২৬ জুন, ২০২৫ ১৯:৩৯
মাদারীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মী সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহকে কুপিয়ে জখম করেছে এনসিপির আরেক পক্ষের কর্মীরা।
এ ঘটনায় বুধবার (২৫ জুন) রাতে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মাদারীপুর সদর থানার সামনে জড়ো হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এ সময় সুষ্ঠু বিচার না পেলে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। তবে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হতে চললেও কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি এনসিপির ৩১ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি গঠন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তা প্রত্যাখান করেন জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ, আহ্বায়ক নেয়ামত উল্লাহসহ অনেকেই।
জেলা কমিটি হওয়ার তিন দিন পরই জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে সদর উপজেলায় ২৬ সদস্যের এনসিপি আরও একটি কমিটি গঠন করে। পরে এই সদর উপজেলা কমিটির আয়োজনে কর্মী সভার আয়োজন করা হয়।
এতে অতিথি হিসেবে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহকে রাখায় ক্ষিপ্ত হয় জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী হাসিবুল্লাহ। একপর্যায়ে তার অনুসারী এনসিপির সদস্য রাতুল হাওলাদার, আদিল মাহামুদসহ (টুটুল) বেশ কয়েকজন হামলা চালিয়ে মাসুম বিল্লাহকে কুপিয়ে জখম করে।
সেখান থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা মাসুম বিল্লাহকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ও পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ হামলার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মাদারীপুর জেলা ও সদর উপজেলায় নবগঠিত সমন্বয় কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই সদস্যকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। বুধবার (২৫ জুন) রাত ২টার দিকে এনসিপির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আলাদা দুটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।
বহিষ্কৃতরা হলেন- জেলা এনসিপির ৫ নম্বর সদস্য মো. আব্দুল্লাহ আদিল ওরফে টুটুল ও ৬ নম্বর সদস্য রাতুল হাওলাদার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, এনসিপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহ সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন মাসুম বিল্লাহসহ উল্লেখযোগ্য অনেকেই।
এ কারণে মাসুম বিল্লাহকে এনসিপির জেলা ও উপজেলার কমিটিতে না রাখায় পরিস্থিতি আরও বিরোধপূর্ণ হয়ে ওঠে। এসব নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই একে অন্যকে দায়ী করে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছিল বলে জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
সদ্য স্থগিত হওয়া মাদারীপুর জেলা এনসিপির সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহ বলেন, অপরাধী যেই হোক তার শাস্তি হতে হবে। এনসিপির দুটি কমিটি স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং আওয়ামী সন্ত্রাসী ট্যাগ দিয়ে এনসিপির দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা আশা করব, সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা হোক।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কি কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। তবে যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের জন্য ইতোমধ্যে আমাদের অভিযান চলছে। আমরা প্রত্যাশা করি জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হব।
মাদারীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মী সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহকে কুপিয়ে জখম করেছে এনসিপির আরেক পক্ষের কর্মীরা।
এ ঘটনায় বুধবার (২৫ জুন) রাতে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মাদারীপুর সদর থানার সামনে জড়ো হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এ সময় সুষ্ঠু বিচার না পেলে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। তবে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হতে চললেও কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি এনসিপির ৩১ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি গঠন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তা প্রত্যাখান করেন জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ, আহ্বায়ক নেয়ামত উল্লাহসহ অনেকেই।
জেলা কমিটি হওয়ার তিন দিন পরই জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে সদর উপজেলায় ২৬ সদস্যের এনসিপি আরও একটি কমিটি গঠন করে। পরে এই সদর উপজেলা কমিটির আয়োজনে কর্মী সভার আয়োজন করা হয়।
এতে অতিথি হিসেবে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহকে রাখায় ক্ষিপ্ত হয় জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী হাসিবুল্লাহ। একপর্যায়ে তার অনুসারী এনসিপির সদস্য রাতুল হাওলাদার, আদিল মাহামুদসহ (টুটুল) বেশ কয়েকজন হামলা চালিয়ে মাসুম বিল্লাহকে কুপিয়ে জখম করে।
সেখান থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা মাসুম বিল্লাহকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ও পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ হামলার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মাদারীপুর জেলা ও সদর উপজেলায় নবগঠিত সমন্বয় কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই সদস্যকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। বুধবার (২৫ জুন) রাত ২টার দিকে এনসিপির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আলাদা দুটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।
বহিষ্কৃতরা হলেন- জেলা এনসিপির ৫ নম্বর সদস্য মো. আব্দুল্লাহ আদিল ওরফে টুটুল ও ৬ নম্বর সদস্য রাতুল হাওলাদার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, এনসিপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহ সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন মাসুম বিল্লাহসহ উল্লেখযোগ্য অনেকেই।
এ কারণে মাসুম বিল্লাহকে এনসিপির জেলা ও উপজেলার কমিটিতে না রাখায় পরিস্থিতি আরও বিরোধপূর্ণ হয়ে ওঠে। এসব নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই একে অন্যকে দায়ী করে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছিল বলে জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
সদ্য স্থগিত হওয়া মাদারীপুর জেলা এনসিপির সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহ বলেন, অপরাধী যেই হোক তার শাস্তি হতে হবে। এনসিপির দুটি কমিটি স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং আওয়ামী সন্ত্রাসী ট্যাগ দিয়ে এনসিপির দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা আশা করব, সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা হোক।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কি কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। তবে যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের জন্য ইতোমধ্যে আমাদের অভিযান চলছে। আমরা প্রত্যাশা করি জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হব।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৯:৩০
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৯:১৩
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪০
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:০৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫২
নেত্রকোনার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও জনসভায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় খলিশাউর ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মো. হুমায়ুন কবির (৩৬) উপজেলার খলিশাউর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ছোট্ট মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের খলিশাউর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে @Humayun Kabir নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সক্রিয় হয়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাহেব আলী খান পাঠান বলেন, সামাজিক মাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট ও সমাবেশে নাশকতার পরিকল্পনার প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে এনসিপির সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের স্থানীয় নেতা হুমায়ুন কবিরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নেত্রকোনার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও জনসভায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় খলিশাউর ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মো. হুমায়ুন কবির (৩৬) উপজেলার খলিশাউর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ছোট্ট মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের খলিশাউর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে @Humayun Kabir নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সক্রিয় হয়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাহেব আলী খান পাঠান বলেন, সামাজিক মাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট ও সমাবেশে নাশকতার পরিকল্পনার প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে এনসিপির সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের স্থানীয় নেতা হুমায়ুন কবিরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৩:১৪
বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই উপস্থিত। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বর। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর বাজার এলাকায়। রোববার (২৭ জুলাই) শাহ আলম (২২) নামে ওই যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, শনিবার দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। নিহত শাহ আলম নব্যচর গ্রামের শাহ জামাল মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহ আলমের বিয়ে উপলক্ষে তার বাবা শাহ জামাল সব আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। বাড়িতে বিয়ের দাওয়াতী মেহমান উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহ আলম। এ ঘটনায় নব্যচর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শাহ আলমের চাচাতো ভাই শাকিল মিয়া বলেন, ভাই কারেন্টের কাজ জানত, তাই নিজের ফ্যানের সুইচ নিজেই ঠিক করতে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই কারেন্টে শক খেয়ে মারা যায়। বিয়ের দাওয়াত খেতে বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই উপস্থিত। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বর। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর বাজার এলাকায়। রোববার (২৭ জুলাই) শাহ আলম (২২) নামে ওই যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, শনিবার দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। নিহত শাহ আলম নব্যচর গ্রামের শাহ জামাল মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহ আলমের বিয়ে উপলক্ষে তার বাবা শাহ জামাল সব আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। বাড়িতে বিয়ের দাওয়াতী মেহমান উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহ আলম। এ ঘটনায় নব্যচর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শাহ আলমের চাচাতো ভাই শাকিল মিয়া বলেন, ভাই কারেন্টের কাজ জানত, তাই নিজের ফ্যানের সুইচ নিজেই ঠিক করতে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই কারেন্টে শক খেয়ে মারা যায়। বিয়ের দাওয়াত খেতে বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০২
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে কেয়া লেখেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ (শনিবার) থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি লেখেন, দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। খাদিজা আক্তার কেয়া বলেন, সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির পদযাত্রায় পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল।
যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল। এ বিষয়গুলো আমাদের শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। এগুলো দেখে এ প্ল্যাটফর্মে আমি থাকতে চাচ্ছি না। শনিবার ফেসবুকে সব স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আজ রোববার লিখিত পদত্যাগপত্র দিব।
তিনি আরও বলেন, পোস্টে সব স্পষ্ট করা হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং ভবিষ্যতেও থাকব না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে আমি সবসময় সংগ্রামে থাকব।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে কেয়া লেখেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ (শনিবার) থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি লেখেন, দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। খাদিজা আক্তার কেয়া বলেন, সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির পদযাত্রায় পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল।
যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল। এ বিষয়গুলো আমাদের শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। এগুলো দেখে এ প্ল্যাটফর্মে আমি থাকতে চাচ্ছি না। শনিবার ফেসবুকে সব স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আজ রোববার লিখিত পদত্যাগপত্র দিব।
তিনি আরও বলেন, পোস্টে সব স্পষ্ট করা হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং ভবিষ্যতেও থাকব না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে আমি সবসময় সংগ্রামে থাকব।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.