dreamliferupatolibarisal

ভোলা

তজুমদ্দিনে বিভিন্ন নৌরুটে চলছে ফিটনেস বিহীন ট্রলার, নিরব প্রশাসন

হেলাল লিটন, তজুমুদ্দিন

হেলাল লিটন, তজুমুদ্দিন

১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:০৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

তজুমদ্দিনে বিভিন্ন নৌরুটে চলছে ফিটনেস বিহীন ট্রলার, নিরব প্রশাসন

তজুমদ্দিন থেকে বিভিন্ন রুটে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মেঘনা নদীর ডেঞ্জার জোনে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান। প্রতিদিন এসব রুটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন হাজার মানুষ।

ঝুঁকিপূর্ণ পারাপারের কারণে নৌ দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ নৌযান বন্ধ করতে পারছে না। যার ফলে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই উত্তাল মেঘনা নদীতে যাত্রীরা পারাপার করছে ছোট ছোট ট্রলার ও লঞ্চে করে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যান্ত আট মাস ভোলার মেঘনার ১৯০ কিলোমিটার এলাকাকে ডেঞ্জার জোন হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে। সি- সার্ভে ছাড়া সকল ধরনের অনিরাপদ নৌযান চলাচলে নিশেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভোলা জেলার উপক‚লের বিভিন্ন এলাকায় দিয়ে চলছে ফিটনেস ও অনুমোদনবিহীন ছোট ছোট লঞ্চ ও ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। দু’একটি রুটে সি-ট্রাক কিংবা সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র প্রাপ্ত লঞ্চ থাকলেও বেশিরভাগ রুটেই ফিটনেসবিহীন লঞ্চ আর ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে যাত্রীদের চলাচল করতে হচ্ছে।

বিশেষ করে তজুমদ্দিন উপজেলার চৌমুহনী লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন একটি ফিটনেসবিহীন ও সি-সার্ভেন ছাড়া ও ইঞ্জিন চালিত একটি ছোটট্রলার মনপুরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

এছাড়াও দৌলতখান-মির্জাকালু থেকে চর জহিরুদ্দিনে ছোট কাঠের ইঞ্জিন চালিত ও সি-সার্ভের প্রত্যয়ন ছাড়া একাধিক ট্রলারে সাধারণ যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। অন্যদিক মহিষখালী মাছঘাট, চৌমুহনী লঞ্চঘাট, শশীগঞ্জ সুইসঘাট থেকে প্রতিনিদি চরজহিরুদ্দিন, চরমোজাম্মেল, চর নাসরিন, চরলাদেন, চরফাজানা, নাগর পাটওয়ারীর চর, সিকদারচর ও মনপুরা উপজেলার কলাতলীর চরে প্রতিদিন ছোট ছোট ফিটনেসবিহীন কাঠের নৌকা চলাচল করলেও সেসব দেখার যেন কেউ নেই।

আর এ সুযোগে এধরনের অসাধু নৌযান ব্যবসায়ীরা এরুটে চলাচল করা মানুষের জীবন নিয়ে করছেন হালিখেলা। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অক্টোবর-নভেম্বর মাস প্রচুর প্রাকৃতিক দূর্যোগপূর্ণ আবহওয়ার মৌসুম হলেও তজুমদ্দিন থেকে মনপুরাসহ সকল নৌরুটে সি-সার্ভেহীন ফিটনেস বিহীন নৌযান চলাচল করলেও তা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা করেনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। প্রশাসনের নিরবতায় বড় ধরনের নৌ দূর্ঘটনার আশংকা করছে সাধারণ যাত্রীরা। এসব অবৈধ নৌযানের মালিকপক্ষ ও ষ্টার্ফরা জোড়পূর্বক তাদের ফিটনেসহীন নৌযানে তুলে নেয় যাত্রীদের। নৌদূর্ঘটনায় এসব যাত্রীদের দায় নেবে কে ?। গতকাল সরজমিনে আলাপকালে জানা যায়, তজুমদ্দিন মনপুরা নৌরুটে চলাচলকারী একমাত্র সরকারি নৌযান সিট্রাকের টিসি মাষ্টার এরশাদ মিজি ও লস্কর মোঃ শাহিন বলেন, যেহেতু মেঘনা নদীটি ডেঞ্জার জোনের আওতায় সেহেতু বিআইডবিøউটিএ-এর সি-সার্ভে রিপোর্ট ব্যতীত কোন নৌযান এরুটে চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও একটি পক্ষ জেলা পরিষদ থেকে একটি ডাকের মাধ্যমে ফিটনেসবিহীন ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে জোড়পূর্বক যাত্রী আনা-নেয়া করছে। আমরা চাই প্রশাসন সরকারের নিয়ম মেনে এসব অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যাত্রী আঃ মতিন কেরানি, মাহাবুব, রুবেলসহ অনেক যাত্রী জানান, মনপুরা- তজুমদ্দিন নৌরুটে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ হওয়ায় প্রয়োজনের তাগিদে নদী পথেই যাতায়াত করতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু মনপুরায় একইঘাটে সরকারি সিট্রাক ও ছোট নৌকাটি ঘাট করায় আমরা নৌকায় উঠতে না চাইলেও ষ্টার্ফরা যাত্রীদের জোড়পূর্বক তুলে নেয়। তখন বাধ্য হয়ে যাত্রীরা ঝুঁকিপূর্ণ ট্রলার, ইঞ্জিন নৌকা, ফিটনেসবিহীন ছোট ছোট লঞ্চে মেঘনা নদীর জেঞ্জার জোন পারি দিচ্ছে। সিট্রাকের ইজারাদার মোঃ নুরুদ্দিন মিয়া বলেন, যেহেতু মেঘনা সারাবছরই ডেঞ্জারজোন সেহেতু ফিটনেসহীন এসব ছোট ট্রলার এরুটে চলাচল করার বৈধতা নেই। তবুও প্রতিপক্ষ তার লোকজন জোড়পূর্বক মনপুরা থেকে যাত্রী তুলে নিয়ে যায়।

যে কারণে গত প্রায় এক বছরে আমি প্রায় ৯ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ। এভাবে চলতে থাকলে আমি সিট্রাক বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোন পথ থাকবে না। তখন যাত্রীদের দূর্ভোগ আরো বেশি হবে। জেলা প্ররিষদের সাব-ইজারাদার মোঃ বাপ্পি বলেন, আমি জেলা পরিষদের সাব ইজারাদার হিসেবে ট্রলারে যাত্রী পারাপার করছি। তবে জোড়ের কোন বিষয় নেই মানুষ তার ইচ্ছেমত পারাপার হচ্ছে।

তবে তিনি তার সি-সার্ভের রিপোর্ট রয়েছে দাবী করলেও তা প্রমাণ দিতে পারেনি। এব্যাপারে তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শুভ দেবনাথ বলেন, যেহেতু বিআইডবিøউটিএ ও জেলা পরিষদ দুটিই সরকারি প্রতিষ্ঠান। সেহেতু বিআইডবিøউটিএ অফিসিয়ালি উপজেলা প্রশাসনকে জানালে তখন সমন্বয় করে আমরা আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আরও পড়ুন:

মনপুরায় নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

মনপুরায় নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার

ভোলার মনপুরা উপজেলায় নিখোঁজের প্রায় ৯ ঘণ্টা পর আলম মাঝি (৫০) নামে এক জেলের মরদেহ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ফকিরহাট গ্রামে নিহতের নিজ বসতবাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই একই গ্রামের মো. তাজুল ইসলামের ছেলে

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের বরাতে ইউপি সদস্য মো.জামাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জামাল মাঝির নদী তীরে বেঁধে রাখা নৌকা দেখতে যাবেন বলে স্ত্রীকে জানিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। তার স্ত্রী বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরও তিনি আর ঘরে ফেরেননি। এরপর সকালেও তিনি বাড়ি না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হয় এবং তার মোবাইলে কল দেন। পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয়রা বসতবাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধের বাইরে পুকুরের পাড়ে জামাল মাঝির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও জুতা দেখতে পান এবং জামাল মাঝির মরদেহ পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন তারা।

মনপুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ গিয়েছে। পরে বিস্তারিত জানা যাবে,তার পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বোরহানউদ্দিনে ১২ জেলেকে অর্থদণ্ড

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৪৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বোরহানউদ্দিনে ১২ জেলেকে অর্থদণ্ড

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর কাচারির খালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ১২ জন জেলেকে মোট ৬০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হান-উজ্জামান।

সোমবার (২০ অক্টোবর) অভিযানকালে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধনের অপরাধে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ (সংশোধিত ২০২৫) অনুযায়ী প্রত্যেককে ৫,০০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক ৭ জন জেলেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযানে ২০ কেজি মা ইলিশ মাছ উদ্ধার করা হয়, যা পরবর্তীতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মাদরাসাতুল মদিনাহ আল অ্যারাবিয়া লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে বিতরণ করা হয়। এছাড়া ১০,০০০ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে নদীতে মা ইলিশ নিধন থেকে সকলকে বিরত থাকার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অভিযানে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, নৌপুলিশ ও বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের একটি টিম সার্বিক সহযোগিতা করেছে। উপজেলা প্রশাসনের দৃঢ় সদিচ্ছা ও অব্যাহত প্রচেষ্টায় মা ইলিশ সংরক্ষণে বোরহানউদ্দিনে গড়ে উঠছে প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত।

ভোলায় অযত্নে নষ্ট অর্ধকোটি টাকার নৌ অ্যাম্বুলেন্স

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:৫৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভোলায় অযত্নে নষ্ট অর্ধকোটি টাকার নৌ অ্যাম্বুলেন্স

ভোলার দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ পাওয়া অর্ধকোটি টাকার নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি গত ৭–৮ বছর ধরে অযত্নে পড়ে রয়েছে বেতুয়ার খালে। এখন সেটি কাদামাটির নিচে চাপা পড়ে অচল হয়ে গেছে। ফলে চরাঞ্চলের অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী বঞ্চিত হচ্ছে জরুরি চিকিৎসাসেবা থেকে। অপরদিকে সরকারের প্রায় অর্ধকোটি টাকারও বেশি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।

জানা গেছে, বিগত সরকারের সময় ২০১৮ সালে মেঘনা উপকূলীয় দৌলতখান উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিতে (প্রায়) অর্ধকোটি টাকার এই নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলেও এরপর থেকে এটি ব্যবহার হতে দেখা যায়নি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে থানাসংলগ্ন বেতুয়ার খালে ফেলে রাখা হয়। এখন সেটি কাদা ও মাটির নিচে চাপা পড়ে ব্যবহারের অযোগ্য অবস্থায় রয়েছে।

চরের এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ী জানান, ‘আমরা গরিব মানুষ, চরে থাকি বলেই চিকিৎসা পাই না। শুনছি সরকার নৌ অ্যাম্বুলেন্স দিছে, কিন্তু কখনো দেখি নাই। অসুখে পড়লে এখানেই মরতে হয়।’

গৃহবধূ জান্নাত বলেন, ‘আমরা চরে থাকি, মরে গেলেও কেউ খোঁজ নেয় না। শুনছি গরিবের জন্য সরকার অ্যাম্বুলেন্স দিছে, কিন্তু কোনোদিন কাজে লাগে নাই।’ সাবেক ইউপি মেম্বার আবু তাহের বলেন, ‘চরে চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই।

একবার হাসপাতালে গেছিলাম, তখন জিজ্ঞাসা করলাম নৌ অ্যাম্বুলেন্স কোথায়— তারা বলে, খুঁজে নেন।’ বেতুয়ার খালের জেলেরা জানায়, ‘নতুন আনার পর কোনোদিন রোগী আনতে দেখি নাই। এখন খালের মাটির নিচে চাপা পইড়া গেছে।’

এ বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সটি এক সময় সচল করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ওপি বন্ধ থাকায় ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরই এটি সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.