত পরিবর্তনের অংশ হিসেবে বেবিচককে অপারেটর ও রেগুলেটরের পৃথক ভূমিকায় পুনর্গঠনের বিষয়ে সুপারিশ জানাতে পারে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে কাজ করার দায়িত্ব আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে (এপিবিএন) দেওয়া হচ্ছে এবং বিমানবাহিনীর টাস্কফোর্সের সদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দফতর।
এক বছর ধরে দুই বাহিনী নানা আলোচনার জন্ম দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে অতিরিক্ত ডিআইজিকে বিমানবন্দর থেকে সরিয়ে নিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) পুলিশের মহাপরিদর্শকে (আইজিপি) চিঠি দিলে তোলপাড় শুরু হয়। এমনকি পুলিশে ক্ষোভ দেখা দেয়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অভিযোগ, বিমানবন্দরের ভেতর থেকে তাদের অফিস পর্যন্ত সরিয়ে দিয়েছে অ্যাভসেক। এ বিরোধের জের শেষ পর্যন্ত ঠেকে প্রধান উপদেষ্টার দফতরে। গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টার দফতরে এক বৈঠকের পর এপিবিএনকে অতিসত্বর বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব শেষে বাহিনীতে ফেরত পাঠানোসহ ৬টি সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানে গত বছর আগস্টে পটপরিবর্তনের পর ‘আনসার বিদ্রোহের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত হাজারখানেক আনসার এক রাতে দায়িত্ব ফেলে চলে যায়। তখন সেখানে নিরাপত্তা দিতে বিমানবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার কথা জানানো হয়।
একই সঙ্গে আগস্টের পর থেকে এপিবিএন সদস্যদেরও বিমানবন্দরের ভেতরে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়। এরপর অক্টোবরের শেষ দিকে বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএনের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, টার্মিনালের ভেতরে (এয়ারসাইডে) তাদের অফিস কক্ষটির মালামাল সরিয়ে নিয়েছে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি বা অ্যাভসেক সদস্যরা। এ নিয়ে এপিবিএনের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর থানায় জিডিও করা হয়।
এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দুই বাহিনীর মধ্য বিরোধ দেখা দেয়। তা ছাড়া, বিমানবন্দরে বিমানবাহিনী সদস্যদের দ্বারা যাত্রী হয়রানির কয়েকটি ঘটনা সমালোচিত হয়।
অ্যাভসেকের পক্ষ থেকে এপিবিএনের কর্মকর্তাদের ওই ঘটনার ভিডিওগুলো গণমাধ্যমে সরবরাহের অভিযোগ তোলা হয়।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে এপিবিএন অধিনায়কের বিরুদ্ধে একটি সভায় শিষ্টাচার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পুলিশ সদর দফতরে চিঠি দেন বেবিচক সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল।
পুলিশ ও বেবিচক সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টার দফতরে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী।
সভায় পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার দফতরের সচিব এম সাইফুল্লাহ পান্না, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব (সংযুক্ত) মাহমুদুল হোসাইন খান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়সাল আহমেদ, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অনুপ কুমার তালুকদার, বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল এবং শাহজালাল বিমানবন্দরের সাবেক নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম অংশ নেন।
সভার শুরুতে সভাপতি লুৎফে সিদ্দিকী প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন এবং বিমানবন্দরে আন্তঃসংস্থা সহযোগিতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কথায় ও কাজের প্রতি পেশাদারত্ব এবং সম্মান দেখাতে হবে।’
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘বিমানবন্দরে পুলিশের মূল কাজ হচ্ছে অপরাধ প্রতিরোধ ও শনাক্তকরণ। আইনগতভাবে অন্য আর কোনো সংস্থা এ কাজগুলো করতে পারে না। সভায় ছয়টি সিদ্ধান্ত হয়।
সেগুলো হচ্ছে বিমানবন্দরের একক কমান্ড, রেগুলেশন এবং নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের জন্য কার্যকর সব সংস্থা বেবিচকের একক কর্তৃত্বে কাজ করবে। এপিবিএন এবং অ্যাভসেক তাদের ওপর দায়িত্ব পালন করবে। যত দ্রুত সম্ভব এপিবিএন বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের ভেতরে কাজ শুরু করবে। আইজিপি এবং বেবিচক চেয়ারম্যান অপারেশনাল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সভা করবেন।
বিমানবাহিনীর টাস্কফোর্স তাদের দায়িত্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাতৃ সংস্থায় ফিরে যাবে। সব বিমানবন্দরে প্রতি সপ্তাহে নিরাপত্তা সভা হতে হবে। সুদূরপ্রসারী কাঠামোগত পরিবর্তনের অংশ হিসেবে বেবিচককে অপারেটর ও রেগুলেটরের পৃথক ভূমিকায় পুনর্গঠনের বিষয়ে সুপারিশ জানাতে পারে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
ইউসিবিএল ব্যাংক ২৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগে করা এক মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ পরিবারের মালিকানায় থাকা শিল্পগ্রুপের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে দুজনকে নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ মন্ত্রী থাকার সময় ২০১৯-২০ সালে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের এ ঘটনা ঘটে।
গত ২৪ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে-১ এ মামলাটি করেন। মামলায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার স্ত্রী, ভাই-বোন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩১ জনকে আসামি করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন হলেন- শিল্পগোষ্ঠী আরামিট পিএলসি’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. আব্দুল আজিজ ও উৎপল পাল।
দুদক কর্মকর্তা সুবেল আহমেদ জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ মামলাটির এজাহারভুক্ত আসামি। আর দুদকের তদন্তে অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা উঠে আসায় আরামিটের এজিএম (হিসাব) উৎপলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা আরামিটের কর্মকর্তাদের নামে পাঁচটি নামসর্বস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে গম, ছোলা, হলুদ ও মটর আমদানির জন্য ১৮০ দিনের মধ্যে ফেরতযোগ্য ‘টাইম লোন’ আবেদন করেন। নিজ পরিবারের মালিকানায় থাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে (ইউসিবিএল) এ আবেদন করা হয়।
ইউসিবিএল থেকে ২৫ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পর সেই টাকা একই ব্যাংকে বাকি চারটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা অ্যাকাউন্ট নম্বরে বিভিন্ন অঙ্কে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেই টাকা পাচার করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজের নামে ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছিল। ইউসিবিএল ব্যাংক থেকে আত্মসাত করা টাকার কিছু অংশ সেই প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে তার বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল সম্পদ গড়ার অভিযোগ ওঠে।
এরপর তাকে আর পরবর্তী সরকারে মন্ত্রী হিসেবে দেখা যায়নি। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগমুহূর্তে জাবেদ তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমান বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
ইউসিবিএল ব্যাংক ২৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগে করা এক মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ পরিবারের মালিকানায় থাকা শিল্পগ্রুপের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে দুজনকে নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ মন্ত্রী থাকার সময় ২০১৯-২০ সালে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের এ ঘটনা ঘটে।
গত ২৪ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে-১ এ মামলাটি করেন। মামলায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার স্ত্রী, ভাই-বোন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩১ জনকে আসামি করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন হলেন- শিল্পগোষ্ঠী আরামিট পিএলসি’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. আব্দুল আজিজ ও উৎপল পাল।
দুদক কর্মকর্তা সুবেল আহমেদ জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ মামলাটির এজাহারভুক্ত আসামি। আর দুদকের তদন্তে অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা উঠে আসায় আরামিটের এজিএম (হিসাব) উৎপলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা আরামিটের কর্মকর্তাদের নামে পাঁচটি নামসর্বস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে গম, ছোলা, হলুদ ও মটর আমদানির জন্য ১৮০ দিনের মধ্যে ফেরতযোগ্য ‘টাইম লোন’ আবেদন করেন। নিজ পরিবারের মালিকানায় থাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে (ইউসিবিএল) এ আবেদন করা হয়।
ইউসিবিএল থেকে ২৫ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পর সেই টাকা একই ব্যাংকে বাকি চারটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা অ্যাকাউন্ট নম্বরে বিভিন্ন অঙ্কে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেই টাকা পাচার করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজের নামে ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছিল। ইউসিবিএল ব্যাংক থেকে আত্মসাত করা টাকার কিছু অংশ সেই প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে তার বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল সম্পদ গড়ার অভিযোগ ওঠে।
এরপর তাকে আর পরবর্তী সরকারে মন্ত্রী হিসেবে দেখা যায়নি। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগমুহূর্তে জাবেদ তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমান বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:৩৩
গাজীপুরের কাশিমপুরে কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাশিমপুর নামা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পূজা উদযাপন কমিটির প্রস্তুত করা প্রতিমাগুলো ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পূজারিরা। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে খাবারের জন্য সাময়িকভাবে সবাই বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যান তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা প্রতিমাগুলো সবসময় পাহারার ব্যবস্থা রেখেছিলাম। তবে দুপুরে খাবারের জন্য সাময়িকভাবে সবাই বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যায় তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান। এ বিষয়ে আমরা থানা পুলিশকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার আবু নাসের মো. আল আমিন বলেন, বুধবার সারাদিন বৃষ্টি ও বাতাস ছিল, বাতাসেই প্রতিমা ভেঙে গেছে। এর বাইরে কিছু নয়।
গাজীপুরের কাশিমপুরে কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাশিমপুর নামা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পূজা উদযাপন কমিটির প্রস্তুত করা প্রতিমাগুলো ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পূজারিরা। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে খাবারের জন্য সাময়িকভাবে সবাই বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যান তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা প্রতিমাগুলো সবসময় পাহারার ব্যবস্থা রেখেছিলাম। তবে দুপুরে খাবারের জন্য সাময়িকভাবে সবাই বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যায় তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান। এ বিষয়ে আমরা থানা পুলিশকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার আবু নাসের মো. আল আমিন বলেন, বুধবার সারাদিন বৃষ্টি ও বাতাস ছিল, বাতাসেই প্রতিমা ভেঙে গেছে। এর বাইরে কিছু নয়।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.