১৭ জুন, ২০২৫ ১৮:৪৭
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূকে তার ঘরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার কলসকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।
নিহত আসমা বেগম (৫৫) উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের কলসকাঠী গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী।
নিহতের স্বামী আবুল হোসেন বরিশালটাইমসকে বলেন, তার স্ত্রী মাগরিবের নামাজের পর মোবাইল ফোনে কল করে তাকে শেষবারের মতো দেখতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তখন তিনি বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার স্ত্রীকে মৃত আনা হয়েছে বলে জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদ হাসান বরিশালটাইমসকে বলেন, নিহতের গলায় ঘাড়ের ডান পাশে দুটি বড় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ওসি বলেন, এখন পর্যন্ত হত্যার রহস্যের কোনো সূত্র পুলিশ জানতে পারেনি। আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি রহস্য উদ্ধারে কাজ চলছে।’
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূকে তার ঘরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার কলসকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।
নিহত আসমা বেগম (৫৫) উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের কলসকাঠী গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী।
নিহতের স্বামী আবুল হোসেন বরিশালটাইমসকে বলেন, তার স্ত্রী মাগরিবের নামাজের পর মোবাইল ফোনে কল করে তাকে শেষবারের মতো দেখতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তখন তিনি বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার স্ত্রীকে মৃত আনা হয়েছে বলে জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদ হাসান বরিশালটাইমসকে বলেন, নিহতের গলায় ঘাড়ের ডান পাশে দুটি বড় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ওসি বলেন, এখন পর্যন্ত হত্যার রহস্যের কোনো সূত্র পুলিশ জানতে পারেনি। আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি রহস্য উদ্ধারে কাজ চলছে।’
১৭ জুন, ২০২৫ ১৩:৩৯
এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে বরিশালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ঘন্টাব্যাপী অবরোধের মুখে পড়েন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুছ আলী সিদ্দিকী। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে নগরীর নথুল্লাবাদে শিক্ষা বোর্ডের সামনে শিক্ষার্থীরা তার গাড়ি আটকে রেখে অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন। দুপুরে চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুছ আলী সিদ্দিকী গাড়িতে বোর্ড ভবন ত্যাগের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা তার চারদিক ঘিরে ফেলেন এবং গাড়ি আটকে দিয়ে তার কাছে দাবি আদায়ের জোর তৎপরতা চালান।
এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন চেয়ারম্যান। তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে। শিগগিরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পরেও স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অমানবিক। তারা দাবি করেন, আগামী ২৬ জুনের পরীক্ষা কমপক্ষে দুই মাস পেছাতে হবে।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে এমসিকিউ ও সৃজনশীল অংশে যৌক্তিকভাবে পাস নম্বর নির্ধারণ করে মূল্যায়ন, এবং ২০২৭ সালের কারিকুলাম কার্যকর হওয়ার আগেই ২০২৫ সালের শিক্ষার্থীদের ওপর নতুন নিয়ম চাপিয়ে না দিয়ে আগের নিয়মে পরীক্ষা গ্রহণ করা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাদের দাবি না মানা হলে তারা পরবর্তী সময়ে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে বরিশালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ঘন্টাব্যাপী অবরোধের মুখে পড়েন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুছ আলী সিদ্দিকী। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে নগরীর নথুল্লাবাদে শিক্ষা বোর্ডের সামনে শিক্ষার্থীরা তার গাড়ি আটকে রেখে অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন। দুপুরে চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুছ আলী সিদ্দিকী গাড়িতে বোর্ড ভবন ত্যাগের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা তার চারদিক ঘিরে ফেলেন এবং গাড়ি আটকে দিয়ে তার কাছে দাবি আদায়ের জোর তৎপরতা চালান।
এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন চেয়ারম্যান। তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে। শিগগিরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পরেও স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অমানবিক। তারা দাবি করেন, আগামী ২৬ জুনের পরীক্ষা কমপক্ষে দুই মাস পেছাতে হবে।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে এমসিকিউ ও সৃজনশীল অংশে যৌক্তিকভাবে পাস নম্বর নির্ধারণ করে মূল্যায়ন, এবং ২০২৭ সালের কারিকুলাম কার্যকর হওয়ার আগেই ২০২৫ সালের শিক্ষার্থীদের ওপর নতুন নিয়ম চাপিয়ে না দিয়ে আগের নিয়মে পরীক্ষা গ্রহণ করা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাদের দাবি না মানা হলে তারা পরবর্তী সময়ে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
১৭ জুন, ২০২৫ ১২:৪৫
বরিশালের বাকেরগঞ্জে ছয় সন্তানের জননীর মৃত্যুর পর দাফন করা হয়েছে প্রতিবেশীর বাড়িতে। মায়ের লাশ দেখতে পর্যন্ত আসেননি তার ছোট ছেলে, মাদ্রাসা শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম ফিরোজ আলম। গত শুক্রবার, ১৩ জুন এই হৃদয়বিদারক ঘটনার জন্ম হয় বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে।
মৃত রাবেয়া বেগম উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের দক্ষিণ সাদিস গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের স্ত্রী। নদীভাঙনে আব্দুল মান্নানের কলসকাঠীর বাড়িটি বিলীন হয়ে গেলে তিনি রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের রুনশি এলাকায় জমি কিনে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। সেই বাড়িতেই পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন তারা।
আব্দুল মান্নানের বড় কন্যা রিনা বেগম জানান, “আমার ছোট ভাই ফিরোজ আলম দুমকি উপজেলার চর গরবদী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও এক মসজিদের ইমাম। প্রায় ২০ বছর আগে সে আমার সহজ-সরল বাবার কাছ থেকে বাড়িসহ সমস্ত সম্পত্তির দলিল লিখে নেয়।
এরপর সে আমাদের মা ও বোনদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমরা বাকিরা ভূমিহীন হয়ে যাই। কেউ আশ্রয়ন প্রকল্পে বাস করছে, কেউ কোথাও। কারও নিজের কোনো জমি-জায়গা নেই। এই নিয়ে ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “মা দীর্ঘদিন আমার কাছেই থাকতেন এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। ১৩ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুর পর ছোট ভাই ফিরোজ মায়ের লাশ দেখতে আসেনি। আমাদের কারও জমি না থাকায় মাকে দাফনের জায়গাও ছিল না। একদিন কেটে যাওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তখন সহানুভূতিশীল প্রতিবেশী হায়দার ফকির মানবিক দিক বিবেচনায় তার নিজের জমিতে মায়ের দাফনের ব্যবস্থা করে দেন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম ফিরোজ আলম বলেন, “আমার ভাইবোনদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে মামলা চলছে। মা তাদের কাছেই থাকতেন। তাই ভয়ে মায়ের লাশ দেখতে যাইনি।”
বরিশালের বাকেরগঞ্জে ছয় সন্তানের জননীর মৃত্যুর পর দাফন করা হয়েছে প্রতিবেশীর বাড়িতে। মায়ের লাশ দেখতে পর্যন্ত আসেননি তার ছোট ছেলে, মাদ্রাসা শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম ফিরোজ আলম। গত শুক্রবার, ১৩ জুন এই হৃদয়বিদারক ঘটনার জন্ম হয় বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে।
মৃত রাবেয়া বেগম উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের দক্ষিণ সাদিস গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের স্ত্রী। নদীভাঙনে আব্দুল মান্নানের কলসকাঠীর বাড়িটি বিলীন হয়ে গেলে তিনি রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের রুনশি এলাকায় জমি কিনে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। সেই বাড়িতেই পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন তারা।
আব্দুল মান্নানের বড় কন্যা রিনা বেগম জানান, “আমার ছোট ভাই ফিরোজ আলম দুমকি উপজেলার চর গরবদী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও এক মসজিদের ইমাম। প্রায় ২০ বছর আগে সে আমার সহজ-সরল বাবার কাছ থেকে বাড়িসহ সমস্ত সম্পত্তির দলিল লিখে নেয়।
এরপর সে আমাদের মা ও বোনদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমরা বাকিরা ভূমিহীন হয়ে যাই। কেউ আশ্রয়ন প্রকল্পে বাস করছে, কেউ কোথাও। কারও নিজের কোনো জমি-জায়গা নেই। এই নিয়ে ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “মা দীর্ঘদিন আমার কাছেই থাকতেন এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। ১৩ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুর পর ছোট ভাই ফিরোজ মায়ের লাশ দেখতে আসেনি। আমাদের কারও জমি না থাকায় মাকে দাফনের জায়গাও ছিল না। একদিন কেটে যাওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তখন সহানুভূতিশীল প্রতিবেশী হায়দার ফকির মানবিক দিক বিবেচনায় তার নিজের জমিতে মায়ের দাফনের ব্যবস্থা করে দেন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম ফিরোজ আলম বলেন, “আমার ভাইবোনদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে মামলা চলছে। মা তাদের কাছেই থাকতেন। তাই ভয়ে মায়ের লাশ দেখতে যাইনি।”
১৭ জুন, ২০২৫ ০৮:২৬
বরিশালের মুলাদীতে সাগর মাল (৩০) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের দাবি, মৃত্যুর আগে তিনি স্ত্রী ও বোনকে খুদেবার্তা পাঠিয়েছিলেন। স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তাঁরা।
গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সাগর মাল ওই গ্রামের মৃত শাহজাহান মালের ছেলে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় চাকরি করায় সাগর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেখানেই থাকতেন। গত শনিবার তিনি গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে এক বোনের বাড়ি থেকে আরেক বোনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।
কিন্তু দুপুরের পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে তাঁদের পরিত্যক্ত ঘরের আড়ার সঙ্গে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্বজনেরা। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
মরদেহ উদ্ধারের পর তাঁর বোন সখিনা বেগম মোবাইল ফোনে খুদেবার্তা দেখতে পান। একই বার্তা সাগরের স্ত্রীকেও পাঠানো হয়েছিল বলে জানান তিনি। বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমার জন্য দোয়া করবা।’
সখিনা বেগম আরও জানান, তার ভাইয়ের সঙ্গে কারও শত্রুতা বা বিরোধ ছিল না। ঘটনার দিন সকালে স্ত্রীর সঙ্গে কয়েকবার ফোনে কথাও বলেন সাগর। সম্ভবত পারিবারিক অভিমান থেকেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন।
মুলাদী থানার পরিদর্শক মো. মমিন উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশালের মুলাদীতে সাগর মাল (৩০) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের দাবি, মৃত্যুর আগে তিনি স্ত্রী ও বোনকে খুদেবার্তা পাঠিয়েছিলেন। স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তাঁরা।
গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সাগর মাল ওই গ্রামের মৃত শাহজাহান মালের ছেলে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় চাকরি করায় সাগর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেখানেই থাকতেন। গত শনিবার তিনি গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে এক বোনের বাড়ি থেকে আরেক বোনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।
কিন্তু দুপুরের পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে তাঁদের পরিত্যক্ত ঘরের আড়ার সঙ্গে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্বজনেরা। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
মরদেহ উদ্ধারের পর তাঁর বোন সখিনা বেগম মোবাইল ফোনে খুদেবার্তা দেখতে পান। একই বার্তা সাগরের স্ত্রীকেও পাঠানো হয়েছিল বলে জানান তিনি। বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমার জন্য দোয়া করবা।’
সখিনা বেগম আরও জানান, তার ভাইয়ের সঙ্গে কারও শত্রুতা বা বিরোধ ছিল না। ঘটনার দিন সকালে স্ত্রীর সঙ্গে কয়েকবার ফোনে কথাও বলেন সাগর। সম্ভবত পারিবারিক অভিমান থেকেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন।
মুলাদী থানার পরিদর্শক মো. মমিন উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.