Bkash

ভোলা

ভোলায় ভুল চিকিৎসার অভিযোগে শিশু পঙ্গু, সহকারী চিকিৎসক গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৯ জুলাই, ২০২৫ ১৭:০৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভোলায় ভুল চিকিৎসার অভিযোগে শিশু পঙ্গু, সহকারী চিকিৎসক গ্রেপ্তার

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ভুল চিকিৎসায় তানভীর নামের আট বছরের এক শিশু পঙ্গু হওয়ার অভিযোগে একজন সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া শফিকুল ইসলাম বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্যাকমো (সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার) হিসেবে কর্মরত। এ ছাড়া হাসপাতাল সড়কে আকিব মেডিকেল হল ও দেউলা মেডিকেল হল নামে দুটি ওষুধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ব্যক্তিগত চেম্বার করেন।

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ব্যক্তিগত চেম্বারে ভুল চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে পঙ্গু করেছেন। এ ঘটনায় শিশুটির মা ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়।

এরপর শুক্রবার (১৯ জুলাই) তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান। ভুক্তভোগী শিশুর নাম তানভীর। সে উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ফুলকাচিয়া গ্রামের কৃষক মোসলেমের ছেলে এবং চরমোনাই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে পড়ালেখা করত।

তানভীরের বাবা মোসলেম অভিযোগ করে বলেন, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল তানভীর জ্বরে আক্রান্ত হলে পরদিন তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালের গেটে থাকা একটি ওষুধের দোকানের মালিকের পরামর্শে পাশের একটি চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দেওয়া শফিকুল ইসলাম চারটি ইনজেকশন দেন। ইনজেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই শিশুটির গায়ে কালচে দাগ ওঠে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভোলা সদর হাসপাতাল, সেখান থেকে বরিশাল, এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৫ জুলাই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তানভীরের দুটি হাতের কবজি ও একটি পা কেটে ফেলতে হয়। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

মোসলেম আরও জানান, চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত তাঁর প্রায় ৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে এবং আরও প্রায় ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম ও ওষুধ দোকানের মালিক আকিবের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা বিভিন্নভাবে হুমকি দেন এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান।

অভিযোগ অস্বীকার করে শফিকুল ইসলাম বলেন, তানভীরকে যখন তাঁর কাছে আনা হয়, তখন তার সারা গায়ে ফুসকুড়ি ও তীব্র জ্বর ছিল। তিনি শুধুই জ্বর ও খিঁচুনির জন্য সাধারণ চিকিৎসা দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন:

বিএনপি সবসময় দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে মূল্যায়ণ করেছে- মেজর হাফিজ

মাসুম বিল্লাহ, লালমোহন

মাসুম বিল্লাহ, লালমোহন

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিএনপি সবসময় দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে মূল্যায়ণ করেছে- মেজর হাফিজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, বিএনপি সবসময় দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে মূল্যায়ণ করেছে।

বিগত সময়ে বিএনপি চারবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে ছিলেন। আমরা তখনো চেয়ে ছিলাম আলেম ওলামা ও ইমাম মুয়াজ্জিনদের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে।

বিএনপি যদি আগামীতে দেশের জনগণের ভোটে জাতীয় সংসদে যেতে পারি, তাহলে আমাদের দল কখনই কোরআন ও সুন্নাহ এর আদর্শের  বিরুদ্ধে কোনো আইন পাশ করবে না। অতীতে ও আমরা আলেম ওলামা দের সম্মান দিয়েছে এরং ভবিষ্যতে  ও সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করবো।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে লালমোহন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির আয়োজনে পাবলিক লাইব্রেরীর হল রুমে ওলামায়ে কেরাম সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

মেজর হাফিজ আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র এখানে ইসলামের বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ করা কোন শাসকের আগামী দিনে আর হবে না।  বিশেষ করে, শেখ হাসিনার এই পরিনতি দেখার পরে সকল রাজনৈতিক দল এখন সাবধান এবং এই দেশে ইসলামের জাগরণ হয়েছে।

লালমোহন করিম রোড জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাও. আব্দুল আউয়াল এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লালমোহন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো.জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল পঞ্চায়েত, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. সাদেক মিয়া জান্টু, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান বাবুল পাটোয়ারী, প্রেসক্লাবের আহবায়ক সোহেল মো. আজীজ শাহীন, সদস্য সচিব মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদারসহ লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে  ইমাম, মুয়াজ্জিন ও ওলামায়ে কেরামসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ। 

ভোলায় পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, চাঁদার টাকাসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভোলায় পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, চাঁদার টাকাসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার

ভোলায় পুলিশের নাম ভাঙিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন— ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের আবুল খায়েরের ছেলে মো. রাকিব (৩০) ও একই ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের ছেলে হাসান মোনতাছির রহমান (২০)।

গতকাল বিকেলে ভোলা সদর মডেল থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার।

তিনি বলেন, গত ১৯ জুন পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে আল আমিন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পরদিন আল আমিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ভোলা সদর থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। এ মামলার ভয় দেখিয়ে বাপ্তা ইউনিয়নের রাকিব ও মোনতাছির স্থানীয় শেখ ফরিদের নাতি মো. জিতু জড়িত আছে বলে জিতুর পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করেন।

তারা দুজন গত ২৬ জুলাই শেখ ফরিদের বাড়িতে গিয়ে তার নাতি মো. জিতুকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য পুলিশকে ম্যানেজ করার কথা বলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। একাধিকবার তার বাড়িতে গিয়ে তারা ওই টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করায় ভুক্তভোগী জিতুর পরিবার বাধ্য হয়ে গত ৩ আগস্ট সকালে শহরের নিরালা হোটেলের ভেতরে তাদের নগদ দেড় লাখ টাকা দেন।

পরবর্তীতে আবারও শেখ ফরিদের বাড়িতে গিয়ে তারা আরও ১০ হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে আবারও ২ লাখ টাকা দাবি করলে বিষয়টি নিয়ে জিতুর পরিবারের সন্দেহ হলে ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন জিতুর পরিবার।

রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, ঘটনার সত্যতা পেয়ে পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে এবং চাঁদাবাজির ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। চাঁদাবাজিসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে ভোলা জেলা পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

লালমোহনে শহর সমন্বয় কমিটির সভা

মাসুম বিল্লাহ, লালমোহন

মাসুম বিল্লাহ, লালমোহন

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

লালমোহনে শহর সমন্বয় কমিটির সভা

ভোলার লালমোহন উপজেলায় নাগরিক সেবা বৃদ্ধি, জবাবদিহিতা এবং উন্নত-টেকসই পৌরসভা গড়ার লক্ষ্যে শহর সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে লালমোহন পৌরসভার আয়োজনে পৌর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরপ্রশাসক মো. শাহ আজিজ।

এ সময় পৌরসভার নাগরিকদের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে সুপেয়পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ এবং জলাবদ্ধতা দূরীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চলতি বছরের মধ্যেই এসব বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন সংশ্লিষ্টরা।

অনুষ্ঠিত সভায় লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহে আলম, উপজেলা প্রকৌশলী রাজিব সাহা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খলিলুর রহমান ইমন, পৌর প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারসহ শহর সমন্বয় কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের সদসরা উপস্থিত ছিলেন।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.