০৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:২৩
২৪’র গণঅভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রের বুলেট কেড়ে নেয় ভোলা জেলার ৪৬টি তাজা প্রাণ। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে পদদলিত হয়ে ও পুকুরে ডুবে প্রাণ হারায় আরও দুজন। নিহত ৪৮ জনের অধিকাংশই ছিলেন দিনমজুর। তারা পরিবারের সদস্যদের মুখে দুবেলা দুমুঠো ভাত তুলে দেওয়ার আশায় পাড়ি জমান স্বপ্নের শহর ঢাকায়। কে জানতো? তারা একে একে কফিনবন্দি হয়ে ঘরে ফিরবেন।
স্বজন হারানোর ১ বছর পূর্ণ হলেও এসব শহীদ পরিবারের সদস্যদের গগনবিদারী কান্না আজও থামেনি। একদিকে স্বজন হারানোর বেদনা অন্যদিকে শহীদ পরিবারের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। এ দুইয়ে মিলে দিশেহারা দরিদ্র পরিবারগুলো। সরেজমিনে এমনই চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ তাদের।
নিহত ৪৮ জনের মধ্যে রয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার ১২ জন, দৌলতখানের ৩ জন, বোরহানউদ্দিনের ৯ জন, লালমোহনের ১১ জন, চরফ্যাশনের ১২ জন ও তজুমুদ্দিনের একজন। এর মধ্যে গত ১৯ জুলাই এক দিনেই প্রাণ হারান ১৩ জন, ৪ আগস্ট ৭ জন ও ৫ আগস্ট ৮ জন।
ভোলা সদর উপজেলার বালিয়া গ্রামের মো. হারুন ও শাহিনুর বেগম দম্পতির ছোট ছেলে শহীদ মো. রনি। ছিলেন স্থানীয় নেয়ামতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে ঘরে বসে থাকতে পারেনি সে, ঢাকায় ভাইয়ের সঙ্গে টাইলসের কাজ করবেন জানিয়ে হঠাৎ বাড়ি ঢাকা চলে যান এবং আন্দোলনে সক্রিয় হন। পরবর্তীতে গত ৫ আগস্ট বিকেলে যাত্রাবাড়িতে গুলিতে নিহত হয় রনি। পরের দিন স্বজনরা মরদেহটি নিজ গ্রামে এনে বাড়ির দরজায় মসজিদের পাশে দাফন করেন।
আদরের সন্তানের কথা মনে পড়লেই কবরের কাছে ছুটে যান বাবা মো. হারুন। দুচোখের পানি ছেড়ে দুহাত তুলে আল্লাহর দরবারে ছেলের জন্য ফরিয়াদ করেন এ বাবা। ছেলের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ বাবা বলেন, আমার ছেলে রনির মতো অন্যান্য শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আজও গড়ে ওঠেনি। মারামারি খুন চাঁদাবাজি রয়েই গেছে।
ভোলা সদর উপজেলার পুর্ব ইলিশা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন মো. শামিম।
বড় ছেলে বড় সালমান (১০), মাহাদী (৬) আহম্মেদ (৪) স্ত্রী রোকেয়া বেগম আচমা ও গর্ভধারণী মাকে গ্রামের বাড়িতে রেখে ঢাকায় ব্যাচেলর থেকে ইলেকট্রনিক্স মিস্ত্রির কাজ করতেন। তার উপার্জিত অর্থেই চলতো পরিবারের ভরনপোষণ। গত ২০ জুলাই গুলিতে প্রাণ যায় শামিমের, পরেরদিন গ্রামের বাড়িতে এনে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। শামিমের ছোট ছোট ৩ সন্তান নিয়ে এখন বিপাকে রয়েছে পরিবারটি।
কথা হয় শহীদ শামিমের মা বিউটি বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার ছেলে শামিম দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। শামিমের ৩ ছেলে-স্ত্রী ও আমি মা আছি। শামিমের ৩ সন্তানের ভবিষ্যৎ কী? আমার ছেলে বেঁচে থাকলে তো সে’ই তার সন্তানদের ভবিষ্যত গড়ত।
আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ছেলের চিকিৎসা না করাতে পারার আক্ষেপ তিলে তিলে শেষ করছে চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নের শহীদ হাচনাইনের মা হাছিনা বেগমকে। ঢাকায় সে আকাশ টিভির ইন্টারনেটের কাজ করতো। ২১ জুলাই যাত্রাবাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
হাছিনা বেগম বলেন, আমার ছেলে বুকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েছি। কিন্তু চিকিৎসা দেয়নি, শেষমেশ মৃত বলে আমার ছেলের বুকে সীল মেরে দেয়। একই উপজেলার দুলারহাট থানার ওমরপুর ইউনিয়নের মুদি দোকানের কর্মচারী কিশোর ওমর ফারুকের বাবা মিলন ফরাজি বলেন, আমার ছেলেকে গুলি করে নির্মমভাবে মারা হয়েছে। আজ পর্যন্ত আমার ছেলেকে হত্যাকারীদের ধরা হয়নি এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
ক্ষোভ ও দুঃখপ্রকাশ করে জুলাই আগস্টের ভোলার অন্যতম আন্দোলনকারী রাহিম ইসলাম বলেন, আমরা শহীদদের পরিবার ও আহতদের যথাযথ মর্যাদা দিতে পারিনি। বাংলাদেশের দায়িত্বশীলরা কেউ কেউ নির্বাচন নিয়ে, সংস্কার ও দল নিয়ে ব্যস্ত। জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের নিয়ে কেউ ব্যস্ত না। মুখে মুখে বিচারের কথা শুনলেও দৃশ্যমান কিছু নেই। সরকারকে শহীদ পরিবারদের দ্রুত পুর্নবাসনের আহ্বান জানান তিনি।
ভোলার ৪৮ শহীদ পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবেন বলে জানান ভোলার জেলা প্রশাসক মো.আজাদ জাহান। তিনি বলেন, প্রতিটি শহীদ পরিবারের খোঁজখবর রাখছি। সরকারি বেসরকারি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ তাদের যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি, ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এদিকে দ্রুত গণহত্যায় জড়িতদের বিচার ও পুর্নবাসনের দাবি শহীদ পরিবারদের।
২৪’র গণঅভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রের বুলেট কেড়ে নেয় ভোলা জেলার ৪৬টি তাজা প্রাণ। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে পদদলিত হয়ে ও পুকুরে ডুবে প্রাণ হারায় আরও দুজন। নিহত ৪৮ জনের অধিকাংশই ছিলেন দিনমজুর। তারা পরিবারের সদস্যদের মুখে দুবেলা দুমুঠো ভাত তুলে দেওয়ার আশায় পাড়ি জমান স্বপ্নের শহর ঢাকায়। কে জানতো? তারা একে একে কফিনবন্দি হয়ে ঘরে ফিরবেন।
স্বজন হারানোর ১ বছর পূর্ণ হলেও এসব শহীদ পরিবারের সদস্যদের গগনবিদারী কান্না আজও থামেনি। একদিকে স্বজন হারানোর বেদনা অন্যদিকে শহীদ পরিবারের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। এ দুইয়ে মিলে দিশেহারা দরিদ্র পরিবারগুলো। সরেজমিনে এমনই চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ তাদের।
নিহত ৪৮ জনের মধ্যে রয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার ১২ জন, দৌলতখানের ৩ জন, বোরহানউদ্দিনের ৯ জন, লালমোহনের ১১ জন, চরফ্যাশনের ১২ জন ও তজুমুদ্দিনের একজন। এর মধ্যে গত ১৯ জুলাই এক দিনেই প্রাণ হারান ১৩ জন, ৪ আগস্ট ৭ জন ও ৫ আগস্ট ৮ জন।
ভোলা সদর উপজেলার বালিয়া গ্রামের মো. হারুন ও শাহিনুর বেগম দম্পতির ছোট ছেলে শহীদ মো. রনি। ছিলেন স্থানীয় নেয়ামতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে ঘরে বসে থাকতে পারেনি সে, ঢাকায় ভাইয়ের সঙ্গে টাইলসের কাজ করবেন জানিয়ে হঠাৎ বাড়ি ঢাকা চলে যান এবং আন্দোলনে সক্রিয় হন। পরবর্তীতে গত ৫ আগস্ট বিকেলে যাত্রাবাড়িতে গুলিতে নিহত হয় রনি। পরের দিন স্বজনরা মরদেহটি নিজ গ্রামে এনে বাড়ির দরজায় মসজিদের পাশে দাফন করেন।
আদরের সন্তানের কথা মনে পড়লেই কবরের কাছে ছুটে যান বাবা মো. হারুন। দুচোখের পানি ছেড়ে দুহাত তুলে আল্লাহর দরবারে ছেলের জন্য ফরিয়াদ করেন এ বাবা। ছেলের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ বাবা বলেন, আমার ছেলে রনির মতো অন্যান্য শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আজও গড়ে ওঠেনি। মারামারি খুন চাঁদাবাজি রয়েই গেছে।
ভোলা সদর উপজেলার পুর্ব ইলিশা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন মো. শামিম।
বড় ছেলে বড় সালমান (১০), মাহাদী (৬) আহম্মেদ (৪) স্ত্রী রোকেয়া বেগম আচমা ও গর্ভধারণী মাকে গ্রামের বাড়িতে রেখে ঢাকায় ব্যাচেলর থেকে ইলেকট্রনিক্স মিস্ত্রির কাজ করতেন। তার উপার্জিত অর্থেই চলতো পরিবারের ভরনপোষণ। গত ২০ জুলাই গুলিতে প্রাণ যায় শামিমের, পরেরদিন গ্রামের বাড়িতে এনে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। শামিমের ছোট ছোট ৩ সন্তান নিয়ে এখন বিপাকে রয়েছে পরিবারটি।
কথা হয় শহীদ শামিমের মা বিউটি বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার ছেলে শামিম দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। শামিমের ৩ ছেলে-স্ত্রী ও আমি মা আছি। শামিমের ৩ সন্তানের ভবিষ্যৎ কী? আমার ছেলে বেঁচে থাকলে তো সে’ই তার সন্তানদের ভবিষ্যত গড়ত।
আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ছেলের চিকিৎসা না করাতে পারার আক্ষেপ তিলে তিলে শেষ করছে চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নের শহীদ হাচনাইনের মা হাছিনা বেগমকে। ঢাকায় সে আকাশ টিভির ইন্টারনেটের কাজ করতো। ২১ জুলাই যাত্রাবাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
হাছিনা বেগম বলেন, আমার ছেলে বুকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েছি। কিন্তু চিকিৎসা দেয়নি, শেষমেশ মৃত বলে আমার ছেলের বুকে সীল মেরে দেয়। একই উপজেলার দুলারহাট থানার ওমরপুর ইউনিয়নের মুদি দোকানের কর্মচারী কিশোর ওমর ফারুকের বাবা মিলন ফরাজি বলেন, আমার ছেলেকে গুলি করে নির্মমভাবে মারা হয়েছে। আজ পর্যন্ত আমার ছেলেকে হত্যাকারীদের ধরা হয়নি এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
ক্ষোভ ও দুঃখপ্রকাশ করে জুলাই আগস্টের ভোলার অন্যতম আন্দোলনকারী রাহিম ইসলাম বলেন, আমরা শহীদদের পরিবার ও আহতদের যথাযথ মর্যাদা দিতে পারিনি। বাংলাদেশের দায়িত্বশীলরা কেউ কেউ নির্বাচন নিয়ে, সংস্কার ও দল নিয়ে ব্যস্ত। জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের নিয়ে কেউ ব্যস্ত না। মুখে মুখে বিচারের কথা শুনলেও দৃশ্যমান কিছু নেই। সরকারকে শহীদ পরিবারদের দ্রুত পুর্নবাসনের আহ্বান জানান তিনি।
ভোলার ৪৮ শহীদ পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবেন বলে জানান ভোলার জেলা প্রশাসক মো.আজাদ জাহান। তিনি বলেন, প্রতিটি শহীদ পরিবারের খোঁজখবর রাখছি। সরকারি বেসরকারি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ তাদের যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি, ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এদিকে দ্রুত গণহত্যায় জড়িতদের বিচার ও পুর্নবাসনের দাবি শহীদ পরিবারদের।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:১৬
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, বিএনপি সবসময় দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে মূল্যায়ণ করেছে।
বিগত সময়ে বিএনপি চারবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে ছিলেন। আমরা তখনো চেয়ে ছিলাম আলেম ওলামা ও ইমাম মুয়াজ্জিনদের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে।
বিএনপি যদি আগামীতে দেশের জনগণের ভোটে জাতীয় সংসদে যেতে পারি, তাহলে আমাদের দল কখনই কোরআন ও সুন্নাহ এর আদর্শের বিরুদ্ধে কোনো আইন পাশ করবে না। অতীতে ও আমরা আলেম ওলামা দের সম্মান দিয়েছে এরং ভবিষ্যতে ও সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করবো।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে লালমোহন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির আয়োজনে পাবলিক লাইব্রেরীর হল রুমে ওলামায়ে কেরাম সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মেজর হাফিজ আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র এখানে ইসলামের বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ করা কোন শাসকের আগামী দিনে আর হবে না। বিশেষ করে, শেখ হাসিনার এই পরিনতি দেখার পরে সকল রাজনৈতিক দল এখন সাবধান এবং এই দেশে ইসলামের জাগরণ হয়েছে।
লালমোহন করিম রোড জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাও. আব্দুল আউয়াল এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লালমোহন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো.জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল পঞ্চায়েত, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. সাদেক মিয়া জান্টু, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান বাবুল পাটোয়ারী, প্রেসক্লাবের আহবায়ক সোহেল মো. আজীজ শাহীন, সদস্য সচিব মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদারসহ লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও ওলামায়ে কেরামসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, বিএনপি সবসময় দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে মূল্যায়ণ করেছে।
বিগত সময়ে বিএনপি চারবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে ছিলেন। আমরা তখনো চেয়ে ছিলাম আলেম ওলামা ও ইমাম মুয়াজ্জিনদের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে।
বিএনপি যদি আগামীতে দেশের জনগণের ভোটে জাতীয় সংসদে যেতে পারি, তাহলে আমাদের দল কখনই কোরআন ও সুন্নাহ এর আদর্শের বিরুদ্ধে কোনো আইন পাশ করবে না। অতীতে ও আমরা আলেম ওলামা দের সম্মান দিয়েছে এরং ভবিষ্যতে ও সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করবো।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে লালমোহন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির আয়োজনে পাবলিক লাইব্রেরীর হল রুমে ওলামায়ে কেরাম সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মেজর হাফিজ আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র এখানে ইসলামের বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ করা কোন শাসকের আগামী দিনে আর হবে না। বিশেষ করে, শেখ হাসিনার এই পরিনতি দেখার পরে সকল রাজনৈতিক দল এখন সাবধান এবং এই দেশে ইসলামের জাগরণ হয়েছে।
লালমোহন করিম রোড জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাও. আব্দুল আউয়াল এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লালমোহন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো.জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল পঞ্চায়েত, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. সাদেক মিয়া জান্টু, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান বাবুল পাটোয়ারী, প্রেসক্লাবের আহবায়ক সোহেল মো. আজীজ শাহীন, সদস্য সচিব মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদারসহ লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও ওলামায়ে কেরামসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৩
ভোলায় পুলিশের নাম ভাঙিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন— ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের আবুল খায়েরের ছেলে মো. রাকিব (৩০) ও একই ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের ছেলে হাসান মোনতাছির রহমান (২০)।
গতকাল বিকেলে ভোলা সদর মডেল থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার।
তিনি বলেন, গত ১৯ জুন পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে আল আমিন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরদিন আল আমিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ভোলা সদর থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। এ মামলার ভয় দেখিয়ে বাপ্তা ইউনিয়নের রাকিব ও মোনতাছির স্থানীয় শেখ ফরিদের নাতি মো. জিতু জড়িত আছে বলে জিতুর পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করেন।
তারা দুজন গত ২৬ জুলাই শেখ ফরিদের বাড়িতে গিয়ে তার নাতি মো. জিতুকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য পুলিশকে ম্যানেজ করার কথা বলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। একাধিকবার তার বাড়িতে গিয়ে তারা ওই টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করায় ভুক্তভোগী জিতুর পরিবার বাধ্য হয়ে গত ৩ আগস্ট সকালে শহরের নিরালা হোটেলের ভেতরে তাদের নগদ দেড় লাখ টাকা দেন।
পরবর্তীতে আবারও শেখ ফরিদের বাড়িতে গিয়ে তারা আরও ১০ হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে আবারও ২ লাখ টাকা দাবি করলে বিষয়টি নিয়ে জিতুর পরিবারের সন্দেহ হলে ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন জিতুর পরিবার।
রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, ঘটনার সত্যতা পেয়ে পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে এবং চাঁদাবাজির ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। চাঁদাবাজিসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে ভোলা জেলা পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
ভোলায় পুলিশের নাম ভাঙিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন— ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের আবুল খায়েরের ছেলে মো. রাকিব (৩০) ও একই ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের ছেলে হাসান মোনতাছির রহমান (২০)।
গতকাল বিকেলে ভোলা সদর মডেল থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার।
তিনি বলেন, গত ১৯ জুন পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে আল আমিন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরদিন আল আমিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ভোলা সদর থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। এ মামলার ভয় দেখিয়ে বাপ্তা ইউনিয়নের রাকিব ও মোনতাছির স্থানীয় শেখ ফরিদের নাতি মো. জিতু জড়িত আছে বলে জিতুর পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করেন।
তারা দুজন গত ২৬ জুলাই শেখ ফরিদের বাড়িতে গিয়ে তার নাতি মো. জিতুকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য পুলিশকে ম্যানেজ করার কথা বলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। একাধিকবার তার বাড়িতে গিয়ে তারা ওই টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করায় ভুক্তভোগী জিতুর পরিবার বাধ্য হয়ে গত ৩ আগস্ট সকালে শহরের নিরালা হোটেলের ভেতরে তাদের নগদ দেড় লাখ টাকা দেন।
পরবর্তীতে আবারও শেখ ফরিদের বাড়িতে গিয়ে তারা আরও ১০ হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে আবারও ২ লাখ টাকা দাবি করলে বিষয়টি নিয়ে জিতুর পরিবারের সন্দেহ হলে ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন জিতুর পরিবার।
রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, ঘটনার সত্যতা পেয়ে পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে এবং চাঁদাবাজির ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। চাঁদাবাজিসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে ভোলা জেলা পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৮
ভোলার লালমোহন উপজেলায় নাগরিক সেবা বৃদ্ধি, জবাবদিহিতা এবং উন্নত-টেকসই পৌরসভা গড়ার লক্ষ্যে শহর সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে লালমোহন পৌরসভার আয়োজনে পৌর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরপ্রশাসক মো. শাহ আজিজ।
এ সময় পৌরসভার নাগরিকদের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে সুপেয়পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ এবং জলাবদ্ধতা দূরীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চলতি বছরের মধ্যেই এসব বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন সংশ্লিষ্টরা।
অনুষ্ঠিত সভায় লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহে আলম, উপজেলা প্রকৌশলী রাজিব সাহা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খলিলুর রহমান ইমন, পৌর প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারসহ শহর সমন্বয় কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের সদসরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোলার লালমোহন উপজেলায় নাগরিক সেবা বৃদ্ধি, জবাবদিহিতা এবং উন্নত-টেকসই পৌরসভা গড়ার লক্ষ্যে শহর সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে লালমোহন পৌরসভার আয়োজনে পৌর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরপ্রশাসক মো. শাহ আজিজ।
এ সময় পৌরসভার নাগরিকদের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে সুপেয়পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ এবং জলাবদ্ধতা দূরীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চলতি বছরের মধ্যেই এসব বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন সংশ্লিষ্টরা।
অনুষ্ঠিত সভায় লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহে আলম, উপজেলা প্রকৌশলী রাজিব সাহা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খলিলুর রহমান ইমন, পৌর প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারসহ শহর সমন্বয় কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের সদসরা উপস্থিত ছিলেন।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.