০৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পিরোজপুরের কাউখালীতে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় প্রথম শ্রেণির নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র। কিন্তু এটি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে গণপূর্ত বিভাগ ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। কেন্দ্রটি নির্মাণে ৯০ লাখ টাকা ব্যয় হলেও অফিসের যন্ত্রপাতির হিসেব এখনো অজানাই রয়ে গেছে।
মূল ভবনের নির্মাণ শেষ হয় ২০১২ সালে এবং হস্তান্তর করা হয় ২০১৬ সালে। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে কিছু সীমিত জনবল নিয়োগ দেওয়া হলেও তারা নিয়মিত অফিসে আসেন না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। নির্মাণের ৫ বছর পর আনসার নিয়োগ দেওয়া হলেও ছয় বছরেও প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো কার্যকর জনবল নিয়োগ হয়নি। এমনকি যে আনসার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তারও দেখা মেলে না নিয়মিত।
সম্প্রতি সরেজমিনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রটির মূল ফটকে তালা ঝুলছে। পাশের পকেট গেট থেকে অফিসে প্রবেশ করে দেখা যায় অফিস থাকলেও নেই সেবা, নেই কর্মচারীদের উপস্থিতি ও কার্যক্রমের কোনো চিহ্ন। অফিস কক্ষগুলোতে বসার টেবিল সরিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিছানা, আর অফিসের আসবাবপত্র রাখা হয়েছে বাইরে। অফিস কক্ষে দড়ি টানিয়ে শুকানো হচ্ছে জামা কাপড়, চলছে রান্নাবান্নাও।
অফিস কক্ষগুলো যেন রীতিমতো একটি আবাসিক হোটেলে রূপ নিয়েছে। যেসব যন্ত্রপাতি প্রাথমিকভাবে বসানো হয়েছিল, সেগুলো এখন অব্যবহৃত।
সরকারি দপ্তরের এমন দায়সারা মনোভাব এবং অনিয়মের কারণে এই কেন্দ্রটি কার্যকারিতার বাইরে চলে গেছে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, অফিসটির কর্মচারীদের দেখা যায় ‘কালেভদ্রে’। তাদের দাবি, অবিলম্বে কেন্দ্রটি সক্রিয় করে নৌরুটে যাতায়াতকারীদের সঠিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মারুফ হোসেন বলেন, ‘সাত থেকে আট বছর ধরে আমি এখানে বসবাস করছি। কিন্তু আমি কখনো সামনের গেট পর্যন্ত খুলতে দেখি নাই। মাঝে মধ্যে দুজন আনসারকে দেখা যায়। আবহাওয়া অফিসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আমার চোখে পরে নাই।’
রিয়াদুল ইসলাম নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘এই পথে প্রতিদিন যাতায়াত করি। কখনো এই অফিসের কোনো কার্যক্রম দেখি নাই। পিরোজপুর জেলার একমাত্র আবহাওয়া অফিসটি আমাদের খুব প্রয়োজন।’
ব্যবসায়ী সোয়াইব সিদ্দিক বলেন, ‘পিরোজপুর জেলা মূলত একটি উপকূলীয় অঞ্চল এবং নদীবেষ্টিত এলাকা। এখানে একটি আবহাওয়া অফিস আছে, কিন্তু আমরা কখনো এর কোনো সুফল পাইনি। এই অফিসে কোনো কার্যক্রম হয় না, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আসে না। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে অনতিবিলম্বে অফিসটির কার্যক্রম শুরু করা হয়।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ঢাকা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে কাউখালী একটি কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে। এখান থেকে দুটি নদী দুই রুটে বিভক্ত হয়েছে। একটি বরিশাল হয়ে ঢাকা এবং অন্যটি স্বরূপকাঠী হয়ে সন্ধ্যা নদী দিয়ে ঢাকা। ফলে এই জায়গাটিতে একটি পূর্ণাঙ্গ ও কার্যকর নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র থাকার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে নির্মিত অফিসটির এমন বেহাল অবস্থা দেখে হতাশ স্থানীয়রা বলছেন, সরকার কোটি টাকা ব্যয় করলেও বাস্তবে কোনো সেবা মেলে না এখানে। বরং অফিসটা যেন এক পরিত্যক্ত ভবন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজেদুল হক বলেন, ‘আগের বিষয়ে কিছু জানি না। তবে, গতবছরের নভেম্বরের ৫ তারিখ থেকে আমি এখানে যোগদানের পর থেকে নিয়মিত অফিস চলছে। যত রকমের যন্ত্রপাতি আছে, সেগুলো নিয়মিত সংগ্রহ করছি। তবে কিছু কিছু যন্ত্রপাতি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ আছে। সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
অফিস কক্ষে বিছানা রাখার বিষয়ে মাজেদুল হক বলেন, ‘আমাদের যেহেতু ২৪ ঘণ্টা অফিস করতে হয়। সেজন্য রাতে যে থাকবেন, তার বিশ্রামের জন্য এটা তৈরি করা হয়েছে। তার বাইরে কিছু নয়।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পিরোজপুরের কাউখালীতে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় প্রথম শ্রেণির নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র। কিন্তু এটি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে গণপূর্ত বিভাগ ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। কেন্দ্রটি নির্মাণে ৯০ লাখ টাকা ব্যয় হলেও অফিসের যন্ত্রপাতির হিসেব এখনো অজানাই রয়ে গেছে।
মূল ভবনের নির্মাণ শেষ হয় ২০১২ সালে এবং হস্তান্তর করা হয় ২০১৬ সালে। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে কিছু সীমিত জনবল নিয়োগ দেওয়া হলেও তারা নিয়মিত অফিসে আসেন না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। নির্মাণের ৫ বছর পর আনসার নিয়োগ দেওয়া হলেও ছয় বছরেও প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো কার্যকর জনবল নিয়োগ হয়নি। এমনকি যে আনসার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তারও দেখা মেলে না নিয়মিত।
সম্প্রতি সরেজমিনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রটির মূল ফটকে তালা ঝুলছে। পাশের পকেট গেট থেকে অফিসে প্রবেশ করে দেখা যায় অফিস থাকলেও নেই সেবা, নেই কর্মচারীদের উপস্থিতি ও কার্যক্রমের কোনো চিহ্ন। অফিস কক্ষগুলোতে বসার টেবিল সরিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিছানা, আর অফিসের আসবাবপত্র রাখা হয়েছে বাইরে। অফিস কক্ষে দড়ি টানিয়ে শুকানো হচ্ছে জামা কাপড়, চলছে রান্নাবান্নাও।
অফিস কক্ষগুলো যেন রীতিমতো একটি আবাসিক হোটেলে রূপ নিয়েছে। যেসব যন্ত্রপাতি প্রাথমিকভাবে বসানো হয়েছিল, সেগুলো এখন অব্যবহৃত।
সরকারি দপ্তরের এমন দায়সারা মনোভাব এবং অনিয়মের কারণে এই কেন্দ্রটি কার্যকারিতার বাইরে চলে গেছে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, অফিসটির কর্মচারীদের দেখা যায় ‘কালেভদ্রে’। তাদের দাবি, অবিলম্বে কেন্দ্রটি সক্রিয় করে নৌরুটে যাতায়াতকারীদের সঠিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মারুফ হোসেন বলেন, ‘সাত থেকে আট বছর ধরে আমি এখানে বসবাস করছি। কিন্তু আমি কখনো সামনের গেট পর্যন্ত খুলতে দেখি নাই। মাঝে মধ্যে দুজন আনসারকে দেখা যায়। আবহাওয়া অফিসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আমার চোখে পরে নাই।’
রিয়াদুল ইসলাম নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘এই পথে প্রতিদিন যাতায়াত করি। কখনো এই অফিসের কোনো কার্যক্রম দেখি নাই। পিরোজপুর জেলার একমাত্র আবহাওয়া অফিসটি আমাদের খুব প্রয়োজন।’
ব্যবসায়ী সোয়াইব সিদ্দিক বলেন, ‘পিরোজপুর জেলা মূলত একটি উপকূলীয় অঞ্চল এবং নদীবেষ্টিত এলাকা। এখানে একটি আবহাওয়া অফিস আছে, কিন্তু আমরা কখনো এর কোনো সুফল পাইনি। এই অফিসে কোনো কার্যক্রম হয় না, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আসে না। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে অনতিবিলম্বে অফিসটির কার্যক্রম শুরু করা হয়।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ঢাকা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে কাউখালী একটি কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে। এখান থেকে দুটি নদী দুই রুটে বিভক্ত হয়েছে। একটি বরিশাল হয়ে ঢাকা এবং অন্যটি স্বরূপকাঠী হয়ে সন্ধ্যা নদী দিয়ে ঢাকা। ফলে এই জায়গাটিতে একটি পূর্ণাঙ্গ ও কার্যকর নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র থাকার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে নির্মিত অফিসটির এমন বেহাল অবস্থা দেখে হতাশ স্থানীয়রা বলছেন, সরকার কোটি টাকা ব্যয় করলেও বাস্তবে কোনো সেবা মেলে না এখানে। বরং অফিসটা যেন এক পরিত্যক্ত ভবন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজেদুল হক বলেন, ‘আগের বিষয়ে কিছু জানি না। তবে, গতবছরের নভেম্বরের ৫ তারিখ থেকে আমি এখানে যোগদানের পর থেকে নিয়মিত অফিস চলছে। যত রকমের যন্ত্রপাতি আছে, সেগুলো নিয়মিত সংগ্রহ করছি। তবে কিছু কিছু যন্ত্রপাতি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ আছে। সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
অফিস কক্ষে বিছানা রাখার বিষয়ে মাজেদুল হক বলেন, ‘আমাদের যেহেতু ২৪ ঘণ্টা অফিস করতে হয়। সেজন্য রাতে যে থাকবেন, তার বিশ্রামের জন্য এটা তৈরি করা হয়েছে। তার বাইরে কিছু নয়।’
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫৩
পিরোজপুর সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে ভোট গণনার সময় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে নির্বাচন ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে পিরোজপুর শহরের শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৪৯৭ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৪৮২ জন ভোট প্রদান করেন। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। গণনার একপর্যায়ে কিছু ব্যক্তি হট্টগোল শুরু করেন এবং তা দ্রুত অডিটোরিয়ামের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তি ভোট দেওয়া ব্যালট ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ফলে ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায় এবং ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু বলেন, ঘটনার বিষয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ঘটনা সম্পর্কে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
পিরোজপুর সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে ভোট গণনার সময় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে নির্বাচন ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে পিরোজপুর শহরের শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৪৯৭ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৪৮২ জন ভোট প্রদান করেন। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। গণনার একপর্যায়ে কিছু ব্যক্তি হট্টগোল শুরু করেন এবং তা দ্রুত অডিটোরিয়ামের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তি ভোট দেওয়া ব্যালট ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ফলে ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায় এবং ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু বলেন, ঘটনার বিষয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ঘটনা সম্পর্কে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের ১৭০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। গতকাল সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ড স্টেশন পাথরঘাটা কর্তৃক পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলাধীন গুলিশাখালী বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানো এই অভিযানে তল্লাশি চালিয়ে উক্ত পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
জব্দকৃত ইয়াবা এবং আটককৃত মাদক কারবারিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মঠবাড়িয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের ১৭০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। গতকাল সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ড স্টেশন পাথরঘাটা কর্তৃক পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলাধীন গুলিশাখালী বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানো এই অভিযানে তল্লাশি চালিয়ে উক্ত পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
জব্দকৃত ইয়াবা এবং আটককৃত মাদক কারবারিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মঠবাড়িয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:৪৮
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের একটি স্থানীয় মসজিদের নামে জেলা পরিষদের বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলামিন হাওলাদার বরাদ্দের টাকা তুলে তিন বছর পার করলেও টাকা মসজিদের কোনো কাজে লাগাননি।
জানা গেছে, নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁটাদৈহারী গ্রামে অবস্থিত জামে মসজিদের সংস্কারের কাজে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় পিরোজপুর জেলা পরিষদ। ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ওই টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আলামিন হাওলাদার মসজিদের তৎকালীন সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বরাদ্দের প্রথম কিস্তির ৫০ হাজার টাকা তুলে নেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার প্রাথমিক বরাদ্দের ওই টাকা তুলে নানা অজুহাত দেখিয়ে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করে ফেলেছেন। স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, আলামিন হাওলাদার মসজিদে বরাদ্দ করা সরকারি টাকা কমিটিতে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তাঁকে একাধিকবার উত্তোলন করা টাকায় কাজ করার কথা বলা হয়েছে। বছরখানেক আগে নামমাত্র মসজিদের সামনে কিছু বালু ফেলে রেখে কাজে আর হাত দেননি।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার বলেন, ‘জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া ৫০ হাজার টাকা আমার কাছে আছে। আমি টাকা ভুলে খরচ করে ফেলেছি। এখন একটু আর্থিক সমস্যায় আছি। হাতে টাকা এলে আমি কাজ করে দেব।’ অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার চেষ্টায় মসজিদে ওই টাকা এনেছি। তাই মসজিদ কমিটির কাছে টাকা দেব না। আমার সমস্যা কেটে গেলে নিজে কাজ করে দেব।’
মসজিদের সভাপতি মো. ইমাম হাসান বলেন, ‘ইউপি সদস্য আলামিন আমাদের মসজিদ উন্নয়ন ও নির্মাণ প্রকল্পের কথা বলে ৫০ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। তৎকালীন সময়ে আমি সভাপতি ছিলাম না। জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দ করা টাকার কাজ একাধিকবার শুরু করার কথা বলেও অদৃশ্য কারণে করছেন না। এমনকি ওই টাকা এখনো কমিটির কাছে হস্তান্তর করেনি। টাকা চাইতে গেলে তিনি চড়াও হয়ে যান।’
এ বিষয়ে দৈহারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহারুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। আমি তাঁকে কাজের জন্য একাধিকবার অনুরোধ করেছি। এখনো তিনি বরাদ্দের টাকায় কাজ করেননি। এ বিষয়ে আমি তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেব।’
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের একটি স্থানীয় মসজিদের নামে জেলা পরিষদের বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলামিন হাওলাদার বরাদ্দের টাকা তুলে তিন বছর পার করলেও টাকা মসজিদের কোনো কাজে লাগাননি।
জানা গেছে, নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁটাদৈহারী গ্রামে অবস্থিত জামে মসজিদের সংস্কারের কাজে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় পিরোজপুর জেলা পরিষদ। ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ওই টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আলামিন হাওলাদার মসজিদের তৎকালীন সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বরাদ্দের প্রথম কিস্তির ৫০ হাজার টাকা তুলে নেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার প্রাথমিক বরাদ্দের ওই টাকা তুলে নানা অজুহাত দেখিয়ে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করে ফেলেছেন। স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, আলামিন হাওলাদার মসজিদে বরাদ্দ করা সরকারি টাকা কমিটিতে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তাঁকে একাধিকবার উত্তোলন করা টাকায় কাজ করার কথা বলা হয়েছে। বছরখানেক আগে নামমাত্র মসজিদের সামনে কিছু বালু ফেলে রেখে কাজে আর হাত দেননি।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার বলেন, ‘জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া ৫০ হাজার টাকা আমার কাছে আছে। আমি টাকা ভুলে খরচ করে ফেলেছি। এখন একটু আর্থিক সমস্যায় আছি। হাতে টাকা এলে আমি কাজ করে দেব।’ অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার চেষ্টায় মসজিদে ওই টাকা এনেছি। তাই মসজিদ কমিটির কাছে টাকা দেব না। আমার সমস্যা কেটে গেলে নিজে কাজ করে দেব।’
মসজিদের সভাপতি মো. ইমাম হাসান বলেন, ‘ইউপি সদস্য আলামিন আমাদের মসজিদ উন্নয়ন ও নির্মাণ প্রকল্পের কথা বলে ৫০ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। তৎকালীন সময়ে আমি সভাপতি ছিলাম না। জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দ করা টাকার কাজ একাধিকবার শুরু করার কথা বলেও অদৃশ্য কারণে করছেন না। এমনকি ওই টাকা এখনো কমিটির কাছে হস্তান্তর করেনি। টাকা চাইতে গেলে তিনি চড়াও হয়ে যান।’
এ বিষয়ে দৈহারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহারুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। আমি তাঁকে কাজের জন্য একাধিকবার অনুরোধ করেছি। এখনো তিনি বরাদ্দের টাকায় কাজ করেননি। এ বিষয়ে আমি তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেব।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.