
০৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:২৩
২৪’র গণঅভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রের বুলেট কেড়ে নেয় ভোলা জেলার ৪৬টি তাজা প্রাণ। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে পদদলিত হয়ে ও পুকুরে ডুবে প্রাণ হারায় আরও দুজন। নিহত ৪৮ জনের অধিকাংশই ছিলেন দিনমজুর। তারা পরিবারের সদস্যদের মুখে দুবেলা দুমুঠো ভাত তুলে দেওয়ার আশায় পাড়ি জমান স্বপ্নের শহর ঢাকায়। কে জানতো? তারা একে একে কফিনবন্দি হয়ে ঘরে ফিরবেন।
স্বজন হারানোর ১ বছর পূর্ণ হলেও এসব শহীদ পরিবারের সদস্যদের গগনবিদারী কান্না আজও থামেনি। একদিকে স্বজন হারানোর বেদনা অন্যদিকে শহীদ পরিবারের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। এ দুইয়ে মিলে দিশেহারা দরিদ্র পরিবারগুলো। সরেজমিনে এমনই চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ তাদের।
নিহত ৪৮ জনের মধ্যে রয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার ১২ জন, দৌলতখানের ৩ জন, বোরহানউদ্দিনের ৯ জন, লালমোহনের ১১ জন, চরফ্যাশনের ১২ জন ও তজুমুদ্দিনের একজন। এর মধ্যে গত ১৯ জুলাই এক দিনেই প্রাণ হারান ১৩ জন, ৪ আগস্ট ৭ জন ও ৫ আগস্ট ৮ জন।
ভোলা সদর উপজেলার বালিয়া গ্রামের মো. হারুন ও শাহিনুর বেগম দম্পতির ছোট ছেলে শহীদ মো. রনি। ছিলেন স্থানীয় নেয়ামতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে ঘরে বসে থাকতে পারেনি সে, ঢাকায় ভাইয়ের সঙ্গে টাইলসের কাজ করবেন জানিয়ে হঠাৎ বাড়ি ঢাকা চলে যান এবং আন্দোলনে সক্রিয় হন। পরবর্তীতে গত ৫ আগস্ট বিকেলে যাত্রাবাড়িতে গুলিতে নিহত হয় রনি। পরের দিন স্বজনরা মরদেহটি নিজ গ্রামে এনে বাড়ির দরজায় মসজিদের পাশে দাফন করেন।
আদরের সন্তানের কথা মনে পড়লেই কবরের কাছে ছুটে যান বাবা মো. হারুন। দুচোখের পানি ছেড়ে দুহাত তুলে আল্লাহর দরবারে ছেলের জন্য ফরিয়াদ করেন এ বাবা। ছেলের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ বাবা বলেন, আমার ছেলে রনির মতো অন্যান্য শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আজও গড়ে ওঠেনি। মারামারি খুন চাঁদাবাজি রয়েই গেছে।
ভোলা সদর উপজেলার পুর্ব ইলিশা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন মো. শামিম।
বড় ছেলে বড় সালমান (১০), মাহাদী (৬) আহম্মেদ (৪) স্ত্রী রোকেয়া বেগম আচমা ও গর্ভধারণী মাকে গ্রামের বাড়িতে রেখে ঢাকায় ব্যাচেলর থেকে ইলেকট্রনিক্স মিস্ত্রির কাজ করতেন। তার উপার্জিত অর্থেই চলতো পরিবারের ভরনপোষণ। গত ২০ জুলাই গুলিতে প্রাণ যায় শামিমের, পরেরদিন গ্রামের বাড়িতে এনে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। শামিমের ছোট ছোট ৩ সন্তান নিয়ে এখন বিপাকে রয়েছে পরিবারটি।
কথা হয় শহীদ শামিমের মা বিউটি বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার ছেলে শামিম দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। শামিমের ৩ ছেলে-স্ত্রী ও আমি মা আছি। শামিমের ৩ সন্তানের ভবিষ্যৎ কী? আমার ছেলে বেঁচে থাকলে তো সে’ই তার সন্তানদের ভবিষ্যত গড়ত।
আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ছেলের চিকিৎসা না করাতে পারার আক্ষেপ তিলে তিলে শেষ করছে চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নের শহীদ হাচনাইনের মা হাছিনা বেগমকে। ঢাকায় সে আকাশ টিভির ইন্টারনেটের কাজ করতো। ২১ জুলাই যাত্রাবাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
হাছিনা বেগম বলেন, আমার ছেলে বুকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েছি। কিন্তু চিকিৎসা দেয়নি, শেষমেশ মৃত বলে আমার ছেলের বুকে সীল মেরে দেয়। একই উপজেলার দুলারহাট থানার ওমরপুর ইউনিয়নের মুদি দোকানের কর্মচারী কিশোর ওমর ফারুকের বাবা মিলন ফরাজি বলেন, আমার ছেলেকে গুলি করে নির্মমভাবে মারা হয়েছে। আজ পর্যন্ত আমার ছেলেকে হত্যাকারীদের ধরা হয়নি এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
ক্ষোভ ও দুঃখপ্রকাশ করে জুলাই আগস্টের ভোলার অন্যতম আন্দোলনকারী রাহিম ইসলাম বলেন, আমরা শহীদদের পরিবার ও আহতদের যথাযথ মর্যাদা দিতে পারিনি। বাংলাদেশের দায়িত্বশীলরা কেউ কেউ নির্বাচন নিয়ে, সংস্কার ও দল নিয়ে ব্যস্ত। জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের নিয়ে কেউ ব্যস্ত না। মুখে মুখে বিচারের কথা শুনলেও দৃশ্যমান কিছু নেই। সরকারকে শহীদ পরিবারদের দ্রুত পুর্নবাসনের আহ্বান জানান তিনি।
ভোলার ৪৮ শহীদ পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবেন বলে জানান ভোলার জেলা প্রশাসক মো.আজাদ জাহান। তিনি বলেন, প্রতিটি শহীদ পরিবারের খোঁজখবর রাখছি। সরকারি বেসরকারি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ তাদের যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি, ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এদিকে দ্রুত গণহত্যায় জড়িতদের বিচার ও পুর্নবাসনের দাবি শহীদ পরিবারদের।
২৪’র গণঅভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রের বুলেট কেড়ে নেয় ভোলা জেলার ৪৬টি তাজা প্রাণ। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে পদদলিত হয়ে ও পুকুরে ডুবে প্রাণ হারায় আরও দুজন। নিহত ৪৮ জনের অধিকাংশই ছিলেন দিনমজুর। তারা পরিবারের সদস্যদের মুখে দুবেলা দুমুঠো ভাত তুলে দেওয়ার আশায় পাড়ি জমান স্বপ্নের শহর ঢাকায়। কে জানতো? তারা একে একে কফিনবন্দি হয়ে ঘরে ফিরবেন।
স্বজন হারানোর ১ বছর পূর্ণ হলেও এসব শহীদ পরিবারের সদস্যদের গগনবিদারী কান্না আজও থামেনি। একদিকে স্বজন হারানোর বেদনা অন্যদিকে শহীদ পরিবারের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। এ দুইয়ে মিলে দিশেহারা দরিদ্র পরিবারগুলো। সরেজমিনে এমনই চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ তাদের।
নিহত ৪৮ জনের মধ্যে রয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার ১২ জন, দৌলতখানের ৩ জন, বোরহানউদ্দিনের ৯ জন, লালমোহনের ১১ জন, চরফ্যাশনের ১২ জন ও তজুমুদ্দিনের একজন। এর মধ্যে গত ১৯ জুলাই এক দিনেই প্রাণ হারান ১৩ জন, ৪ আগস্ট ৭ জন ও ৫ আগস্ট ৮ জন।
ভোলা সদর উপজেলার বালিয়া গ্রামের মো. হারুন ও শাহিনুর বেগম দম্পতির ছোট ছেলে শহীদ মো. রনি। ছিলেন স্থানীয় নেয়ামতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে ঘরে বসে থাকতে পারেনি সে, ঢাকায় ভাইয়ের সঙ্গে টাইলসের কাজ করবেন জানিয়ে হঠাৎ বাড়ি ঢাকা চলে যান এবং আন্দোলনে সক্রিয় হন। পরবর্তীতে গত ৫ আগস্ট বিকেলে যাত্রাবাড়িতে গুলিতে নিহত হয় রনি। পরের দিন স্বজনরা মরদেহটি নিজ গ্রামে এনে বাড়ির দরজায় মসজিদের পাশে দাফন করেন।
আদরের সন্তানের কথা মনে পড়লেই কবরের কাছে ছুটে যান বাবা মো. হারুন। দুচোখের পানি ছেড়ে দুহাত তুলে আল্লাহর দরবারে ছেলের জন্য ফরিয়াদ করেন এ বাবা। ছেলের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ বাবা বলেন, আমার ছেলে রনির মতো অন্যান্য শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আজও গড়ে ওঠেনি। মারামারি খুন চাঁদাবাজি রয়েই গেছে।
ভোলা সদর উপজেলার পুর্ব ইলিশা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন মো. শামিম।
বড় ছেলে বড় সালমান (১০), মাহাদী (৬) আহম্মেদ (৪) স্ত্রী রোকেয়া বেগম আচমা ও গর্ভধারণী মাকে গ্রামের বাড়িতে রেখে ঢাকায় ব্যাচেলর থেকে ইলেকট্রনিক্স মিস্ত্রির কাজ করতেন। তার উপার্জিত অর্থেই চলতো পরিবারের ভরনপোষণ। গত ২০ জুলাই গুলিতে প্রাণ যায় শামিমের, পরেরদিন গ্রামের বাড়িতে এনে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। শামিমের ছোট ছোট ৩ সন্তান নিয়ে এখন বিপাকে রয়েছে পরিবারটি।
কথা হয় শহীদ শামিমের মা বিউটি বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার ছেলে শামিম দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। শামিমের ৩ ছেলে-স্ত্রী ও আমি মা আছি। শামিমের ৩ সন্তানের ভবিষ্যৎ কী? আমার ছেলে বেঁচে থাকলে তো সে’ই তার সন্তানদের ভবিষ্যত গড়ত।
আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ছেলের চিকিৎসা না করাতে পারার আক্ষেপ তিলে তিলে শেষ করছে চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নের শহীদ হাচনাইনের মা হাছিনা বেগমকে। ঢাকায় সে আকাশ টিভির ইন্টারনেটের কাজ করতো। ২১ জুলাই যাত্রাবাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
হাছিনা বেগম বলেন, আমার ছেলে বুকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েছি। কিন্তু চিকিৎসা দেয়নি, শেষমেশ মৃত বলে আমার ছেলের বুকে সীল মেরে দেয়। একই উপজেলার দুলারহাট থানার ওমরপুর ইউনিয়নের মুদি দোকানের কর্মচারী কিশোর ওমর ফারুকের বাবা মিলন ফরাজি বলেন, আমার ছেলেকে গুলি করে নির্মমভাবে মারা হয়েছে। আজ পর্যন্ত আমার ছেলেকে হত্যাকারীদের ধরা হয়নি এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
ক্ষোভ ও দুঃখপ্রকাশ করে জুলাই আগস্টের ভোলার অন্যতম আন্দোলনকারী রাহিম ইসলাম বলেন, আমরা শহীদদের পরিবার ও আহতদের যথাযথ মর্যাদা দিতে পারিনি। বাংলাদেশের দায়িত্বশীলরা কেউ কেউ নির্বাচন নিয়ে, সংস্কার ও দল নিয়ে ব্যস্ত। জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের নিয়ে কেউ ব্যস্ত না। মুখে মুখে বিচারের কথা শুনলেও দৃশ্যমান কিছু নেই। সরকারকে শহীদ পরিবারদের দ্রুত পুর্নবাসনের আহ্বান জানান তিনি।
ভোলার ৪৮ শহীদ পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবেন বলে জানান ভোলার জেলা প্রশাসক মো.আজাদ জাহান। তিনি বলেন, প্রতিটি শহীদ পরিবারের খোঁজখবর রাখছি। সরকারি বেসরকারি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ তাদের যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি, ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এদিকে দ্রুত গণহত্যায় জড়িতদের বিচার ও পুর্নবাসনের দাবি শহীদ পরিবারদের।

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:৩২
শনিবার (৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপসচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে তিনি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের উপসচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
অন্যদিকে ভোলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মো. আজাদ জাহানকে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপসচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে তিনি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের উপসচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
অন্যদিকে ভোলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মো. আজাদ জাহানকে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:৩২
ভোলার লালমোহন উপজেলায় সাতশত পিস ইয়াবাসহ মো. রুবেল (৩৮) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক মো. রুবেল উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বালুরচর এলাকার মো. আসমত আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমোহন থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ। এ সময় ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ জানান, বাংলাদেশ পুলিশ মাদক এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় লালমোহন থানা পুলিশও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, কালমা ইউনিয়নের বালুর চর এলাকায় মাদক কারবার হচ্ছে। পরে সেখানে থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে রুবেল নামে একজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে সাতশত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মাদকবিরোধী এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ভোলার লালমোহন উপজেলায় সাতশত পিস ইয়াবাসহ মো. রুবেল (৩৮) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক মো. রুবেল উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বালুরচর এলাকার মো. আসমত আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমোহন থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ। এ সময় ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ জানান, বাংলাদেশ পুলিশ মাদক এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় লালমোহন থানা পুলিশও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, কালমা ইউনিয়নের বালুর চর এলাকায় মাদক কারবার হচ্ছে। পরে সেখানে থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে রুবেল নামে একজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে সাতশত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মাদকবিরোধী এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৯
ভোলা-১ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভিডিও কলের মাধ্যমে দলীয় প্রতীক ‘গরুর গাড়ি মার্কা’ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। ঘোষণার পরই ভোলায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়।
আজ (বুধবার, ৫ নভেম্বর) ভোলা জেলা বিজেপির সমাবেশ, গরুর গাড়ির মার্কার প্রচারণা ও র্যালীর আয়োজন করে। সকাল থেকে নেতাকর্মীরা ভোলা শহরের নতুন বাজারে দলীয় কার্যালয় এসে ঝড়ো হতে শুরু করে। সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা বিজেপি কার্যালয় থেকে গরুর গাড়ির বিশাল নির্বাচনি প্রচারণা ও র্যালী বের হয়।
প্রায় অর্ধ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মিছিলে হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন। হাতে ব্যানার, ফেস্টুন ও গরুর গাড়ি প্রতীকের পোস্টার নিয়ে তারা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে। র্যালীটি নতুন বাজার, বাংলাস্কুল মোড়, সদর রোড, চকবাজার হয়ে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাছিন বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিজেপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রভাষক মো. নুরন্নবী, যুব সংহতির জেলা সভাপতি নুরে আলম টিটু, শ্রমিক পার্টির সভাপতি জামাল উদ্দিন চকেট প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ভোলা-১ আসনে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী। তার প্রার্থিতা ঘোষণার পর নেতাকর্মীরা আরও সংগঠিত হচ্ছে। ভোলার জনগণ একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে পার্থ সাহেবকে ভালোবাসেন এবং পছন্দ করেন। ভোলার উন্নয়নের স্বার্থে পার্থকে গরুর গাড়ি মার্কার বিকল্প নেই। তারা আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন নির্বাচনে জনগণ গরুর গাড়ি প্রতীকের পক্ষে রায় দেবে।
একই আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর।
ভোলা-১ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভিডিও কলের মাধ্যমে দলীয় প্রতীক ‘গরুর গাড়ি মার্কা’ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। ঘোষণার পরই ভোলায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়।
আজ (বুধবার, ৫ নভেম্বর) ভোলা জেলা বিজেপির সমাবেশ, গরুর গাড়ির মার্কার প্রচারণা ও র্যালীর আয়োজন করে। সকাল থেকে নেতাকর্মীরা ভোলা শহরের নতুন বাজারে দলীয় কার্যালয় এসে ঝড়ো হতে শুরু করে। সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা বিজেপি কার্যালয় থেকে গরুর গাড়ির বিশাল নির্বাচনি প্রচারণা ও র্যালী বের হয়।
প্রায় অর্ধ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মিছিলে হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন। হাতে ব্যানার, ফেস্টুন ও গরুর গাড়ি প্রতীকের পোস্টার নিয়ে তারা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে। র্যালীটি নতুন বাজার, বাংলাস্কুল মোড়, সদর রোড, চকবাজার হয়ে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাছিন বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিজেপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রভাষক মো. নুরন্নবী, যুব সংহতির জেলা সভাপতি নুরে আলম টিটু, শ্রমিক পার্টির সভাপতি জামাল উদ্দিন চকেট প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ভোলা-১ আসনে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী। তার প্রার্থিতা ঘোষণার পর নেতাকর্মীরা আরও সংগঠিত হচ্ছে। ভোলার জনগণ একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে পার্থ সাহেবকে ভালোবাসেন এবং পছন্দ করেন। ভোলার উন্নয়নের স্বার্থে পার্থকে গরুর গাড়ি মার্কার বিকল্প নেই। তারা আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন নির্বাচনে জনগণ গরুর গাড়ি প্রতীকের পক্ষে রায় দেবে।
একই আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.