২০ জুন, ২০২৫ ১১:২৯
বরিশালের বাবুগঞ্জে কৃষক এবং অংশীজনদের নিয়ে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে 'প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফর্মেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার)' প্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উপজেলা অডিটোরিয়ামে ওই কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। এতে কৃষাণ-কৃষাণী, কৃষি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিসহ কৃষি সেক্টরের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের অংশগ্রহণে এক মেলবন্ধন রচিত হয়।
বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী ওই পার্টনার কংগ্রেসের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সৈয়দা ফারহীন তামান্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবদুল করিম চাপরাশি, যুগ্ম-আহবায়ক নজরুল ইসলাম বাদশা, জামায়াত ইসলামীর আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনে সভাপতি মাওলানা মোঃ রহমাতুল্লাহ, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুজন সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, জাহাঙ্গীরনগর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আহসান হিমু খান, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আরিফুর রহমান রতন, ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়কারী শেখ নজরুল ইসলাম মাহবুব প্রমুখ।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ওই পার্টনার কংগ্রেসে একটি সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনী উপস্থাপন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আবদুর রউফ। এতে কৃষকদের মাঝে টেকসই ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, কৃষি প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, নিরাপদ খাদ্য, কেমিক্যাল ও পেস্টিসাইডের ব্যবহার কমিয়ে অর্গানিক পদ্ধতির চাষাবাদ, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, কৃষকের কৃষিপণ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের সুযোগ সৃষ্টি এবং বাজার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে একটি সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য অংশীজনদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আবদুর রউফ বলেন, 'দেশের সকল মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে চাই আমরা। সেজন্য কেমিক্যাল এবং পেস্টিসাইডের ব্যবহার কমিয়ে অর্গানিক পদ্ধতির চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহী করে নতুন কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। কৃষির আধুনিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নত জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, আধুনিক যান্ত্রিক প্রযুক্তির ব্যবহার, কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মেলবন্ধন সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এই পার্টনার কংগ্রেসের আয়োজন করা হয়েছে।'
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। তাই কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আমাদের উৎপাদিত অনেক কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের উৎপাদিত ৫৫টি পণ্য জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন (জিআই) পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এরমধ্যে বরিশালের বিখ্যাত আমড়া রয়েছে। কৃষিতে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ এবং ব্যবস্থাপনা। এজন্য সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের স্বনির্ভরতা এবং অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে সবার দায়িত্ব পালনের সুযোগ রয়েছে।'
বাবুগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে কৃষক এবং অংশীজনদের নিয়ে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশালের বাবুগঞ্জে কৃষক এবং অংশীজনদের নিয়ে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে 'প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফর্মেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার)' প্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উপজেলা অডিটোরিয়ামে ওই কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। এতে কৃষাণ-কৃষাণী, কৃষি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিসহ কৃষি সেক্টরের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের অংশগ্রহণে এক মেলবন্ধন রচিত হয়।
বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী ওই পার্টনার কংগ্রেসের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সৈয়দা ফারহীন তামান্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবদুল করিম চাপরাশি, যুগ্ম-আহবায়ক নজরুল ইসলাম বাদশা, জামায়াত ইসলামীর আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনে সভাপতি মাওলানা মোঃ রহমাতুল্লাহ, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুজন সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, জাহাঙ্গীরনগর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আহসান হিমু খান, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আরিফুর রহমান রতন, ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়কারী শেখ নজরুল ইসলাম মাহবুব প্রমুখ।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ওই পার্টনার কংগ্রেসে একটি সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনী উপস্থাপন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আবদুর রউফ। এতে কৃষকদের মাঝে টেকসই ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, কৃষি প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, নিরাপদ খাদ্য, কেমিক্যাল ও পেস্টিসাইডের ব্যবহার কমিয়ে অর্গানিক পদ্ধতির চাষাবাদ, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, কৃষকের কৃষিপণ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের সুযোগ সৃষ্টি এবং বাজার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে একটি সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য অংশীজনদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আবদুর রউফ বলেন, 'দেশের সকল মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে চাই আমরা। সেজন্য কেমিক্যাল এবং পেস্টিসাইডের ব্যবহার কমিয়ে অর্গানিক পদ্ধতির চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহী করে নতুন কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। কৃষির আধুনিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নত জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, আধুনিক যান্ত্রিক প্রযুক্তির ব্যবহার, কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মেলবন্ধন সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এই পার্টনার কংগ্রেসের আয়োজন করা হয়েছে।'
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। তাই কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আমাদের উৎপাদিত অনেক কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের উৎপাদিত ৫৫টি পণ্য জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন (জিআই) পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এরমধ্যে বরিশালের বিখ্যাত আমড়া রয়েছে। কৃষিতে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ এবং ব্যবস্থাপনা। এজন্য সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের স্বনির্ভরতা এবং অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে সবার দায়িত্ব পালনের সুযোগ রয়েছে।'
২০ জুন, ২০২৫ ২০:০৯
বরিশালের বাবুগঞ্জে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উপজেলা হলরুমে ইউএনডিপি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়ে) প্রকল্পের আওতায় ওই সমন্বয় সভার আয়োজন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং। বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, দেহেরগতি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আহসান খান হিমু প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী মোহাম্মদ পারভেজ। এসময় গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ এবং সংশোধিত ২০১৩ ও ২০২৪-এর আলোকে প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণকে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সমন্বয় সভায় উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার বিশেষ অতিথি ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না বলেন, 'স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে পরিচালিত ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরাসরি বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করে গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। সেখানে গ্রাম আদালত কার্যক্রম শক্তিশালী করা গেলে আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়ে স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা এদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রধান অন্তরায়। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে জমিজমার বিরোধ নিষ্পত্তি ও ছোটখাটো স্থানীয় ফৌজদারি অপরাধের বিচার করা গেলে সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজতর হবে।'
সমন্বয় সভার সভাপতি বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'গ্রাম আদালত সচল থাকলে স্থানীয় পর্যায়ে অনেক বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব। এতে থানায় এবং আদালতে মামলার চাপ কমবে। এর পাশাপাশি মানুষ হয়রানি এবং অর্থনাশ থেকে রেহাই পাবে। ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সক্রিয় থাকলে এর সুফল পাবে সাধারণ মানুষ। গ্রামের দরিদ্র অসহায় মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাওয়ার যে আইনি সুযোগ রয়েছে সেটা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। গ্রাম আদালত কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি সকল অংশীজন এবং সুনাগরিকদের ভূমিকা পালন আবশ্যক।'
বরিশালের বাবুগঞ্জে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উপজেলা হলরুমে ইউএনডিপি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়ে) প্রকল্পের আওতায় ওই সমন্বয় সভার আয়োজন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং। বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, দেহেরগতি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আহসান খান হিমু প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী মোহাম্মদ পারভেজ। এসময় গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ এবং সংশোধিত ২০১৩ ও ২০২৪-এর আলোকে প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণকে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সমন্বয় সভায় উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার বিশেষ অতিথি ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না বলেন, 'স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে পরিচালিত ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরাসরি বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করে গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। সেখানে গ্রাম আদালত কার্যক্রম শক্তিশালী করা গেলে আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়ে স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা এদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রধান অন্তরায়। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে জমিজমার বিরোধ নিষ্পত্তি ও ছোটখাটো স্থানীয় ফৌজদারি অপরাধের বিচার করা গেলে সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজতর হবে।'
সমন্বয় সভার সভাপতি বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'গ্রাম আদালত সচল থাকলে স্থানীয় পর্যায়ে অনেক বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব। এতে থানায় এবং আদালতে মামলার চাপ কমবে। এর পাশাপাশি মানুষ হয়রানি এবং অর্থনাশ থেকে রেহাই পাবে। ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সক্রিয় থাকলে এর সুফল পাবে সাধারণ মানুষ। গ্রামের দরিদ্র অসহায় মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাওয়ার যে আইনি সুযোগ রয়েছে সেটা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। গ্রাম আদালত কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি সকল অংশীজন এবং সুনাগরিকদের ভূমিকা পালন আবশ্যক।'
২০ জুন, ২০২৫ ১৫:২৫
গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল সদর উপজেলা শাখার সভাপতিকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এ বিষয়ে তাকে চিঠি দেওয়া হয়। বিষয়টি গণঅধিকার পরিষদ বরিশাল জেলা শাখার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর নিশ্চিত করেন।
দলের জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, বরিশাল সদর উপজেলার সভাপতি মো. সবুজ হাওলাদারকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলের সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়ার কথা চিঠিতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, দলের বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্তে তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হল।’
গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল সদর উপজেলা শাখার সভাপতিকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এ বিষয়ে তাকে চিঠি দেওয়া হয়। বিষয়টি গণঅধিকার পরিষদ বরিশাল জেলা শাখার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর নিশ্চিত করেন।
দলের জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, বরিশাল সদর উপজেলার সভাপতি মো. সবুজ হাওলাদারকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলের সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়ার কথা চিঠিতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, দলের বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্তে তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হল।’
২০ জুন, ২০২৫ ১৩:২৪
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের রহিমগঞ্জ গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের পৈত্রিক ভিটা এবং তার নামে নির্মিত জাদুঘরটি পড়ে আছে অযত্নে অবহেলায়। এমন বাস্তবতা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করে এর প্রয়োজনীয় সংস্কার করে পুনরায় সচল করার দাবিতে সংস্কৃতি উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
উপদেষ্টার কাছে ওই স্মারকলিপি প্রদানকালে এসময় উপস্থিত ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই মঞ্জুর রহমান বাচ্চু, বরিশাল সোসাইটির আহবায়ক আমানুল্লাহ খান নোমান, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোসাদ্দেক বিল্লাহ, অ্যাডভোকেট ফয়জুল্লাহ ফায়েজ, এবি পার্টি বরিশাল জেলা ও মহানগরীর সদস্য সচিব প্রকৌশলী জিএম রাব্বী এবং যুগ্ম-আহবায়ক সুজন তালুকদার।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে চাপাইনবয়াবগঞ্জে যুদ্ধরত অবস্থায় শহীদ হন অকুতোভয় দুঃসাহসী যোদ্ধা বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। তার স্মৃতি সংরক্ষণে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর (আগরপুর) ইউনিয়নে তার জন্মভূমি রহিমগঞ্জ গ্রামে ২০০৮ সালে একটি জাদুঘর নির্মাণ করে সরকার। উক্ত জাদুঘরটির তত্ত্বাবধান করে আসছিল বরিশাল জেলা পরিষদ। সেটা বরিশাল জেলা পরিষদ থেকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং পুনরায় সচল করার দাবি জানান এবি পার্টির নেতারা।
একইসাথে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের পৈত্রিক বসতবাড়ি ও জাদুঘরের সম্মুখভাগে প্রবাহমান সন্ধ্যা নদীর ক্রমাগত ভাঙন অব্যাহত থাকায় কংক্রিটের ব্লক ফেলে নদী শাসন ও ভাঙন প্রতিরোধের জন্য উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। এসময় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজটি এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের রহিমগঞ্জ গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের পৈত্রিক ভিটা এবং তার নামে নির্মিত জাদুঘরটি পড়ে আছে অযত্নে অবহেলায়। এমন বাস্তবতা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করে এর প্রয়োজনীয় সংস্কার করে পুনরায় সচল করার দাবিতে সংস্কৃতি উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
উপদেষ্টার কাছে ওই স্মারকলিপি প্রদানকালে এসময় উপস্থিত ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই মঞ্জুর রহমান বাচ্চু, বরিশাল সোসাইটির আহবায়ক আমানুল্লাহ খান নোমান, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোসাদ্দেক বিল্লাহ, অ্যাডভোকেট ফয়জুল্লাহ ফায়েজ, এবি পার্টি বরিশাল জেলা ও মহানগরীর সদস্য সচিব প্রকৌশলী জিএম রাব্বী এবং যুগ্ম-আহবায়ক সুজন তালুকদার।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে চাপাইনবয়াবগঞ্জে যুদ্ধরত অবস্থায় শহীদ হন অকুতোভয় দুঃসাহসী যোদ্ধা বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। তার স্মৃতি সংরক্ষণে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর (আগরপুর) ইউনিয়নে তার জন্মভূমি রহিমগঞ্জ গ্রামে ২০০৮ সালে একটি জাদুঘর নির্মাণ করে সরকার। উক্ত জাদুঘরটির তত্ত্বাবধান করে আসছিল বরিশাল জেলা পরিষদ। সেটা বরিশাল জেলা পরিষদ থেকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং পুনরায় সচল করার দাবি জানান এবি পার্টির নেতারা।
একইসাথে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের পৈত্রিক বসতবাড়ি ও জাদুঘরের সম্মুখভাগে প্রবাহমান সন্ধ্যা নদীর ক্রমাগত ভাঙন অব্যাহত থাকায় কংক্রিটের ব্লক ফেলে নদী শাসন ও ভাঙন প্রতিরোধের জন্য উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। এসময় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজটি এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.