১৯ জুন, ২০২৫ ১৯:০৭
বরিশালে এমইপির দখলে বিসিসি'র সড়ক দুর্ভোগে জনসাধারণ। শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পড়ে নজরে এসেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্মকর্তাদের। সরেজমিন পরিদর্শন করে বিসিসি।
গত (৫ জুন) বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রকাশ করায় আজ (১৯জুন) বিসিসি'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সরেজমিন পরিদর্শন করে উচ্ছেদ শাখার কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য বরিশাল সিটি করপোরেশনের আওতাধীন জনসাধারণের চলাচলের সড়ক, ড্রেন, আটকিয়ে এমইপি'র ফ্যাক্টরী নির্মাণ করায় জনসাধারণের ক্ষোপ প্রকাশ!
নগরীর ৬ নং ওয়ার্ড হাটখোলা (গগনগলী) এলাকার দীর্ঘদিনের জনসাধারণের চলাচলের খান মজিবর রহমান সংযোগ সড়ক আটকিয়ে ও প্ল্যান বিহীন,এমইপি'র ফ্যাক্টরী করার অভিযোগ করে স্থানীয়রা।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করায় সকল কর্মকর্তাদের সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী। সুমন নামে এক যুবক বলেন, আমার বাসা কসাই খানা। আমি গগণগলী মৎস্য শ্রমিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনা করেছি। তখন সল্প সময়ে স্কুলে আসার জন্য খান মজিবর রহমান সড়ক ব্যবহার করেছি।
কিন্তু বিগত স্বৈরাচার সরকার আমলে ক্ষমতার বলে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা, ড্রেন, সরকারী কলসহ সড়কটি এমইপি দখল করে আটকিয়ে দেয়। এছাড়াও ফ্যাক্টরিতে তৈরী কেমিক্যালের পানির দুর্গন্ধ অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
একই এলাকার বাসিন্দা রুনু বেগম জানান, এখানের বেশকিছু জমি সরকারের এই জায়গায় যারা বসবাস করেছে সবাই সরকারী জমি দখল করে বসবাস করেছিলেন। কিন্তু একই এলাকায় এমইপি হওয়ায় তারা সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সল্পমূল্যে জমি কিনে ফ্যাক্টরী নির্মাণ করেছে।
যারা এখানে বসবাস করেছে তারা তাদের বসতঘর এমইপি'র কাছে বিক্রি করে চলে গেছে। কিন্তু সরকারী রাস্তা কেউ বিক্রি করেনি। এমইপি জোরপূর্বক রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা আটকিয়ে দেয়। এছাড়াও এমইপির শ্রমিকদের টয়লেটে ব্যবহারের পানি ড্রেনে লাইন করায় দুর্গন্ধে থাকা যাচ্ছে না।
আঃ খালেক মিয়া বলেন, আমি পাকিস্তানের আমল থেকেই এই এলাকায় বসবাস করছি। হাটখোলা(কাঠের ঘোলা) এলাকায় ছোটো পরিসরে মোহম্মদ আলী ইলেকট্রনিকস কোঃ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়।তাদের ইলেকট্রনিক সামগ্রী পন্য ভালো মানের হওয়ায় আর পিছনে তাকাতে হয়নি।
তারা দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও আমদানি ও রপ্তানি করে থাকেন। এতে বরিশালের সুনাম বেড়েছে। কিন্তু স্থানীয় পর্যায় সাধারণ মানুষ তাদের হয়রানির শিকার হয়েছে। এবং গগণগলী বাজারে গেলে এমইপি'র দেওয়ালে ফাটল দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, এমইপি জোরপূর্বক বিসিসি'র সড়ক, ড্রেন, ডিপ টিউবওয়েল,আটকিয়ে সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করে যাচ্ছে। আমরা বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তাটি দখলমুক্ত করে দেওয়া হোক।
এবিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারি বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনো খাল,ড্রেন, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা, আটকিয়ে ফ্যাক্টরী, গোডাউন,বাসাবাড়ী করা যাবে না।
যদি এধরণের কোনো কোম্পানি রাস্তা আটকিয়ে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, জনগনের দুর্ভোগ কমাতে নগরীর বিভিন্ন অপসোস্যালাইন কোম্পানিসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু কোম্পানিকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
বরিশালে এমইপির দখলে বিসিসি'র সড়ক দুর্ভোগে জনসাধারণ। শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পড়ে নজরে এসেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্মকর্তাদের। সরেজমিন পরিদর্শন করে বিসিসি।
গত (৫ জুন) বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রকাশ করায় আজ (১৯জুন) বিসিসি'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সরেজমিন পরিদর্শন করে উচ্ছেদ শাখার কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য বরিশাল সিটি করপোরেশনের আওতাধীন জনসাধারণের চলাচলের সড়ক, ড্রেন, আটকিয়ে এমইপি'র ফ্যাক্টরী নির্মাণ করায় জনসাধারণের ক্ষোপ প্রকাশ!
নগরীর ৬ নং ওয়ার্ড হাটখোলা (গগনগলী) এলাকার দীর্ঘদিনের জনসাধারণের চলাচলের খান মজিবর রহমান সংযোগ সড়ক আটকিয়ে ও প্ল্যান বিহীন,এমইপি'র ফ্যাক্টরী করার অভিযোগ করে স্থানীয়রা।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করায় সকল কর্মকর্তাদের সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী। সুমন নামে এক যুবক বলেন, আমার বাসা কসাই খানা। আমি গগণগলী মৎস্য শ্রমিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনা করেছি। তখন সল্প সময়ে স্কুলে আসার জন্য খান মজিবর রহমান সড়ক ব্যবহার করেছি।
কিন্তু বিগত স্বৈরাচার সরকার আমলে ক্ষমতার বলে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা, ড্রেন, সরকারী কলসহ সড়কটি এমইপি দখল করে আটকিয়ে দেয়। এছাড়াও ফ্যাক্টরিতে তৈরী কেমিক্যালের পানির দুর্গন্ধ অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
একই এলাকার বাসিন্দা রুনু বেগম জানান, এখানের বেশকিছু জমি সরকারের এই জায়গায় যারা বসবাস করেছে সবাই সরকারী জমি দখল করে বসবাস করেছিলেন। কিন্তু একই এলাকায় এমইপি হওয়ায় তারা সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সল্পমূল্যে জমি কিনে ফ্যাক্টরী নির্মাণ করেছে।
যারা এখানে বসবাস করেছে তারা তাদের বসতঘর এমইপি'র কাছে বিক্রি করে চলে গেছে। কিন্তু সরকারী রাস্তা কেউ বিক্রি করেনি। এমইপি জোরপূর্বক রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা আটকিয়ে দেয়। এছাড়াও এমইপির শ্রমিকদের টয়লেটে ব্যবহারের পানি ড্রেনে লাইন করায় দুর্গন্ধে থাকা যাচ্ছে না।
আঃ খালেক মিয়া বলেন, আমি পাকিস্তানের আমল থেকেই এই এলাকায় বসবাস করছি। হাটখোলা(কাঠের ঘোলা) এলাকায় ছোটো পরিসরে মোহম্মদ আলী ইলেকট্রনিকস কোঃ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়।তাদের ইলেকট্রনিক সামগ্রী পন্য ভালো মানের হওয়ায় আর পিছনে তাকাতে হয়নি।
তারা দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও আমদানি ও রপ্তানি করে থাকেন। এতে বরিশালের সুনাম বেড়েছে। কিন্তু স্থানীয় পর্যায় সাধারণ মানুষ তাদের হয়রানির শিকার হয়েছে। এবং গগণগলী বাজারে গেলে এমইপি'র দেওয়ালে ফাটল দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, এমইপি জোরপূর্বক বিসিসি'র সড়ক, ড্রেন, ডিপ টিউবওয়েল,আটকিয়ে সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করে যাচ্ছে। আমরা বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তাটি দখলমুক্ত করে দেওয়া হোক।
এবিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারি বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনো খাল,ড্রেন, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা, আটকিয়ে ফ্যাক্টরী, গোডাউন,বাসাবাড়ী করা যাবে না।
যদি এধরণের কোনো কোম্পানি রাস্তা আটকিয়ে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, জনগনের দুর্ভোগ কমাতে নগরীর বিভিন্ন অপসোস্যালাইন কোম্পানিসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু কোম্পানিকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
বরিশালের হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ আসনের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা ডাকবাংলোয় হিজলা উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকার অসহায় দুঃস্থ গরিব মানুষের মাঝে দীর্ঘদিন গরু ছাগল সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দান করে আসছেন।
জানাযায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় মসজিদ মাদরাসা এতিমখানা সহ অনেক প্রতিষ্ঠা করেন। এ এম বরিস্টার মাসুম মতবিনিময় সভায় বলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে আকাঙ্ক্ষা আগামী নির্বাচনে ক্লিন দূর্নীতি মুক্ত দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে পারবেন তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে আমি দলের জন্য যোগ্য মনে করি। তাছাড়া দলের জন্য তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত নিবে সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মনে করবো।
বরিশালের হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ আসনের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা ডাকবাংলোয় হিজলা উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকার অসহায় দুঃস্থ গরিব মানুষের মাঝে দীর্ঘদিন গরু ছাগল সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দান করে আসছেন।
জানাযায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় মসজিদ মাদরাসা এতিমখানা সহ অনেক প্রতিষ্ঠা করেন। এ এম বরিস্টার মাসুম মতবিনিময় সভায় বলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে আকাঙ্ক্ষা আগামী নির্বাচনে ক্লিন দূর্নীতি মুক্ত দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে পারবেন তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে আমি দলের জন্য যোগ্য মনে করি। তাছাড়া দলের জন্য তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত নিবে সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মনে করবো।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৩
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে উপজেলার ২১১নং দক্ষিণ শিয়ালগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯২ জন। আর তাদের পাঠদান করেন মাত্র একজন শিক্ষক। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
অভিভাবকরা বলেছেন, মো. হাবিবুর রহমান নামে একজন শিক্ষক রয়েছেন। তিনি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটিতে আর কোনো শিক্ষক না থাকায় তিনি একাই সব শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন। এমনকি বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজে তাকে সবসময় ব্যস্ত থাকতে হয়। সে কারণে বর্তমানে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের দক্ষিণ শিয়ালগুনি গ্রামে ১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালে সরকারিকরণ হয় বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯২ জন এবং শিক্ষক পদসংখ্যা ৬টি, এর মধ্যে মাত্র একজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
জানা গেছে, কাওসার হোসেন নামে এক সহকারী শিক্ষক গত বছরের নভেম্বর থেকে পিটিআই ট্রেনিং করেছেন, অপর দুজন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে একজন নুসরাত জাহান আছেন ৬ মাস ধরে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এবং আরেকজন শিক্ষক মাধবী আক্তার এক বছর ধরে সাসপেনশনে আছেন। বাকি দুজন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষক একজন এবং সহকারী শিক্ষক একজনের পদ শূন্য রয়েছে।
বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, দুই শিফটে ক্লাস হয়। কোনোভাবে চালাই। আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কাজ থাকলে স্কুল ছুটি দিয়ে যায়। এ ছাড়া করার তো আর কিছু নাই।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, এই উপজেলায় দুই সপ্তাহ হলো যোগদান করেছি। বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আমার জানা নেই। দ্রুত বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে উপজেলার ২১১নং দক্ষিণ শিয়ালগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯২ জন। আর তাদের পাঠদান করেন মাত্র একজন শিক্ষক। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
অভিভাবকরা বলেছেন, মো. হাবিবুর রহমান নামে একজন শিক্ষক রয়েছেন। তিনি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটিতে আর কোনো শিক্ষক না থাকায় তিনি একাই সব শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন। এমনকি বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজে তাকে সবসময় ব্যস্ত থাকতে হয়। সে কারণে বর্তমানে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের দক্ষিণ শিয়ালগুনি গ্রামে ১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালে সরকারিকরণ হয় বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯২ জন এবং শিক্ষক পদসংখ্যা ৬টি, এর মধ্যে মাত্র একজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
জানা গেছে, কাওসার হোসেন নামে এক সহকারী শিক্ষক গত বছরের নভেম্বর থেকে পিটিআই ট্রেনিং করেছেন, অপর দুজন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে একজন নুসরাত জাহান আছেন ৬ মাস ধরে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এবং আরেকজন শিক্ষক মাধবী আক্তার এক বছর ধরে সাসপেনশনে আছেন। বাকি দুজন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষক একজন এবং সহকারী শিক্ষক একজনের পদ শূন্য রয়েছে।
বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, দুই শিফটে ক্লাস হয়। কোনোভাবে চালাই। আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কাজ থাকলে স্কুল ছুটি দিয়ে যায়। এ ছাড়া করার তো আর কিছু নাই।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, এই উপজেলায় দুই সপ্তাহ হলো যোগদান করেছি। বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আমার জানা নেই। দ্রুত বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:১৩
পঞ্চাশোর্ধ শাহিনুর বেগমকে তার স্বামী ত্যাগ করেছেন বহুকাল আগেই। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তার ঠাঁই হয় পাংশা গ্রামের বাবার বাড়িতে। দারিদ্র্যের চরম কষাঘাতে জর্জরিত হয়েও শাহিনুর তার ছেলেকে ঘিরে বাঁচার স্বপ্ন দেখতেন। ছেলে বড় হয়ে তার সব অভাব অনটন দূর করে দেবে। কিন্তু অভাগিনী যেদিকে তাকায় সেদিকে সাগরও নাকি শুকিয়ে যায়! শাহিনুর যখন ভেবেছিলেন ছেলে কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ করলেই সংসারের হাল ধরবে, ঠিক তখনই ছেলে রাহাত হাওলাদার (১৭) অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। প্রথমে জ্বীন-ভূতের আছর মনে করে ঝাড়ফুঁক করানো হয় তাকে। তবে শেষ পর্যন্ত জানা যায়, রাহাত এক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। ডাক্তার জানায়, তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করতে হলে এক দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা দরকার। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে শাহিনুরের। যেখানে তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকাই দায়, সেখানে সন্তানের এই দীর্ঘমেয়াদি ব্যয়বহুল চিকিৎসা হবে কীভাবে?
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পাংশা গ্রামের শাহিনুর বেগমের দুঃখের গল্পটা ছিল এমনই। তবে এই কষ্টের গল্পটা সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে পৌঁছে যায় বাবুগঞ্জের মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের কাছে। মানুষের দুঃখ-কষ্টে যার হৃদয় কেঁদে ওঠে সেই মানবিক ইউএনও এই খবর শুনে কি আর চুপ করে বসে থাকতে পারেন? তিনি ছুটে যান শাহিনুর বেগমের জীর্ণ কুটিরে। তার দুরবস্থা দেখে তাকে একটি সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উপহার দেওয়ার প্রস্তাব করেন। সেইসঙ্গে তার ছেলের সুচিকিৎসার জন্য অনুদান দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শাহিনুর বেগমের হাতে তার সন্তানের চিকিৎসা অনুদানের সেই চেক তুলে দেন তিনি। ইউএনওর এই অনন্য মানবিক কর্মের সাক্ষী হয়ে থাকেন বাবুগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ওই অনুদানের চেক বিতরণকালে বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বাচ্চু, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুর রহিম, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হানিফ ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় শাহিনুর বেগমকে বাবুগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে খালি থাকা সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের মধ্য থেকে তার সুবিধাজনক এলাকায় একটি ঘর বেছে নেওয়ার অপশন দেন মানবিক ইউএনও ফারুক আহমেদ। তবে শাহিনুর বেগম তার বাবার বাড়ি পাংশা গ্রামেই থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করে পৈত্রিক জমিতে একটি বসতঘর নির্মাণ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'আমি মানুষের সেবা করতে এসেছি। সাধ্যমতো সেটা করে যেতে চাই। মানুষের অভাব, অভিযোগ, চাহিদা অনেক। সব পূরণ করার ইচ্ছা থাকলেও আমার সাধ্য সীমিত। তবুও সবসময় চেষ্টা করি সীমিত সাধ্যের মধ্যেই সরকারি বিধিবিধানের ভেতরে থেকে যতটুকু সম্ভব মানুষের খেদমত করা যায়। স্বামী পরিত্যক্তা শাহিনুর বেগমের অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সাধ্যমতো অনুদান দেওয়া হয়েছে। এখন তার চাহিদা তাদের পৈত্রিক জমিতে একটি পাকা বসতঘর। ভবিষ্যতে জমি আছে ঘর নাই এমন ক্যাটাগরির জন্য অর্থ বরাদ্দ পেলে তার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।'
পঞ্চাশোর্ধ শাহিনুর বেগমকে তার স্বামী ত্যাগ করেছেন বহুকাল আগেই। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তার ঠাঁই হয় পাংশা গ্রামের বাবার বাড়িতে। দারিদ্র্যের চরম কষাঘাতে জর্জরিত হয়েও শাহিনুর তার ছেলেকে ঘিরে বাঁচার স্বপ্ন দেখতেন। ছেলে বড় হয়ে তার সব অভাব অনটন দূর করে দেবে। কিন্তু অভাগিনী যেদিকে তাকায় সেদিকে সাগরও নাকি শুকিয়ে যায়! শাহিনুর যখন ভেবেছিলেন ছেলে কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ করলেই সংসারের হাল ধরবে, ঠিক তখনই ছেলে রাহাত হাওলাদার (১৭) অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। প্রথমে জ্বীন-ভূতের আছর মনে করে ঝাড়ফুঁক করানো হয় তাকে। তবে শেষ পর্যন্ত জানা যায়, রাহাত এক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। ডাক্তার জানায়, তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করতে হলে এক দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা দরকার। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে শাহিনুরের। যেখানে তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকাই দায়, সেখানে সন্তানের এই দীর্ঘমেয়াদি ব্যয়বহুল চিকিৎসা হবে কীভাবে?
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পাংশা গ্রামের শাহিনুর বেগমের দুঃখের গল্পটা ছিল এমনই। তবে এই কষ্টের গল্পটা সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে পৌঁছে যায় বাবুগঞ্জের মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের কাছে। মানুষের দুঃখ-কষ্টে যার হৃদয় কেঁদে ওঠে সেই মানবিক ইউএনও এই খবর শুনে কি আর চুপ করে বসে থাকতে পারেন? তিনি ছুটে যান শাহিনুর বেগমের জীর্ণ কুটিরে। তার দুরবস্থা দেখে তাকে একটি সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উপহার দেওয়ার প্রস্তাব করেন। সেইসঙ্গে তার ছেলের সুচিকিৎসার জন্য অনুদান দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শাহিনুর বেগমের হাতে তার সন্তানের চিকিৎসা অনুদানের সেই চেক তুলে দেন তিনি। ইউএনওর এই অনন্য মানবিক কর্মের সাক্ষী হয়ে থাকেন বাবুগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ওই অনুদানের চেক বিতরণকালে বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বাচ্চু, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুর রহিম, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হানিফ ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় শাহিনুর বেগমকে বাবুগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে খালি থাকা সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের মধ্য থেকে তার সুবিধাজনক এলাকায় একটি ঘর বেছে নেওয়ার অপশন দেন মানবিক ইউএনও ফারুক আহমেদ। তবে শাহিনুর বেগম তার বাবার বাড়ি পাংশা গ্রামেই থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করে পৈত্রিক জমিতে একটি বসতঘর নির্মাণ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'আমি মানুষের সেবা করতে এসেছি। সাধ্যমতো সেটা করে যেতে চাই। মানুষের অভাব, অভিযোগ, চাহিদা অনেক। সব পূরণ করার ইচ্ছা থাকলেও আমার সাধ্য সীমিত। তবুও সবসময় চেষ্টা করি সীমিত সাধ্যের মধ্যেই সরকারি বিধিবিধানের ভেতরে থেকে যতটুকু সম্ভব মানুষের খেদমত করা যায়। স্বামী পরিত্যক্তা শাহিনুর বেগমের অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সাধ্যমতো অনুদান দেওয়া হয়েছে। এখন তার চাহিদা তাদের পৈত্রিক জমিতে একটি পাকা বসতঘর। ভবিষ্যতে জমি আছে ঘর নাই এমন ক্যাটাগরির জন্য অর্থ বরাদ্দ পেলে তার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।'
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.