২০ জুন, ২০২৫ ১২:০৫
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) নিষ্ঠা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে ৩টি আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ স্টেশন এয়ারপোর্ট থানা। মাদক উদ্ধার, গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি আটক এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে হারানো মোবাইল উদ্ধারে অনন্য সফলতা অর্জন করায় এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কৃত করা হয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) মাসিক অপরাধ দমন ও পর্যালোচনা সভায় এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ওসি ইন্সপেক্টর মোঃ জাকির শিকদারের হাতে ওই পুরস্কারের সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন বিএমপি কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খন্দকার শামীম হোসেনসহ বিএমপি'র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মে মাসে সর্বোচ্চ পরিমাণে মাদক উদ্ধার, সর্বোচ্চ সংখ্যক ওয়ারেন্টি আসামি গ্রেফতার এবং হারানো মোবাইল উদ্ধারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে ৩টি আলাদা সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয় এয়ারপোর্ট থানাকে।
একসঙ্গে ৩টি পুরস্কার লাভের অনন্য গৌরব অর্জনের পরে বিএমপি'র এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাকির শিকদার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, 'বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী ও গবেষক জোনাস সাল্ক বলেছিলেন- "ভালো কাজ করার জন্য পুরস্কার হলো আরও ভালো কিছু করার সুযোগ।" ভালো কাজে পুরস্কার পেলে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি বেড়ে যায় এগিয়ে চলার প্রবণতা। এয়ারপোর্ট থানাধীন সকল সুনাগরিকদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই বহুদূর। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনে বরিশালের সেরা জনসেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই এয়ারপোর্ট থানাকে।'
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) নিষ্ঠা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে ৩টি আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ স্টেশন এয়ারপোর্ট থানা। মাদক উদ্ধার, গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি আটক এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে হারানো মোবাইল উদ্ধারে অনন্য সফলতা অর্জন করায় এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কৃত করা হয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) মাসিক অপরাধ দমন ও পর্যালোচনা সভায় এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ওসি ইন্সপেক্টর মোঃ জাকির শিকদারের হাতে ওই পুরস্কারের সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন বিএমপি কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খন্দকার শামীম হোসেনসহ বিএমপি'র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মে মাসে সর্বোচ্চ পরিমাণে মাদক উদ্ধার, সর্বোচ্চ সংখ্যক ওয়ারেন্টি আসামি গ্রেফতার এবং হারানো মোবাইল উদ্ধারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে ৩টি আলাদা সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয় এয়ারপোর্ট থানাকে।
একসঙ্গে ৩টি পুরস্কার লাভের অনন্য গৌরব অর্জনের পরে বিএমপি'র এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাকির শিকদার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, 'বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী ও গবেষক জোনাস সাল্ক বলেছিলেন- "ভালো কাজ করার জন্য পুরস্কার হলো আরও ভালো কিছু করার সুযোগ।" ভালো কাজে পুরস্কার পেলে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি বেড়ে যায় এগিয়ে চলার প্রবণতা। এয়ারপোর্ট থানাধীন সকল সুনাগরিকদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই বহুদূর। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনে বরিশালের সেরা জনসেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই এয়ারপোর্ট থানাকে।'
২১ জুন, ২০২৫ ০৬:২২
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলা কমিটিতে পদ স্থগিত থাকা যুগ্ম সদস্য সচিব মো. মারযুক আব্দুল্লাহসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পটুয়াখালীর দুমকি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৬ জুন মামলাটি করেন। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের ঘটনা উল্লেখ করে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগে ২২ মে মারজুকের পদ স্থগিত হয়।
দুমকি থানায় মামলা সূত্রে জানা যায়, বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় ৬ জুন তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল কিছু দূরত্ব বজায় রেখে চলছিল। চেকপোস্টের কাছাকাছি পৌঁছালে সামনের মোটরসাইকেল চেকপোস্টে রেখে আরোহী তিনজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।
এ সময় শিপন ও মামুন নামে দু’জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, একটি ওয়াকিটকি, একটি ইলেকট্রিক শক ডিভাইস, একটি মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক ওই দু’জন জানায়, ‘পালানো তরুণের নামক মারযুক আবদুল্লাহ। তারা পেশাদার ডাকাত চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়।’
এ বিষয়ে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন শুক্রবার রাতে বলেন, আটক দু’জনকে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক মারযুক আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষযে জানতে চাইলে মারযুক আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাংবাদিকরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। দুমকি পুলিশের সঙ্গে আমার মীমাংসা হয়ে গেছে।’
উল্লেখ, জুলাই আন্দোলনের সময়ে হামলার শিকার দাবি করে ৯ মে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন মারযুক। ১৪ দলের সমম্বয়ক আমির হোসেন আমুসহ বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও জনপ্রনিধিসহ ২৪৭ জনকে আসামি করা হয়। ৯ মাস আগের ঘটনা দেখিযে প্রশ্নবিদ্ধ মামলা এবং এ নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠায় তার পদ স্থগিত করেছে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলা কমিটিতে পদ স্থগিত থাকা যুগ্ম সদস্য সচিব মো. মারযুক আব্দুল্লাহসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পটুয়াখালীর দুমকি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৬ জুন মামলাটি করেন। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের ঘটনা উল্লেখ করে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগে ২২ মে মারজুকের পদ স্থগিত হয়।
দুমকি থানায় মামলা সূত্রে জানা যায়, বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় ৬ জুন তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল কিছু দূরত্ব বজায় রেখে চলছিল। চেকপোস্টের কাছাকাছি পৌঁছালে সামনের মোটরসাইকেল চেকপোস্টে রেখে আরোহী তিনজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।
এ সময় শিপন ও মামুন নামে দু’জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, একটি ওয়াকিটকি, একটি ইলেকট্রিক শক ডিভাইস, একটি মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক ওই দু’জন জানায়, ‘পালানো তরুণের নামক মারযুক আবদুল্লাহ। তারা পেশাদার ডাকাত চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়।’
এ বিষয়ে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন শুক্রবার রাতে বলেন, আটক দু’জনকে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক মারযুক আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষযে জানতে চাইলে মারযুক আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাংবাদিকরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। দুমকি পুলিশের সঙ্গে আমার মীমাংসা হয়ে গেছে।’
উল্লেখ, জুলাই আন্দোলনের সময়ে হামলার শিকার দাবি করে ৯ মে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন মারযুক। ১৪ দলের সমম্বয়ক আমির হোসেন আমুসহ বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও জনপ্রনিধিসহ ২৪৭ জনকে আসামি করা হয়। ৯ মাস আগের ঘটনা দেখিযে প্রশ্নবিদ্ধ মামলা এবং এ নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠায় তার পদ স্থগিত করেছে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
২০ জুন, ২০২৫ ২০:০৯
বরিশালের বাবুগঞ্জে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উপজেলা হলরুমে ইউএনডিপি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়ে) প্রকল্পের আওতায় ওই সমন্বয় সভার আয়োজন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং। বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, দেহেরগতি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আহসান খান হিমু প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী মোহাম্মদ পারভেজ। এসময় গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ এবং সংশোধিত ২০১৩ ও ২০২৪-এর আলোকে প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণকে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সমন্বয় সভায় উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার বিশেষ অতিথি ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না বলেন, 'স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে পরিচালিত ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরাসরি বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করে গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। সেখানে গ্রাম আদালত কার্যক্রম শক্তিশালী করা গেলে আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়ে স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা এদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রধান অন্তরায়। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে জমিজমার বিরোধ নিষ্পত্তি ও ছোটখাটো স্থানীয় ফৌজদারি অপরাধের বিচার করা গেলে সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজতর হবে।'
সমন্বয় সভার সভাপতি বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'গ্রাম আদালত সচল থাকলে স্থানীয় পর্যায়ে অনেক বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব। এতে থানায় এবং আদালতে মামলার চাপ কমবে। এর পাশাপাশি মানুষ হয়রানি এবং অর্থনাশ থেকে রেহাই পাবে। ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সক্রিয় থাকলে এর সুফল পাবে সাধারণ মানুষ। গ্রামের দরিদ্র অসহায় মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাওয়ার যে আইনি সুযোগ রয়েছে সেটা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। গ্রাম আদালত কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি সকল অংশীজন এবং সুনাগরিকদের ভূমিকা পালন আবশ্যক।'
বরিশালের বাবুগঞ্জে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উপজেলা হলরুমে ইউএনডিপি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়ে) প্রকল্পের আওতায় ওই সমন্বয় সভার আয়োজন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং। বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, দেহেরগতি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আহসান খান হিমু প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী মোহাম্মদ পারভেজ। এসময় গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ এবং সংশোধিত ২০১৩ ও ২০২৪-এর আলোকে প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণকে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সমন্বয় সভায় উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার বিশেষ অতিথি ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না বলেন, 'স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে পরিচালিত ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরাসরি বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করে গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। সেখানে গ্রাম আদালত কার্যক্রম শক্তিশালী করা গেলে আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়ে স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা এদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রধান অন্তরায়। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে জমিজমার বিরোধ নিষ্পত্তি ও ছোটখাটো স্থানীয় ফৌজদারি অপরাধের বিচার করা গেলে সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজতর হবে।'
সমন্বয় সভার সভাপতি বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'গ্রাম আদালত সচল থাকলে স্থানীয় পর্যায়ে অনেক বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব। এতে থানায় এবং আদালতে মামলার চাপ কমবে। এর পাশাপাশি মানুষ হয়রানি এবং অর্থনাশ থেকে রেহাই পাবে। ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সক্রিয় থাকলে এর সুফল পাবে সাধারণ মানুষ। গ্রামের দরিদ্র অসহায় মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাওয়ার যে আইনি সুযোগ রয়েছে সেটা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। গ্রাম আদালত কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি সকল অংশীজন এবং সুনাগরিকদের ভূমিকা পালন আবশ্যক।'
২০ জুন, ২০২৫ ১৫:২৫
গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল সদর উপজেলা শাখার সভাপতিকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এ বিষয়ে তাকে চিঠি দেওয়া হয়। বিষয়টি গণঅধিকার পরিষদ বরিশাল জেলা শাখার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর নিশ্চিত করেন।
দলের জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, বরিশাল সদর উপজেলার সভাপতি মো. সবুজ হাওলাদারকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলের সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়ার কথা চিঠিতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, দলের বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্তে তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হল।’
গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল সদর উপজেলা শাখার সভাপতিকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এ বিষয়ে তাকে চিঠি দেওয়া হয়। বিষয়টি গণঅধিকার পরিষদ বরিশাল জেলা শাখার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর নিশ্চিত করেন।
দলের জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, বরিশাল সদর উপজেলার সভাপতি মো. সবুজ হাওলাদারকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলের সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়ার কথা চিঠিতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, দলের বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্তে তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হল।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.