১৮ জুলাই, ২০২৫ ২১:৩৭
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম (চরমোনাই পির) বলেছেন, ‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনের কথা উঠলেই কেউ কেউ ভয় পায়। কারণ, এই পদ্ধতি চালু হলে চাঁদাবাজি, ভোট ডাকাতি, দলীয়করণ ও বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হয়ে যাবে। অথচ যারা এর বিরোধিতা করছে, তারা আজও যৌক্তিকভাবে কোনো অসুবিধা তুলে ধরতে পারেনি। যে নির্বাচন পদ্ধতির মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট, খুঁনি, চাঁদাবাজ তৈরি হয় এমন নির্বাচন বাংলাদেশে আমরা দেখতে চাই না।’
শুক্রবার (১৮ জুলাই) এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কার্যালয়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘জুলাই জাগরণ ও স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে ‘জুলাইয়ের শিক্ষা: নীরবতা মানে গোলামী’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদদের স্মরণে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা কে এম আতিকুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা ইমরান হোসাইন নূর, সুলতান মাহমুদ, ফয়জুল ইসলাম, মুহাম্মাদ আশিকুল ইসলাম, এস এম কামরুল ইসলাম, মাইমুন ইসলাম, ইউসুফ পিয়াস, শেখ মুহাম্মাদ মাহদী ইমাম, মুহাম্মাদ খাইরুল কবির, আবদুল আজিজ নোমান, এম ইব্রাহীম নাসরুল্লাহ এবং মুহাম্মাদ তুহিন মালিক প্রমুখ।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের কানে এখনো বাজে মুগ্ধের ‘পানি লাগবে পানি’। আবু সাঈদের মতো নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রকে যেভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি। মায়েদের বুক ফাটা কান্না আমরা সহ্য করতে পারিনি। এই নির্মমতা ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে একমাত্র আমরাই রাজনৈতিক দলের ব্যানারে মাঠে নেমেছিলাম।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমরা ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য সংগ্রাম করছি। রাষ্ট্র সংস্কার ও গণহত্যার বিচার চাই। কিন্তু একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যেন উন্মাদ হয়ে উঠেছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ‘পীর সাহেব চরমোনাই একটি যুগোপযোগী, বাস্তবসম্মত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গলকামী প্রস্তাব দিয়েছেন, দেশে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের। এই পদ্ধতি চালু হলে নির্বাচনী অনিয়ম, ভোট চুরি, চাঁদাবাজি এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অবসান ঘটবে ইনশাআল্লাহ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, কিছু দল এই পদ্ধতির বিরোধিতা করছে। কারণ তারা জানেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে তাদের অবৈধ আধিপত্য, দুর্নীতি ও অন্যায়ের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।’
এদিকে গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের অনুমতি বাতিলের দাবিতে শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ফরিদুল ইসলাম, মো. মাছউদুর রহমান, মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসাইন এবং ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিক্ষোভ মিছিলে মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবার এখনো যথাযথ ক্ষতিপূরণ পায়নি। আহতরা সুচিকিৎসার অভাবে এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায়, পরিবহন ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। রিকশা-ভ্যান অটো চাঁদা ছাড়া রাস্তায় চলতে পারে না। এমন দেশের জন্য ছাত্র-জনতা জীবনবাজি রেখে লড়াই করেনি।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম (চরমোনাই পির) বলেছেন, ‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনের কথা উঠলেই কেউ কেউ ভয় পায়। কারণ, এই পদ্ধতি চালু হলে চাঁদাবাজি, ভোট ডাকাতি, দলীয়করণ ও বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হয়ে যাবে। অথচ যারা এর বিরোধিতা করছে, তারা আজও যৌক্তিকভাবে কোনো অসুবিধা তুলে ধরতে পারেনি। যে নির্বাচন পদ্ধতির মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট, খুঁনি, চাঁদাবাজ তৈরি হয় এমন নির্বাচন বাংলাদেশে আমরা দেখতে চাই না।’
শুক্রবার (১৮ জুলাই) এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কার্যালয়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘জুলাই জাগরণ ও স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে ‘জুলাইয়ের শিক্ষা: নীরবতা মানে গোলামী’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদদের স্মরণে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা কে এম আতিকুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা ইমরান হোসাইন নূর, সুলতান মাহমুদ, ফয়জুল ইসলাম, মুহাম্মাদ আশিকুল ইসলাম, এস এম কামরুল ইসলাম, মাইমুন ইসলাম, ইউসুফ পিয়াস, শেখ মুহাম্মাদ মাহদী ইমাম, মুহাম্মাদ খাইরুল কবির, আবদুল আজিজ নোমান, এম ইব্রাহীম নাসরুল্লাহ এবং মুহাম্মাদ তুহিন মালিক প্রমুখ।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের কানে এখনো বাজে মুগ্ধের ‘পানি লাগবে পানি’। আবু সাঈদের মতো নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রকে যেভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি। মায়েদের বুক ফাটা কান্না আমরা সহ্য করতে পারিনি। এই নির্মমতা ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে একমাত্র আমরাই রাজনৈতিক দলের ব্যানারে মাঠে নেমেছিলাম।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমরা ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য সংগ্রাম করছি। রাষ্ট্র সংস্কার ও গণহত্যার বিচার চাই। কিন্তু একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যেন উন্মাদ হয়ে উঠেছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ‘পীর সাহেব চরমোনাই একটি যুগোপযোগী, বাস্তবসম্মত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গলকামী প্রস্তাব দিয়েছেন, দেশে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের। এই পদ্ধতি চালু হলে নির্বাচনী অনিয়ম, ভোট চুরি, চাঁদাবাজি এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অবসান ঘটবে ইনশাআল্লাহ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, কিছু দল এই পদ্ধতির বিরোধিতা করছে। কারণ তারা জানেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে তাদের অবৈধ আধিপত্য, দুর্নীতি ও অন্যায়ের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।’
এদিকে গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের অনুমতি বাতিলের দাবিতে শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ফরিদুল ইসলাম, মো. মাছউদুর রহমান, মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসাইন এবং ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিক্ষোভ মিছিলে মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবার এখনো যথাযথ ক্ষতিপূরণ পায়নি। আহতরা সুচিকিৎসার অভাবে এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায়, পরিবহন ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। রিকশা-ভ্যান অটো চাঁদা ছাড়া রাস্তায় চলতে পারে না। এমন দেশের জন্য ছাত্র-জনতা জীবনবাজি রেখে লড়াই করেনি।’
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪০
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:০৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৭:২৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৬:৫৭
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫২
নেত্রকোনার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও জনসভায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় খলিশাউর ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মো. হুমায়ুন কবির (৩৬) উপজেলার খলিশাউর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ছোট্ট মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের খলিশাউর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে @Humayun Kabir নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সক্রিয় হয়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাহেব আলী খান পাঠান বলেন, সামাজিক মাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট ও সমাবেশে নাশকতার পরিকল্পনার প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে এনসিপির সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের স্থানীয় নেতা হুমায়ুন কবিরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নেত্রকোনার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও জনসভায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় খলিশাউর ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মো. হুমায়ুন কবির (৩৬) উপজেলার খলিশাউর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ছোট্ট মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের খলিশাউর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে @Humayun Kabir নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সক্রিয় হয়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাহেব আলী খান পাঠান বলেন, সামাজিক মাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট ও সমাবেশে নাশকতার পরিকল্পনার প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে এনসিপির সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের স্থানীয় নেতা হুমায়ুন কবিরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৩:১৪
বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই উপস্থিত। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বর। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর বাজার এলাকায়। রোববার (২৭ জুলাই) শাহ আলম (২২) নামে ওই যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, শনিবার দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। নিহত শাহ আলম নব্যচর গ্রামের শাহ জামাল মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহ আলমের বিয়ে উপলক্ষে তার বাবা শাহ জামাল সব আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। বাড়িতে বিয়ের দাওয়াতী মেহমান উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহ আলম। এ ঘটনায় নব্যচর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শাহ আলমের চাচাতো ভাই শাকিল মিয়া বলেন, ভাই কারেন্টের কাজ জানত, তাই নিজের ফ্যানের সুইচ নিজেই ঠিক করতে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই কারেন্টে শক খেয়ে মারা যায়। বিয়ের দাওয়াত খেতে বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই উপস্থিত। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বর। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর বাজার এলাকায়। রোববার (২৭ জুলাই) শাহ আলম (২২) নামে ওই যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, শনিবার দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। নিহত শাহ আলম নব্যচর গ্রামের শাহ জামাল মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহ আলমের বিয়ে উপলক্ষে তার বাবা শাহ জামাল সব আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। বাড়িতে বিয়ের দাওয়াতী মেহমান উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহ আলম। এ ঘটনায় নব্যচর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শাহ আলমের চাচাতো ভাই শাকিল মিয়া বলেন, ভাই কারেন্টের কাজ জানত, তাই নিজের ফ্যানের সুইচ নিজেই ঠিক করতে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই কারেন্টে শক খেয়ে মারা যায়। বিয়ের দাওয়াত খেতে বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০২
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে কেয়া লেখেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ (শনিবার) থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি লেখেন, দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। খাদিজা আক্তার কেয়া বলেন, সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির পদযাত্রায় পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল।
যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল। এ বিষয়গুলো আমাদের শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। এগুলো দেখে এ প্ল্যাটফর্মে আমি থাকতে চাচ্ছি না। শনিবার ফেসবুকে সব স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আজ রোববার লিখিত পদত্যাগপত্র দিব।
তিনি আরও বলেন, পোস্টে সব স্পষ্ট করা হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং ভবিষ্যতেও থাকব না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে আমি সবসময় সংগ্রামে থাকব।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে কেয়া লেখেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ (শনিবার) থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি লেখেন, দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। খাদিজা আক্তার কেয়া বলেন, সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির পদযাত্রায় পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল।
যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল। এ বিষয়গুলো আমাদের শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। এগুলো দেখে এ প্ল্যাটফর্মে আমি থাকতে চাচ্ছি না। শনিবার ফেসবুকে সব স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আজ রোববার লিখিত পদত্যাগপত্র দিব।
তিনি আরও বলেন, পোস্টে সব স্পষ্ট করা হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং ভবিষ্যতেও থাকব না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে আমি সবসময় সংগ্রামে থাকব।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.