পটুয়াখালী

কলাপাড়ায় নৌবাহিনীর ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ওষুধ বিতরণ

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

০৩ জুন, ২০২৫ ০৮:৪৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

কলাপাড়ায় নৌবাহিনীর ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ওষুধ বিতরণ

নেভি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (এনটিডিসি)-এর তত্ত্বাবধানে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে নৌবাহিনীর অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল সাধারণ রোগ নির্ণয়, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ এবং বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করেন।

চিকিৎসা নিতে আসা স্থানীয় সফুরা বেগম (৭০) বলেন, ‘আমার শরীরটা মাঝেমাঝে খুব খারাপ হয়। কিন্তু দূরে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া কষ্টকর। আজকে ঘরের কাছে ডাক্তার পেয়ে অনেক উপকার হয়েছে।’

রেজাউল নামে একজন যুবক বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ, টাকার অভাবে অনেক সময় ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয় না। নৌবাহিনীর এই উদ্যোগ খুবই ভালো। তারা যেন বারবার এসে এমন ক্যাম্প করে।’

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও নৌবাহিনীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘উপকূলীয় এই অঞ্চলে অনেকেই ন্যূনতম চিকিৎসা সেবার সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই ক্যাম্প মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে। নৌবাহিনীর এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরা চাই অন্তত তিনমাস পরপর এমন ক্যাম্পের আয়োজন করা হোক।’

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জানায়, ক্যাম্পে আগতরা পেটের সমস্যা, চোখ ও ত্বকের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, বাতজ্বরসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। দেশের দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় অসহায় ও দরিদ্র জনগণের জন্য তারা নিয়মিতভাবে এ ধরনের চিকিৎসা ক্যাম্প আয়োজন করে থাকেন। ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

নৌবাহিনীর এমন মানবিক উদ্যোগ শুধু চিকিৎসাসেবা নয় বরং রাষ্ট্রের প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন উপকৃত হচ্ছে স্থানীয় মানুষ, অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও সাধারণ মানুষের মাঝে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হচ্ছে।

বাউফলে‍ মুদি দোকানের আড়ালে মাদক বিক্রি, যৌথ বাহিনীর হাতে ধরা

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

০৪ জুন, ২০২৫ ১২:১২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাউফলে‍ মুদি দোকানের আড়ালে মাদক বিক্রি, যৌথ বাহিনীর হাতে ধরা

পটুয়াখালীর বাউফলে মুদি দোকানের আড়ালে গাঁজা বিক্রির অভিযোগে সোহরাব ফকির (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে উপজেলার কালিশুরি ইউনিয়নের সিংহেরাকাঠি গ্রামে সেনাবাহিনীর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে তার নিজ দোকান থেকে আটক করে।

আটক সোহরাব ওই গ্রামের মো. লেদু ফকিরের ছেলে। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা যৌথভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তার বসতঘরে অভিযান চালায়, সেখান থেকেই গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া সোহরাব ফকির আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন। এর আগেও একাধিকবার মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

এলাকায় তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ থাকলেও এবারই প্রথম সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে হাতে-নাতে ধরা পড়েন তিনি। বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালিয়ে সোহরাব ফকিরকে আটক করা হয়েছে। তার ঘর থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

বাউফলে‍ মুদি দোকানের আড়ালে মাদক বিক্রি, যৌথ বাহিনীর হাতে ধরা

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

০৪ জুন, ২০২৫ ১০:৪৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

 পটুয়াখালীতে লাম্পি স্কিন রোগ নিয়ে মহাবিপদে খামারিরা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গরুর লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি) দেখা দিয়েছে। গত তিন মাসে এ রোগে শতাধিক গরু মারা গেছে। প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক গরুকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। কোরবানির ঈদের আগে গরুর অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত কৃষক ও খামারিরা। এতে মহাবিপদে পড়েছেন তারা।

প্রাণী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গরুর লাম্পি স্কিন একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। এই রোগে আক্রান্ত হলে গরুর শরীরে প্রথমে জ্বর আসে। গরুর খাবারের রুচি কমে যায়।

জ্বর বেশি হলে নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়। গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ায় গুটি গুটি ক্ষত হয় এবং পচন ধরে। সে সঙ্গে চামড়া থেকে লোম উঠে যায়। এই রোগে আক্রান্ত পশু সুস্থ হতে প্রায় এক মাস সময় লাগে। গরুর চেয়ে বাছুর আক্রান্ত হলে দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই বাছুর গরুর মৃত্যুঝুঁকিও বেশি থাকে।

সরকারি সহায়তা ও প্রতিষেধক না থাকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উপজেলার খামারিসহ প্রান্তিক কৃষকরা। এ ছাড়া চলমান পরিস্থিতিতে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া লাম্পি স্কিনের চিকিৎসাসেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন মাস ধরে উপজেলায় লাম্পি স্কিন প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গরুর চিকিৎসা করাতে আসা টিয়াখালীর ইটবাড়িয়া গ্রামের শাহানারা বেগম জানান, তার গোয়ালে অন্তত ১৮টি গরু আছে।

এর মধ্যে তিনটি আক্রান্ত হয়েছে। একটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজে গত সোমবার হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, এই গরুটির কষ্ট দেখে গত সাত দিনে আমি রাতে ঘুমাতে পারছি না। মানুষ হলে হয়তো মুখে বলে বোঝাতে পারত। সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ না পেয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন এই খামারি।

কুয়াকাটা থেকে আসা রাকিবুল একটি বাছুর গরুর মাথায় পানি ঢালছিলেন। তিনি জানান, প্রচণ্ড জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে তার গরুর শরীর। ১৯টি গরুর মধ্যে বেশ কয়েকটি আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে নিয়ে আসা বাছুরটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে মাথায় পানি দিয়ে শরীর ঠান্ডা করতে ব্যস্ত তিনি। তার গোয়ালে আক্রান্ত পশুগুলোর একেকটির ওষুধ কিনতে প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

নীলগঞ্জ থেকে দুটি গরু নিয়ে আসা মুসা হাওলাদার বলেন, এখানে ডাক্তাররা চিকিৎসাসেবায় কোনো ঘাটতি রাখছেন না। তবে ৩০০ টাকা করে প্রতি ডোজ ওষুধ বাইরের দোকান থেকে কিনতে হচ্ছে। তাই সরকারিভাবে এ রোগের ওষুধ সরবরাহের দাবি করছি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মারুফ বিল্লাহ বলেন, দেশে গবাদিপশুর জন্য এই লাম্পি ডিজিজ একটি প্রাণঘাতী সংক্রমক ভাইরাস, যা মশা, মাছির মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চলমান পরিস্থিতিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের বিশ্রামের সময়ও থাকছে না। চাষিরা তাদের যত্নে লালিত পশু নিয়ে এসে অনেক সময় কান্নাও জুড়ে দেন। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক পশুর চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

মারুফ বিল্লাহ বলেন, এই রোগের ভ্যাকসিন বা ওষুধ দেশে উৎপাদন হচ্ছে না। তাই চাষিদের বাড়তি মূল্যে কিনে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া এই রোগে আক্রান্ত শতকরা ১২ শতাংশ গরুর মৃত্যু হয়। যেহেতু এটি সংক্রামক জাতীয় একটি প্রাণঘাতী ভাইরাস এবং স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তাই খামারিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

কুয়াকাটায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

০৪ জুন, ২০২৫ ০৭:১২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

কুয়াকাটায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

"প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়"এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুয়াকাটায় নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। আজ বুধবার সকল ১০ টায় কুয়াকাটা পৌরসভা এবং বেসরকারী সংস্থা ব্র্যাকের যৌথ আয়োজনে একটি র্্যালী বের করা হয়। র্্যালীটি কুয়াকাটা মহসড়ক হয়ে সৈকতে গিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করেন কুয়াকাটা পৌরসভায় এসে শেষ হয়।

পরে কুয়াকাটা পৌরসভা চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক মোঃ ইয়াসীন সাদেক । কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলোচনা সভা ও স্কুল শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর মাঝে বিভিন্ন প্রজাতির ৫ হাজার ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান,সহকারী শিক্ষক মাঈনুল ইসলাম মান্নান,কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমিরসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.