৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৪৯
ভোলায় ব্যবসায়িক লেনদেনকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখম ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর জেনারেল হাসপাতাল থেকে বরিশাল ও ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের মাদরাসা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দুই ইউনিয়ন হলো- আলীনগর ও চরসামাইয়া।
সংঘর্ষে আলীনগর ইউনিয়নের আহতরা হলেন- মো. ছালেম,ইউসুফ, মহিন হাওলাদার, নুর ইসলাম, মাসুম, সজিব ও আল আমিন। তাদের মধ্যে ছালেম ও ইউসুফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে চরসামাইয়া ইউনিয়নের আহতরা হলেন- ফেরদৌস, জুলু তালুকদার, হিরন হাওলাদার, সুমন ও বাবুল। তাদের মধ্যে জুলু তালুকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাসিব ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মালিক ফেরদৌস ও একই ইউনিয়নের স-মিল ব্যবসায়ী মো. আব্বাসের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী ফেরদৌস স-মিল ব্যবসায়ী আব্বাসকে ফোন করে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডেকে আনেন। একপর্যায়ে ফেরদৌসের ম্যানেজার চরসামাইয়া ইউনিয়নের মো. পিন্টু ও আব্বাসের ম্যানেজার আলীনগর ইউনিয়নের মহিন হাওলাদারের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
এর কিছুক্ষণ পর ঘটনাটির মিমাংসার জন্য বসার প্রস্তুতির একপর্যায়ে ওই দুই ইউনিয়নের শতাধিক বাসিন্দা দা, রড ও লাঠিসোঁটা হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আলীনগর ইউনিয়নের রাসেল অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়িক কাজে ফেরদৌস ক্ষিপ্ত হয়ে আব্বাসকে হুমকি ধামকি দেয়। এ ঘটনায় আজকে ফেরদৌসের ম্যানেজার পিন্টু আব্বাসের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করলে আব্বাসের সঙ্গে থাকা ম্যানেজার মহিন হাওলাদার প্রতিবাদ করেন।
মহিন প্রতিবাদ করায় তাকে তারা মারধর করে। পরবর্তীতে মহিনকে মারধরের খবর পার্শ্ববর্তী মাদরাসা বাজারে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে রক্ষা করতে গেলে ফেরদৌস মেম্বারের লোকজন হাওলাদার বাড়ির সামনে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমাদের ১০-১৫ জন আহত হয়েছে।তাদের মধ্যে ২ জনকে বরিশাল নেওয়া হচ্ছে।
তবে উল্টো অভিযোগ করে চরসামাইয়ার পিন্টু বলেন, গত ২-৩ মাস ধরে বাকিতে স-মিল মালিক আব্বাস প্রতিদিন ফেরদৌস মেম্বারের ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির ডিজিটাল স্কেলে তার স-মিলের লাকড়ি ও ভূসির গাড়ির ওজন মাপ দেন।
আজকে ফোন দিয়ে বাকি টাকা চাওয়াতে আলীনগর ইউনিয়নের লোকজন অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের ১০-১৫ আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে জুলু তালুকদারকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনায় ভোলা সদর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ হাচনাইন পারভেজ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভোলায় ব্যবসায়িক লেনদেনকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখম ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর জেনারেল হাসপাতাল থেকে বরিশাল ও ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের মাদরাসা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দুই ইউনিয়ন হলো- আলীনগর ও চরসামাইয়া।
সংঘর্ষে আলীনগর ইউনিয়নের আহতরা হলেন- মো. ছালেম,ইউসুফ, মহিন হাওলাদার, নুর ইসলাম, মাসুম, সজিব ও আল আমিন। তাদের মধ্যে ছালেম ও ইউসুফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে চরসামাইয়া ইউনিয়নের আহতরা হলেন- ফেরদৌস, জুলু তালুকদার, হিরন হাওলাদার, সুমন ও বাবুল। তাদের মধ্যে জুলু তালুকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাসিব ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মালিক ফেরদৌস ও একই ইউনিয়নের স-মিল ব্যবসায়ী মো. আব্বাসের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী ফেরদৌস স-মিল ব্যবসায়ী আব্বাসকে ফোন করে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডেকে আনেন। একপর্যায়ে ফেরদৌসের ম্যানেজার চরসামাইয়া ইউনিয়নের মো. পিন্টু ও আব্বাসের ম্যানেজার আলীনগর ইউনিয়নের মহিন হাওলাদারের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
এর কিছুক্ষণ পর ঘটনাটির মিমাংসার জন্য বসার প্রস্তুতির একপর্যায়ে ওই দুই ইউনিয়নের শতাধিক বাসিন্দা দা, রড ও লাঠিসোঁটা হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আলীনগর ইউনিয়নের রাসেল অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়িক কাজে ফেরদৌস ক্ষিপ্ত হয়ে আব্বাসকে হুমকি ধামকি দেয়। এ ঘটনায় আজকে ফেরদৌসের ম্যানেজার পিন্টু আব্বাসের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করলে আব্বাসের সঙ্গে থাকা ম্যানেজার মহিন হাওলাদার প্রতিবাদ করেন।
মহিন প্রতিবাদ করায় তাকে তারা মারধর করে। পরবর্তীতে মহিনকে মারধরের খবর পার্শ্ববর্তী মাদরাসা বাজারে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে রক্ষা করতে গেলে ফেরদৌস মেম্বারের লোকজন হাওলাদার বাড়ির সামনে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমাদের ১০-১৫ জন আহত হয়েছে।তাদের মধ্যে ২ জনকে বরিশাল নেওয়া হচ্ছে।
তবে উল্টো অভিযোগ করে চরসামাইয়ার পিন্টু বলেন, গত ২-৩ মাস ধরে বাকিতে স-মিল মালিক আব্বাস প্রতিদিন ফেরদৌস মেম্বারের ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির ডিজিটাল স্কেলে তার স-মিলের লাকড়ি ও ভূসির গাড়ির ওজন মাপ দেন।
আজকে ফোন দিয়ে বাকি টাকা চাওয়াতে আলীনগর ইউনিয়নের লোকজন অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের ১০-১৫ আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে জুলু তালুকদারকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনায় ভোলা সদর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ হাচনাইন পারভেজ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৬
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৪
ভোলার মনপুরা উপজেলায় নিখোঁজের প্রায় ৯ ঘণ্টা পর আলম মাঝি (৫০) নামে এক জেলের মরদেহ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ফকিরহাট গ্রামে নিহতের নিজ বসতবাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই একই গ্রামের মো. তাজুল ইসলামের ছেলে
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের বরাতে ইউপি সদস্য মো.জামাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জামাল মাঝির নদী তীরে বেঁধে রাখা নৌকা দেখতে যাবেন বলে স্ত্রীকে জানিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। তার স্ত্রী বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরও তিনি আর ঘরে ফেরেননি। এরপর সকালেও তিনি বাড়ি না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হয় এবং তার মোবাইলে কল দেন। পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয়রা বসতবাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধের বাইরে পুকুরের পাড়ে জামাল মাঝির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও জুতা দেখতে পান এবং জামাল মাঝির মরদেহ পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন তারা।
মনপুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ গিয়েছে। পরে বিস্তারিত জানা যাবে,তার পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ভোলার মনপুরা উপজেলায় নিখোঁজের প্রায় ৯ ঘণ্টা পর আলম মাঝি (৫০) নামে এক জেলের মরদেহ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ফকিরহাট গ্রামে নিহতের নিজ বসতবাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই একই গ্রামের মো. তাজুল ইসলামের ছেলে
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের বরাতে ইউপি সদস্য মো.জামাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জামাল মাঝির নদী তীরে বেঁধে রাখা নৌকা দেখতে যাবেন বলে স্ত্রীকে জানিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। তার স্ত্রী বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরও তিনি আর ঘরে ফেরেননি। এরপর সকালেও তিনি বাড়ি না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হয় এবং তার মোবাইলে কল দেন। পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয়রা বসতবাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধের বাইরে পুকুরের পাড়ে জামাল মাঝির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও জুতা দেখতে পান এবং জামাল মাঝির মরদেহ পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন তারা।
মনপুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ গিয়েছে। পরে বিস্তারিত জানা যাবে,তার পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৪৬
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর কাচারির খালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ১২ জন জেলেকে মোট ৬০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হান-উজ্জামান।
সোমবার (২০ অক্টোবর) অভিযানকালে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধনের অপরাধে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ (সংশোধিত ২০২৫) অনুযায়ী প্রত্যেককে ৫,০০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক ৭ জন জেলেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযানে ২০ কেজি মা ইলিশ মাছ উদ্ধার করা হয়, যা পরবর্তীতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মাদরাসাতুল মদিনাহ আল অ্যারাবিয়া লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে বিতরণ করা হয়। এছাড়া ১০,০০০ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে নদীতে মা ইলিশ নিধন থেকে সকলকে বিরত থাকার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অভিযানে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, নৌপুলিশ ও বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের একটি টিম সার্বিক সহযোগিতা করেছে। উপজেলা প্রশাসনের দৃঢ় সদিচ্ছা ও অব্যাহত প্রচেষ্টায় মা ইলিশ সংরক্ষণে বোরহানউদ্দিনে গড়ে উঠছে প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর কাচারির খালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ১২ জন জেলেকে মোট ৬০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হান-উজ্জামান।
সোমবার (২০ অক্টোবর) অভিযানকালে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধনের অপরাধে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ (সংশোধিত ২০২৫) অনুযায়ী প্রত্যেককে ৫,০০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক ৭ জন জেলেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযানে ২০ কেজি মা ইলিশ মাছ উদ্ধার করা হয়, যা পরবর্তীতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মাদরাসাতুল মদিনাহ আল অ্যারাবিয়া লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে বিতরণ করা হয়। এছাড়া ১০,০০০ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে নদীতে মা ইলিশ নিধন থেকে সকলকে বিরত থাকার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অভিযানে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, নৌপুলিশ ও বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের একটি টিম সার্বিক সহযোগিতা করেছে। উপজেলা প্রশাসনের দৃঢ় সদিচ্ছা ও অব্যাহত প্রচেষ্টায় মা ইলিশ সংরক্ষণে বোরহানউদ্দিনে গড়ে উঠছে প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত।
২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:৫৭
ভোলার দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ পাওয়া অর্ধকোটি টাকার নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি গত ৭–৮ বছর ধরে অযত্নে পড়ে রয়েছে বেতুয়ার খালে। এখন সেটি কাদামাটির নিচে চাপা পড়ে অচল হয়ে গেছে। ফলে চরাঞ্চলের অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী বঞ্চিত হচ্ছে জরুরি চিকিৎসাসেবা থেকে। অপরদিকে সরকারের প্রায় অর্ধকোটি টাকারও বেশি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত সরকারের সময় ২০১৮ সালে মেঘনা উপকূলীয় দৌলতখান উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিতে (প্রায়) অর্ধকোটি টাকার এই নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলেও এরপর থেকে এটি ব্যবহার হতে দেখা যায়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে থানাসংলগ্ন বেতুয়ার খালে ফেলে রাখা হয়। এখন সেটি কাদা ও মাটির নিচে চাপা পড়ে ব্যবহারের অযোগ্য অবস্থায় রয়েছে।
চরের এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ী জানান, ‘আমরা গরিব মানুষ, চরে থাকি বলেই চিকিৎসা পাই না। শুনছি সরকার নৌ অ্যাম্বুলেন্স দিছে, কিন্তু কখনো দেখি নাই। অসুখে পড়লে এখানেই মরতে হয়।’
গৃহবধূ জান্নাত বলেন, ‘আমরা চরে থাকি, মরে গেলেও কেউ খোঁজ নেয় না। শুনছি গরিবের জন্য সরকার অ্যাম্বুলেন্স দিছে, কিন্তু কোনোদিন কাজে লাগে নাই।’ সাবেক ইউপি মেম্বার আবু তাহের বলেন, ‘চরে চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই।
একবার হাসপাতালে গেছিলাম, তখন জিজ্ঞাসা করলাম নৌ অ্যাম্বুলেন্স কোথায়— তারা বলে, খুঁজে নেন।’ বেতুয়ার খালের জেলেরা জানায়, ‘নতুন আনার পর কোনোদিন রোগী আনতে দেখি নাই। এখন খালের মাটির নিচে চাপা পইড়া গেছে।’
এ বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সটি এক সময় সচল করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ওপি বন্ধ থাকায় ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরই এটি সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
ভোলার দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ পাওয়া অর্ধকোটি টাকার নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি গত ৭–৮ বছর ধরে অযত্নে পড়ে রয়েছে বেতুয়ার খালে। এখন সেটি কাদামাটির নিচে চাপা পড়ে অচল হয়ে গেছে। ফলে চরাঞ্চলের অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী বঞ্চিত হচ্ছে জরুরি চিকিৎসাসেবা থেকে। অপরদিকে সরকারের প্রায় অর্ধকোটি টাকারও বেশি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত সরকারের সময় ২০১৮ সালে মেঘনা উপকূলীয় দৌলতখান উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিতে (প্রায়) অর্ধকোটি টাকার এই নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলেও এরপর থেকে এটি ব্যবহার হতে দেখা যায়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে থানাসংলগ্ন বেতুয়ার খালে ফেলে রাখা হয়। এখন সেটি কাদা ও মাটির নিচে চাপা পড়ে ব্যবহারের অযোগ্য অবস্থায় রয়েছে।
চরের এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ী জানান, ‘আমরা গরিব মানুষ, চরে থাকি বলেই চিকিৎসা পাই না। শুনছি সরকার নৌ অ্যাম্বুলেন্স দিছে, কিন্তু কখনো দেখি নাই। অসুখে পড়লে এখানেই মরতে হয়।’
গৃহবধূ জান্নাত বলেন, ‘আমরা চরে থাকি, মরে গেলেও কেউ খোঁজ নেয় না। শুনছি গরিবের জন্য সরকার অ্যাম্বুলেন্স দিছে, কিন্তু কোনোদিন কাজে লাগে নাই।’ সাবেক ইউপি মেম্বার আবু তাহের বলেন, ‘চরে চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই।
একবার হাসপাতালে গেছিলাম, তখন জিজ্ঞাসা করলাম নৌ অ্যাম্বুলেন্স কোথায়— তারা বলে, খুঁজে নেন।’ বেতুয়ার খালের জেলেরা জানায়, ‘নতুন আনার পর কোনোদিন রোগী আনতে দেখি নাই। এখন খালের মাটির নিচে চাপা পইড়া গেছে।’
এ বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সটি এক সময় সচল করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ওপি বন্ধ থাকায় ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরই এটি সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.