২০ জুন, ২০২৫ ১৫:১৭
ভোলা মনপুরায় মাছ শিকার শেষে র্তীরে এসে মেঘনা নদীতে পড়ে মো: মহিউদ্দিন ওরফে মোসলেউদ্দিন (৫০) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত মহিউদ্দিন মনপুরা উপজেলার হাজীর হাট ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার বেলা ১২ টায় উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আলমপুর রাস্তার মাথা মেঘনা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয় জেলেরা।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে একটি ট্রলার নিয়ে মহিউদ্দিন মাঝিসহ আরো ৭ জেলে মনপুরা উপজেলার মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করতে যান। নদীতে শিকার করা মাছ নিয়ে আজ শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলমপুর রাস্তার মাথা নামক এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে নৌঙর করে ট্রলারটি। পরে সব জেলে নাস্তা খেতে উপরে উঠে গেলেও মহিউদ্দিন উঠেনি। সে পরে আসবে বলে সঙ্গী জেলেদের বলেন। এরপর সঙ্গী জেলেরা ফিরে এসে মহিউদ্দিনকে ট্রলারে দেখতে না পেয়ে খোঁজা-খুজি করেন। পরে দুপুর ১২ টার দিকে ওই স্থানে এক জেলের ঠেলা জালে মহিউদ্দিনের লাশ উঠে আসে। সঙ্গী জেলেদের দাবী, মহিউদ্দিন সাঁতার ভালো জানেন না। ট্রলার থেকে নামার সময় নদীতে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’
ভোলা মনপুরায় মাছ শিকার শেষে র্তীরে এসে মেঘনা নদীতে পড়ে মো: মহিউদ্দিন ওরফে মোসলেউদ্দিন (৫০) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত মহিউদ্দিন মনপুরা উপজেলার হাজীর হাট ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার বেলা ১২ টায় উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আলমপুর রাস্তার মাথা মেঘনা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয় জেলেরা।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে একটি ট্রলার নিয়ে মহিউদ্দিন মাঝিসহ আরো ৭ জেলে মনপুরা উপজেলার মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করতে যান। নদীতে শিকার করা মাছ নিয়ে আজ শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলমপুর রাস্তার মাথা নামক এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে নৌঙর করে ট্রলারটি। পরে সব জেলে নাস্তা খেতে উপরে উঠে গেলেও মহিউদ্দিন উঠেনি। সে পরে আসবে বলে সঙ্গী জেলেদের বলেন। এরপর সঙ্গী জেলেরা ফিরে এসে মহিউদ্দিনকে ট্রলারে দেখতে না পেয়ে খোঁজা-খুজি করেন। পরে দুপুর ১২ টার দিকে ওই স্থানে এক জেলের ঠেলা জালে মহিউদ্দিনের লাশ উঠে আসে। সঙ্গী জেলেদের দাবী, মহিউদ্দিন সাঁতার ভালো জানেন না। ট্রলার থেকে নামার সময় নদীতে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’
১৮ জুন, ২০২৫ ০৯:৩৬
ভোলার লালমোহন উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ৪টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের দালাল বাজারের মাস্টার মো. হাবিব উল্যাহ মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মাস্টার মো. হাবিব উল্যাহ মার্কেটের মো. রায়হানের মায়ের দোয়া পার্স অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, সোহাগ চন্দ্র দাসের ভাই ভাই সেলুন, আরজু মিয়ার ভূষা মালের আড়ৎ এবং মো. জাকিরের চালের আড়ৎ।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মো. রায়হান জানান, রাতে আমি দোকানের ভেতর ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড গরম লাগায় ঘুম ভেঙে যায়। এরপর উঠে দেখি পাশের সেলুনের দোকানে আগুন জ্বলছে। পরে আমার ডাকচিৎকার শুনে বাজারের অন্যান্য দোকানের লোকজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। পরে তারাও আসেন। সবাই মিলে চেষ্টা করেও ৪টি দোকানের কোনো মালামাল এবং টাকা রক্ষা করা যায়নি, আগুনে পুড়ে গেছে সব। এই অগ্নিকাণ্ডে আমাদের প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
লালমোহন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।
এদিকে, বুধবার সকালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর নিতে ছুটে যান লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের শুকনা খাবার ও নগদ ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সরকারি বরাদ্দ সাপেক্ষে আরো সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাসও দিয়েছেন ইউএনও মো. শাহ আজিজ।’
ভোলার লালমোহন উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ৪টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের দালাল বাজারের মাস্টার মো. হাবিব উল্যাহ মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মাস্টার মো. হাবিব উল্যাহ মার্কেটের মো. রায়হানের মায়ের দোয়া পার্স অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, সোহাগ চন্দ্র দাসের ভাই ভাই সেলুন, আরজু মিয়ার ভূষা মালের আড়ৎ এবং মো. জাকিরের চালের আড়ৎ।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মো. রায়হান জানান, রাতে আমি দোকানের ভেতর ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড গরম লাগায় ঘুম ভেঙে যায়। এরপর উঠে দেখি পাশের সেলুনের দোকানে আগুন জ্বলছে। পরে আমার ডাকচিৎকার শুনে বাজারের অন্যান্য দোকানের লোকজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। পরে তারাও আসেন। সবাই মিলে চেষ্টা করেও ৪টি দোকানের কোনো মালামাল এবং টাকা রক্ষা করা যায়নি, আগুনে পুড়ে গেছে সব। এই অগ্নিকাণ্ডে আমাদের প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
লালমোহন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।
এদিকে, বুধবার সকালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর নিতে ছুটে যান লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের শুকনা খাবার ও নগদ ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সরকারি বরাদ্দ সাপেক্ষে আরো সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাসও দিয়েছেন ইউএনও মো. শাহ আজিজ।’
১৭ জুন, ২০২৫ ১৯:০০
ভোলা থেকে ঢাকাগামী কর্ণফুলী-৪ লঞ্চের তৃতীয় তলা থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ রয়েছে এক নারী, যার আনুমানিক বয়স ২০ থেকে ২২ বছর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ ঘাট থেকে আধা ঘণ্টা লঞ্চ চালানোর পর মেঘনা নদীতে তিনি ঝাঁপ দেন৷ এ ঘটনায় তখন লঞ্চ জুড়ে যাত্রীদের মাঝে ব্যপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নদীতে ঝাপ দেওয়া নিখোঁজ নারীর এখন অবধি সঠিক পরিচয় ও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ তথ্য নিশ্চিত করছেন কর্ণফুলী-৪ লঞ্চের সুপারভাইজার নান্টু বাবু।
লঞ্চের সুপারভাইজার নান্টু বাবু সাংবাদিকদের জানান, ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে সোয়া ১০টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে কর্ণফুলী-৪ লঞ্চটি৷ কালিগঞ্চ ঘাট করে ছেড়েঁ আসার আধা ঘণ্টা পর তৃতীয় তলা থেকে এক নারী যাত্রী নদীতে ঝাপঁ দিয়েছে এমন খবর তিনি শুনতে পান। পরে লঞ্চটি দ্রুত ঘুড়িয়ে ঘটনা স্থলের কাছাকাছি গেলে লাইফ বয়া ফালানো হয়। এর মধ্যে একবার নদীতে ভাসা অবস্থায় ওই নারীকে দেখলেও কাছাকাছি গেলে তাকে আর পাওয়া যায়নি৷ তবে তিনি ধারণা করছেন তাৎক্ষণাত ডুবে যাওয়ায় তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে ঘণ্টাখানেক খুঁজাখুঁজি করার পর কোস্টগার্ডকে ঘটনাটি অবহিত করে ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চটি চলে যায়৷ ওই নারী ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চে উঠেন৷
লঞ্চ স্টাফ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ নারী প্রথমে ইলিশা ঘাট থেকে কেবিন নিয়েছিলো৷ কেবিন নেওয়ার সময় ওই নারী একা ছিলেন। পরে লঞ্চ ছাড়ার পর নারীর কাছে টাকা নেই বলে কেবিন ম্যানকে জানানোর পর ওই নারীকে ঢেকে যেতে বললে তিনি লঞ্চের তৃতীয় তলায় গিয়ে মুঠোফোনে কারো সাথে কথা বলতে দেখা গেছে৷ মুঠোফোনে কথা বলার পরে তাকে কিছুটা মুমূর্ষু অবস্থায় দেখা গেছে। পরে হঠাৎ নদীতে ঝাপ দেন৷ তখন পাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা ডাক-চিৎকারে লঞ্চটি ঘুরে তাকে উদ্ধার চেষ্টা করে৷ তবে একবার তাকে নদীতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেলেও পরে আর দেখা যায়নি।
লঞ্চে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোলার ইলিশা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ থেকে হঠাৎ করেই তৃতীয় তলা থেকে এক নারী নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বিষয়টি নজরে আসতেই আশপাশের লোকজন ও লঞ্চের স্টাফরা ডাক চিৎকার শুরু করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার চেষ্টা করে৷ কিন্তু ডুবে যাওয়ায় তাকে আর পাওয়া যায়নি৷
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত নিখোঁজ নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উদ্ধার অভিযান অব্যহত রয়েছে তবে ঘটনাটি আত্মহত্যা, না কি দুর্ঘটনাবশত ঘটেছে—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
ভোলা থেকে ঢাকাগামী কর্ণফুলী-৪ লঞ্চের তৃতীয় তলা থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ রয়েছে এক নারী, যার আনুমানিক বয়স ২০ থেকে ২২ বছর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ ঘাট থেকে আধা ঘণ্টা লঞ্চ চালানোর পর মেঘনা নদীতে তিনি ঝাঁপ দেন৷ এ ঘটনায় তখন লঞ্চ জুড়ে যাত্রীদের মাঝে ব্যপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নদীতে ঝাপ দেওয়া নিখোঁজ নারীর এখন অবধি সঠিক পরিচয় ও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ তথ্য নিশ্চিত করছেন কর্ণফুলী-৪ লঞ্চের সুপারভাইজার নান্টু বাবু।
লঞ্চের সুপারভাইজার নান্টু বাবু সাংবাদিকদের জানান, ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে সোয়া ১০টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে কর্ণফুলী-৪ লঞ্চটি৷ কালিগঞ্চ ঘাট করে ছেড়েঁ আসার আধা ঘণ্টা পর তৃতীয় তলা থেকে এক নারী যাত্রী নদীতে ঝাপঁ দিয়েছে এমন খবর তিনি শুনতে পান। পরে লঞ্চটি দ্রুত ঘুড়িয়ে ঘটনা স্থলের কাছাকাছি গেলে লাইফ বয়া ফালানো হয়। এর মধ্যে একবার নদীতে ভাসা অবস্থায় ওই নারীকে দেখলেও কাছাকাছি গেলে তাকে আর পাওয়া যায়নি৷ তবে তিনি ধারণা করছেন তাৎক্ষণাত ডুবে যাওয়ায় তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে ঘণ্টাখানেক খুঁজাখুঁজি করার পর কোস্টগার্ডকে ঘটনাটি অবহিত করে ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চটি চলে যায়৷ ওই নারী ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চে উঠেন৷
লঞ্চ স্টাফ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ নারী প্রথমে ইলিশা ঘাট থেকে কেবিন নিয়েছিলো৷ কেবিন নেওয়ার সময় ওই নারী একা ছিলেন। পরে লঞ্চ ছাড়ার পর নারীর কাছে টাকা নেই বলে কেবিন ম্যানকে জানানোর পর ওই নারীকে ঢেকে যেতে বললে তিনি লঞ্চের তৃতীয় তলায় গিয়ে মুঠোফোনে কারো সাথে কথা বলতে দেখা গেছে৷ মুঠোফোনে কথা বলার পরে তাকে কিছুটা মুমূর্ষু অবস্থায় দেখা গেছে। পরে হঠাৎ নদীতে ঝাপ দেন৷ তখন পাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা ডাক-চিৎকারে লঞ্চটি ঘুরে তাকে উদ্ধার চেষ্টা করে৷ তবে একবার তাকে নদীতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেলেও পরে আর দেখা যায়নি।
লঞ্চে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোলার ইলিশা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ থেকে হঠাৎ করেই তৃতীয় তলা থেকে এক নারী নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বিষয়টি নজরে আসতেই আশপাশের লোকজন ও লঞ্চের স্টাফরা ডাক চিৎকার শুরু করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার চেষ্টা করে৷ কিন্তু ডুবে যাওয়ায় তাকে আর পাওয়া যায়নি৷
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত নিখোঁজ নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উদ্ধার অভিযান অব্যহত রয়েছে তবে ঘটনাটি আত্মহত্যা, না কি দুর্ঘটনাবশত ঘটেছে—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
১৭ জুন, ২০২৫ ১১:৪০
ভোলার লালমোহন উপজেলায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের মাধ্যমে জেলেদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৪১৬ জন জেলের মাঝে ৮০ কেজি করে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এ চাল বিতরণ করা হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ইউপি প্রশাসক মো. মাসুদ। তিনি বলেন, আমরা শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে এবার চাল বিতরণ করছি। যতজন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন সবাই তাদের বরাদ্দের চাল পাবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের পক্ষ থেকেও স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকৃত জেলেদের মাঝে তাদের নির্দিষ্ট বরাদ্দের চাল বিতরণের নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেই মোতাবেকই চাল বিতরণ করছি। এদিকে, বরাদ্দের নির্দিষ্ট চাল পেয়ে খুশি এই ইউনিয়নের জেলেরা।
আব্দুর রহিম ও মো. সোহাগ নামে চাল পাওয়া দুই জেলে বলেন, আগে চাল ৮০ কেজি পাওয়ার কথা থাকলেও পেতাম ৫০-৬০ কেজি। তবে বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক স্বচ্ছভাবে আমাদের চাল দিচ্ছেন। যা বরাদ্দ, তাই পেয়েছি।
বহুদিন পর চাল বিতরণের অনিয়ম অনেকটা দূর হয়েছে। এ জন্য আমাদের ইউপি প্রশাসককে ধন্যবাদ জানাই। এ চাল বিতরণকালে এ ছাড়াও লালমোহন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মোতালেব খান, সহ-সভাপতি মো. নাসিম মাতাব্বর, ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মো. ইসহাক মাস্টারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোলার লালমোহন উপজেলায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের মাধ্যমে জেলেদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৪১৬ জন জেলের মাঝে ৮০ কেজি করে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এ চাল বিতরণ করা হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ইউপি প্রশাসক মো. মাসুদ। তিনি বলেন, আমরা শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে এবার চাল বিতরণ করছি। যতজন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন সবাই তাদের বরাদ্দের চাল পাবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের পক্ষ থেকেও স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকৃত জেলেদের মাঝে তাদের নির্দিষ্ট বরাদ্দের চাল বিতরণের নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেই মোতাবেকই চাল বিতরণ করছি। এদিকে, বরাদ্দের নির্দিষ্ট চাল পেয়ে খুশি এই ইউনিয়নের জেলেরা।
আব্দুর রহিম ও মো. সোহাগ নামে চাল পাওয়া দুই জেলে বলেন, আগে চাল ৮০ কেজি পাওয়ার কথা থাকলেও পেতাম ৫০-৬০ কেজি। তবে বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক স্বচ্ছভাবে আমাদের চাল দিচ্ছেন। যা বরাদ্দ, তাই পেয়েছি।
বহুদিন পর চাল বিতরণের অনিয়ম অনেকটা দূর হয়েছে। এ জন্য আমাদের ইউপি প্রশাসককে ধন্যবাদ জানাই। এ চাল বিতরণকালে এ ছাড়াও লালমোহন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মোতালেব খান, সহ-সভাপতি মো. নাসিম মাতাব্বর, ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মো. ইসহাক মাস্টারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.