৩০ জুন, ২০২৫ ১৭:১৯
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ৯ নম্বর দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন বেশ কয়েক দিন ধরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজমুল আহসান নান্টু মল্লিকের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে, ১০ দিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদ তালাবদ্ধ থাকায় ইউনিয়নবাসী সেবা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, এমনকি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা।
তিনি জানান, এরপরও তিনি প্রতিকার পাচ্ছেন না। তিনি আরো অভিযোগ করেন, চাঁদা না দিলে ‘মবসৃষ্টি করে’ তাকে প্রাণনাশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজমুল আহসান নান্টু মল্লিকেরসহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা বলেন, ‘‘২০ জুন তারা আমার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন।
প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন চাঁদা না দিলে রাস্তাঘাটে আমাকে পেলে মেরে ফেলবেন, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেবেন। গত ২২ জুন অস্ত্রশস্ত্রসহ তারা দলবল নিয়ে মহড়া দেন এবং ২৩ জুন ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেন। স্থানীয়রা আপত্তি জানালে তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।’’
অন্য অভিযুক্তরা হলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির ভাই ইকবাল মল্লিক, তাদের সহযোগী রিপমন মল্লিক, উজ্জল মল্লিক এবং জসিম হাওলাদার। দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড মেম্বার আয়শা আক্তার রিনা বলেন, ‘‘আমি জেনেছি বিএনপির লোকজন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এতে ইউনিয়ন পরিষদের জনস্বার্থের কাজ বন্ধ রয়েছে।’’
ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার হারুন খন্দকার বলেন, ‘‘ইউনিয়ন পরিষদ তালাবদ্ধ থাকায় লোকজন সেবা পাচ্ছেন না। কী জন্য তালা ঝুলিয়েছেন তা জানি না। এ সব নিয়ে কথা বলতে যাওয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ। স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির কিছু লোকজন মিলে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।’’
অভিযোগের বিষয়ে দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নান্টু মল্লিক বলেন, ‘‘ইউনিয়ন পরিষদ পাবলিক অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। বিনা ভোটের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর সারা বাংলায় একজনও নেই, উনি থাকবেন কিসের জন্য?’’
চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘অসম্ভব। আমার এলাকায় এসে জিজ্ঞেস করেন, প্রশাসনের কাছে জিজ্ঞেস করেন, ৫ আগস্টের পরে কোনো ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে একটি টাকার বিষয়েও অভিযোগ আনতে পারবেন না।’’
নলছিটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমান হেলাল খান বলেন, ‘‘কিছু ফ্যাসিস্ট তাড়াতে কিছু ত্যাগ করতে হয়। দপদপিয়া ইউনিয়নের বিষয়টি প্রশাসনিক ব্যাপার, এটি প্রশাসন দ্রুত সমাধান করবে বলে আশা করি।’’
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমি লিখিতভাবে অভিযোগ পাইনি। তবে মৌখিকভাবে খবর পেয়েছি, কিছু লোক ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রেখেছেন।
সেবা প্রত্যাশী বা অন্য কারো লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’ এ দিকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধার অভিযোগপত্র দপ্তর গ্রহণ করেছে।
এর আগে গত ২২ জুন সকালে দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ এবং গ্রেপ্তারের দাবিতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের জিরো পয়েন্ট এলাকা অবরোধ করে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এর পরপরই তারা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দপদপিয়া ইউনিয়নের সভাপতি।’
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ৯ নম্বর দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন বেশ কয়েক দিন ধরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজমুল আহসান নান্টু মল্লিকের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে, ১০ দিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদ তালাবদ্ধ থাকায় ইউনিয়নবাসী সেবা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, এমনকি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা।
তিনি জানান, এরপরও তিনি প্রতিকার পাচ্ছেন না। তিনি আরো অভিযোগ করেন, চাঁদা না দিলে ‘মবসৃষ্টি করে’ তাকে প্রাণনাশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজমুল আহসান নান্টু মল্লিকেরসহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা বলেন, ‘‘২০ জুন তারা আমার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন।
প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন চাঁদা না দিলে রাস্তাঘাটে আমাকে পেলে মেরে ফেলবেন, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেবেন। গত ২২ জুন অস্ত্রশস্ত্রসহ তারা দলবল নিয়ে মহড়া দেন এবং ২৩ জুন ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেন। স্থানীয়রা আপত্তি জানালে তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।’’
অন্য অভিযুক্তরা হলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির ভাই ইকবাল মল্লিক, তাদের সহযোগী রিপমন মল্লিক, উজ্জল মল্লিক এবং জসিম হাওলাদার। দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড মেম্বার আয়শা আক্তার রিনা বলেন, ‘‘আমি জেনেছি বিএনপির লোকজন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এতে ইউনিয়ন পরিষদের জনস্বার্থের কাজ বন্ধ রয়েছে।’’
ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার হারুন খন্দকার বলেন, ‘‘ইউনিয়ন পরিষদ তালাবদ্ধ থাকায় লোকজন সেবা পাচ্ছেন না। কী জন্য তালা ঝুলিয়েছেন তা জানি না। এ সব নিয়ে কথা বলতে যাওয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ। স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির কিছু লোকজন মিলে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।’’
অভিযোগের বিষয়ে দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নান্টু মল্লিক বলেন, ‘‘ইউনিয়ন পরিষদ পাবলিক অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। বিনা ভোটের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর সারা বাংলায় একজনও নেই, উনি থাকবেন কিসের জন্য?’’
চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘অসম্ভব। আমার এলাকায় এসে জিজ্ঞেস করেন, প্রশাসনের কাছে জিজ্ঞেস করেন, ৫ আগস্টের পরে কোনো ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে একটি টাকার বিষয়েও অভিযোগ আনতে পারবেন না।’’
নলছিটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমান হেলাল খান বলেন, ‘‘কিছু ফ্যাসিস্ট তাড়াতে কিছু ত্যাগ করতে হয়। দপদপিয়া ইউনিয়নের বিষয়টি প্রশাসনিক ব্যাপার, এটি প্রশাসন দ্রুত সমাধান করবে বলে আশা করি।’’
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমি লিখিতভাবে অভিযোগ পাইনি। তবে মৌখিকভাবে খবর পেয়েছি, কিছু লোক ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রেখেছেন।
সেবা প্রত্যাশী বা অন্য কারো লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’ এ দিকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধার অভিযোগপত্র দপ্তর গ্রহণ করেছে।
এর আগে গত ২২ জুন সকালে দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ এবং গ্রেপ্তারের দাবিতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের জিরো পয়েন্ট এলাকা অবরোধ করে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এর পরপরই তারা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দপদপিয়া ইউনিয়নের সভাপতি।’
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৫
ঝালকাঠিতে জাল নোট রাখার দায়ে দুজনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ রহিবুল ইসলাম। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গতকাল আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি নুপুর বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তবে অপর আসামি জসিম খলিফা পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডিতরা হলেন ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের আল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী নুপুর বেগম (৩৫) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার দেউড়ি গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে জসিম খলিফা (৩৬)। মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী (এডিশনাল পিপি) মো. আককাস সিকদার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝালকাঠি শহরের কবিরাজবাড়ি সড়কে বিএডিসি অফিসের সামনে থেকে ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবর্ণচন্দ্র দে আসামিদের আটক করেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত নোটগুলোর মধ্যে ছিল— ১৯৬টি এক হাজার টাকার, ২০০টি পাঁচশ টাকার এবং ৫টি দুইশ টাকার নোট।
সেদিন রাতেই এসআই সুবর্ণচন্দ্র দে বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৮ জুন তদন্ত শেষে সদর থানার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর মাহেব হোসেন রায়ের বিষয়ে বলেন, জাল নোটের মতো গুরুতর অপরাধ সমাজ ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই মামলায় আদালত যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছেন, তা অন্যদের জন্যও সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বনি আমিন বাকলাই।
ঝালকাঠিতে জাল নোট রাখার দায়ে দুজনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ রহিবুল ইসলাম। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গতকাল আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি নুপুর বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তবে অপর আসামি জসিম খলিফা পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডিতরা হলেন ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের আল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী নুপুর বেগম (৩৫) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার দেউড়ি গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে জসিম খলিফা (৩৬)। মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী (এডিশনাল পিপি) মো. আককাস সিকদার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝালকাঠি শহরের কবিরাজবাড়ি সড়কে বিএডিসি অফিসের সামনে থেকে ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবর্ণচন্দ্র দে আসামিদের আটক করেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত নোটগুলোর মধ্যে ছিল— ১৯৬টি এক হাজার টাকার, ২০০টি পাঁচশ টাকার এবং ৫টি দুইশ টাকার নোট।
সেদিন রাতেই এসআই সুবর্ণচন্দ্র দে বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৮ জুন তদন্ত শেষে সদর থানার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর মাহেব হোসেন রায়ের বিষয়ে বলেন, জাল নোটের মতো গুরুতর অপরাধ সমাজ ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই মামলায় আদালত যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছেন, তা অন্যদের জন্যও সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বনি আমিন বাকলাই।
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৪
এক সময় দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতো নাছির খান। আর তার আয়ে চলতো ৫ সদস্যের সংসার। দীর্ঘ ১ বছর ধরে অসুস্থ থাকার কারণে তার উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে।
অর্থের অভাবে ওষুধ কিনতে পারছে না তার পরিবার।বর্তমানে তিনি বাড়িতে বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এমন দুর্দশায় চিকিৎসার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন নাছির খান ও তার পরিবার।
অসুস্থ নাছির খানের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বারইকরন গ্রামে।তিনি ওই এলাকার মৃত জবেদ আলী খানের ছেলে। তার ছোট ছোট তিনটা সন্তান রয়েছে।
নাছির খানের স্বজন ও প্রতিবেশীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। সুস্থ থাকা অবস্থায় তিনি দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজের যা কিছু ছিল তা সবাই শেষ হয়ে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে বাড়িতে এসেছেন । কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। সরকার বা বিত্তবানরা তাকে সহযোগিতা করলে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
সমাজের বিত্তশালী ও সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করে নাছির খান বলেন, আমার টাকা পয়সা নেই যে আর চিকিৎসা চালাবো। বর্তমানে টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছি না।
আমার পরিবারকে অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। আমাকে কেউ সহযোগিতা করলে খুব উপকার হবে। নলছিটি উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আসাদুজ্জামান পলাশ বলেন, আমাদের কাছে আবেদন করলে সামান্য কিছু সরকারি অনুদান দেওয়া যেতে পারে।
এক সময় দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতো নাছির খান। আর তার আয়ে চলতো ৫ সদস্যের সংসার। দীর্ঘ ১ বছর ধরে অসুস্থ থাকার কারণে তার উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে।
অর্থের অভাবে ওষুধ কিনতে পারছে না তার পরিবার।বর্তমানে তিনি বাড়িতে বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এমন দুর্দশায় চিকিৎসার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন নাছির খান ও তার পরিবার।
অসুস্থ নাছির খানের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বারইকরন গ্রামে।তিনি ওই এলাকার মৃত জবেদ আলী খানের ছেলে। তার ছোট ছোট তিনটা সন্তান রয়েছে।
নাছির খানের স্বজন ও প্রতিবেশীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। সুস্থ থাকা অবস্থায় তিনি দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজের যা কিছু ছিল তা সবাই শেষ হয়ে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে বাড়িতে এসেছেন । কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। সরকার বা বিত্তবানরা তাকে সহযোগিতা করলে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
সমাজের বিত্তশালী ও সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করে নাছির খান বলেন, আমার টাকা পয়সা নেই যে আর চিকিৎসা চালাবো। বর্তমানে টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছি না।
আমার পরিবারকে অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। আমাকে কেউ সহযোগিতা করলে খুব উপকার হবে। নলছিটি উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আসাদুজ্জামান পলাশ বলেন, আমাদের কাছে আবেদন করলে সামান্য কিছু সরকারি অনুদান দেওয়া যেতে পারে।
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২৩:২০
ঝালকাঠির নলছিটিতে গরু চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে এক সিএনজি চালককে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ( ৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নলছিটি উপজেলা
প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর দোয়ারীর মেয়ে জান্নাতি আক্তার এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে জান্নাতি আক্তার বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ঢাপর এলাকার ফিরোজ হাওলাদার ওরফে ফিরোজ ড্রাইভারের চারটি গরু চুরি হয়। প্রতিদিনের মতো গাড়ি চালিয়ে ওইদিন রাতেও আমার বাবা বাড়িতে ফিরেন। রাতের খাবার খেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে বের হন। তখন একজন মানুষের মতো দেখতে পান পরে আমার মাকে লাইট নিয়ে আসতে বলে পরে আর কাউকে দেখতে পাননি। পরেরদিন সকালে শুনতে পান পাশের বাসায় ফিরোজ হাওলাদারের চারটি গরু চুরি হয়ে গেছে। তখন গিয়ে এসব খুলে বললে তাদের সন্দেহ হন আমার বাবা গরু চুরির সাথে জড়িত । পরে তারা থানায় মামলা করলে পুলিশ আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আমাদের পরিবারের চারজন সদস্য তার আয়ের আমাদের সংসার চলে। এখন আয় বন্ধ থাকায় আমাদের না খেয়ে দিন কাটছে। সঠিক তদন্ত করে আমার বাবাকে মুক্তি দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে ফিরোজ হাওলাদার বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে তাকে দেখা গেছে। এরজন্য তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, গরু চুরির একটি মামলা তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ বিষয় তদন্ত চলছে।'
ঝালকাঠির নলছিটিতে গরু চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে এক সিএনজি চালককে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ( ৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নলছিটি উপজেলা
প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর দোয়ারীর মেয়ে জান্নাতি আক্তার এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে জান্নাতি আক্তার বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ঢাপর এলাকার ফিরোজ হাওলাদার ওরফে ফিরোজ ড্রাইভারের চারটি গরু চুরি হয়। প্রতিদিনের মতো গাড়ি চালিয়ে ওইদিন রাতেও আমার বাবা বাড়িতে ফিরেন। রাতের খাবার খেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে বের হন। তখন একজন মানুষের মতো দেখতে পান পরে আমার মাকে লাইট নিয়ে আসতে বলে পরে আর কাউকে দেখতে পাননি। পরেরদিন সকালে শুনতে পান পাশের বাসায় ফিরোজ হাওলাদারের চারটি গরু চুরি হয়ে গেছে। তখন গিয়ে এসব খুলে বললে তাদের সন্দেহ হন আমার বাবা গরু চুরির সাথে জড়িত । পরে তারা থানায় মামলা করলে পুলিশ আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আমাদের পরিবারের চারজন সদস্য তার আয়ের আমাদের সংসার চলে। এখন আয় বন্ধ থাকায় আমাদের না খেয়ে দিন কাটছে। সঠিক তদন্ত করে আমার বাবাকে মুক্তি দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে ফিরোজ হাওলাদার বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে তাকে দেখা গেছে। এরজন্য তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, গরু চুরির একটি মামলা তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ বিষয় তদন্ত চলছে।'
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.