২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
দেশের একটি ইসলামপন্থী দল আওয়ামী লীগকে সন্তুষ্ট করতে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘আমাদের দেশে ইসলামপন্থী একটি রাজনৈতিক দল বরাবরই আমার মনে হয়েছে, আওয়ামী লীগকে সন্তুষ্ট করার জন্য কাজ করছে। তারা এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন শহীদ জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে। তারা নিষিদ্ধ দল ছিল। শহীদ জিয়া তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন।’
দলটিকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, ‘এমন কোনো তাদের মিটিং নাই, এমন কোনো তাদের কর্মসূচি নাই, যেখানে তারা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন নাই। এরপরে আমরা দেখেছি, প্রতিটি ঘটনায় তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে, আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করেছেন।’
উদাহরণ তুলে ধরে রিজভী বলেন, তারা মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এক আর কাজ করেছে আরেক। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ যে আন্দোলন করল, সেই আন্দোলনেও তারা জ্বালাও-পোড়াও যে আন্দোলন হয়েছিল, সেই আন্দোলনেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে তারাও করেছে। বিভিন্ন জায়গায় ওই সময়ে তারা হত্যাও করেছে। এখন আবার তারা স্বরূপে বেরিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চাচ্ছেন, ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাচ্ছেন।’
রিজভী আরও বলেন, ‘এ দেশের মানুষ মধ্যপন্থী, এ দেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু গণতন্ত্রপ্রিয়। তারা কথা বলতে চায় নির্ভয়ে, তারা এক-দুবেলা কম খেলেও তাদের কণ্ঠের আওয়াজ তীব্র করতে চায়। সে দেশের মানুষকে জোর করে ফ্যাসিবাদের নতুন ধারায় কেউ মনে করে যে নিয়ে আসতে চাইবে, এটা জনগণ হতে দেবে না।’
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েক উপদেষ্টা ও আমলার কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন, ‘এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের কিছু উপদেষ্টার কর্মকাণ্ডে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠছে। গণমাধ্যমে এসেছে, উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া তাঁর নিজ এলাকায় সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ নিয়েছেন... প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। এটা একধরনের বৈষম্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের এলাকা উন্নয়নের নামে ভবিষ্যতে এমপি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।’
তিনি বলেন, ‘একজন উপদেষ্টা কিংবা একজন সরকারি উচ্চপর্যায়ের আমলা কি নিজের এলাকায় হাজার হাজার কোটি টাকার সরকারি বরাদ্দ নিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালাতে পারেন? সারা দেশকে বঞ্চিত রেখে এটি করা সম্পূর্ণরূপে অনৈতিক এবং নীতিবিরোধী। আমরা শুনেছি, কেবিনেট সচিব একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুগত। তিনি হয়তো অবসরের পরে নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন। এটি দুঃখজনক এবং সরকারি শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতার পরিপন্থী।’
দেশের একটি ইসলামপন্থী দল আওয়ামী লীগকে সন্তুষ্ট করতে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘আমাদের দেশে ইসলামপন্থী একটি রাজনৈতিক দল বরাবরই আমার মনে হয়েছে, আওয়ামী লীগকে সন্তুষ্ট করার জন্য কাজ করছে। তারা এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন শহীদ জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে। তারা নিষিদ্ধ দল ছিল। শহীদ জিয়া তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন।’
দলটিকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, ‘এমন কোনো তাদের মিটিং নাই, এমন কোনো তাদের কর্মসূচি নাই, যেখানে তারা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন নাই। এরপরে আমরা দেখেছি, প্রতিটি ঘটনায় তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে, আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করেছেন।’
উদাহরণ তুলে ধরে রিজভী বলেন, তারা মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এক আর কাজ করেছে আরেক। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ যে আন্দোলন করল, সেই আন্দোলনেও তারা জ্বালাও-পোড়াও যে আন্দোলন হয়েছিল, সেই আন্দোলনেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে তারাও করেছে। বিভিন্ন জায়গায় ওই সময়ে তারা হত্যাও করেছে। এখন আবার তারা স্বরূপে বেরিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চাচ্ছেন, ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাচ্ছেন।’
রিজভী আরও বলেন, ‘এ দেশের মানুষ মধ্যপন্থী, এ দেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু গণতন্ত্রপ্রিয়। তারা কথা বলতে চায় নির্ভয়ে, তারা এক-দুবেলা কম খেলেও তাদের কণ্ঠের আওয়াজ তীব্র করতে চায়। সে দেশের মানুষকে জোর করে ফ্যাসিবাদের নতুন ধারায় কেউ মনে করে যে নিয়ে আসতে চাইবে, এটা জনগণ হতে দেবে না।’
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েক উপদেষ্টা ও আমলার কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন, ‘এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের কিছু উপদেষ্টার কর্মকাণ্ডে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠছে। গণমাধ্যমে এসেছে, উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া তাঁর নিজ এলাকায় সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ নিয়েছেন... প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। এটা একধরনের বৈষম্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের এলাকা উন্নয়নের নামে ভবিষ্যতে এমপি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।’
তিনি বলেন, ‘একজন উপদেষ্টা কিংবা একজন সরকারি উচ্চপর্যায়ের আমলা কি নিজের এলাকায় হাজার হাজার কোটি টাকার সরকারি বরাদ্দ নিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালাতে পারেন? সারা দেশকে বঞ্চিত রেখে এটি করা সম্পূর্ণরূপে অনৈতিক এবং নীতিবিরোধী। আমরা শুনেছি, কেবিনেট সচিব একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুগত। তিনি হয়তো অবসরের পরে নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন। এটি দুঃখজনক এবং সরকারি শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতার পরিপন্থী।’
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৬
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৬
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ফজলুর করিমের ছেলে এবং কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে তিনি নিজেই এই ঘোষণা দেন।
ফয়জুল করিম এর আগে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির উপ-দফতর সম্পাদক এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ছিলেন। তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সম্মেলনের আগের কমিটিরও সদস্য ছিলেন।
বিএনপি থেকে সরে এসে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ফয়জুল করিম বলেন,‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল, ধর্মনিরপেক্ষ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের প্রতীক। ৫ আগস্টের পর রাষ্ট্র সংস্কারের নামে সম্পদ ভোগের চেষ্টা ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় আনার প্রচেষ্টা চলছে। সেই প্রবণতা রোধ করতেই আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। শেখ হাসিনাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক এবং জনগণের একমাত্র আশ্রয়স্থল।’
তবে তিনি কীভাবে বা কার মাধ্যমে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ফয়জুল করিমের এখন বিএনপিতে কোনো পদ নেই। তার মানসিক অবস্থাও স্বাভাবিক নয়। তাই তার আওয়ামী লীগে যোগদানের কোনো রাজনৈতিক গুরুত্ব নেই।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ফজলুর করিমের ছেলে এবং কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে তিনি নিজেই এই ঘোষণা দেন।
ফয়জুল করিম এর আগে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির উপ-দফতর সম্পাদক এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ছিলেন। তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সম্মেলনের আগের কমিটিরও সদস্য ছিলেন।
বিএনপি থেকে সরে এসে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ফয়জুল করিম বলেন,‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল, ধর্মনিরপেক্ষ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের প্রতীক। ৫ আগস্টের পর রাষ্ট্র সংস্কারের নামে সম্পদ ভোগের চেষ্টা ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় আনার প্রচেষ্টা চলছে। সেই প্রবণতা রোধ করতেই আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। শেখ হাসিনাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক এবং জনগণের একমাত্র আশ্রয়স্থল।’
তবে তিনি কীভাবে বা কার মাধ্যমে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ফয়জুল করিমের এখন বিএনপিতে কোনো পদ নেই। তার মানসিক অবস্থাও স্বাভাবিক নয়। তাই তার আওয়ামী লীগে যোগদানের কোনো রাজনৈতিক গুরুত্ব নেই।’
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৩৬
জাতির কাছে আবারও নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বুধবার (২২ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ক্ষমা চান তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে আজকের দিন পর্যন্ত আমাদের দ্বারা যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে বিনা শর্তে ক্ষমা চাচ্ছি।
তিনি বলেন, জাতির কিছু কিছু লোক বলত ধরে নিলাম আপনারা কোনো অপরাধ করেন নাই, তারপরও আপনাদের এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জাতি মেনে নেয় নাই। আপনারা তো একটা অ্যাপোলোজি দিলেই পারেন। এই অ্যাপোলোজি আমরা মিনিমাম তিনবার দিয়েছি। প্রফেসর গোলাম আযম সাহেব দিয়েছেন, মতিউর রহমান নিজামী সাহেব দিয়েছেন এবং আমি নিজে দিয়েছি।
তিনি বলেন, এই কিছুদিন আগে এ টি এম আজহারুল ইসলাম যখন জেল থেকে বের হলেন তখন আমি বলেছি শুধু এখন তো না, ১৯৪৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জামায়াতের দ্বারা কারও যদি কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে আমি সব ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষে নিঃশর্তে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। আপনারা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।
জামায়াত আমির আরও বলেন, আমরা মানুষ। আমাদের সংগঠন মানুষের সংগঠন। আমাদের ১০০টি সিদ্ধান্তে মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত ভুল হতে পারে। সিদ্ধান্তে জাতির ক্ষতি হলে আমার মাফ চাইতে অসুবিধা কোথায়?
তিনি বলেন, এখন মাফ চাওয়ার পরে বলে এই ল্যাংগুয়েজে মাফ চাইলে হবে না, ওই ল্যাংগুয়েজে মাফ চাইতে হবে। এ আরেক যন্ত্রণায় পড়লাম। বিনা শর্তে মাফ চাইলাম এরপর আর বাকি কী থাকল, তাই তো বুঝলাম না। আজকে আবার বলে দিলাম, ১৯৪৭ থেকে শুরু করে ২০২৫ সাল পর্যন্ত আমাদের দ্বারা যে যেখানে যত কষ্ট পেয়েছেন তার জন্য, বিনা শর্তে যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে মাফ চাই।
এ সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পিআরসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গণভোট আয়োজনের দাবি জানান জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, রমজানের আগে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা নেই। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সংবিধানসম্মত অধিকার অনুযায়ী দেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে বসবাস করতে পারবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জাতির কাছে আবারও নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বুধবার (২২ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ক্ষমা চান তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে আজকের দিন পর্যন্ত আমাদের দ্বারা যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে বিনা শর্তে ক্ষমা চাচ্ছি।
তিনি বলেন, জাতির কিছু কিছু লোক বলত ধরে নিলাম আপনারা কোনো অপরাধ করেন নাই, তারপরও আপনাদের এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জাতি মেনে নেয় নাই। আপনারা তো একটা অ্যাপোলোজি দিলেই পারেন। এই অ্যাপোলোজি আমরা মিনিমাম তিনবার দিয়েছি। প্রফেসর গোলাম আযম সাহেব দিয়েছেন, মতিউর রহমান নিজামী সাহেব দিয়েছেন এবং আমি নিজে দিয়েছি।
তিনি বলেন, এই কিছুদিন আগে এ টি এম আজহারুল ইসলাম যখন জেল থেকে বের হলেন তখন আমি বলেছি শুধু এখন তো না, ১৯৪৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জামায়াতের দ্বারা কারও যদি কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে আমি সব ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষে নিঃশর্তে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। আপনারা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।
জামায়াত আমির আরও বলেন, আমরা মানুষ। আমাদের সংগঠন মানুষের সংগঠন। আমাদের ১০০টি সিদ্ধান্তে মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত ভুল হতে পারে। সিদ্ধান্তে জাতির ক্ষতি হলে আমার মাফ চাইতে অসুবিধা কোথায়?
তিনি বলেন, এখন মাফ চাওয়ার পরে বলে এই ল্যাংগুয়েজে মাফ চাইলে হবে না, ওই ল্যাংগুয়েজে মাফ চাইতে হবে। এ আরেক যন্ত্রণায় পড়লাম। বিনা শর্তে মাফ চাইলাম এরপর আর বাকি কী থাকল, তাই তো বুঝলাম না। আজকে আবার বলে দিলাম, ১৯৪৭ থেকে শুরু করে ২০২৫ সাল পর্যন্ত আমাদের দ্বারা যে যেখানে যত কষ্ট পেয়েছেন তার জন্য, বিনা শর্তে যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে মাফ চাই।
এ সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পিআরসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গণভোট আয়োজনের দাবি জানান জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, রমজানের আগে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা নেই। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সংবিধানসম্মত অধিকার অনুযায়ী দেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে বসবাস করতে পারবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ০১:১৩
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, নির্বাচনে একটি নির্দিষ্ট মার্কায় ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া যাবে এমন বক্তব্য সম্পূর্ণ প্রতারণা এবং ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা।
তিনি বলেন, বেহেশতের মালিক একমাত্র আল্লাহ। এমন মিথ্যাবাদীরা যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে দেশের সর্বনাশ ছাড়া কিছু হবে না।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর কেরানীগঞ্জের আসামদীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কলাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমান উল্লাহ আরও বলেন, ভোট একটি পবিত্র অধিকার, যা ধর্মীয় প্রতিশ্রুতি কিংবা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিক্রি করা যায় না। যারা জনগণকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে ভোট নিতে চায়, তারা বড় ধরনের প্রতারণার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের প্রচারণা শুধু ভোটারদের বিভ্রান্ত করে না, বরং দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচন নিয়েও এখন ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু যারা নির্বাচন রুখতে আসবে, জনগণ তাদের রুখে দেবে। দেশের মানুষ এখন নিজেদের ভোটাধিকার চায়। এতদিন তারা সে অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। সুতরাং নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে এবং বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসবে।
কেরানীগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জে কোনো চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাসের ঠাঁই নেই। হাট-বাজার থেকে কেউ চাঁদা চাইলে, পুলিশে দিন-ধরিয়ে দিন। কেরানীগঞ্জ এখন চাঁদাবাজমুক্ত।
মতবিনিময় সভায় কলাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এনামুল হক চান মিয়ার সভাপতিত্ব আরও উপস্থিত ছিলেন কলাতিয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দাউদ শিকদারসহ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, নির্বাচনে একটি নির্দিষ্ট মার্কায় ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া যাবে এমন বক্তব্য সম্পূর্ণ প্রতারণা এবং ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা।
তিনি বলেন, বেহেশতের মালিক একমাত্র আল্লাহ। এমন মিথ্যাবাদীরা যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে দেশের সর্বনাশ ছাড়া কিছু হবে না।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর কেরানীগঞ্জের আসামদীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কলাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমান উল্লাহ আরও বলেন, ভোট একটি পবিত্র অধিকার, যা ধর্মীয় প্রতিশ্রুতি কিংবা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিক্রি করা যায় না। যারা জনগণকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে ভোট নিতে চায়, তারা বড় ধরনের প্রতারণার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের প্রচারণা শুধু ভোটারদের বিভ্রান্ত করে না, বরং দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচন নিয়েও এখন ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু যারা নির্বাচন রুখতে আসবে, জনগণ তাদের রুখে দেবে। দেশের মানুষ এখন নিজেদের ভোটাধিকার চায়। এতদিন তারা সে অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। সুতরাং নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে এবং বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসবে।
কেরানীগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জে কোনো চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাসের ঠাঁই নেই। হাট-বাজার থেকে কেউ চাঁদা চাইলে, পুলিশে দিন-ধরিয়ে দিন। কেরানীগঞ্জ এখন চাঁদাবাজমুক্ত।
মতবিনিময় সভায় কলাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এনামুল হক চান মিয়ার সভাপতিত্ব আরও উপস্থিত ছিলেন কলাতিয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দাউদ শিকদারসহ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.