
১৮ জুলাই, ২০২৫ ২১:৩৭
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম (চরমোনাই পির) বলেছেন, ‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনের কথা উঠলেই কেউ কেউ ভয় পায়। কারণ, এই পদ্ধতি চালু হলে চাঁদাবাজি, ভোট ডাকাতি, দলীয়করণ ও বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হয়ে যাবে। অথচ যারা এর বিরোধিতা করছে, তারা আজও যৌক্তিকভাবে কোনো অসুবিধা তুলে ধরতে পারেনি। যে নির্বাচন পদ্ধতির মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট, খুঁনি, চাঁদাবাজ তৈরি হয় এমন নির্বাচন বাংলাদেশে আমরা দেখতে চাই না।’
শুক্রবার (১৮ জুলাই) এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কার্যালয়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘জুলাই জাগরণ ও স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে ‘জুলাইয়ের শিক্ষা: নীরবতা মানে গোলামী’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদদের স্মরণে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা কে এম আতিকুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা ইমরান হোসাইন নূর, সুলতান মাহমুদ, ফয়জুল ইসলাম, মুহাম্মাদ আশিকুল ইসলাম, এস এম কামরুল ইসলাম, মাইমুন ইসলাম, ইউসুফ পিয়াস, শেখ মুহাম্মাদ মাহদী ইমাম, মুহাম্মাদ খাইরুল কবির, আবদুল আজিজ নোমান, এম ইব্রাহীম নাসরুল্লাহ এবং মুহাম্মাদ তুহিন মালিক প্রমুখ।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের কানে এখনো বাজে মুগ্ধের ‘পানি লাগবে পানি’। আবু সাঈদের মতো নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রকে যেভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি। মায়েদের বুক ফাটা কান্না আমরা সহ্য করতে পারিনি। এই নির্মমতা ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে একমাত্র আমরাই রাজনৈতিক দলের ব্যানারে মাঠে নেমেছিলাম।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমরা ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য সংগ্রাম করছি। রাষ্ট্র সংস্কার ও গণহত্যার বিচার চাই। কিন্তু একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যেন উন্মাদ হয়ে উঠেছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ‘পীর সাহেব চরমোনাই একটি যুগোপযোগী, বাস্তবসম্মত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গলকামী প্রস্তাব দিয়েছেন, দেশে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের। এই পদ্ধতি চালু হলে নির্বাচনী অনিয়ম, ভোট চুরি, চাঁদাবাজি এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অবসান ঘটবে ইনশাআল্লাহ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, কিছু দল এই পদ্ধতির বিরোধিতা করছে। কারণ তারা জানেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে তাদের অবৈধ আধিপত্য, দুর্নীতি ও অন্যায়ের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।’
এদিকে গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের অনুমতি বাতিলের দাবিতে শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ফরিদুল ইসলাম, মো. মাছউদুর রহমান, মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসাইন এবং ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিক্ষোভ মিছিলে মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবার এখনো যথাযথ ক্ষতিপূরণ পায়নি। আহতরা সুচিকিৎসার অভাবে এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায়, পরিবহন ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। রিকশা-ভ্যান অটো চাঁদা ছাড়া রাস্তায় চলতে পারে না। এমন দেশের জন্য ছাত্র-জনতা জীবনবাজি রেখে লড়াই করেনি।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম (চরমোনাই পির) বলেছেন, ‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনের কথা উঠলেই কেউ কেউ ভয় পায়। কারণ, এই পদ্ধতি চালু হলে চাঁদাবাজি, ভোট ডাকাতি, দলীয়করণ ও বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হয়ে যাবে। অথচ যারা এর বিরোধিতা করছে, তারা আজও যৌক্তিকভাবে কোনো অসুবিধা তুলে ধরতে পারেনি। যে নির্বাচন পদ্ধতির মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট, খুঁনি, চাঁদাবাজ তৈরি হয় এমন নির্বাচন বাংলাদেশে আমরা দেখতে চাই না।’
শুক্রবার (১৮ জুলাই) এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কার্যালয়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘জুলাই জাগরণ ও স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে ‘জুলাইয়ের শিক্ষা: নীরবতা মানে গোলামী’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদদের স্মরণে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা কে এম আতিকুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা ইমরান হোসাইন নূর, সুলতান মাহমুদ, ফয়জুল ইসলাম, মুহাম্মাদ আশিকুল ইসলাম, এস এম কামরুল ইসলাম, মাইমুন ইসলাম, ইউসুফ পিয়াস, শেখ মুহাম্মাদ মাহদী ইমাম, মুহাম্মাদ খাইরুল কবির, আবদুল আজিজ নোমান, এম ইব্রাহীম নাসরুল্লাহ এবং মুহাম্মাদ তুহিন মালিক প্রমুখ।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের কানে এখনো বাজে মুগ্ধের ‘পানি লাগবে পানি’। আবু সাঈদের মতো নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রকে যেভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি। মায়েদের বুক ফাটা কান্না আমরা সহ্য করতে পারিনি। এই নির্মমতা ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে একমাত্র আমরাই রাজনৈতিক দলের ব্যানারে মাঠে নেমেছিলাম।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমরা ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য সংগ্রাম করছি। রাষ্ট্র সংস্কার ও গণহত্যার বিচার চাই। কিন্তু একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যেন উন্মাদ হয়ে উঠেছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ‘পীর সাহেব চরমোনাই একটি যুগোপযোগী, বাস্তবসম্মত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গলকামী প্রস্তাব দিয়েছেন, দেশে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের। এই পদ্ধতি চালু হলে নির্বাচনী অনিয়ম, ভোট চুরি, চাঁদাবাজি এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অবসান ঘটবে ইনশাআল্লাহ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, কিছু দল এই পদ্ধতির বিরোধিতা করছে। কারণ তারা জানেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে তাদের অবৈধ আধিপত্য, দুর্নীতি ও অন্যায়ের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।’
এদিকে গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের অনুমতি বাতিলের দাবিতে শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ফরিদুল ইসলাম, মো. মাছউদুর রহমান, মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসাইন এবং ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিক্ষোভ মিছিলে মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবার এখনো যথাযথ ক্ষতিপূরণ পায়নি। আহতরা সুচিকিৎসার অভাবে এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায়, পরিবহন ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। রিকশা-ভ্যান অটো চাঁদা ছাড়া রাস্তায় চলতে পারে না। এমন দেশের জন্য ছাত্র-জনতা জীবনবাজি রেখে লড়াই করেনি।’
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩২
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:১৩
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৩
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৫৮

২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ছেলের অটোরিকশায় চড়ে ওষুধ আনতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মাসুমা বেগম (৪২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কসবা-নয়নপুর আঞ্চলিক সড়কের আকছিনা এলাকায়। নিহত মাসুমা বেগম হরিপুর গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাসুমা বেগম ছেলের চালানো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় কসবা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। আকছিনা এলাকায় পৌঁছলে পেছন দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ট্রাক অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। তাই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ঘাতক ট্রাক নিয়ে চালক পালিয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ছেলের অটোরিকশায় চড়ে ওষুধ আনতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মাসুমা বেগম (৪২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কসবা-নয়নপুর আঞ্চলিক সড়কের আকছিনা এলাকায়। নিহত মাসুমা বেগম হরিপুর গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাসুমা বেগম ছেলের চালানো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় কসবা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। আকছিনা এলাকায় পৌঁছলে পেছন দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ট্রাক অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। তাই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ঘাতক ট্রাক নিয়ে চালক পালিয়ে গেছে।

২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৫৮
বিয়ে শেষে নববধূসহ বরযাত্রী নিয়ে নৌকাযোগে বাড়ি ফেরার পথে যমুনা নদীর মাঝপথে ঘন কুয়াশায় দিক হারিয়ে সারা রাত আটকে থাকে একটি বরযাত্রীবাহী নৌকা। পরে অন্য একটি নৌকার সহায়তায় শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে নিরাপদে ঘাটের দিকে রওনা হয় নৌকাটি।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৬ টার দিকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কলীতলা ঘাট থেকে জমথল ঘাটের উদ্দেশ্যে নৌকাটি ছেড়ে আসে। যমুনা নদীর মাঝামাঝি পৌঁছানোর পর হঠাৎ ঘন কুয়াশায় চারদিক ঢেকে যায়। এতে নৌকার চালক দিক নির্ণয় করতে না পেরে নদীর মাঝেই নৌকাটি থামিয়ে রাখতে বাধ্য হন।
আটকা পড়া বরযাত্রীরা সবাই জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার তাতাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,'তাতাপাড়া এলাকার সানোয়ার হোসেনের ছেলে নিলয় হাসান ছানির (২০) বিয়ে উপলক্ষে শুক্রবার সকালে ৪৭ জন বরযাত্রী বগুড়া শহরের সাবগ্রাম চারমাথা এলাকায় যান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বর-কনেসহ সবাই সড়কযোগে বগুড়া থেকে সারিয়াকান্দি কালিতলা ঘাট পর্যন্ত আসেন। পরে নৌকাযোগে বাড়ি ফেরার পথে যমুনা নদী পাড়ি দিতে গিয়ে ঘন কুয়াশায় আটকা পড়ে বর-কনে ও বরযাত্রীবাহী নৌকাটি।
এসময়ে বরযাত্রীরা মোবাইল ফোনে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের চেষ্টা করলেও রাতের ঘন কুয়াশার কারণে তাৎক্ষণিক কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। ফলে নবদম্পতিসহ সবাই সারা রাত নৌকার মধ্যেই অবস্থান করতে বাধ্য হন।
বর নিলয় হাসান ছানি মুঠোফোনের বলেন, 'ঘন কুয়াশায় নদীতে দিক হারিয়ে ফেলি। সারা রাত যমুনার মাঝেই আটকে ছিলাম। শনিবার সকালে পাশ দিয়ে যাওয়া একটি নৌকার সহায়তায় আবার জমথল ঘাটের দিকে রওনা হতে পেরেছি।'
বিয়ে শেষে নববধূসহ বরযাত্রী নিয়ে নৌকাযোগে বাড়ি ফেরার পথে যমুনা নদীর মাঝপথে ঘন কুয়াশায় দিক হারিয়ে সারা রাত আটকে থাকে একটি বরযাত্রীবাহী নৌকা। পরে অন্য একটি নৌকার সহায়তায় শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে নিরাপদে ঘাটের দিকে রওনা হয় নৌকাটি।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৬ টার দিকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কলীতলা ঘাট থেকে জমথল ঘাটের উদ্দেশ্যে নৌকাটি ছেড়ে আসে। যমুনা নদীর মাঝামাঝি পৌঁছানোর পর হঠাৎ ঘন কুয়াশায় চারদিক ঢেকে যায়। এতে নৌকার চালক দিক নির্ণয় করতে না পেরে নদীর মাঝেই নৌকাটি থামিয়ে রাখতে বাধ্য হন।
আটকা পড়া বরযাত্রীরা সবাই জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার তাতাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,'তাতাপাড়া এলাকার সানোয়ার হোসেনের ছেলে নিলয় হাসান ছানির (২০) বিয়ে উপলক্ষে শুক্রবার সকালে ৪৭ জন বরযাত্রী বগুড়া শহরের সাবগ্রাম চারমাথা এলাকায় যান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বর-কনেসহ সবাই সড়কযোগে বগুড়া থেকে সারিয়াকান্দি কালিতলা ঘাট পর্যন্ত আসেন। পরে নৌকাযোগে বাড়ি ফেরার পথে যমুনা নদী পাড়ি দিতে গিয়ে ঘন কুয়াশায় আটকা পড়ে বর-কনে ও বরযাত্রীবাহী নৌকাটি।
এসময়ে বরযাত্রীরা মোবাইল ফোনে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের চেষ্টা করলেও রাতের ঘন কুয়াশার কারণে তাৎক্ষণিক কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। ফলে নবদম্পতিসহ সবাই সারা রাত নৌকার মধ্যেই অবস্থান করতে বাধ্য হন।
বর নিলয় হাসান ছানি মুঠোফোনের বলেন, 'ঘন কুয়াশায় নদীতে দিক হারিয়ে ফেলি। সারা রাত যমুনার মাঝেই আটকে ছিলাম। শনিবার সকালে পাশ দিয়ে যাওয়া একটি নৌকার সহায়তায় আবার জমথল ঘাটের দিকে রওনা হতে পেরেছি।'

২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৮
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় বালুভর্তি বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজ দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছেন ডুবুরি দলের সদস্যরা। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বাল্কহেডের ডেকের ভেতরে আটকে থাকা দুজনের লাশ উদ্বার করেন। একই দিন ভোরে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি বেসরকারি ডগ ইয়ার্ডের ঘাটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে নৌপুলিশের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বরিশাল থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন-১৬ যাত্রীবাহী লঞ্চ বুড়িগঙ্গা নদীর ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ এলাকায় এসে একটি বেসরকারি ঘাটের পাশে নোঙর করে রাখা বালুভর্তি বাল্কহেডকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটির অর্ধেক অংশ পানির নিচে তলিয়ে যায়।
তিনি জানান, নোঙর করে রাখা বাল্কহেডের ডেকের কেবিনের ভেতরে পাঁচজন শ্রমিক ঘুমিয়েছিলেন। তারা নদীতে ঝাঁপ দেন। তাদের মধ্য থেকে ৩ শ্রমিক তীরে উঠলেও দুজনের কোনো সন্ধান মিলছিল না।
নিহতরা হলেন- পটুয়াখালী বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম শাকিল (২৫), ঝালকাঠি রাজাপুরের মোহাম্মদ হাসান (২০)।
এদিকে বিকাল ৩টার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর ডুবুরিদের সঙ্গে এসে যোগ দেন স্থানীয় বেসরকারি তিন ডুবুরি দলের সদস্য। তারা ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের ভেতরে ঢুকে একে একে জহিরুল ও হাসানের লাশ উদ্ধার করেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম ফয়েজ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, দুর্ঘটনায় নিখোঁজ দুজনের লাশ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উদ্ধারের পর নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী লঞ্চটি আটক করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় বালুভর্তি বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজ দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছেন ডুবুরি দলের সদস্যরা। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বাল্কহেডের ডেকের ভেতরে আটকে থাকা দুজনের লাশ উদ্বার করেন। একই দিন ভোরে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি বেসরকারি ডগ ইয়ার্ডের ঘাটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে নৌপুলিশের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বরিশাল থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন-১৬ যাত্রীবাহী লঞ্চ বুড়িগঙ্গা নদীর ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ এলাকায় এসে একটি বেসরকারি ঘাটের পাশে নোঙর করে রাখা বালুভর্তি বাল্কহেডকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটির অর্ধেক অংশ পানির নিচে তলিয়ে যায়।
তিনি জানান, নোঙর করে রাখা বাল্কহেডের ডেকের কেবিনের ভেতরে পাঁচজন শ্রমিক ঘুমিয়েছিলেন। তারা নদীতে ঝাঁপ দেন। তাদের মধ্য থেকে ৩ শ্রমিক তীরে উঠলেও দুজনের কোনো সন্ধান মিলছিল না।
নিহতরা হলেন- পটুয়াখালী বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম শাকিল (২৫), ঝালকাঠি রাজাপুরের মোহাম্মদ হাসান (২০)।
এদিকে বিকাল ৩টার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর ডুবুরিদের সঙ্গে এসে যোগ দেন স্থানীয় বেসরকারি তিন ডুবুরি দলের সদস্য। তারা ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের ভেতরে ঢুকে একে একে জহিরুল ও হাসানের লাশ উদ্ধার করেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম ফয়েজ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, দুর্ঘটনায় নিখোঁজ দুজনের লাশ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উদ্ধারের পর নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী লঞ্চটি আটক করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.