
১৯ জুলাই, ২০২৫ ১৬:৪২
ঢাকায় সমাবেশে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতা আবু সাঈদ নিহত হয়েছেন। নিহত সাঈদ খুলনার দাকোপ উপজেলা জামায়াতের আমির।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত ৩টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের বহরে রয়েল পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম।
সফরসঙ্গী সূত্রে জানা যায়, শনিবার জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশে আবু সাঈদের নেতৃত্বে খুলনার দাকোপ উপজেলা থেকে চারটি বাসে তারা রওনা হন।
রাত ৩টার দিকে ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মুখে হাইওয়ে থানার সামনে সবকটি বাস পার্কিং করে বিরতি নেন। অনেকে বাস থেকে নেমে চা খেতে দোকানে যায় এবং আমিরসহ সাত-আটজন বাসের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকেন।
হঠাৎ খুলনা থেকে ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পেছনের তিন নম্বর বাসকে ধাক্কা দেয়। এতে ১ নম্বর বাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আবু সাঈদ পড়ে গিয়ে নিহত হন।
দাঁড়িয়ে থাকা সাত আট জনসহ বাসের ভেতরে থাকা অনেকে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি রাকিবুজ্জামান বলেন, আমার থানার সামনে এমন ঘটনা ঘটেছে আমার জানা নেই। আমি ছুটিতে রয়েছি।
খুলনা দাকোপ থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, জামায়াত ইসলামের সম্মেলনে যাওয়ার পথে ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কয়েকজন আহতের খবর শুনেছি। উপজেলা আমির আবু সাঈদ স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করেন।
ঢাকায় সমাবেশে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতা আবু সাঈদ নিহত হয়েছেন। নিহত সাঈদ খুলনার দাকোপ উপজেলা জামায়াতের আমির।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত ৩টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের বহরে রয়েল পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম।
সফরসঙ্গী সূত্রে জানা যায়, শনিবার জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশে আবু সাঈদের নেতৃত্বে খুলনার দাকোপ উপজেলা থেকে চারটি বাসে তারা রওনা হন।
রাত ৩টার দিকে ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মুখে হাইওয়ে থানার সামনে সবকটি বাস পার্কিং করে বিরতি নেন। অনেকে বাস থেকে নেমে চা খেতে দোকানে যায় এবং আমিরসহ সাত-আটজন বাসের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকেন।
হঠাৎ খুলনা থেকে ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পেছনের তিন নম্বর বাসকে ধাক্কা দেয়। এতে ১ নম্বর বাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আবু সাঈদ পড়ে গিয়ে নিহত হন।
দাঁড়িয়ে থাকা সাত আট জনসহ বাসের ভেতরে থাকা অনেকে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি রাকিবুজ্জামান বলেন, আমার থানার সামনে এমন ঘটনা ঘটেছে আমার জানা নেই। আমি ছুটিতে রয়েছি।
খুলনা দাকোপ থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, জামায়াত ইসলামের সম্মেলনে যাওয়ার পথে ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কয়েকজন আহতের খবর শুনেছি। উপজেলা আমির আবু সাঈদ স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করেন।

২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ছেলের অটোরিকশায় চড়ে ওষুধ আনতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মাসুমা বেগম (৪২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কসবা-নয়নপুর আঞ্চলিক সড়কের আকছিনা এলাকায়। নিহত মাসুমা বেগম হরিপুর গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাসুমা বেগম ছেলের চালানো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় কসবা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। আকছিনা এলাকায় পৌঁছলে পেছন দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ট্রাক অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। তাই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ঘাতক ট্রাক নিয়ে চালক পালিয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ছেলের অটোরিকশায় চড়ে ওষুধ আনতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মাসুমা বেগম (৪২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কসবা-নয়নপুর আঞ্চলিক সড়কের আকছিনা এলাকায়। নিহত মাসুমা বেগম হরিপুর গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাসুমা বেগম ছেলের চালানো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় কসবা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। আকছিনা এলাকায় পৌঁছলে পেছন দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ট্রাক অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। তাই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ঘাতক ট্রাক নিয়ে চালক পালিয়ে গেছে।

২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৫৮
বিয়ে শেষে নববধূসহ বরযাত্রী নিয়ে নৌকাযোগে বাড়ি ফেরার পথে যমুনা নদীর মাঝপথে ঘন কুয়াশায় দিক হারিয়ে সারা রাত আটকে থাকে একটি বরযাত্রীবাহী নৌকা। পরে অন্য একটি নৌকার সহায়তায় শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে নিরাপদে ঘাটের দিকে রওনা হয় নৌকাটি।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৬ টার দিকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কলীতলা ঘাট থেকে জমথল ঘাটের উদ্দেশ্যে নৌকাটি ছেড়ে আসে। যমুনা নদীর মাঝামাঝি পৌঁছানোর পর হঠাৎ ঘন কুয়াশায় চারদিক ঢেকে যায়। এতে নৌকার চালক দিক নির্ণয় করতে না পেরে নদীর মাঝেই নৌকাটি থামিয়ে রাখতে বাধ্য হন।
আটকা পড়া বরযাত্রীরা সবাই জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার তাতাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,'তাতাপাড়া এলাকার সানোয়ার হোসেনের ছেলে নিলয় হাসান ছানির (২০) বিয়ে উপলক্ষে শুক্রবার সকালে ৪৭ জন বরযাত্রী বগুড়া শহরের সাবগ্রাম চারমাথা এলাকায় যান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বর-কনেসহ সবাই সড়কযোগে বগুড়া থেকে সারিয়াকান্দি কালিতলা ঘাট পর্যন্ত আসেন। পরে নৌকাযোগে বাড়ি ফেরার পথে যমুনা নদী পাড়ি দিতে গিয়ে ঘন কুয়াশায় আটকা পড়ে বর-কনে ও বরযাত্রীবাহী নৌকাটি।
এসময়ে বরযাত্রীরা মোবাইল ফোনে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের চেষ্টা করলেও রাতের ঘন কুয়াশার কারণে তাৎক্ষণিক কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। ফলে নবদম্পতিসহ সবাই সারা রাত নৌকার মধ্যেই অবস্থান করতে বাধ্য হন।
বর নিলয় হাসান ছানি মুঠোফোনের বলেন, 'ঘন কুয়াশায় নদীতে দিক হারিয়ে ফেলি। সারা রাত যমুনার মাঝেই আটকে ছিলাম। শনিবার সকালে পাশ দিয়ে যাওয়া একটি নৌকার সহায়তায় আবার জমথল ঘাটের দিকে রওনা হতে পেরেছি।'
বিয়ে শেষে নববধূসহ বরযাত্রী নিয়ে নৌকাযোগে বাড়ি ফেরার পথে যমুনা নদীর মাঝপথে ঘন কুয়াশায় দিক হারিয়ে সারা রাত আটকে থাকে একটি বরযাত্রীবাহী নৌকা। পরে অন্য একটি নৌকার সহায়তায় শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে নিরাপদে ঘাটের দিকে রওনা হয় নৌকাটি।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৬ টার দিকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কলীতলা ঘাট থেকে জমথল ঘাটের উদ্দেশ্যে নৌকাটি ছেড়ে আসে। যমুনা নদীর মাঝামাঝি পৌঁছানোর পর হঠাৎ ঘন কুয়াশায় চারদিক ঢেকে যায়। এতে নৌকার চালক দিক নির্ণয় করতে না পেরে নদীর মাঝেই নৌকাটি থামিয়ে রাখতে বাধ্য হন।
আটকা পড়া বরযাত্রীরা সবাই জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার তাতাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,'তাতাপাড়া এলাকার সানোয়ার হোসেনের ছেলে নিলয় হাসান ছানির (২০) বিয়ে উপলক্ষে শুক্রবার সকালে ৪৭ জন বরযাত্রী বগুড়া শহরের সাবগ্রাম চারমাথা এলাকায় যান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বর-কনেসহ সবাই সড়কযোগে বগুড়া থেকে সারিয়াকান্দি কালিতলা ঘাট পর্যন্ত আসেন। পরে নৌকাযোগে বাড়ি ফেরার পথে যমুনা নদী পাড়ি দিতে গিয়ে ঘন কুয়াশায় আটকা পড়ে বর-কনে ও বরযাত্রীবাহী নৌকাটি।
এসময়ে বরযাত্রীরা মোবাইল ফোনে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের চেষ্টা করলেও রাতের ঘন কুয়াশার কারণে তাৎক্ষণিক কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। ফলে নবদম্পতিসহ সবাই সারা রাত নৌকার মধ্যেই অবস্থান করতে বাধ্য হন।
বর নিলয় হাসান ছানি মুঠোফোনের বলেন, 'ঘন কুয়াশায় নদীতে দিক হারিয়ে ফেলি। সারা রাত যমুনার মাঝেই আটকে ছিলাম। শনিবার সকালে পাশ দিয়ে যাওয়া একটি নৌকার সহায়তায় আবার জমথল ঘাটের দিকে রওনা হতে পেরেছি।'

২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৮
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় বালুভর্তি বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজ দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছেন ডুবুরি দলের সদস্যরা। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বাল্কহেডের ডেকের ভেতরে আটকে থাকা দুজনের লাশ উদ্বার করেন। একই দিন ভোরে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি বেসরকারি ডগ ইয়ার্ডের ঘাটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে নৌপুলিশের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বরিশাল থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন-১৬ যাত্রীবাহী লঞ্চ বুড়িগঙ্গা নদীর ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ এলাকায় এসে একটি বেসরকারি ঘাটের পাশে নোঙর করে রাখা বালুভর্তি বাল্কহেডকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটির অর্ধেক অংশ পানির নিচে তলিয়ে যায়।
তিনি জানান, নোঙর করে রাখা বাল্কহেডের ডেকের কেবিনের ভেতরে পাঁচজন শ্রমিক ঘুমিয়েছিলেন। তারা নদীতে ঝাঁপ দেন। তাদের মধ্য থেকে ৩ শ্রমিক তীরে উঠলেও দুজনের কোনো সন্ধান মিলছিল না।
নিহতরা হলেন- পটুয়াখালী বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম শাকিল (২৫), ঝালকাঠি রাজাপুরের মোহাম্মদ হাসান (২০)।
এদিকে বিকাল ৩টার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর ডুবুরিদের সঙ্গে এসে যোগ দেন স্থানীয় বেসরকারি তিন ডুবুরি দলের সদস্য। তারা ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের ভেতরে ঢুকে একে একে জহিরুল ও হাসানের লাশ উদ্ধার করেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম ফয়েজ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, দুর্ঘটনায় নিখোঁজ দুজনের লাশ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উদ্ধারের পর নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী লঞ্চটি আটক করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় বালুভর্তি বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজ দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছেন ডুবুরি দলের সদস্যরা। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বাল্কহেডের ডেকের ভেতরে আটকে থাকা দুজনের লাশ উদ্বার করেন। একই দিন ভোরে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি বেসরকারি ডগ ইয়ার্ডের ঘাটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে নৌপুলিশের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বরিশাল থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন-১৬ যাত্রীবাহী লঞ্চ বুড়িগঙ্গা নদীর ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ এলাকায় এসে একটি বেসরকারি ঘাটের পাশে নোঙর করে রাখা বালুভর্তি বাল্কহেডকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটির অর্ধেক অংশ পানির নিচে তলিয়ে যায়।
তিনি জানান, নোঙর করে রাখা বাল্কহেডের ডেকের কেবিনের ভেতরে পাঁচজন শ্রমিক ঘুমিয়েছিলেন। তারা নদীতে ঝাঁপ দেন। তাদের মধ্য থেকে ৩ শ্রমিক তীরে উঠলেও দুজনের কোনো সন্ধান মিলছিল না।
নিহতরা হলেন- পটুয়াখালী বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম শাকিল (২৫), ঝালকাঠি রাজাপুরের মোহাম্মদ হাসান (২০)।
এদিকে বিকাল ৩টার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর ডুবুরিদের সঙ্গে এসে যোগ দেন স্থানীয় বেসরকারি তিন ডুবুরি দলের সদস্য। তারা ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের ভেতরে ঢুকে একে একে জহিরুল ও হাসানের লাশ উদ্ধার করেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম ফয়েজ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, দুর্ঘটনায় নিখোঁজ দুজনের লাশ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উদ্ধারের পর নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী লঞ্চটি আটক করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩২
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:১৩
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৩
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৫৮