
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:২৬
ভোলার তজুমদ্দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালী এবং অপরিল্পিত বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে নিকটবর্তী এলাকার কয়েকশ পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করার উপক্রম হয়েছে। এ নিয়ে ভোক্তভোগী প্রায় আড়াইশ পরিবার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলি বেড়িবাঁধে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
সুত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ৭৪ কোটি ১৭ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৫৭.৩১ টাকা ব্যায়ে উপকূলীয় বাঁধ পুর্নবাসন ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন জীবনমান প্রকল্পের আওতায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গোলাম রব্বানী কনাষ্ট্রাকশন। কাজটি শেষ হবে ২০২৬ সালের জুন মাসে। সেই অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেড়িবাঁধে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে। মাটি কাটার কাজ শুরু করার ফলে দুই শতাধিক বসতঘর, ফসলি জমি ও সুপারি বাগানসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ পালা কেটে নষ্ট করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে ক্ষতি পূরণ না দিয়ে ক্ষমতার জোড়ে বেড়িবাঁধের কাজ বাস্তবায়ণ করার চেষ্টা চালায়। পরে ভোক্তভোগীরা একত্রিত হয়ে গত শুক্রবার সকালে বেড়িবাঁধের মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দেয়। ক্ষতিগ্রস্থরা বেড়িবাঁধটি বর্তমান অবন্থান থেকে ৫-১০ ফুট পূর্বদিকে অথবা তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবী করে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গোলাম রব্বানী কনাষ্ট্রাকশন ইতিপূর্বে যে সব বাড়িঘর ভেঙ্গে মাটি কাটার কাজ করেছে সেসব ঘরমালিক গরীব অসহায় ভূমিহীন পরিবারগুলি বর্তমানে কনকনে শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করে। ক্ষতির সম্মুখীন পরিবারগুলোর ভূমিহীন ও গরীব হওয়ায় খোলা আকাশই তাদের একমাত্র ভরসা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন সরকারি বরাদ্দ না থাকায় তারা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজনকে কোন সহযোগীতা করতে পারবে না।
ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ শাহিন বলেন, ঠিকাদারের লোকজন আমাদেরকে ১৫ হাজার টাকা করে দেয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু আমরা তা গ্রহণ করিনি। হয়ত আমাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আর না হয় পূর্বদিকে অনেক জায়গা আছে সেদিকে সরিয়ে দিলে আমার শেষ সম্বল ঘর ভিটাটুকু রক্ষা হবে। আর তাতেই আমরা আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থকেতে পারবো। অন্যদিকে হাজিকান্দি এলাকায় নদী থেকে ১০ থেকে ১৫ মিটার দূরত্বে নতুন বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। চৌমুহনী এলাকায় আরো কমদূরত্বে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। শুধু আমাদের এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গোলাম রব্বানী কনাষ্ট্রাকশনের লোকজন দালালকান্দি ও মাওলানা কান্দির গরীব মানুষের বাড়িঘর উচ্ছেদ করতে চাচ্ছে।
জানতে চাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গোলাম রব্বানী কনাষ্ট্রাকশনের প্রকল্পের ম্যানেজার তন্ময় বলেন, আমি চরফ্যাশনের মিটিংয়ে আছি। তজুমদ্দিনে আসলে সরাসরি কথা বলবো বলে কল কেটে দেন।
তজুমদ্দিন-লালমোহনের এসএসডিও আহসান আহমেদ বলেন, জমির মালিকদের সাথে কথা বলে সমজোতার মাধ্যমে বন্ধ কাজ শুরু করা হবে। বেড়িবাঁধের জমি অধিগ্রহণ করতে সরকারীভাবে কোন বরাদ্দ না থাকায় ঘর ও জমির মালিকদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়া সুযোগ নেই। তবুও ঘর মালিকরা কোথাও অস্থায়ীভাবে থাকলে বেড়িবাঁধ সম্পন্ন হলে আবার বেড়িবাঁধে থাকতে পারবে।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বেড়িবাঁধের এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে।
ভোলার তজুমদ্দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালী এবং অপরিল্পিত বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে নিকটবর্তী এলাকার কয়েকশ পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করার উপক্রম হয়েছে। এ নিয়ে ভোক্তভোগী প্রায় আড়াইশ পরিবার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলি বেড়িবাঁধে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
সুত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ৭৪ কোটি ১৭ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৫৭.৩১ টাকা ব্যায়ে উপকূলীয় বাঁধ পুর্নবাসন ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন জীবনমান প্রকল্পের আওতায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গোলাম রব্বানী কনাষ্ট্রাকশন। কাজটি শেষ হবে ২০২৬ সালের জুন মাসে। সেই অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেড়িবাঁধে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে। মাটি কাটার কাজ শুরু করার ফলে দুই শতাধিক বসতঘর, ফসলি জমি ও সুপারি বাগানসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ পালা কেটে নষ্ট করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে ক্ষতি পূরণ না দিয়ে ক্ষমতার জোড়ে বেড়িবাঁধের কাজ বাস্তবায়ণ করার চেষ্টা চালায়। পরে ভোক্তভোগীরা একত্রিত হয়ে গত শুক্রবার সকালে বেড়িবাঁধের মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দেয়। ক্ষতিগ্রস্থরা বেড়িবাঁধটি বর্তমান অবন্থান থেকে ৫-১০ ফুট পূর্বদিকে অথবা তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবী করে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গোলাম রব্বানী কনাষ্ট্রাকশন ইতিপূর্বে যে সব বাড়িঘর ভেঙ্গে মাটি কাটার কাজ করেছে সেসব ঘরমালিক গরীব অসহায় ভূমিহীন পরিবারগুলি বর্তমানে কনকনে শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করে। ক্ষতির সম্মুখীন পরিবারগুলোর ভূমিহীন ও গরীব হওয়ায় খোলা আকাশই তাদের একমাত্র ভরসা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন সরকারি বরাদ্দ না থাকায় তারা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজনকে কোন সহযোগীতা করতে পারবে না।
ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ শাহিন বলেন, ঠিকাদারের লোকজন আমাদেরকে ১৫ হাজার টাকা করে দেয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু আমরা তা গ্রহণ করিনি। হয়ত আমাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আর না হয় পূর্বদিকে অনেক জায়গা আছে সেদিকে সরিয়ে দিলে আমার শেষ সম্বল ঘর ভিটাটুকু রক্ষা হবে। আর তাতেই আমরা আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থকেতে পারবো। অন্যদিকে হাজিকান্দি এলাকায় নদী থেকে ১০ থেকে ১৫ মিটার দূরত্বে নতুন বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। চৌমুহনী এলাকায় আরো কমদূরত্বে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। শুধু আমাদের এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গোলাম রব্বানী কনাষ্ট্রাকশনের লোকজন দালালকান্দি ও মাওলানা কান্দির গরীব মানুষের বাড়িঘর উচ্ছেদ করতে চাচ্ছে।
জানতে চাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গোলাম রব্বানী কনাষ্ট্রাকশনের প্রকল্পের ম্যানেজার তন্ময় বলেন, আমি চরফ্যাশনের মিটিংয়ে আছি। তজুমদ্দিনে আসলে সরাসরি কথা বলবো বলে কল কেটে দেন।
তজুমদ্দিন-লালমোহনের এসএসডিও আহসান আহমেদ বলেন, জমির মালিকদের সাথে কথা বলে সমজোতার মাধ্যমে বন্ধ কাজ শুরু করা হবে। বেড়িবাঁধের জমি অধিগ্রহণ করতে সরকারীভাবে কোন বরাদ্দ না থাকায় ঘর ও জমির মালিকদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়া সুযোগ নেই। তবুও ঘর মালিকরা কোথাও অস্থায়ীভাবে থাকলে বেড়িবাঁধ সম্পন্ন হলে আবার বেড়িবাঁধে থাকতে পারবে।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বেড়িবাঁধের এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:০৩
পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় তিন ইটভাটাকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে প্রশাসন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ভোলা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে এসব ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়।
অভিযানে দণ্ডপ্রাপ্ত ইটভাটাগুলো হলো, হাকিমউদ্দিনের দালালপুরে মেসার্স এস এন এস ব্রিকস, কুঞ্জেরহাটের মেসার্স রাকিব ব্রিকস ও মেসার্স মোল্লা ব্রিকস।
এদের মধ্যে এস এন এস ব্রিকস ও মোল্লা ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা করে এবং রাকিব ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান চলাকালে ফায়ার সার্ভিসের পাম্প মেশিন ব্যবহার করে ইটভাটার আগুন নিভিয়ে কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয় এবং কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন নৌবাহিনী, পুলিশ লাইন, বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশ এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার ফায়ার সার্ভিস।
মোবাইল কোর্টে নেতৃত্ব দেন ভোলা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজবীউল ইসলাম ইসকেম এবং মোঃ জয়নাল আবেদীন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বার্থে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় তিন ইটভাটাকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে প্রশাসন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ভোলা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে এসব ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়।
অভিযানে দণ্ডপ্রাপ্ত ইটভাটাগুলো হলো, হাকিমউদ্দিনের দালালপুরে মেসার্স এস এন এস ব্রিকস, কুঞ্জেরহাটের মেসার্স রাকিব ব্রিকস ও মেসার্স মোল্লা ব্রিকস।
এদের মধ্যে এস এন এস ব্রিকস ও মোল্লা ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা করে এবং রাকিব ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান চলাকালে ফায়ার সার্ভিসের পাম্প মেশিন ব্যবহার করে ইটভাটার আগুন নিভিয়ে কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয় এবং কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন নৌবাহিনী, পুলিশ লাইন, বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশ এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার ফায়ার সার্ভিস।
মোবাইল কোর্টে নেতৃত্ব দেন ভোলা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজবীউল ইসলাম ইসকেম এবং মোঃ জয়নাল আবেদীন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বার্থে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৩
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে যখন দেশজুড়ে উৎসবের আমেজ, তখন কুয়াশার বাধায় মুন্সিগঞ্জে আটকা পড়ে ভোলা চরফ্যাশন ও মনপুরাসহ বরিশাল থেকে আসা নেতা-কর্মীদের বিশাল বহর। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীতে তীব্র ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক হাজার নেতাকর্মীসহ ৫টি যাত্রীবাহী লঞ্চ জরুরি যাত্রা বিরতি দিতে বাধ্য হয়।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মেঘনা নদী অতিক্রম করে মুন্সিগঞ্জ সীমানায় ধলেশ্বরীতে পৌঁছালে ঘন কুয়াশায় কারণে নৌপথের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি যাত্রা বিরতি দেয় মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায়।
এরপর প্রায় ৪ ঘণ্টার বেশি সময় যাত্রা বিরতি শেষে সকাল ১০টা ১৬ মিনিটে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-৮।
এর আগে, যাত্রা বিরতি চলাকালে ভোলা থেকে আগত বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দীর্ঘদিন পর কাছ থেকে দেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল ও দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে, বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে প্রায় দেড় হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীকে নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-৮।
মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন নামের এক বিএনপি কর্মী জানান, ভোলা ৪ আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের এমপি প্রার্থী নুর ইসলাম নয়নের উদ্যোগে তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন নেতা-কর্মীরা। যাত্রাপথে ঘন কুয়াশায় যাত্রীবাহী লঞ্চ গুলোর জরুরি বিরতি দেয়া হয় মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায়।
লঞ্চ যাত্রী ও মনপুরা উপজেলা যুবদলের সভাপতি শামসু মোল্লা জানান, পৌষের কনকনে শীত উপেক্ষা করে রাজধানীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মিলন-মেলায় অংশ নিয়ে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে সুদূর ভোলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে রাজধানীর উদ্দেশ্যে ছুটে এসেছেন তারা।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ভোলা থেকে সংবর্ধনার উদ্দেশ্যে আগত বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রা বিরতি দেয় বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী লঞ্চ।
ঘন কুয়াশায় জরুরি যাত্রা বিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে ফারহান-৮ লঞ্চের লাইন মাস্টার রুহুল আমিন কিবরিয়া জানান, প্রায় চার ঘণ্টা যাত্রা বিরতি শেষে রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা হয়। তবে তীব্র ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথের কোনও কিছু দেখতে না পাওয়ায়। মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীতে জরুরি যাত্রা বিরতি দিতে বাধ্য হয়েছে বেশ কয়েকটি লঞ্চ। এতে প্রায় সাত হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী আটকা পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিন মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীকে নিয়ে আটকে থাকতে দেখা গেছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ, এমভি জাকির সম্রাট-৪, এমভি অথৈ-৩, ফারহান-৮, গ্লোরি অফ শ্রীনগর-৭ ও চাঁদপুর অ্যাডভেঞ্চার-৩ নামের পাঁচটি যাত্রীবাহী লঞ্চ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের সহযোগী ইজারাদার ও টার্মিনাল ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে যখন দেশজুড়ে উৎসবের আমেজ, তখন কুয়াশার বাধায় মুন্সিগঞ্জে আটকা পড়ে ভোলা চরফ্যাশন ও মনপুরাসহ বরিশাল থেকে আসা নেতা-কর্মীদের বিশাল বহর। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীতে তীব্র ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক হাজার নেতাকর্মীসহ ৫টি যাত্রীবাহী লঞ্চ জরুরি যাত্রা বিরতি দিতে বাধ্য হয়।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মেঘনা নদী অতিক্রম করে মুন্সিগঞ্জ সীমানায় ধলেশ্বরীতে পৌঁছালে ঘন কুয়াশায় কারণে নৌপথের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি যাত্রা বিরতি দেয় মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায়।
এরপর প্রায় ৪ ঘণ্টার বেশি সময় যাত্রা বিরতি শেষে সকাল ১০টা ১৬ মিনিটে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-৮।
এর আগে, যাত্রা বিরতি চলাকালে ভোলা থেকে আগত বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দীর্ঘদিন পর কাছ থেকে দেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল ও দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে, বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে প্রায় দেড় হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীকে নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-৮।
মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন নামের এক বিএনপি কর্মী জানান, ভোলা ৪ আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের এমপি প্রার্থী নুর ইসলাম নয়নের উদ্যোগে তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন নেতা-কর্মীরা। যাত্রাপথে ঘন কুয়াশায় যাত্রীবাহী লঞ্চ গুলোর জরুরি বিরতি দেয়া হয় মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায়।
লঞ্চ যাত্রী ও মনপুরা উপজেলা যুবদলের সভাপতি শামসু মোল্লা জানান, পৌষের কনকনে শীত উপেক্ষা করে রাজধানীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মিলন-মেলায় অংশ নিয়ে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে সুদূর ভোলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে রাজধানীর উদ্দেশ্যে ছুটে এসেছেন তারা।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ভোলা থেকে সংবর্ধনার উদ্দেশ্যে আগত বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রা বিরতি দেয় বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী লঞ্চ।
ঘন কুয়াশায় জরুরি যাত্রা বিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে ফারহান-৮ লঞ্চের লাইন মাস্টার রুহুল আমিন কিবরিয়া জানান, প্রায় চার ঘণ্টা যাত্রা বিরতি শেষে রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা হয়। তবে তীব্র ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথের কোনও কিছু দেখতে না পাওয়ায়। মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীতে জরুরি যাত্রা বিরতি দিতে বাধ্য হয়েছে বেশ কয়েকটি লঞ্চ। এতে প্রায় সাত হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী আটকা পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিন মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীকে নিয়ে আটকে থাকতে দেখা গেছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ, এমভি জাকির সম্রাট-৪, এমভি অথৈ-৩, ফারহান-৮, গ্লোরি অফ শ্রীনগর-৭ ও চাঁদপুর অ্যাডভেঞ্চার-৩ নামের পাঁচটি যাত্রীবাহী লঞ্চ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের সহযোগী ইজারাদার ও টার্মিনাল ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন।

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:১৭
ভোলায় পূর্ববিরোধের জেরে সিফাত হাওলাদার নামের বিশোর্ধ্ব ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ক্লোজার বাজার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত সিফাত ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা ও ক্লোজার বাজার এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। তিনি রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা ছিলেন।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে সিফাত হাওলাদারের সঙ্গে তার চাচাতো ভাইদের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরের দিকে সিফাতের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই হাসিব ও সাকিবের হাতাহাতি হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে ক্লোজার বাজার এলাকায় সিফাতকে একা পেয়ে তারাসহ কয়েকজন কুপিয়ে আহত করে রেখে যান।
এসময় সিফাতের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ও তার পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। তাকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। দোষীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ভোলায় পূর্ববিরোধের জেরে সিফাত হাওলাদার নামের বিশোর্ধ্ব ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ক্লোজার বাজার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত সিফাত ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা ও ক্লোজার বাজার এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। তিনি রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা ছিলেন।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে সিফাত হাওলাদারের সঙ্গে তার চাচাতো ভাইদের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরের দিকে সিফাতের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই হাসিব ও সাকিবের হাতাহাতি হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে ক্লোজার বাজার এলাকায় সিফাতকে একা পেয়ে তারাসহ কয়েকজন কুপিয়ে আহত করে রেখে যান।
এসময় সিফাতের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ও তার পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। তাকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। দোষীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.