১৩ জুন, ২০২৫ ০৭:১৯
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় শহীদ হাফেজ মাওলানা মোঃ জসিম উদ্দিনের পরিবারের জন্য তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামে পাকা বসতঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের এ শহীদ পরিবারের জন্য বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে ও অর্থায়নে চার কক্ষ বিশিষ্ট ছাদসহ পাকা এ বসত বিল্ডিং নির্মাণ শুরু করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের বাড়িতে শহীদ হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিনের মা মেহেরুন্নেসা বেগম পাকা এ বসতঘর (বিল্ডিং) নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক খলিলুর রহমান শাহদাত, সেক্রেটারি হাফেজ মোকাম্মেল হোসাইন মোজাম্মেল, পৌর জামায়াতের আমীর কাওসার হোসাইন, সলিয়াবাকপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ক্বারী আনোয়ার হোসেন, চাখার ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলাম চাখারী, জামায়াত নেতা ইসহাক খান, রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও শহীদ হাফেজ জসিমউদ্দিনের স্ত্রী সুমী আক্তার, শিশু পুত্র সাইফ ও মেয়ে জান্নাতসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহীদ জসিমউদ্দিন ছিলেন জুলাই আন্দোলনের একজন সাহসী সন্তান।
তার আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও পরিবারকে সহায়তা করতে এ মানবিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারকেও সহায়তার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং শহীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোকে মানবিক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন। প্রসঙ্গত,গত বছরের ১৮ জুলাই দুপুরে ঢাকার উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে কোটা আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন। ওই দিন রাতেই বরিশালের বানারীপাড়ার পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়।
পরের দিন ১৯ জুলাই সকালে বাড়ির পাশে তার এক সময়ের বিদ্যাপীঠ পূর্ব সলিয়াবাকপুর দারুল উলুম হোসাইনিয়া কওমি কেরাতিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান হাওলাদের ছেলে। জানা গেছে,গত প্রায় ১৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকতেন হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন। রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে এমএসএ ওয়ার্কশপে চাকরি করতেন।
ঘটনার দিন ৭ নম্বর সেক্টরে ফরহাদ অটো পার্টসের দোকানে যান মাইক্রোবাসের পার্টস কিনতে। সেখান থেকে নিজ ওয়ার্কশপে ফিরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
বৃদ্ধা অসুস্থ মাকে দেখভাল করতে স্ত্রী ও শিশু সন্তানদের গ্রামের বাড়িতে রেখে ছিলেন জসিম উদ্দিন। সেই মাসহ স্বজনদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশের যাত্রী হন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় শহীদ হাফেজ মাওলানা মোঃ জসিম উদ্দিনের পরিবারের জন্য তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামে পাকা বসতঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের এ শহীদ পরিবারের জন্য বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে ও অর্থায়নে চার কক্ষ বিশিষ্ট ছাদসহ পাকা এ বসত বিল্ডিং নির্মাণ শুরু করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের বাড়িতে শহীদ হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিনের মা মেহেরুন্নেসা বেগম পাকা এ বসতঘর (বিল্ডিং) নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক খলিলুর রহমান শাহদাত, সেক্রেটারি হাফেজ মোকাম্মেল হোসাইন মোজাম্মেল, পৌর জামায়াতের আমীর কাওসার হোসাইন, সলিয়াবাকপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ক্বারী আনোয়ার হোসেন, চাখার ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলাম চাখারী, জামায়াত নেতা ইসহাক খান, রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও শহীদ হাফেজ জসিমউদ্দিনের স্ত্রী সুমী আক্তার, শিশু পুত্র সাইফ ও মেয়ে জান্নাতসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহীদ জসিমউদ্দিন ছিলেন জুলাই আন্দোলনের একজন সাহসী সন্তান।
তার আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও পরিবারকে সহায়তা করতে এ মানবিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারকেও সহায়তার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং শহীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোকে মানবিক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন। প্রসঙ্গত,গত বছরের ১৮ জুলাই দুপুরে ঢাকার উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে কোটা আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন। ওই দিন রাতেই বরিশালের বানারীপাড়ার পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়।
পরের দিন ১৯ জুলাই সকালে বাড়ির পাশে তার এক সময়ের বিদ্যাপীঠ পূর্ব সলিয়াবাকপুর দারুল উলুম হোসাইনিয়া কওমি কেরাতিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান হাওলাদের ছেলে। জানা গেছে,গত প্রায় ১৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকতেন হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন। রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে এমএসএ ওয়ার্কশপে চাকরি করতেন।
ঘটনার দিন ৭ নম্বর সেক্টরে ফরহাদ অটো পার্টসের দোকানে যান মাইক্রোবাসের পার্টস কিনতে। সেখান থেকে নিজ ওয়ার্কশপে ফিরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
বৃদ্ধা অসুস্থ মাকে দেখভাল করতে স্ত্রী ও শিশু সন্তানদের গ্রামের বাড়িতে রেখে ছিলেন জসিম উদ্দিন। সেই মাসহ স্বজনদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশের যাত্রী হন তিনি।
১৪ জুন, ২০২৫ ০৮:০৩
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বরিশাল জেলা কমিটির ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৪ জুন রোজ শনিবার বেলা ১২ টায় সাগরদী কুয়েত প্লাজায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন নিসচার সভাপতি ধ্যাপক মো: রুহুল আমিন।
সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিসচা বরিশাল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বি.এম শহীদুল ইসলাম মাখন।
সদ্য সমাপ্ত পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় ছুটির আগে ৩ দিন ও পরে ৩ দিনসহ মোট ৬ দিন কাজ করার জন্য সংগঠনের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মো: শাখাওয়াত হোসেন।
নিরাপদ সড়ক বিনির্মানে চালক যাত্রী ও পথচারীদের মাঝে সচেতনতা মূলক প্রচার-প্রচারণা আরও বেগবান করতে কাজ করার জন্য সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান কার্যনির্বাহী সদস্য এ্যাড মো: মোশাররফ হোসেন।
সাগরদী এলাকায় তীব্র যানজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য রাখেন নিসচার যুব বিষয়ক সম্পাদক মো: মেহেদী হাসান দিপু, কার্যনির্বাহী সদস্য মো: ইমরান হাসান মাইনুল বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো: মিরাজ হোসেন।
এছাড়াও সভায় আগামী ২১ জুন রোজ শনিবার সকাল ১০ টায় ঈদ পূর্ণ মিলনী আয়োজনসহ সংগঠনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন উপস্থিত সদস্যরা।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বরিশাল জেলা কমিটির ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৪ জুন রোজ শনিবার বেলা ১২ টায় সাগরদী কুয়েত প্লাজায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন নিসচার সভাপতি ধ্যাপক মো: রুহুল আমিন।
সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিসচা বরিশাল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বি.এম শহীদুল ইসলাম মাখন।
সদ্য সমাপ্ত পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় ছুটির আগে ৩ দিন ও পরে ৩ দিনসহ মোট ৬ দিন কাজ করার জন্য সংগঠনের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মো: শাখাওয়াত হোসেন।
নিরাপদ সড়ক বিনির্মানে চালক যাত্রী ও পথচারীদের মাঝে সচেতনতা মূলক প্রচার-প্রচারণা আরও বেগবান করতে কাজ করার জন্য সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান কার্যনির্বাহী সদস্য এ্যাড মো: মোশাররফ হোসেন।
সাগরদী এলাকায় তীব্র যানজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য রাখেন নিসচার যুব বিষয়ক সম্পাদক মো: মেহেদী হাসান দিপু, কার্যনির্বাহী সদস্য মো: ইমরান হাসান মাইনুল বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো: মিরাজ হোসেন।
এছাড়াও সভায় আগামী ২১ জুন রোজ শনিবার সকাল ১০ টায় ঈদ পূর্ণ মিলনী আয়োজনসহ সংগঠনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন উপস্থিত সদস্যরা।
১৪ জুন, ২০২৫ ০৭:৫০
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের খেয়াঘাট এলাকায় একটি যাত্রা প্যান্ডেল ভাঙচুর করে তাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জুন) রাত ৯টার দিকে ‘তৌহিদি জনতা’ নামে শতাধিক লোক হামলা চালায়। এ সময় যাত্রাপ্যান্ডেল ও অন্যান্য কাঠামো ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেদারপুর খেয়াঘাটসংলগ্ন এলাকায় পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হয়ে মাসব্যাপী একটি বৈশাখী মেলা চলে। বৈশাখী মেলা শেষ হওয়ার পর থেকে সেখানে যাত্রা ও পুতুলনাচের আড়ালে অশ্লীল নৃত্য ও রাতভর জুয়ার আয়োজন করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। জনবিক্ষোভের মুখে মেলার অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ করে শুধু যাত্রা চালু রাখা হয়।
পরে ঈদকে কেন্দ্র করে ‘ঈদ আনন্দ মেলা’ আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদন করা হয়। মেলায় পুতুলনাচসহ বিভিন্ন স্টল নির্মাণের কাজও শুরু হয়। তবে ‘বরিশাল সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠন মেলার অনুমতি না দেওয়ার জন্য পাল্টা আবেদন করে।
এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শুক্রবার রাতে দেড় শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে মেলায় হামলা চালায়। তারা মেলার স্থাপনাগুলো ভাঙচুর করে এবং যাত্রার প্যান্ডেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইব্রাহিম বিশ্বাস জানান, বৈশাখী মেলা বন্ধ হওয়ার পর রাতে কেবল গানের আয়োজন চলছিল। শুক্রবার রাতে একটি দল এসে সবকিছু ভেঙে ফেলে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
মেলা কমিটির সভাপতি ও বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিজন সিকদার বলেন, ‘আমরা ঈদ আনন্দ মেলার অনুমতি না পাওয়ায় দুই দিন আগেই সব বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
এর পরও রাতে কিছু উশৃঙ্খল লোক এসে স্থাপনাগুলো ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে।’ বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরে এলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের খেয়াঘাট এলাকায় একটি যাত্রা প্যান্ডেল ভাঙচুর করে তাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জুন) রাত ৯টার দিকে ‘তৌহিদি জনতা’ নামে শতাধিক লোক হামলা চালায়। এ সময় যাত্রাপ্যান্ডেল ও অন্যান্য কাঠামো ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেদারপুর খেয়াঘাটসংলগ্ন এলাকায় পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হয়ে মাসব্যাপী একটি বৈশাখী মেলা চলে। বৈশাখী মেলা শেষ হওয়ার পর থেকে সেখানে যাত্রা ও পুতুলনাচের আড়ালে অশ্লীল নৃত্য ও রাতভর জুয়ার আয়োজন করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। জনবিক্ষোভের মুখে মেলার অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ করে শুধু যাত্রা চালু রাখা হয়।
পরে ঈদকে কেন্দ্র করে ‘ঈদ আনন্দ মেলা’ আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদন করা হয়। মেলায় পুতুলনাচসহ বিভিন্ন স্টল নির্মাণের কাজও শুরু হয়। তবে ‘বরিশাল সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠন মেলার অনুমতি না দেওয়ার জন্য পাল্টা আবেদন করে।
এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শুক্রবার রাতে দেড় শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে মেলায় হামলা চালায়। তারা মেলার স্থাপনাগুলো ভাঙচুর করে এবং যাত্রার প্যান্ডেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইব্রাহিম বিশ্বাস জানান, বৈশাখী মেলা বন্ধ হওয়ার পর রাতে কেবল গানের আয়োজন চলছিল। শুক্রবার রাতে একটি দল এসে সবকিছু ভেঙে ফেলে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
মেলা কমিটির সভাপতি ও বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিজন সিকদার বলেন, ‘আমরা ঈদ আনন্দ মেলার অনুমতি না পাওয়ায় দুই দিন আগেই সব বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
এর পরও রাতে কিছু উশৃঙ্খল লোক এসে স্থাপনাগুলো ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে।’ বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরে এলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
১৪ জুন, ২০২৫ ০৬:৫৯
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (১৪ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শেবাচিম হাসপাতালে বর্তমানে ৮৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। মৃত লাইলি বেগম (৪০) পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকরাবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে হলে প্রতিরোধের ওপর জোর দিতে হবে।
কারণ, আমাদের চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা সীমিত। সেটি অতিক্রম করলে আমরা কিছুই করতে পারবো না। তাই মশার বিস্তার রোধে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। পাশাপাশি মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় সচেতন হতে হবে।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরু থেকেই বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৫৮৩ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৩৮ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে আটজনের।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বরগুনা জেলায়। মৃত আটজনের মধ্যে পাঁচজনই বরগুনার বাসিন্দা। এই জেলাতেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৬২৬ জন।
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (১৪ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শেবাচিম হাসপাতালে বর্তমানে ৮৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। মৃত লাইলি বেগম (৪০) পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকরাবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে হলে প্রতিরোধের ওপর জোর দিতে হবে।
কারণ, আমাদের চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা সীমিত। সেটি অতিক্রম করলে আমরা কিছুই করতে পারবো না। তাই মশার বিস্তার রোধে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। পাশাপাশি মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় সচেতন হতে হবে।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরু থেকেই বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৫৮৩ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৩৮ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে আটজনের।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বরগুনা জেলায়। মৃত আটজনের মধ্যে পাঁচজনই বরগুনার বাসিন্দা। এই জেলাতেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৬২৬ জন।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.