
২৫ জুন, ২০২৫ ২১:৫৪
সুদীর্ঘ ২৫ বছরেও সংস্কার হয়নি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ব্রিজ থেকে মুশুরিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক। ইট সলিং এ রাস্তাটি ভেঙে এখন গর্ত আর খানাখন্দে যেন এক মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। এমন ক্ষোভের কথা জানিয়ে ওই রাস্তা কার্পেটিং দ্বারা সংস্কারের দাবিতে উপজেলা পরিষদের সামনে বুধবার মানববন্ধন এবং ইউএনও'র কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।
মাধবপাশা ইউপি সদস্য রেখা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধন কর্মসূচিতে গ্রামবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন মান্নান হাওলাদার, জাকির তালুকদার, পলাশ হাওলাদার, কবির খান, রিয়াজ হোসেন, ফরিদ মাঝি, সবুজ ফরাজি, এনায়েত খান, সুমন হাওলাদার, জামাল খান, মামুন হাওলাদার, নজরুল খান, এরশাদ ইমাম প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, 'বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের মাধবপাশা ব্রিজের বাদলা খেয়াঘাট থেকে মুশুরিয়া আলীম মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কটি বিগত ১৯৯৮-৯৯ সালে সর্বশেষ ইট সলিং করা হয়। এরপরে এই রাস্তার আর কোনো সংস্কার হয়নি। রাস্তা ভেঙে গর্ত আর খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এ রাস্তায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন। অথচ দীর্ঘ ২৫ বছরেও রাস্তার কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। বিভিন্ন সরকারের আমলে রাস্তাটি কার্পেটিং করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিলেও অদ্যাবধি তা বাস্তবায়ন হয়নি।'
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'গ্রামীণ সড়কগুলো সাধারণত ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে থাকাকালে মাটি দিয়ে উন্নীত করা হয়। এরপরে ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা উপজেলা পরিষদের প্রকল্পের মাধ্যমে ইট সলিং করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের ক্ষমতা ইট সলিং করা কিংবা ক্ষুদ্র মেরামত পর্যন্ত। এরপরে সেই রাস্তার পরিচিতি (আইডি) নম্বরসহ কার্পেটিংয়ের জন্য চলে যায় এলজিইডির কাছে। এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর মাধ্যমে অনুমোদনের পরে অর্থবরাদ্দ হয়ে কাজ বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদার নিয়োগে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে এলজিইডি।'
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কাজী এমামুল হক আলীম বলেন, 'মাধবপাশা ব্রিজ থেকে মুশুরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় ৪.৫১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ওই এইচবিবি (ইট সলিং) ভাঙা সড়কটি কার্পেটিং দ্বারা উন্নীতকরণের জন্য বিগত ২০২৪ সালের জুলাই মাসে চাহিদার এক নম্বর তালিকায় রেখে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশাকরছি আগামী অর্থবছরে এ রাস্তাটি অনুমোদন হবে এবং কাজ বাস্তবায়নের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যাবে।'
বাবুগঞ্জে সড়ক কার্পেটিং দ্বারা সংস্কারের দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন ও স্মারকলিপি।
সুদীর্ঘ ২৫ বছরেও সংস্কার হয়নি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ব্রিজ থেকে মুশুরিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক। ইট সলিং এ রাস্তাটি ভেঙে এখন গর্ত আর খানাখন্দে যেন এক মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। এমন ক্ষোভের কথা জানিয়ে ওই রাস্তা কার্পেটিং দ্বারা সংস্কারের দাবিতে উপজেলা পরিষদের সামনে বুধবার মানববন্ধন এবং ইউএনও'র কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।
মাধবপাশা ইউপি সদস্য রেখা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধন কর্মসূচিতে গ্রামবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন মান্নান হাওলাদার, জাকির তালুকদার, পলাশ হাওলাদার, কবির খান, রিয়াজ হোসেন, ফরিদ মাঝি, সবুজ ফরাজি, এনায়েত খান, সুমন হাওলাদার, জামাল খান, মামুন হাওলাদার, নজরুল খান, এরশাদ ইমাম প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, 'বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের মাধবপাশা ব্রিজের বাদলা খেয়াঘাট থেকে মুশুরিয়া আলীম মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কটি বিগত ১৯৯৮-৯৯ সালে সর্বশেষ ইট সলিং করা হয়। এরপরে এই রাস্তার আর কোনো সংস্কার হয়নি। রাস্তা ভেঙে গর্ত আর খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এ রাস্তায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন। অথচ দীর্ঘ ২৫ বছরেও রাস্তার কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। বিভিন্ন সরকারের আমলে রাস্তাটি কার্পেটিং করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিলেও অদ্যাবধি তা বাস্তবায়ন হয়নি।'
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'গ্রামীণ সড়কগুলো সাধারণত ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে থাকাকালে মাটি দিয়ে উন্নীত করা হয়। এরপরে ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা উপজেলা পরিষদের প্রকল্পের মাধ্যমে ইট সলিং করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের ক্ষমতা ইট সলিং করা কিংবা ক্ষুদ্র মেরামত পর্যন্ত। এরপরে সেই রাস্তার পরিচিতি (আইডি) নম্বরসহ কার্পেটিংয়ের জন্য চলে যায় এলজিইডির কাছে। এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর মাধ্যমে অনুমোদনের পরে অর্থবরাদ্দ হয়ে কাজ বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদার নিয়োগে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে এলজিইডি।'
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কাজী এমামুল হক আলীম বলেন, 'মাধবপাশা ব্রিজ থেকে মুশুরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় ৪.৫১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ওই এইচবিবি (ইট সলিং) ভাঙা সড়কটি কার্পেটিং দ্বারা উন্নীতকরণের জন্য বিগত ২০২৪ সালের জুলাই মাসে চাহিদার এক নম্বর তালিকায় রেখে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশাকরছি আগামী অর্থবছরে এ রাস্তাটি অনুমোদন হবে এবং কাজ বাস্তবায়নের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যাবে।'
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:০০
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৪
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:২২
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৫

২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:২২
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে মাঝরাতে দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনার পর ঝালকাঠিতে অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে একটি লঞ্চ জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালে নোঙর করলে বরিশাল নৌ-পুলিশ ও ঝালকাঠি থানা-পুলিশ যৌথভাবে লঞ্চটি জব্দ করে।
বরিশাল নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বলেন, ‘চাঁদপুরে সংঘটিত দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে লঞ্চটি ঝালকাঠিতে পৌঁছলে সেটি জব্দ করা হয়। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেন, ‘লঞ্চটি ঝালকাঠিতে নোঙর করার পর সারেং, সুকানি, সুপারভাইজার ও ইঞ্জিনচালক পালিয়ে যান। পরে চারজন কেবিন বয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে ভোলা থেকে ঢাকাগামী জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সঙ্গে ঢাকা-বরিশাল রুটের অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজনসহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ১৫ জন যাত্রী।
সদরঘাট নৌ থানার ওসি সোহাগ রানা বলেন, ‘লঞ্চ দুর্ঘটনায় একজন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকায় নেওয়ার পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়ায়। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত ও এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে মাঝরাতে দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনার পর ঝালকাঠিতে অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে একটি লঞ্চ জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালে নোঙর করলে বরিশাল নৌ-পুলিশ ও ঝালকাঠি থানা-পুলিশ যৌথভাবে লঞ্চটি জব্দ করে।
বরিশাল নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বলেন, ‘চাঁদপুরে সংঘটিত দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে লঞ্চটি ঝালকাঠিতে পৌঁছলে সেটি জব্দ করা হয়। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেন, ‘লঞ্চটি ঝালকাঠিতে নোঙর করার পর সারেং, সুকানি, সুপারভাইজার ও ইঞ্জিনচালক পালিয়ে যান। পরে চারজন কেবিন বয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে ভোলা থেকে ঢাকাগামী জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সঙ্গে ঢাকা-বরিশাল রুটের অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজনসহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ১৫ জন যাত্রী।
সদরঘাট নৌ থানার ওসি সোহাগ রানা বলেন, ‘লঞ্চ দুর্ঘটনায় একজন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকায় নেওয়ার পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়ায়। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত ও এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৮
মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। হতাহতরা সবাই এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের যাত্রী। আহত ও নিহতদের চাঁদপুর ঘাটে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ভোলার চরফ্যাশনের ঘোষেরহাট এলাকা থেকে ছেড়ে আসা এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সঙ্গে বরিশাল রুটের অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সংঘর্ষে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে চাঁদপুরের হরিণা এলাকার মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। আহতদের প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ থেকেই চাঁদপুর ঘাটে নেওয়া হয়েছে এবং পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি বরিশালের দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করছিল। হরিণা এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের মাঝামাঝি অংশে ধাক্কা দেয়।
এতে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং সংঘর্ষের সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। হতাহতরা সবাই এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের যাত্রী। আহত ও নিহতদের চাঁদপুর ঘাটে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ভোলার চরফ্যাশনের ঘোষেরহাট এলাকা থেকে ছেড়ে আসা এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সঙ্গে বরিশাল রুটের অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সংঘর্ষে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে চাঁদপুরের হরিণা এলাকার মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। আহতদের প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ থেকেই চাঁদপুর ঘাটে নেওয়া হয়েছে এবং পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি বরিশালের দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করছিল। হরিণা এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের মাঝামাঝি অংশে ধাক্কা দেয়।
এতে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং সংঘর্ষের সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৮
হঠাৎ করেই বরিশালে শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। ফলে জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বরিশালে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এবং বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আগামী কয়েকদিন এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের বেলুন মেকার মো. রাফি।
তিনি আরও জানান, এ বছর এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ডিসেম্বরের এই সময়ে এমন আবহাওয়া স্বাভাবিক। কোনো শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই।
এদিকে বরিশালের উপজেলাগুলোতে সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিলেছে। সকালে পুরো জেলা ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। চলতি শীত মৌসুমে জেলায় এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক কবির হোসেন বলেন, আজ শীত বেশি পড়ছে। ঠান্ডায় হাত-পা জড়ো হয়ে আসছে। শীতের তীব্রতায় গ্রামের হাটবাজার ও শহরে লোকসমাগম কমে গেছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচলও কম। যাত্রী তেমন একটা পাচ্ছি না। আরও দু-একদিন এমন অবস্থা চললে আয়-রোজগারের অভাবে সংসারে টান পড়বে। তবে ১০টার পর সূর্যের আলো দেখা গেলেও হালকা বাতাসে ঠান্ডা বেড়েছে।
বরিশাল নতুন বাজারের ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা মজিবুর বলেন, সকালে ঠান্ডা ও কুয়াশা থাকায় গ্রাম থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে দেরি হয়ে গেছে। তাই বেচাকেনা কমে গেছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় বরিশালের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জানান, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমে থাকে। এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
হঠাৎ করেই বরিশালে শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। ফলে জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বরিশালে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এবং বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আগামী কয়েকদিন এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের বেলুন মেকার মো. রাফি।
তিনি আরও জানান, এ বছর এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ডিসেম্বরের এই সময়ে এমন আবহাওয়া স্বাভাবিক। কোনো শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই।
এদিকে বরিশালের উপজেলাগুলোতে সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিলেছে। সকালে পুরো জেলা ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। চলতি শীত মৌসুমে জেলায় এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক কবির হোসেন বলেন, আজ শীত বেশি পড়ছে। ঠান্ডায় হাত-পা জড়ো হয়ে আসছে। শীতের তীব্রতায় গ্রামের হাটবাজার ও শহরে লোকসমাগম কমে গেছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচলও কম। যাত্রী তেমন একটা পাচ্ছি না। আরও দু-একদিন এমন অবস্থা চললে আয়-রোজগারের অভাবে সংসারে টান পড়বে। তবে ১০টার পর সূর্যের আলো দেখা গেলেও হালকা বাতাসে ঠান্ডা বেড়েছে।
বরিশাল নতুন বাজারের ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা মজিবুর বলেন, সকালে ঠান্ডা ও কুয়াশা থাকায় গ্রাম থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে দেরি হয়ে গেছে। তাই বেচাকেনা কমে গেছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় বরিশালের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জানান, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমে থাকে। এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.