৩০ জুন, ২০২৫ ১৭:১৯
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ৯ নম্বর দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন বেশ কয়েক দিন ধরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজমুল আহসান নান্টু মল্লিকের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে, ১০ দিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদ তালাবদ্ধ থাকায় ইউনিয়নবাসী সেবা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, এমনকি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা।
তিনি জানান, এরপরও তিনি প্রতিকার পাচ্ছেন না। তিনি আরো অভিযোগ করেন, চাঁদা না দিলে ‘মবসৃষ্টি করে’ তাকে প্রাণনাশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজমুল আহসান নান্টু মল্লিকেরসহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা বলেন, ‘‘২০ জুন তারা আমার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন।
প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন চাঁদা না দিলে রাস্তাঘাটে আমাকে পেলে মেরে ফেলবেন, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেবেন। গত ২২ জুন অস্ত্রশস্ত্রসহ তারা দলবল নিয়ে মহড়া দেন এবং ২৩ জুন ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেন। স্থানীয়রা আপত্তি জানালে তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।’’
অন্য অভিযুক্তরা হলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির ভাই ইকবাল মল্লিক, তাদের সহযোগী রিপমন মল্লিক, উজ্জল মল্লিক এবং জসিম হাওলাদার। দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড মেম্বার আয়শা আক্তার রিনা বলেন, ‘‘আমি জেনেছি বিএনপির লোকজন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এতে ইউনিয়ন পরিষদের জনস্বার্থের কাজ বন্ধ রয়েছে।’’
ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার হারুন খন্দকার বলেন, ‘‘ইউনিয়ন পরিষদ তালাবদ্ধ থাকায় লোকজন সেবা পাচ্ছেন না। কী জন্য তালা ঝুলিয়েছেন তা জানি না। এ সব নিয়ে কথা বলতে যাওয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ। স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির কিছু লোকজন মিলে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।’’
অভিযোগের বিষয়ে দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নান্টু মল্লিক বলেন, ‘‘ইউনিয়ন পরিষদ পাবলিক অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। বিনা ভোটের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর সারা বাংলায় একজনও নেই, উনি থাকবেন কিসের জন্য?’’
চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘অসম্ভব। আমার এলাকায় এসে জিজ্ঞেস করেন, প্রশাসনের কাছে জিজ্ঞেস করেন, ৫ আগস্টের পরে কোনো ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে একটি টাকার বিষয়েও অভিযোগ আনতে পারবেন না।’’
নলছিটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমান হেলাল খান বলেন, ‘‘কিছু ফ্যাসিস্ট তাড়াতে কিছু ত্যাগ করতে হয়। দপদপিয়া ইউনিয়নের বিষয়টি প্রশাসনিক ব্যাপার, এটি প্রশাসন দ্রুত সমাধান করবে বলে আশা করি।’’
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমি লিখিতভাবে অভিযোগ পাইনি। তবে মৌখিকভাবে খবর পেয়েছি, কিছু লোক ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রেখেছেন।
সেবা প্রত্যাশী বা অন্য কারো লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’ এ দিকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধার অভিযোগপত্র দপ্তর গ্রহণ করেছে।
এর আগে গত ২২ জুন সকালে দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ এবং গ্রেপ্তারের দাবিতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের জিরো পয়েন্ট এলাকা অবরোধ করে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এর পরপরই তারা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দপদপিয়া ইউনিয়নের সভাপতি।’
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ৯ নম্বর দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন বেশ কয়েক দিন ধরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজমুল আহসান নান্টু মল্লিকের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে, ১০ দিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদ তালাবদ্ধ থাকায় ইউনিয়নবাসী সেবা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, এমনকি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা।
তিনি জানান, এরপরও তিনি প্রতিকার পাচ্ছেন না। তিনি আরো অভিযোগ করেন, চাঁদা না দিলে ‘মবসৃষ্টি করে’ তাকে প্রাণনাশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজমুল আহসান নান্টু মল্লিকেরসহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা বলেন, ‘‘২০ জুন তারা আমার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন।
প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন চাঁদা না দিলে রাস্তাঘাটে আমাকে পেলে মেরে ফেলবেন, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেবেন। গত ২২ জুন অস্ত্রশস্ত্রসহ তারা দলবল নিয়ে মহড়া দেন এবং ২৩ জুন ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেন। স্থানীয়রা আপত্তি জানালে তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।’’
অন্য অভিযুক্তরা হলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির ভাই ইকবাল মল্লিক, তাদের সহযোগী রিপমন মল্লিক, উজ্জল মল্লিক এবং জসিম হাওলাদার। দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড মেম্বার আয়শা আক্তার রিনা বলেন, ‘‘আমি জেনেছি বিএনপির লোকজন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এতে ইউনিয়ন পরিষদের জনস্বার্থের কাজ বন্ধ রয়েছে।’’
ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার হারুন খন্দকার বলেন, ‘‘ইউনিয়ন পরিষদ তালাবদ্ধ থাকায় লোকজন সেবা পাচ্ছেন না। কী জন্য তালা ঝুলিয়েছেন তা জানি না। এ সব নিয়ে কথা বলতে যাওয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ। স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির কিছু লোকজন মিলে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।’’
অভিযোগের বিষয়ে দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নান্টু মল্লিক বলেন, ‘‘ইউনিয়ন পরিষদ পাবলিক অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। বিনা ভোটের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর সারা বাংলায় একজনও নেই, উনি থাকবেন কিসের জন্য?’’
চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘অসম্ভব। আমার এলাকায় এসে জিজ্ঞেস করেন, প্রশাসনের কাছে জিজ্ঞেস করেন, ৫ আগস্টের পরে কোনো ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে একটি টাকার বিষয়েও অভিযোগ আনতে পারবেন না।’’
নলছিটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমান হেলাল খান বলেন, ‘‘কিছু ফ্যাসিস্ট তাড়াতে কিছু ত্যাগ করতে হয়। দপদপিয়া ইউনিয়নের বিষয়টি প্রশাসনিক ব্যাপার, এটি প্রশাসন দ্রুত সমাধান করবে বলে আশা করি।’’
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমি লিখিতভাবে অভিযোগ পাইনি। তবে মৌখিকভাবে খবর পেয়েছি, কিছু লোক ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রেখেছেন।
সেবা প্রত্যাশী বা অন্য কারো লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’ এ দিকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধার অভিযোগপত্র দপ্তর গ্রহণ করেছে।
এর আগে গত ২২ জুন সকালে দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ এবং গ্রেপ্তারের দাবিতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের জিরো পয়েন্ট এলাকা অবরোধ করে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এর পরপরই তারা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দপদপিয়া ইউনিয়নের সভাপতি।’
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪০
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:০৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৭:২৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৬:৫৭
২৬ জুলাই, ২০২৫ ১৭:৪০
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঝালকাঠির বিভিন্ন নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার সবগুলো উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি প্রবল স্রোতে খালে ঢুকে এবং তীর উপচে গ্রামাঞ্চলে প্রবেশ করায় দেখা দিয়েছে বন্যার শঙ্কা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সুগন্ধা, বিষখালী, হলতা, বাসন্ডা, ধানসিঁড়ি নদী ও গাবখান চ্যানেলের পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে ২-৩ মিটার। ইতোমধ্যে জেলার চার উপজেলার ৪০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বিশেষভাবে ঝালকাঠি সদরের কেওড়া, কৃত্তিপাশা, পোনাবালিয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম, রাজাপুরের বড়ইয়া, নিজামিয়া, পালট, বাদুরতলা, নলছিটির নাচনমহল ও ভবানিপুর এবং কাঁঠালিয়ার আমুয়া ও পাটিকালঘাটা এলাকার ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
বিষখালীর জোয়ারের পানি সদর উপজেলার বৈদারাপুর, ভাটারাকান্দা, সাচিলাপুর, কিস্তাকাঠি, মানকিসুন্দর, নাপিতেরহাট এবং কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করেছে। কাঁঠালিয়ার চিংড়াখালী, জয়খালী, মশাবুনিয়া, ছৈলারচর, কচুয়া, রঘুয়ারদরি চর ও জাঙ্গালিয়া গ্রাম সম্পূর্ণ পানির নিচে। ডুবে গেছে আউরা ও শৌলজালিয়া আশ্রয়ণ এলাকা, কাঁঠালিয়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর।
এতে কৃষিজমি, মাছের ঘের এবং কাঁচা-পাকা সড়কের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠি শহরের পুরাতন কলাবাগ, লঞ্চঘাট ও পৌর মিনিপার্ক এলাকা থেকেও সুগন্ধা নদীর পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা বলেন, শুধুমাত্র বিষখালী নদীর পানির উচ্চতা গত ২৪ ঘণ্টায় ২ মিটার বেড়েছে। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ৭ থেকে ১০ সেন্টিমিটার ওপরে। জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, পানি আরও বাড়লে প্লাবিত এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঝালকাঠির বিভিন্ন নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার সবগুলো উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি প্রবল স্রোতে খালে ঢুকে এবং তীর উপচে গ্রামাঞ্চলে প্রবেশ করায় দেখা দিয়েছে বন্যার শঙ্কা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সুগন্ধা, বিষখালী, হলতা, বাসন্ডা, ধানসিঁড়ি নদী ও গাবখান চ্যানেলের পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে ২-৩ মিটার। ইতোমধ্যে জেলার চার উপজেলার ৪০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বিশেষভাবে ঝালকাঠি সদরের কেওড়া, কৃত্তিপাশা, পোনাবালিয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম, রাজাপুরের বড়ইয়া, নিজামিয়া, পালট, বাদুরতলা, নলছিটির নাচনমহল ও ভবানিপুর এবং কাঁঠালিয়ার আমুয়া ও পাটিকালঘাটা এলাকার ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
বিষখালীর জোয়ারের পানি সদর উপজেলার বৈদারাপুর, ভাটারাকান্দা, সাচিলাপুর, কিস্তাকাঠি, মানকিসুন্দর, নাপিতেরহাট এবং কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করেছে। কাঁঠালিয়ার চিংড়াখালী, জয়খালী, মশাবুনিয়া, ছৈলারচর, কচুয়া, রঘুয়ারদরি চর ও জাঙ্গালিয়া গ্রাম সম্পূর্ণ পানির নিচে। ডুবে গেছে আউরা ও শৌলজালিয়া আশ্রয়ণ এলাকা, কাঁঠালিয়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর।
এতে কৃষিজমি, মাছের ঘের এবং কাঁচা-পাকা সড়কের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠি শহরের পুরাতন কলাবাগ, লঞ্চঘাট ও পৌর মিনিপার্ক এলাকা থেকেও সুগন্ধা নদীর পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা বলেন, শুধুমাত্র বিষখালী নদীর পানির উচ্চতা গত ২৪ ঘণ্টায় ২ মিটার বেড়েছে। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ৭ থেকে ১০ সেন্টিমিটার ওপরে। জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, পানি আরও বাড়লে প্লাবিত এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
২৬ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৩০
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা কৃষক দলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কমিটি ঘোষণা করেন জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক চাষি মোঃনান্না খলিফা। এসময় জেলা কৃষক দলের সহ সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম ফারুক মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটিতে হাজী মোহাম্মদ শামীম মল্লিককে আহবায়ক ও মোঃ মোস্তফা কামাল মিন্টুকে সদস্য সচিব করা হয়। এতে দশটি ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থেকে প্রস্তাবটি সমর্থন করেন। এ সময় মঞ্জুরুল ইসলাম সুইট, রফিকুল ইসলাম সবুজ আকন, কাজী খোরশেদ আলম, মুজিবুর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা কৃষক দলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কমিটি ঘোষণা করেন জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক চাষি মোঃনান্না খলিফা। এসময় জেলা কৃষক দলের সহ সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম ফারুক মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটিতে হাজী মোহাম্মদ শামীম মল্লিককে আহবায়ক ও মোঃ মোস্তফা কামাল মিন্টুকে সদস্য সচিব করা হয়। এতে দশটি ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থেকে প্রস্তাবটি সমর্থন করেন। এ সময় মঞ্জুরুল ইসলাম সুইট, রফিকুল ইসলাম সবুজ আকন, কাজী খোরশেদ আলম, মুজিবুর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
২৫ জুলাই, ২০২৫ ২৩:৪৬
ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন হোসেনের বাবা তোফাজ্জেল হোসেনকে (৫৫) পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সাতুরিয়া ইঁদুরবাড়ি গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে সন্ধ্যায় রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তোফাজ্জেল হোসেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, তোফাজ্জেল হোসেনদের সঙ্গে প্রতিবেশী মো. ইব্রাহীম হাওলাদার ও আবদুল হাইয়ের বিরোধ আছে। জুমার নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হতেই ওই দুজনসহ চারজন তাকে ঘিরে ধরেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে লিমনের করা অভিযোগ তুলে নিতে বলেন তারা। তোফাজ্জেল হোসেন এতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন ইব্রাহীম ও আবদুল হাই।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম সাতুরিয়ায় নিজের বাড়ির পাশে গুলিবিদ্ধ হন লিমন। বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গরু আনতে গেলে র্যাবের সদস্যরা তাকে ধরে পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেন। ওই ঘটনার পর র্যাব লিমনসহ আটজনের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় দুটি মামলা করে। সেই মামলায় র্যাবের পক্ষে ১ নম্বর সাক্ষী ছিলেন ইব্রাহীম হাওলাদার।
শুক্রবারের ঘটনায় লিমনের বাবার লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এর আগে ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল বিরোধপূর্ণ জমিতে প্রবেশ করে মো. ইব্রাহীম ও আবদুল হাইয়ের নেতৃত্বে ছয়-সাতজন বাঁশ কাটার চেষ্টা করেন। এতে তোফাজ্জেল বাধা দিলে তাকে পিটিয়ে আহত করেন আসামিরা। এ ঘটনায় লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম তাদের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ঝালকাঠির আদালত মো. ইব্রাহীমকে দুই বছরের ও আবদুল হাইকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। ২০২৪ সালে এক মাস কারাভোগ করে ইব্রাহীম হাওলাদার জামিনে বের হয়ে লিমনের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন।
তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমার ছেলে লিমন হোসেনের করা অভিযোগ তুলে নিতে অস্বীকার করায় আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। ইব্রাহীম হাওলাদারের নেতৃত্বে এর আগেও আমার ওপর হামলা হয়েছে।’
লিমন হোসেন বলেন, ‘আমি আমার বাবার ওপরে এ হামলার বিচার চাই।’
অভিযুক্ত ইব্রাহীম হাওলাদারের দাবি, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে লিমন প্রভাব খাটিয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন হোসেনের বাবা তোফাজ্জেল হোসেনকে (৫৫) পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সাতুরিয়া ইঁদুরবাড়ি গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে সন্ধ্যায় রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তোফাজ্জেল হোসেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, তোফাজ্জেল হোসেনদের সঙ্গে প্রতিবেশী মো. ইব্রাহীম হাওলাদার ও আবদুল হাইয়ের বিরোধ আছে। জুমার নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হতেই ওই দুজনসহ চারজন তাকে ঘিরে ধরেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে লিমনের করা অভিযোগ তুলে নিতে বলেন তারা। তোফাজ্জেল হোসেন এতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন ইব্রাহীম ও আবদুল হাই।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম সাতুরিয়ায় নিজের বাড়ির পাশে গুলিবিদ্ধ হন লিমন। বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গরু আনতে গেলে র্যাবের সদস্যরা তাকে ধরে পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেন। ওই ঘটনার পর র্যাব লিমনসহ আটজনের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় দুটি মামলা করে। সেই মামলায় র্যাবের পক্ষে ১ নম্বর সাক্ষী ছিলেন ইব্রাহীম হাওলাদার।
শুক্রবারের ঘটনায় লিমনের বাবার লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এর আগে ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল বিরোধপূর্ণ জমিতে প্রবেশ করে মো. ইব্রাহীম ও আবদুল হাইয়ের নেতৃত্বে ছয়-সাতজন বাঁশ কাটার চেষ্টা করেন। এতে তোফাজ্জেল বাধা দিলে তাকে পিটিয়ে আহত করেন আসামিরা। এ ঘটনায় লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম তাদের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ঝালকাঠির আদালত মো. ইব্রাহীমকে দুই বছরের ও আবদুল হাইকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। ২০২৪ সালে এক মাস কারাভোগ করে ইব্রাহীম হাওলাদার জামিনে বের হয়ে লিমনের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন।
তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমার ছেলে লিমন হোসেনের করা অভিযোগ তুলে নিতে অস্বীকার করায় আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। ইব্রাহীম হাওলাদারের নেতৃত্বে এর আগেও আমার ওপর হামলা হয়েছে।’
লিমন হোসেন বলেন, ‘আমি আমার বাবার ওপরে এ হামলার বিচার চাই।’
অভিযুক্ত ইব্রাহীম হাওলাদারের দাবি, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে লিমন প্রভাব খাটিয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.