০৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:১১
প্রজনন ক্ষম এলাকায় মা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষায় আগামী ৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২ দিন ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুত, বেচাকেনা ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
এ সময় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। সরকারের এ আইন বাস্তবায়নে কাজ করে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, পুলিশ ও কোষ্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা যায়, তজুমদ্দিনের মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান চালাতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
ইতোমধ্যে জেলেরা অভিযান বাস্তবায়নে মাছ ধরার সরঞ্জাম নৌকা ও জাল নিরাপদ জায়গায় তুলতে শুরু করেছেন। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলা ট্রাস্কফোস কমিটির সভা করার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেন।
এছাড়াও তজুমদ্দিন উপজেলার শশীগঞ্জ ¯øুইজঘাটে জনসচেতনতা সভা, সোনাপুর আনন্দবাজারে জনসচেতনতা সভা, চৌমুহনী মাছঘাট এবং মহিষখালী মাছঘাটে জনসচেতনতা, কাটাখালী জনসচেনতা সভা ও গুরিন্দা বাজারে পথ সভা করেন মৎস্য প্রশাসন।
এছাড়াও শশীগঞ্জ মাছবাজার, মুচিবাড়ির কোনা মাছবাজার, শিবপুখাসেরহাট, শম্ভুপুর মাছবাজার এলাকায় মাইকিং, পথসভা, লিফলেট বিতরণ ও সচেতনতামূলক ব্যানার লাগিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ।
উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোট ১৬টি ব্যানার ও একটি ড্রপডাউন ব্যানার লাগান। জানতে চাইলে তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শুভ দেবনাথ বলেন, মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়তে না পারলে ভবিষ্যতে উৎপাদন ব্যাপককভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাই মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য অফিস, কোষ্টগার্ড ও পুলিশ রোষ্টার মোতাবেক সর্বক্ষণিক নদীতে টহল অবস্থায় থাকবে। সরকারের আইন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে।
অভিযান চলাকালীন জেলেদের জন্য সরকারের তরফ থেকে চাল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথে চাল জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
এই নিষেধাজ্ঞা শুধু জেলেদের শাস্তির জন্য নয়, বরং জেলেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য। আজ যদি আমরা মা ইলিশ রক্ষা করি, আগামী দিনে আরও বেশি ইলিশ পাওয়া যাবে এবং উপকৃত হবেন জেলেসহ সাধারণ মানুষ।
প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ২২দিনের অভিযান বাস্তবায়নে জেলা থেকে নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আসবে। উল্লেখ্য, তজুমদ্দিনে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৮ হাজার ৯২৭ জেলে।
অভিযান চলাকালীন ১৮হাজার ৭১৫ জেলে পরিবারকে এ বছর ২৫ কেজি করে চাল দেয়া হবে। কড়া নজরদারিতে নদী নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম সৈয়দ আউলিয়া পয়েন্টের ৮০ কিলোমিটার আয়তন এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময়ে কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগ ও পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসনের যৌথ টিম প্রতিদিন নদীতে টহল দেবে।
তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আমির হোসেন বলেন, ২২ দিন ধৈর্য ধারণ করুন, মা ইলিশ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখুন এবং সরকার প্রদত্ত সহায়তা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করুন।
কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমির হোসেন আরো জানান, অভিযানে বিশেষ প্রযোজনে নৌবাহিনীও অংশ নেবে।
প্রজনন ক্ষম এলাকায় মা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষায় আগামী ৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২ দিন ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুত, বেচাকেনা ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
এ সময় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। সরকারের এ আইন বাস্তবায়নে কাজ করে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, পুলিশ ও কোষ্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা যায়, তজুমদ্দিনের মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান চালাতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
ইতোমধ্যে জেলেরা অভিযান বাস্তবায়নে মাছ ধরার সরঞ্জাম নৌকা ও জাল নিরাপদ জায়গায় তুলতে শুরু করেছেন। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলা ট্রাস্কফোস কমিটির সভা করার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেন।
এছাড়াও তজুমদ্দিন উপজেলার শশীগঞ্জ ¯øুইজঘাটে জনসচেতনতা সভা, সোনাপুর আনন্দবাজারে জনসচেতনতা সভা, চৌমুহনী মাছঘাট এবং মহিষখালী মাছঘাটে জনসচেতনতা, কাটাখালী জনসচেনতা সভা ও গুরিন্দা বাজারে পথ সভা করেন মৎস্য প্রশাসন।
এছাড়াও শশীগঞ্জ মাছবাজার, মুচিবাড়ির কোনা মাছবাজার, শিবপুখাসেরহাট, শম্ভুপুর মাছবাজার এলাকায় মাইকিং, পথসভা, লিফলেট বিতরণ ও সচেতনতামূলক ব্যানার লাগিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ।
উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোট ১৬টি ব্যানার ও একটি ড্রপডাউন ব্যানার লাগান। জানতে চাইলে তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শুভ দেবনাথ বলেন, মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়তে না পারলে ভবিষ্যতে উৎপাদন ব্যাপককভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাই মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য অফিস, কোষ্টগার্ড ও পুলিশ রোষ্টার মোতাবেক সর্বক্ষণিক নদীতে টহল অবস্থায় থাকবে। সরকারের আইন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে।
অভিযান চলাকালীন জেলেদের জন্য সরকারের তরফ থেকে চাল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথে চাল জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
এই নিষেধাজ্ঞা শুধু জেলেদের শাস্তির জন্য নয়, বরং জেলেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য। আজ যদি আমরা মা ইলিশ রক্ষা করি, আগামী দিনে আরও বেশি ইলিশ পাওয়া যাবে এবং উপকৃত হবেন জেলেসহ সাধারণ মানুষ।
প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ২২দিনের অভিযান বাস্তবায়নে জেলা থেকে নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আসবে। উল্লেখ্য, তজুমদ্দিনে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৮ হাজার ৯২৭ জেলে।
অভিযান চলাকালীন ১৮হাজার ৭১৫ জেলে পরিবারকে এ বছর ২৫ কেজি করে চাল দেয়া হবে। কড়া নজরদারিতে নদী নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম সৈয়দ আউলিয়া পয়েন্টের ৮০ কিলোমিটার আয়তন এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময়ে কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগ ও পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসনের যৌথ টিম প্রতিদিন নদীতে টহল দেবে।
তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আমির হোসেন বলেন, ২২ দিন ধৈর্য ধারণ করুন, মা ইলিশ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখুন এবং সরকার প্রদত্ত সহায়তা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করুন।
কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমির হোসেন আরো জানান, অভিযানে বিশেষ প্রযোজনে নৌবাহিনীও অংশ নেবে।
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৬
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৪
ভোলার মনপুরা উপজেলায় নিখোঁজের প্রায় ৯ ঘণ্টা পর আলম মাঝি (৫০) নামে এক জেলের মরদেহ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ফকিরহাট গ্রামে নিহতের নিজ বসতবাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই একই গ্রামের মো. তাজুল ইসলামের ছেলে
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের বরাতে ইউপি সদস্য মো.জামাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জামাল মাঝির নদী তীরে বেঁধে রাখা নৌকা দেখতে যাবেন বলে স্ত্রীকে জানিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। তার স্ত্রী বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরও তিনি আর ঘরে ফেরেননি। এরপর সকালেও তিনি বাড়ি না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হয় এবং তার মোবাইলে কল দেন। পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয়রা বসতবাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধের বাইরে পুকুরের পাড়ে জামাল মাঝির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও জুতা দেখতে পান এবং জামাল মাঝির মরদেহ পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন তারা।
মনপুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ গিয়েছে। পরে বিস্তারিত জানা যাবে,তার পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ভোলার মনপুরা উপজেলায় নিখোঁজের প্রায় ৯ ঘণ্টা পর আলম মাঝি (৫০) নামে এক জেলের মরদেহ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ফকিরহাট গ্রামে নিহতের নিজ বসতবাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই একই গ্রামের মো. তাজুল ইসলামের ছেলে
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের বরাতে ইউপি সদস্য মো.জামাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জামাল মাঝির নদী তীরে বেঁধে রাখা নৌকা দেখতে যাবেন বলে স্ত্রীকে জানিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। তার স্ত্রী বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরও তিনি আর ঘরে ফেরেননি। এরপর সকালেও তিনি বাড়ি না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হয় এবং তার মোবাইলে কল দেন। পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয়রা বসতবাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধের বাইরে পুকুরের পাড়ে জামাল মাঝির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও জুতা দেখতে পান এবং জামাল মাঝির মরদেহ পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন তারা।
মনপুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ গিয়েছে। পরে বিস্তারিত জানা যাবে,তার পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৪৬
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর কাচারির খালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ১২ জন জেলেকে মোট ৬০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হান-উজ্জামান।
সোমবার (২০ অক্টোবর) অভিযানকালে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধনের অপরাধে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ (সংশোধিত ২০২৫) অনুযায়ী প্রত্যেককে ৫,০০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক ৭ জন জেলেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযানে ২০ কেজি মা ইলিশ মাছ উদ্ধার করা হয়, যা পরবর্তীতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মাদরাসাতুল মদিনাহ আল অ্যারাবিয়া লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে বিতরণ করা হয়। এছাড়া ১০,০০০ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে নদীতে মা ইলিশ নিধন থেকে সকলকে বিরত থাকার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অভিযানে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, নৌপুলিশ ও বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের একটি টিম সার্বিক সহযোগিতা করেছে। উপজেলা প্রশাসনের দৃঢ় সদিচ্ছা ও অব্যাহত প্রচেষ্টায় মা ইলিশ সংরক্ষণে বোরহানউদ্দিনে গড়ে উঠছে প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর কাচারির খালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ১২ জন জেলেকে মোট ৬০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হান-উজ্জামান।
সোমবার (২০ অক্টোবর) অভিযানকালে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধনের অপরাধে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ (সংশোধিত ২০২৫) অনুযায়ী প্রত্যেককে ৫,০০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক ৭ জন জেলেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযানে ২০ কেজি মা ইলিশ মাছ উদ্ধার করা হয়, যা পরবর্তীতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মাদরাসাতুল মদিনাহ আল অ্যারাবিয়া লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে বিতরণ করা হয়। এছাড়া ১০,০০০ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে নদীতে মা ইলিশ নিধন থেকে সকলকে বিরত থাকার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অভিযানে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, নৌপুলিশ ও বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের একটি টিম সার্বিক সহযোগিতা করেছে। উপজেলা প্রশাসনের দৃঢ় সদিচ্ছা ও অব্যাহত প্রচেষ্টায় মা ইলিশ সংরক্ষণে বোরহানউদ্দিনে গড়ে উঠছে প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত।
২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:৫৭
ভোলার দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ পাওয়া অর্ধকোটি টাকার নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি গত ৭–৮ বছর ধরে অযত্নে পড়ে রয়েছে বেতুয়ার খালে। এখন সেটি কাদামাটির নিচে চাপা পড়ে অচল হয়ে গেছে। ফলে চরাঞ্চলের অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী বঞ্চিত হচ্ছে জরুরি চিকিৎসাসেবা থেকে। অপরদিকে সরকারের প্রায় অর্ধকোটি টাকারও বেশি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত সরকারের সময় ২০১৮ সালে মেঘনা উপকূলীয় দৌলতখান উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিতে (প্রায়) অর্ধকোটি টাকার এই নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলেও এরপর থেকে এটি ব্যবহার হতে দেখা যায়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে থানাসংলগ্ন বেতুয়ার খালে ফেলে রাখা হয়। এখন সেটি কাদা ও মাটির নিচে চাপা পড়ে ব্যবহারের অযোগ্য অবস্থায় রয়েছে।
চরের এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ী জানান, ‘আমরা গরিব মানুষ, চরে থাকি বলেই চিকিৎসা পাই না। শুনছি সরকার নৌ অ্যাম্বুলেন্স দিছে, কিন্তু কখনো দেখি নাই। অসুখে পড়লে এখানেই মরতে হয়।’
গৃহবধূ জান্নাত বলেন, ‘আমরা চরে থাকি, মরে গেলেও কেউ খোঁজ নেয় না। শুনছি গরিবের জন্য সরকার অ্যাম্বুলেন্স দিছে, কিন্তু কোনোদিন কাজে লাগে নাই।’ সাবেক ইউপি মেম্বার আবু তাহের বলেন, ‘চরে চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই।
একবার হাসপাতালে গেছিলাম, তখন জিজ্ঞাসা করলাম নৌ অ্যাম্বুলেন্স কোথায়— তারা বলে, খুঁজে নেন।’ বেতুয়ার খালের জেলেরা জানায়, ‘নতুন আনার পর কোনোদিন রোগী আনতে দেখি নাই। এখন খালের মাটির নিচে চাপা পইড়া গেছে।’
এ বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সটি এক সময় সচল করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ওপি বন্ধ থাকায় ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরই এটি সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
ভোলার দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ পাওয়া অর্ধকোটি টাকার নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি গত ৭–৮ বছর ধরে অযত্নে পড়ে রয়েছে বেতুয়ার খালে। এখন সেটি কাদামাটির নিচে চাপা পড়ে অচল হয়ে গেছে। ফলে চরাঞ্চলের অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী বঞ্চিত হচ্ছে জরুরি চিকিৎসাসেবা থেকে। অপরদিকে সরকারের প্রায় অর্ধকোটি টাকারও বেশি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত সরকারের সময় ২০১৮ সালে মেঘনা উপকূলীয় দৌলতখান উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিতে (প্রায়) অর্ধকোটি টাকার এই নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলেও এরপর থেকে এটি ব্যবহার হতে দেখা যায়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে থানাসংলগ্ন বেতুয়ার খালে ফেলে রাখা হয়। এখন সেটি কাদা ও মাটির নিচে চাপা পড়ে ব্যবহারের অযোগ্য অবস্থায় রয়েছে।
চরের এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ী জানান, ‘আমরা গরিব মানুষ, চরে থাকি বলেই চিকিৎসা পাই না। শুনছি সরকার নৌ অ্যাম্বুলেন্স দিছে, কিন্তু কখনো দেখি নাই। অসুখে পড়লে এখানেই মরতে হয়।’
গৃহবধূ জান্নাত বলেন, ‘আমরা চরে থাকি, মরে গেলেও কেউ খোঁজ নেয় না। শুনছি গরিবের জন্য সরকার অ্যাম্বুলেন্স দিছে, কিন্তু কোনোদিন কাজে লাগে নাই।’ সাবেক ইউপি মেম্বার আবু তাহের বলেন, ‘চরে চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই।
একবার হাসপাতালে গেছিলাম, তখন জিজ্ঞাসা করলাম নৌ অ্যাম্বুলেন্স কোথায়— তারা বলে, খুঁজে নেন।’ বেতুয়ার খালের জেলেরা জানায়, ‘নতুন আনার পর কোনোদিন রোগী আনতে দেখি নাই। এখন খালের মাটির নিচে চাপা পইড়া গেছে।’
এ বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সটি এক সময় সচল করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ওপি বন্ধ থাকায় ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরই এটি সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.