primary-ads

সারাদেশ

ইমামতির টাকা জমিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে রাজকীয় বিয়ে

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২১ জুলাই, ২০২৫ ১২:৩০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ইমামতির টাকা জমিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে রাজকীয় বিয়ে

রাজবাড়ীতে ইমামতির টাকা জমিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে রাজকীয়ভাবে বিয়ে করলেন হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী। এমন বিয়ের সংবাদ শুনে ভিড় করেন উৎসুক জনতা।

রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে জেলা সদরের বরাট ইউনিয়নের ভবদিয়া গ্রামে এমন রাজকীয় বিয়ের আয়োজন হয়। বর একই গ্রামের আবুল হোসেন ক্লাব মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যান ও একই মাঠে তিনি হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে নামেন।

বর হাফেজ মো. রুহুল আমিন সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ভবদিয়া গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের মোশারফ হোসেন হেলালীর ছেলে। তিনি দাদশী মাজার জামে মসজিদের ইমামতি করেন এবং তাদের নিজস্ব একটি মাদ্রাসা রয়েছে।

স্থানীয় ও বরের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রুহুল আমিনের ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে সে বিয়ে করতে যাবে। এ জন্য সে ইমামতি করে স্বল্প আয়ের মধ্যেও টাকা জমিয়েছিল। তার জমানো টাকা ও বাবার কিছু জমানো টাকা দিয়ে সে হেলিকপ্টারে ঝিনাইদহ জেলায় বিয়ে করতে যায়।

বর হাফেজ রুহুল আমিন বলেন, আমি ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে হাফেজি পড়া শেষ করি। যখন হাফেজি পড়া শেষ করি তখন আমার বাবা আমাকে বলেছিল যে, তুমি কি চাও? তখন আমি বলেছিলাম হেলিকপ্টারে চড়ে আমার বিয়ে করতে যাওয়ার ইচ্ছা।

তখন আমার বাবা বলেছিল তোমার যে আবদার আল্লাহ তোমার মনের আশা পূরণ করবে। আমার বাবা সবসময় এ ব্যাপারে সচেষ্ট ছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি হেলিকপ্টারে চড়ে ঝিনাইদহ বিয়ে করতে যাচ্ছি। আমার স্ত্রী সেও একজন হাফেজ।

রুহুল আমিনের বাবা মোশাররফ হোসেন হেলালী বলেন, আমার ছেলে ১০ বছর বয়সে হাফেজ হয়। তখন তাকে বলেছিলাম বাবা তুমি আমার কাছে কী চাও। আমি তখন মনে মনে ভেবেছিলাম বাইসাইকেলের থেকে আর বেশি কিছু কী চাবে সে।

তখন সে তার দাদা-দাদিকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে আমার কাছে বলে আমি বিয়ের উপযুক্ত হলে আমাকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাব। তখন আমি তাকে আশ্বাস দেই। আমার ছেলে বিয়ের উপযুক্ত হলে তখন আমি মেয়ে দেখতে শুরু করি। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে একটা মেয়ে পছন্দ হয়। পরে আমার ছেলেকে জানাই। তখন সে বলে বাবা আমি কিন্তু হেলিকপ্টার ছাড়া বিয়ে করতে যাব না। তুমি আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলে।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে ইমামতি করে ৮-১০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকে। বেতনের টাকা থেকে সে প্রতিমাসে কিছু টাকা জমিয়ে রাখত। আমার ছেলের জমানো টাকা ও আমি কিছু টাকা দিয়ে তাকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে পাঠিয়েছে। আমার ছেলের মনের আশা পূরণ করতে পেরে আমি অনেক খুশি।

এ বিষয়ে বরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শামসুদ্দিন জানান, এমন রাজকীয় বিয়ের আয়োজন এই গ্রামে আগে কখনো হয়নি। এখানে উৎসুক জনতার উপস্থিতি দেখে খুব ভালো লাগছে।

আরও পড়ুন:

ফেসবুকে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণা, যুবলীগ নেতা আটক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ফেসবুকে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণা, যুবলীগ নেতা আটক

নেত্রকোনার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও জনসভায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় খলিশাউর ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মো. হুমায়ুন কবির (৩৬) উপজেলার খলিশাউর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ছোট্ট মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের খলিশাউর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে @Humayun Kabir নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সক্রিয় হয়।

এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাহেব আলী খান পাঠান বলেন, সামাজিক মাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট ও সমাবেশে নাশকতার পরিকল্পনার প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

এদিকে এনসিপির সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের স্থানীয় নেতা হুমায়ুন কবিরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিয়ের আগের দিন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল যুবকের

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৩:১৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিয়ের আগের দিন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল যুবকের

বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই উপস্থিত। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বর। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর বাজার এলাকায়। রোববার (২৭ জুলাই) শাহ আলম (২২) নামে ওই যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, শনিবার দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। নিহত শাহ আলম নব্যচর গ্রামের শাহ জামাল মণ্ডলের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহ আলমের বিয়ে উপলক্ষে তার বাবা শাহ জামাল সব আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। বাড়িতে বিয়ের দাওয়াতী মেহমান উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহ আলম। এ ঘটনায় নব্যচর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

শাহ আলমের চাচাতো ভাই শাকিল মিয়া বলেন, ভাই কারেন্টের কাজ জানত, তাই নিজের ফ্যানের সুইচ নিজেই ঠিক করতে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই কারেন্টে শক খেয়ে মারা যায়। বিয়ের দাওয়াত খেতে বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে।

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর পদত্যাগ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর পদত্যাগ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে কেয়া লেখেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ (শনিবার) থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।

পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তিনি লেখেন, দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। খাদিজা আক্তার কেয়া বলেন, সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির পদযাত্রায় পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল।

যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল। এ বিষয়গুলো আমাদের শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। এগুলো দেখে এ প্ল্যাটফর্মে আমি থাকতে চাচ্ছি না। শনিবার ফেসবুকে সব স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আজ রোববার লিখিত পদত্যাগপত্র দিব।

তিনি আরও বলেন, পোস্টে সব স্পষ্ট করা হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং ভবিষ্যতেও থাকব না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে আমি সবসময় সংগ্রামে থাকব।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.