৩১ আগস্ট, ২০২৫ ১২:০৩
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় আসমা আক্তার (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ শেষে উপজেলার জুনিয়া গ্রামে নিজ বসতঘরে ওই গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
পুলিশ খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। নিহত গৃহবধূ আসমা আক্তার ওই গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী। তিনি তিন ছেলের জননী।
নিহতের চাচাতো ভাই ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মাগরিবের নামাজ পড়ে জায়নামাজের ওপর বসে ছিলেন আসমা। এ সময় তার ছেলের স্ত্রী ওজু করে এসে ঘরে ঢুকে দেখেন শাশুড়ির রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে পড়ে আছে।
তেলিখালী পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর মো. এনামূল ঘটনাস্থল থেকে জানান, হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করা যায়নি। ঘটনার সময় বসতঘরে ওই গৃহবধূ একাই নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের স্বজনরা তার রক্তাক্ত লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন।
এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতে বসতঘর থেকে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা যায়নি। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় আসমা আক্তার (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ শেষে উপজেলার জুনিয়া গ্রামে নিজ বসতঘরে ওই গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
পুলিশ খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। নিহত গৃহবধূ আসমা আক্তার ওই গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী। তিনি তিন ছেলের জননী।
নিহতের চাচাতো ভাই ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মাগরিবের নামাজ পড়ে জায়নামাজের ওপর বসে ছিলেন আসমা। এ সময় তার ছেলের স্ত্রী ওজু করে এসে ঘরে ঢুকে দেখেন শাশুড়ির রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে পড়ে আছে।
তেলিখালী পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর মো. এনামূল ঘটনাস্থল থেকে জানান, হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করা যায়নি। ঘটনার সময় বসতঘরে ওই গৃহবধূ একাই নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের স্বজনরা তার রক্তাক্ত লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন।
এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতে বসতঘর থেকে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা যায়নি। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
৩১ আগস্ট, ২০২৫ ১২:১৫
পিরোজপুর-২ আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বড় ছেলে শামীম সাঈদী বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ছিল। কিন্তু গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর যেভাবে ন্যক্কার ও বর্বরোচিত হামলা হয়েছে তাতে এ মুহূর্তে দেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু কোনো পরিবেশ নেই।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে পিরোজপুরে নেছারাবাদ উপজেলার তৃণা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শামীম সাঈদী বলেন, সরকারের কাছে আমাদের সাত দফা প্রস্তাবনা রয়েছে।
তার মধ্যে পিআর পদ্ধতিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যদি সরকার এ পদ্ধতি না মেনে নেয় তাহলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। জামায়াতে ইসলামী দল ছাড়াও অনেক রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি করে আসছে। এখন এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। পিআর পদ্ধতি একটি গ্রহণযোগ্য ও যৌক্তিক দাবি।
তিনি আরও বলেন, আল্লামা সাঈদীকে যারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তাদের এ মাটিতে বিচার করা হবে। যে ব্যক্তি সর্বদা আল্লাহর গুণকীর্তন এবং ধর্ম প্রচার করতেন তাকে নিয়ে চক্রান্ত করা আর আল্লাহকে অসন্তুষ্টি করা একই কথা। আল্লাহ তাদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করবেন।
শামীম সাঈদী আরও বলেন, এ দেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। জামায়াতে ইসলামী কোনো ধর্মকে ছোট করে দেখে না। ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে মিলেমিশে কাজ করতে চাই।
নেছারাবাদ উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াজ্জম হোসাইনন হেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও বরিশাল জেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা মো. আব্দুল জব্বার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও পিরোজপুর জেলা আমির অধ্যক্ষ মো. তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ। নেছারাবাদ উপজেলার মোট ১০টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভায় ৮০টি ভোটকেন্দ্রের ৪১৬টি বুথের এজেন্ট এবং কেন্দ্র কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
পিরোজপুর-২ আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বড় ছেলে শামীম সাঈদী বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ছিল। কিন্তু গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর যেভাবে ন্যক্কার ও বর্বরোচিত হামলা হয়েছে তাতে এ মুহূর্তে দেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু কোনো পরিবেশ নেই।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে পিরোজপুরে নেছারাবাদ উপজেলার তৃণা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শামীম সাঈদী বলেন, সরকারের কাছে আমাদের সাত দফা প্রস্তাবনা রয়েছে।
তার মধ্যে পিআর পদ্ধতিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যদি সরকার এ পদ্ধতি না মেনে নেয় তাহলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। জামায়াতে ইসলামী দল ছাড়াও অনেক রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি করে আসছে। এখন এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। পিআর পদ্ধতি একটি গ্রহণযোগ্য ও যৌক্তিক দাবি।
তিনি আরও বলেন, আল্লামা সাঈদীকে যারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তাদের এ মাটিতে বিচার করা হবে। যে ব্যক্তি সর্বদা আল্লাহর গুণকীর্তন এবং ধর্ম প্রচার করতেন তাকে নিয়ে চক্রান্ত করা আর আল্লাহকে অসন্তুষ্টি করা একই কথা। আল্লাহ তাদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করবেন।
শামীম সাঈদী আরও বলেন, এ দেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। জামায়াতে ইসলামী কোনো ধর্মকে ছোট করে দেখে না। ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে মিলেমিশে কাজ করতে চাই।
নেছারাবাদ উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াজ্জম হোসাইনন হেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও বরিশাল জেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা মো. আব্দুল জব্বার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও পিরোজপুর জেলা আমির অধ্যক্ষ মো. তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ। নেছারাবাদ উপজেলার মোট ১০টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভায় ৮০টি ভোটকেন্দ্রের ৪১৬টি বুথের এজেন্ট এবং কেন্দ্র কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
২৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৩৭
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মো. রেজাউল কবির ঝন্টু খলিফা (৫০) নামে এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভান্ডারিয়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ঝন্টু খলিফা উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের আইয়ুব আলী খলিফার ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের আব্দুল হালিম প্রফেসরের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বেশ কিছু নারিকেল পেড়ে নেন একই এলাকার মজিবুর খানের ছেলে রুবেল খান। ঘটনাটি ওই রাতেই হালিম প্রফেসরের ছেলে মাসুদ রানা থানায় এবং তার স্বজন ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঝন্টুকে জানান।
ঝন্টু ওই রাতেই রুবেলকে নারিকেল ফিরিয়ে দিতে বলেন। রুবেল তা ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানালে ঝন্টু শুক্রবার সকালে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। পরে শুক্রবার সকালে তিনি মাসুদ রানাদের বাড়ির সামনে এলে সেখানে রুবেলকে দেখতে পান।
এ সময় ঝন্টু কিছু বুঝে ওঠার আগেই রুবেল তার সঙ্গে থাকা চাকু দিয়ে বেশ কয়েকবার আঘাত করেন ঝন্টুকে। এতে তার শরীরে মারাত্মক জখম হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক খায়রুল বাশার বলেন, সকালে রেজাউল করিম ঝন্টু নামের একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, রেজাউল করিম ঝন্টুর মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত রুবেলকে আটকের চেষ্টা চলছে।
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মো. রেজাউল কবির ঝন্টু খলিফা (৫০) নামে এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভান্ডারিয়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ঝন্টু খলিফা উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের আইয়ুব আলী খলিফার ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের আব্দুল হালিম প্রফেসরের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বেশ কিছু নারিকেল পেড়ে নেন একই এলাকার মজিবুর খানের ছেলে রুবেল খান। ঘটনাটি ওই রাতেই হালিম প্রফেসরের ছেলে মাসুদ রানা থানায় এবং তার স্বজন ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঝন্টুকে জানান।
ঝন্টু ওই রাতেই রুবেলকে নারিকেল ফিরিয়ে দিতে বলেন। রুবেল তা ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানালে ঝন্টু শুক্রবার সকালে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। পরে শুক্রবার সকালে তিনি মাসুদ রানাদের বাড়ির সামনে এলে সেখানে রুবেলকে দেখতে পান।
এ সময় ঝন্টু কিছু বুঝে ওঠার আগেই রুবেল তার সঙ্গে থাকা চাকু দিয়ে বেশ কয়েকবার আঘাত করেন ঝন্টুকে। এতে তার শরীরে মারাত্মক জখম হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক খায়রুল বাশার বলেন, সকালে রেজাউল করিম ঝন্টু নামের একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, রেজাউল করিম ঝন্টুর মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত রুবেলকে আটকের চেষ্টা চলছে।
২৭ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৪০
পিরোজপুরের নেছারাবাদে ৩৪০ ফুট উঁচুতে একটি বিদ্যুতের টাওয়ারের চূড়ায় উঠে পাঁচ ঘণ্টা বসে ছিল শঙ্কর বেপারী বাহাদুর নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক। এতে গোটা উপজেলায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর স্থানীয় চার যুবকের প্রচেষ্টায় ওই যুবককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। শঙ্কর বেপারী বাহাদুর (৩৮) উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাকাঠি গ্রামের মৃত নিকুঞ্জ বেপারীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড় এবং পূর্বপাড়ের বিদ্যুৎ সংযোগের দুটি উঁচু টাওয়ার রয়েছে। এ লাইন দিয়ে নেছারাবাদ উপজেলায় বিদ্যুতের মেইন লাইন টানা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক বিদ্যুতের টাওয়ারের নিচে আসেন। সবার অগোচরে তিনি টাওয়ারের উঁচুতে ওঠে।
এ সময় স্থানীয়রা তাকে দেখে নামতে বললে তিনি চূড়ায় উঠে যান। দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা বিদ্যুৎ বিভাগ খবর পেয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাকে নামানোর জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে চার যুবক তাকে উদ্ধার করে।
শংকর বেপারীর মা আলো রানী বেপারী বলেন, আমার ছেলেটি ছোটবেলায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। সে মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় সব সময় চোখে চোখে রাখি।
কিন্তু হঠাৎ আজ সকালে তাকে ঘরে না দেখে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছিলাম। পরে নেছারাবাদ থানার পুলিশ হঠাৎ জানালে বিষয়টি জানতে পারি। আমি আমার ছেলেকে পেয়ে চিন্তামুক্ত হলাম।
নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা দুপুর ১২টার সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছি। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা পর স্থানীয় কিছু যুবকদের সাহসী প্রচেষ্টায় তাকে নামানো হয়েছে।
তাকে নেছারাবাদ থানায় নেওয়া হয়েছে। নেছারাবাদ থানার ওসি মো. বনি আমিন বলেন, তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের পরিবারকে থানায় খবর দেওয়া হয়েছে।
নেছারাবাদ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. জানে আলম বলেন, আমরা তাকে নামানোর জন্য ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রেখেছিলাম। যেহেতু টাওয়ার দিয়ে মেইন লাইন গেছে তাই বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করায় উপজেলার গোটা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে ওখানে উপস্থিত হয়েছিলাম। কিছু সাহসী ছেলেদের তৎপরতায় তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের এ দুঃসাহসী কাজের জন্য একটি প্রাণ বেঁচে গেল। উদ্ধারকার্যে অংশগ্রহণ করা যুবকদের অফিসে ডেকে এনে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
পিরোজপুরের নেছারাবাদে ৩৪০ ফুট উঁচুতে একটি বিদ্যুতের টাওয়ারের চূড়ায় উঠে পাঁচ ঘণ্টা বসে ছিল শঙ্কর বেপারী বাহাদুর নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক। এতে গোটা উপজেলায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর স্থানীয় চার যুবকের প্রচেষ্টায় ওই যুবককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। শঙ্কর বেপারী বাহাদুর (৩৮) উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাকাঠি গ্রামের মৃত নিকুঞ্জ বেপারীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড় এবং পূর্বপাড়ের বিদ্যুৎ সংযোগের দুটি উঁচু টাওয়ার রয়েছে। এ লাইন দিয়ে নেছারাবাদ উপজেলায় বিদ্যুতের মেইন লাইন টানা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক বিদ্যুতের টাওয়ারের নিচে আসেন। সবার অগোচরে তিনি টাওয়ারের উঁচুতে ওঠে।
এ সময় স্থানীয়রা তাকে দেখে নামতে বললে তিনি চূড়ায় উঠে যান। দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা বিদ্যুৎ বিভাগ খবর পেয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাকে নামানোর জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে চার যুবক তাকে উদ্ধার করে।
শংকর বেপারীর মা আলো রানী বেপারী বলেন, আমার ছেলেটি ছোটবেলায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। সে মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় সব সময় চোখে চোখে রাখি।
কিন্তু হঠাৎ আজ সকালে তাকে ঘরে না দেখে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছিলাম। পরে নেছারাবাদ থানার পুলিশ হঠাৎ জানালে বিষয়টি জানতে পারি। আমি আমার ছেলেকে পেয়ে চিন্তামুক্ত হলাম।
নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা দুপুর ১২টার সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছি। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা পর স্থানীয় কিছু যুবকদের সাহসী প্রচেষ্টায় তাকে নামানো হয়েছে।
তাকে নেছারাবাদ থানায় নেওয়া হয়েছে। নেছারাবাদ থানার ওসি মো. বনি আমিন বলেন, তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের পরিবারকে থানায় খবর দেওয়া হয়েছে।
নেছারাবাদ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. জানে আলম বলেন, আমরা তাকে নামানোর জন্য ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রেখেছিলাম। যেহেতু টাওয়ার দিয়ে মেইন লাইন গেছে তাই বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করায় উপজেলার গোটা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে ওখানে উপস্থিত হয়েছিলাম। কিছু সাহসী ছেলেদের তৎপরতায় তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের এ দুঃসাহসী কাজের জন্য একটি প্রাণ বেঁচে গেল। উদ্ধারকার্যে অংশগ্রহণ করা যুবকদের অফিসে ডেকে এনে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.