৩০ জুলাই, ২০২৫ ১১:৫০
ভারতে আসন্ন পূজার মৌসুম। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, এরপর ভারতজুড়ে কালীপূজা, দীপাবলি ইত্যাদি।
গত কয়েক বছর ধরে পূজা মৌসুমে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ সরকার, যদিও তা করা হয় ভারতের আবদারে। আর এবারও সেই আবদারের ব্যতিক্রম হল না।
বাংলাদেশের রূপালি ইলিশ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ী সংগঠন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ফিস ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, আমরা আপনাকে আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এ বছর দুর্গাপূজা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পড়েছে।
ফিশ ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রায় প্রতি বছরই আমরা অনুমোদিত ইলিশ মাছের সম্পূর্ণ পরিমাণ পেতে ব্যর্থ হই।
বিশাল পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির জন্য যে সময়সীমা থাকে, তা যথেষ্ট নয়। তাই কোনো সময়সীমা ছাড়াই ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে চিঠিতে। চিঠির বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো কিছু জানা সম্ভব হয়নি
ভারতে আসন্ন পূজার মৌসুম। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, এরপর ভারতজুড়ে কালীপূজা, দীপাবলি ইত্যাদি।
গত কয়েক বছর ধরে পূজা মৌসুমে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ সরকার, যদিও তা করা হয় ভারতের আবদারে। আর এবারও সেই আবদারের ব্যতিক্রম হল না।
বাংলাদেশের রূপালি ইলিশ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ী সংগঠন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ফিস ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, আমরা আপনাকে আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এ বছর দুর্গাপূজা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পড়েছে।
ফিশ ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রায় প্রতি বছরই আমরা অনুমোদিত ইলিশ মাছের সম্পূর্ণ পরিমাণ পেতে ব্যর্থ হই।
বিশাল পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির জন্য যে সময়সীমা থাকে, তা যথেষ্ট নয়। তাই কোনো সময়সীমা ছাড়াই ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে চিঠিতে। চিঠির বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো কিছু জানা সম্ভব হয়নি
৩০ জুলাই, ২০২৫ ১৭:১৩
সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দায়িত্বে থাকা বিসিএসের ৩৭তম ব্যাচের ১০২ জন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার (৩০ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত তাদের সিনিয়র সহকারী কমিশনার বা সহকারী কমিশনার হিসেবে পদায়নের জন্য বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ন্যস্ত করে পৃথক ৮টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে জারি করা আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এসি ল্যান্ডের দায়িত্বে থাকা বিসিএসের ৩৭তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে জন্য ধাপে ধাপে তাদের এসি ল্যান্ডের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সহকারী কমিশনাররা (ভূমি) এসি ল্যান্ড হিসেবেই বেশি পরিচিত।
সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দায়িত্বে থাকা বিসিএসের ৩৭তম ব্যাচের ১০২ জন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার (৩০ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত তাদের সিনিয়র সহকারী কমিশনার বা সহকারী কমিশনার হিসেবে পদায়নের জন্য বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ন্যস্ত করে পৃথক ৮টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে জারি করা আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এসি ল্যান্ডের দায়িত্বে থাকা বিসিএসের ৩৭তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে জন্য ধাপে ধাপে তাদের এসি ল্যান্ডের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সহকারী কমিশনাররা (ভূমি) এসি ল্যান্ড হিসেবেই বেশি পরিচিত।
৩০ জুলাই, ২০২৫ ১৬:২৯
গণঅভ্যুত্থান দিবস উদ্যাপন নিয়ে কোনো নাশকতার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগামী ৫ আগস্ট দেশে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের হুমকি নেই। সবকিছু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ সময় বিশেষ অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশের নিরাপত্তা বজায় রাখার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে যে বিশেষ অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটি তাদের নিজস্ব বিষয়।
যে কোনো সময় নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি এমন অভিযান চালাতে পারে বলে জানান তিনি। রংপুরের গংগাচড়ায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, হামলার ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
গণঅভ্যুত্থান দিবস উদ্যাপন নিয়ে কোনো নাশকতার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগামী ৫ আগস্ট দেশে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের হুমকি নেই। সবকিছু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ সময় বিশেষ অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশের নিরাপত্তা বজায় রাখার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে যে বিশেষ অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটি তাদের নিজস্ব বিষয়।
যে কোনো সময় নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি এমন অভিযান চালাতে পারে বলে জানান তিনি। রংপুরের গংগাচড়ায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, হামলার ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
৩০ জুলাই, ২০২৫ ১৪:০৯
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে জ্বীন বলে ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কেননা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কার্যকর মনে করা হতো তাকে।
আদালতে দেয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের জবানবন্দির নথিতে উঠে এসেছে এমন তথ্য। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) আদলত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েই জুলাই আন্দোলন দমনে ব্যবহার হয় মারণাস্ত্র ও হেলিকপ্টার থেকে গুলি। শেখ হাসিনার নির্দেশনার কথা সেসময়ে পুলিশ প্রধানকে সরাসরি জানান তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আন্দোলন দমনের পরিকল্পনা হতো প্রতিরাতের বৈঠকে।
৫আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক মামলায় ২৪ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। ৫ পৃষ্ঠার জবানবন্দিতে ২০১৮ এর ভোটের অনিয়ম, গুম, খুন, জুলাই আন্দোলন নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন সাবেক এই পুলিশ প্রধান।
যেখানে তিনি বলেছেন, গত বছরের ১৯ জুলাই থেকে প্রায় প্রতিরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় বৈঠক হতো তাদের। বৈঠকে দুইজন সচিব, এসবি প্রধান মনিরুল ,ডিবির হারুন, র্যাবের মহাপরিচালক, আনসারের ডিজি, এনটিএমসির জিয়াউল আহসানসহ অনেকে উপস্থিত থাকতেন। মূলত এ বৈঠকেই সব পরিকল্পনা হতো।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে সাবেক এই আইজিপি আরো বলেন, কোর কমিটির এক বৈঠকে ৬ সমন্বয়ককে আটকের সিদ্ধান্ত হয়। যেখানে পরিকল্পনা করা হয় ভয়ভীতি ও মানসিক নির্যাতন করে কর্মসূচি প্রত্যাহারে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার থেকে গুলির বিষয়ে জবানবন্দিতে স্পষ্ট করেছেন মামুন। উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক হারুন অর রশিদের পরিকল্পনায় হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়।
জবানবন্দিতে মামুন বলেছেন, আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ব্যাবহার এবং আন্দোলন প্রবণ এলাকায় ব্লক রেইডের সিদ্ধান্ত হয় রাজনৈতিকভাবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে তাকে লেথাল উইপেন ব্যাবহারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা জানিয়েছিলেন। মারণাস্ত্র ব্যবহারে অতি উৎসাহি ছিলেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদ, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ অনেকে।
সরকার পতনের দিন কী করেছিলেন মামুন সেটিও জবানবন্দিতে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, ৫ আগস্ট বিকেলের দিকে একটি হেলিকপ্টারে পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে তেজগাঁও বিমানবন্দরে যান তিনি। এরপর সেখান থেকে সেনানিবাসে আশ্রয় নেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
জবানবন্দির শেষাংশে গুলি করে হত্যা, আহতের ঘটনায় সেসময় পুলিশ প্রধান হিসেবে অনুতপ্ত ও ক্ষমা চান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। যদিও ৫ পৃষ্ঠার জবানবন্দিতে শুধু মিটিংয়ে অংশ নেয়া ছাড়া নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়ে কিছুই বলেননি তিনি।
সম্প্রতি আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়েছেন সাবেক এই পুলিশ প্রধান। সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশের শর্তে রাজসাক্ষীর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে জ্বীন বলে ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কেননা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কার্যকর মনে করা হতো তাকে।
আদালতে দেয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের জবানবন্দির নথিতে উঠে এসেছে এমন তথ্য। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) আদলত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েই জুলাই আন্দোলন দমনে ব্যবহার হয় মারণাস্ত্র ও হেলিকপ্টার থেকে গুলি। শেখ হাসিনার নির্দেশনার কথা সেসময়ে পুলিশ প্রধানকে সরাসরি জানান তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আন্দোলন দমনের পরিকল্পনা হতো প্রতিরাতের বৈঠকে।
৫আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক মামলায় ২৪ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। ৫ পৃষ্ঠার জবানবন্দিতে ২০১৮ এর ভোটের অনিয়ম, গুম, খুন, জুলাই আন্দোলন নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন সাবেক এই পুলিশ প্রধান।
যেখানে তিনি বলেছেন, গত বছরের ১৯ জুলাই থেকে প্রায় প্রতিরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় বৈঠক হতো তাদের। বৈঠকে দুইজন সচিব, এসবি প্রধান মনিরুল ,ডিবির হারুন, র্যাবের মহাপরিচালক, আনসারের ডিজি, এনটিএমসির জিয়াউল আহসানসহ অনেকে উপস্থিত থাকতেন। মূলত এ বৈঠকেই সব পরিকল্পনা হতো।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে সাবেক এই আইজিপি আরো বলেন, কোর কমিটির এক বৈঠকে ৬ সমন্বয়ককে আটকের সিদ্ধান্ত হয়। যেখানে পরিকল্পনা করা হয় ভয়ভীতি ও মানসিক নির্যাতন করে কর্মসূচি প্রত্যাহারে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার থেকে গুলির বিষয়ে জবানবন্দিতে স্পষ্ট করেছেন মামুন। উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক হারুন অর রশিদের পরিকল্পনায় হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়।
জবানবন্দিতে মামুন বলেছেন, আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ব্যাবহার এবং আন্দোলন প্রবণ এলাকায় ব্লক রেইডের সিদ্ধান্ত হয় রাজনৈতিকভাবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে তাকে লেথাল উইপেন ব্যাবহারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা জানিয়েছিলেন। মারণাস্ত্র ব্যবহারে অতি উৎসাহি ছিলেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদ, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ অনেকে।
সরকার পতনের দিন কী করেছিলেন মামুন সেটিও জবানবন্দিতে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, ৫ আগস্ট বিকেলের দিকে একটি হেলিকপ্টারে পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে তেজগাঁও বিমানবন্দরে যান তিনি। এরপর সেখান থেকে সেনানিবাসে আশ্রয় নেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
জবানবন্দির শেষাংশে গুলি করে হত্যা, আহতের ঘটনায় সেসময় পুলিশ প্রধান হিসেবে অনুতপ্ত ও ক্ষমা চান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। যদিও ৫ পৃষ্ঠার জবানবন্দিতে শুধু মিটিংয়ে অংশ নেয়া ছাড়া নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়ে কিছুই বলেননি তিনি।
সম্প্রতি আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়েছেন সাবেক এই পুলিশ প্রধান। সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশের শর্তে রাজসাক্ষীর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.