২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:৫৪
ঝালকাঠি পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভপতি শামসুল হক মনু আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকলেও এখন তিনি নতুন ব্যানার নিয়ে সরব হতে চাইছেন। প্রশাসনিক মহলে পূর্বের ন্যায় আধিপত্য বিস্তার করাসহ স্থানীয়ভাবে নিজের শক্তিবৃদ্ধি করতে বহুমুখী তৎপরতায় সামিল রয়েছেন। বিশেষ করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি একটি আয়োজনে অংশ নেওয়ার পরে এনিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান নেতিবাচক চর্চা হচ্ছে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে দলটির প্রভাবশালী নেতা শামসুল হক মনু জনরোষে পড়ার ভয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এবং অন্তর্ধানে থাকার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আঁতাত করে মামলা-মোকদ্দমা থেকে নিজেকে রক্ষায় সক্ষম হন। তবে কিছু দিন ধরে তিনি এলাকায় অবস্থান করেন এবং সবশেষ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে তাকে একটি আয়োজনেও দেখা যায়, যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
সূত্র জানায়, ১৭ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠির কালেক্টরেট স্কুল কম্পাউন্ডে ‘ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট’র ব্যানারে গাছের চারা রোপন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যেকার বিতরণ আয়োজনে জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাকিলা রহমান অংশ নিয়েছিলেন। তাদের কাছাকাছি ছিলেন স্বৈরাচারের দোষর শামসুল হক মনু।
অভিযোগ আছে, আওয়ামী লীগ শাসনামলে মনু দলীয় প্রভাব বিস্তার করার পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনের ঘোর বিরোধীতা করেছিলেন। এবং ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে ভূমিকাও রেখেছিলেন। কিন্তু এরপরেও আওয়ামী লীগের পতন হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, তাদের দলের একটি অংশ মনুকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তাদের কারণে প্রভাবশালী এই আওয়ামী লীগ নেতা একটি মামলায়ও অভিযুক্ত হননি। এখন তিনি এলাকায় অবস্থান নিয়ে পূর্বের ন্যায় আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছেন এবং সামাজিক সংগঠনকে ব্যবহার করে প্রশাসনের কাছাকাছি থাকছেন। তবে এক্ষেত্রে কৌশল হিসেবে তিনি নিজের রাজনৈতিক পরিচয় আড়ালে রাখছেন বলেও শোনা গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে মনু নতুন মোড়কে সরব হওয়ার বিষয়টি ভালো ভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না জুলাই আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নানা কৌশল অবলম্বন করে এলাকায় বাসবাস করতে চাইছেন এবং আগের মতো প্রশাসনিক মহলে বিচরণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু তাদের কোনো ধরনের সুযোগ না দেওয়া ঠিক হবে না বলে মন্তব্য পাওয়া যায়।
১৭ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসককে নিয়ে শুধু বৃক্ষরোপন করেননি। এরআগেও তিনি শহরের সড়কে ডাস্টবিন বসানোর নামে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজন করেন। সেই বিষয়টি আর বেশিদূর না গড়ালেও জেলা প্রশাসককে নিয়ে বৃক্ষরোপনের ঘটনাটি বেশ সমালোচিত হয়েছে, হচ্ছে।
স্বৈরাচারের দোষরকে আয়োজনে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, শামসুল হক মনু যে একজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন, তা অনেকেরই অজানা ছিল। বিষয়টি সম্পর্কে খোদ জেলা প্রশাসকও অবগত ছিলেন না। তাছাড়া মনুও তার রাজনৈতিক পরিচয় গোপন করেছিলেন।
আগামীতে এই ধরনের ব্যক্তি-বিশেষ যেনো প্রশাসনের কাছে ভিড়তে না পারে সে জন্য সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জুলাই আন্দোলনের স্বপেক্ষ শক্তি।’
ঝালকাঠি পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভপতি শামসুল হক মনু আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকলেও এখন তিনি নতুন ব্যানার নিয়ে সরব হতে চাইছেন। প্রশাসনিক মহলে পূর্বের ন্যায় আধিপত্য বিস্তার করাসহ স্থানীয়ভাবে নিজের শক্তিবৃদ্ধি করতে বহুমুখী তৎপরতায় সামিল রয়েছেন। বিশেষ করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি একটি আয়োজনে অংশ নেওয়ার পরে এনিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান নেতিবাচক চর্চা হচ্ছে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে দলটির প্রভাবশালী নেতা শামসুল হক মনু জনরোষে পড়ার ভয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এবং অন্তর্ধানে থাকার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আঁতাত করে মামলা-মোকদ্দমা থেকে নিজেকে রক্ষায় সক্ষম হন। তবে কিছু দিন ধরে তিনি এলাকায় অবস্থান করেন এবং সবশেষ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে তাকে একটি আয়োজনেও দেখা যায়, যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
সূত্র জানায়, ১৭ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠির কালেক্টরেট স্কুল কম্পাউন্ডে ‘ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট’র ব্যানারে গাছের চারা রোপন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যেকার বিতরণ আয়োজনে জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাকিলা রহমান অংশ নিয়েছিলেন। তাদের কাছাকাছি ছিলেন স্বৈরাচারের দোষর শামসুল হক মনু।
অভিযোগ আছে, আওয়ামী লীগ শাসনামলে মনু দলীয় প্রভাব বিস্তার করার পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনের ঘোর বিরোধীতা করেছিলেন। এবং ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে ভূমিকাও রেখেছিলেন। কিন্তু এরপরেও আওয়ামী লীগের পতন হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, তাদের দলের একটি অংশ মনুকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তাদের কারণে প্রভাবশালী এই আওয়ামী লীগ নেতা একটি মামলায়ও অভিযুক্ত হননি। এখন তিনি এলাকায় অবস্থান নিয়ে পূর্বের ন্যায় আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছেন এবং সামাজিক সংগঠনকে ব্যবহার করে প্রশাসনের কাছাকাছি থাকছেন। তবে এক্ষেত্রে কৌশল হিসেবে তিনি নিজের রাজনৈতিক পরিচয় আড়ালে রাখছেন বলেও শোনা গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে মনু নতুন মোড়কে সরব হওয়ার বিষয়টি ভালো ভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না জুলাই আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নানা কৌশল অবলম্বন করে এলাকায় বাসবাস করতে চাইছেন এবং আগের মতো প্রশাসনিক মহলে বিচরণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু তাদের কোনো ধরনের সুযোগ না দেওয়া ঠিক হবে না বলে মন্তব্য পাওয়া যায়।
১৭ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসককে নিয়ে শুধু বৃক্ষরোপন করেননি। এরআগেও তিনি শহরের সড়কে ডাস্টবিন বসানোর নামে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজন করেন। সেই বিষয়টি আর বেশিদূর না গড়ালেও জেলা প্রশাসককে নিয়ে বৃক্ষরোপনের ঘটনাটি বেশ সমালোচিত হয়েছে, হচ্ছে।
স্বৈরাচারের দোষরকে আয়োজনে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, শামসুল হক মনু যে একজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন, তা অনেকেরই অজানা ছিল। বিষয়টি সম্পর্কে খোদ জেলা প্রশাসকও অবগত ছিলেন না। তাছাড়া মনুও তার রাজনৈতিক পরিচয় গোপন করেছিলেন।
আগামীতে এই ধরনের ব্যক্তি-বিশেষ যেনো প্রশাসনের কাছে ভিড়তে না পারে সে জন্য সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জুলাই আন্দোলনের স্বপেক্ষ শক্তি।’
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২২:৪৪
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:৩৫
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:৩৪
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৭
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৪৭
ঝালকাঠিতে শামিম হোসেন জয় (৩৬) নামে এক আইনজীবীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ঝালকাঠি শহরের চাঁদকাঠি এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান। ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, একজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ; সেখানে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে সবকিছু তদন্ত করে বিস্তারিত জানা যাবে।
চিরকুটে লেখা, আমার শরীরে যে রোগ বাসা বেঁধেছে তাতে আমার মৃত্যু অনিবার্য। শরীরের কষ্ট, মানসিক চাপ আমি আর নিতে পারছি না। তাই সব কিছু ভেবেচিন্তে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম।
তিনি আরও লেখেন, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি আমার ভুলগুলো বুঝতে পেরেছি এবং অনুতপ্ত। আমাকে ভুল বুঝবেন না পারলে ক্ষমা করে দিবেন।
শামিম হোসেন জয় নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দুধারিয়া এলাকার মোজাম্মেল হক মোল্লার ছেলে। তিনি ঝালকাঠির আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। পেশাগত কারণে তিনি ভাড়া থাকতেন চাঁদকাঠি এলাকায়।
ঝালকাঠিতে শামিম হোসেন জয় (৩৬) নামে এক আইনজীবীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ঝালকাঠি শহরের চাঁদকাঠি এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান। ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, একজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ; সেখানে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে সবকিছু তদন্ত করে বিস্তারিত জানা যাবে।
চিরকুটে লেখা, আমার শরীরে যে রোগ বাসা বেঁধেছে তাতে আমার মৃত্যু অনিবার্য। শরীরের কষ্ট, মানসিক চাপ আমি আর নিতে পারছি না। তাই সব কিছু ভেবেচিন্তে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম।
তিনি আরও লেখেন, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি আমার ভুলগুলো বুঝতে পেরেছি এবং অনুতপ্ত। আমাকে ভুল বুঝবেন না পারলে ক্ষমা করে দিবেন।
শামিম হোসেন জয় নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দুধারিয়া এলাকার মোজাম্মেল হক মোল্লার ছেলে। তিনি ঝালকাঠির আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। পেশাগত কারণে তিনি ভাড়া থাকতেন চাঁদকাঠি এলাকায়।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৫
ঝালকাঠিতে জাল নোট রাখার দায়ে দুজনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ রহিবুল ইসলাম। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গতকাল আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি নুপুর বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তবে অপর আসামি জসিম খলিফা পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডিতরা হলেন ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের আল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী নুপুর বেগম (৩৫) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার দেউড়ি গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে জসিম খলিফা (৩৬)। মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী (এডিশনাল পিপি) মো. আককাস সিকদার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝালকাঠি শহরের কবিরাজবাড়ি সড়কে বিএডিসি অফিসের সামনে থেকে ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবর্ণচন্দ্র দে আসামিদের আটক করেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত নোটগুলোর মধ্যে ছিল— ১৯৬টি এক হাজার টাকার, ২০০টি পাঁচশ টাকার এবং ৫টি দুইশ টাকার নোট।
সেদিন রাতেই এসআই সুবর্ণচন্দ্র দে বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৮ জুন তদন্ত শেষে সদর থানার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর মাহেব হোসেন রায়ের বিষয়ে বলেন, জাল নোটের মতো গুরুতর অপরাধ সমাজ ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই মামলায় আদালত যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছেন, তা অন্যদের জন্যও সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বনি আমিন বাকলাই।
ঝালকাঠিতে জাল নোট রাখার দায়ে দুজনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ রহিবুল ইসলাম। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গতকাল আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি নুপুর বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তবে অপর আসামি জসিম খলিফা পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডিতরা হলেন ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের আল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী নুপুর বেগম (৩৫) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার দেউড়ি গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে জসিম খলিফা (৩৬)। মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী (এডিশনাল পিপি) মো. আককাস সিকদার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝালকাঠি শহরের কবিরাজবাড়ি সড়কে বিএডিসি অফিসের সামনে থেকে ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবর্ণচন্দ্র দে আসামিদের আটক করেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত নোটগুলোর মধ্যে ছিল— ১৯৬টি এক হাজার টাকার, ২০০টি পাঁচশ টাকার এবং ৫টি দুইশ টাকার নোট।
সেদিন রাতেই এসআই সুবর্ণচন্দ্র দে বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৮ জুন তদন্ত শেষে সদর থানার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর মাহেব হোসেন রায়ের বিষয়ে বলেন, জাল নোটের মতো গুরুতর অপরাধ সমাজ ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই মামলায় আদালত যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছেন, তা অন্যদের জন্যও সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বনি আমিন বাকলাই।
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৪
এক সময় দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতো নাছির খান। আর তার আয়ে চলতো ৫ সদস্যের সংসার। দীর্ঘ ১ বছর ধরে অসুস্থ থাকার কারণে তার উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে।
অর্থের অভাবে ওষুধ কিনতে পারছে না তার পরিবার।বর্তমানে তিনি বাড়িতে বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এমন দুর্দশায় চিকিৎসার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন নাছির খান ও তার পরিবার।
অসুস্থ নাছির খানের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বারইকরন গ্রামে।তিনি ওই এলাকার মৃত জবেদ আলী খানের ছেলে। তার ছোট ছোট তিনটা সন্তান রয়েছে।
নাছির খানের স্বজন ও প্রতিবেশীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। সুস্থ থাকা অবস্থায় তিনি দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজের যা কিছু ছিল তা সবাই শেষ হয়ে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে বাড়িতে এসেছেন । কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। সরকার বা বিত্তবানরা তাকে সহযোগিতা করলে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
সমাজের বিত্তশালী ও সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করে নাছির খান বলেন, আমার টাকা পয়সা নেই যে আর চিকিৎসা চালাবো। বর্তমানে টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছি না।
আমার পরিবারকে অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। আমাকে কেউ সহযোগিতা করলে খুব উপকার হবে। নলছিটি উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আসাদুজ্জামান পলাশ বলেন, আমাদের কাছে আবেদন করলে সামান্য কিছু সরকারি অনুদান দেওয়া যেতে পারে।
এক সময় দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতো নাছির খান। আর তার আয়ে চলতো ৫ সদস্যের সংসার। দীর্ঘ ১ বছর ধরে অসুস্থ থাকার কারণে তার উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে।
অর্থের অভাবে ওষুধ কিনতে পারছে না তার পরিবার।বর্তমানে তিনি বাড়িতে বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এমন দুর্দশায় চিকিৎসার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন নাছির খান ও তার পরিবার।
অসুস্থ নাছির খানের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বারইকরন গ্রামে।তিনি ওই এলাকার মৃত জবেদ আলী খানের ছেলে। তার ছোট ছোট তিনটা সন্তান রয়েছে।
নাছির খানের স্বজন ও প্রতিবেশীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। সুস্থ থাকা অবস্থায় তিনি দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজের যা কিছু ছিল তা সবাই শেষ হয়ে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে বাড়িতে এসেছেন । কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। সরকার বা বিত্তবানরা তাকে সহযোগিতা করলে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
সমাজের বিত্তশালী ও সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করে নাছির খান বলেন, আমার টাকা পয়সা নেই যে আর চিকিৎসা চালাবো। বর্তমানে টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছি না।
আমার পরিবারকে অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। আমাকে কেউ সহযোগিতা করলে খুব উপকার হবে। নলছিটি উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আসাদুজ্জামান পলাশ বলেন, আমাদের কাছে আবেদন করলে সামান্য কিছু সরকারি অনুদান দেওয়া যেতে পারে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.