২৮ জুলাই, ২০২৫ ১৮:১৩
পিতৃহারা ভাতিজিদের মারধর করাসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টা
বরিশাল বিএনপির বহিস্কৃত নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির বিরুদ্ধে এবার আপন ভাতিজির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই দখলসন্ত্রাসে তিনি ব্যর্থ হয়ে পিতৃহারা ত্রিশোর্ধ্ব সুরমা আক্তারসহ স্বজনদের মারধর করা এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন। এবং সর্বশেষ বরিশাল সদর রোডস্থ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল করে নেওয়ার চেষ্টাসহ ভাড়াটিয়াদের হুমকি-ধামকি দেন, দিচ্ছেন। নির্দয় বিএনপির নেতার সন্ত্রাসে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ভাইয়ের মেয়েরা সোমবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অবশ্য এর আগে বিএনপি নেতা মন্টির বিরুদ্ধে ভাতিজি সুরমা আদালতে একটি নালিশি করেছেন।
আলোচিত সাগর উদ্দিন মন্টি বরিশাল মহানগর বিএনপির ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থ্যানে আওয়ামী লীগ শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটলে তিনি ক্ষমতার ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে তিনি
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সৈয়দ গোলাম মাসউদ বাবলুকে মারধরসহ অপহরণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলেও বিষয়টি তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি করে। এবং
ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরে মানববন্ধন হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মন্টিকে দল থেকে বহিস্কার করতে বাধ্য হয় বরিশাল মহানগর বিএনপি।
সেই বিতর্কিত বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এবার আপন বড় ভাইয়ের মেয়েদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল এবং তাদের মারধরের ঘটনা খোদ সংবাদকর্মীদের হতবাক করে দিয়েছে। সোমবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভাতিজিদের একজন সুরমা আক্তার মিডিয়াকর্মীদের কাছে ছোট চাচার কুকীর্তি তুলে ধরেন।
তিনি অভিযোগ করেন, পৈত্রিক সূত্রেপ্রাপ্ত ১ শতাংশ ভূমিতে যমুনা ব্যাকের শাখাসহ একটি ‘জুস বার’ রয়েছে, যা থেকে উপার্জিত অর্থ দুই বোন ভাগাভাগি করে নেন। এবং এ থেকে একটি অংশ ফরায়েজ আইন মোতাবেক ছোট চাচা বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টিও পেয়ে থাকেন। আরও তিন ফুফুর ছেলেসন্তান না থাকায় তারাও মন্টিকে ফরায়েজ দিয়ে যাচ্ছেন। প্রত্যাশিত টাকা নেওয়ার পরেও তিনি প্রতিমাসে ভাড়াটিয়াদের গালিগালাস করাসহ ভাইয়ের মেয়েদের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে আসছেন।
অভিযোগ আছে, বিএনপি নেতার নির্যাতনে ওষ্ঠাগত হয়ে বছর দুয়েক পূর্বে তার বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানায় চাঁদাবাজি মামলা করতে বাধ্য হন ভাইয়ের মেয়ে সুরমা আক্তার। তখন গ্রেপ্তার আতঙ্কে মন্টি কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে আত্মীয়-স্বজনদের হাতে-পায়ে ধরে ভাতিজিকে ম্যানেজ করেন। এবং আগামীতে কোনো প্রকার হয়রানি বা চাঁদাবাজি করবেন না মুচলেকা দিলে চাচাকে ক্ষমা করে দিয়ে মামলাটি তুলে নেন সুরমা।
সুরমা আক্তারের অভিযোগ, গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে চাচা সাগর উদ্দিন মন্টি ফের চোখ রাঙানো শুরু করেন এবং তাদের দুই বোনকে ভয়ভীতি দেখানোসহ ভাড়াটিয়া অভিজিৎ দত্তের কাছে প্রায় সময়ই অর্থ দাবি করেন। প্রথম প্রথম তার চাহিদা ১০ হাজার, ২০ হাজার থাকলেও এখন জুসবারের পুরো ভাড়া কব্জা করতে চাইছেন। এনিয়ে গত ২৬ জুলাই দোকান মালিক অভিজিৎ দত্তের সাথে তর্কে জড়িয়ে তাকে হেনস্থাও করেন। খবর পেয়ে সুরমা আক্তার ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাকেও গালাগালি করাসহ শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টি। এই তথ্যের সত্যতা জুসবার মালিক অভিজিৎ দত্ত বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
সুরমা আক্তারের ওই সংবাদ সম্মেলেন তার মৃত চাচা কবির উদ্দিনের স্ত্রী মহসিনা কবিরও উপস্থিত ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ছেলেসন্তান না থাকায় মন্টিকে তিনিও আইন মোতাবেক ফরায়েজ দিচ্ছেন। কিন্তু এতেও মন্টি তুষ্ট নন, প্রতিনিয়ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ঝামেলা করছেন এবং তাদের হুমকি-ধামকি দেন।
বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির সন্ত্রাস থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলনের আগে সেমাবার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল আদালতে একটি নালিশি করেন ভাতিজি সুরমা আক্তার। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক নালিশি অভিযোগটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পিতৃহারা ভাতিজিদের মারধর এবং হয়রানি করার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বিতর্কিত মন্টি সোমবারও সদর রোডের বাসায় অবস্থান করেন। এবং তার বিরুদ্ধে ভাতিজিদের করা সংবাদ সম্মেলন সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সংবাদ সম্মেলনের তার বিরুদ্ধে আনীত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ে সাংবাদিকেরা তাকে প্রশ্ন করতে পারেন এমনটা ভেবেই তিনি কারও ফোন ধরছেন না।’
তবে দলের নাম ভাঙিয়ে প্রভাব বিস্তার করে আত্মীয়-স্বজনদের হয়রানি করাসহ কোনো প্রকার অবৈধ কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার। এই বিএনপি নেতা জানান, বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগে তাকে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষান্তে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এরপরে বিএনপির নাম ব্যবহার করে তার কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। যদি এরপরেও করে থাকে এর প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’
পিতৃহারা ভাতিজিদের মারধর করাসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টা
বরিশাল বিএনপির বহিস্কৃত নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির বিরুদ্ধে এবার আপন ভাতিজির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই দখলসন্ত্রাসে তিনি ব্যর্থ হয়ে পিতৃহারা ত্রিশোর্ধ্ব সুরমা আক্তারসহ স্বজনদের মারধর করা এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন। এবং সর্বশেষ বরিশাল সদর রোডস্থ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল করে নেওয়ার চেষ্টাসহ ভাড়াটিয়াদের হুমকি-ধামকি দেন, দিচ্ছেন। নির্দয় বিএনপির নেতার সন্ত্রাসে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ভাইয়ের মেয়েরা সোমবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অবশ্য এর আগে বিএনপি নেতা মন্টির বিরুদ্ধে ভাতিজি সুরমা আদালতে একটি নালিশি করেছেন।
আলোচিত সাগর উদ্দিন মন্টি বরিশাল মহানগর বিএনপির ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থ্যানে আওয়ামী লীগ শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটলে তিনি ক্ষমতার ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে তিনি
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সৈয়দ গোলাম মাসউদ বাবলুকে মারধরসহ অপহরণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলেও বিষয়টি তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি করে। এবং
ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরে মানববন্ধন হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মন্টিকে দল থেকে বহিস্কার করতে বাধ্য হয় বরিশাল মহানগর বিএনপি।
সেই বিতর্কিত বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এবার আপন বড় ভাইয়ের মেয়েদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল এবং তাদের মারধরের ঘটনা খোদ সংবাদকর্মীদের হতবাক করে দিয়েছে। সোমবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভাতিজিদের একজন সুরমা আক্তার মিডিয়াকর্মীদের কাছে ছোট চাচার কুকীর্তি তুলে ধরেন।
তিনি অভিযোগ করেন, পৈত্রিক সূত্রেপ্রাপ্ত ১ শতাংশ ভূমিতে যমুনা ব্যাকের শাখাসহ একটি ‘জুস বার’ রয়েছে, যা থেকে উপার্জিত অর্থ দুই বোন ভাগাভাগি করে নেন। এবং এ থেকে একটি অংশ ফরায়েজ আইন মোতাবেক ছোট চাচা বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টিও পেয়ে থাকেন। আরও তিন ফুফুর ছেলেসন্তান না থাকায় তারাও মন্টিকে ফরায়েজ দিয়ে যাচ্ছেন। প্রত্যাশিত টাকা নেওয়ার পরেও তিনি প্রতিমাসে ভাড়াটিয়াদের গালিগালাস করাসহ ভাইয়ের মেয়েদের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে আসছেন।
অভিযোগ আছে, বিএনপি নেতার নির্যাতনে ওষ্ঠাগত হয়ে বছর দুয়েক পূর্বে তার বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানায় চাঁদাবাজি মামলা করতে বাধ্য হন ভাইয়ের মেয়ে সুরমা আক্তার। তখন গ্রেপ্তার আতঙ্কে মন্টি কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে আত্মীয়-স্বজনদের হাতে-পায়ে ধরে ভাতিজিকে ম্যানেজ করেন। এবং আগামীতে কোনো প্রকার হয়রানি বা চাঁদাবাজি করবেন না মুচলেকা দিলে চাচাকে ক্ষমা করে দিয়ে মামলাটি তুলে নেন সুরমা।
সুরমা আক্তারের অভিযোগ, গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে চাচা সাগর উদ্দিন মন্টি ফের চোখ রাঙানো শুরু করেন এবং তাদের দুই বোনকে ভয়ভীতি দেখানোসহ ভাড়াটিয়া অভিজিৎ দত্তের কাছে প্রায় সময়ই অর্থ দাবি করেন। প্রথম প্রথম তার চাহিদা ১০ হাজার, ২০ হাজার থাকলেও এখন জুসবারের পুরো ভাড়া কব্জা করতে চাইছেন। এনিয়ে গত ২৬ জুলাই দোকান মালিক অভিজিৎ দত্তের সাথে তর্কে জড়িয়ে তাকে হেনস্থাও করেন। খবর পেয়ে সুরমা আক্তার ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাকেও গালাগালি করাসহ শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টি। এই তথ্যের সত্যতা জুসবার মালিক অভিজিৎ দত্ত বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
সুরমা আক্তারের ওই সংবাদ সম্মেলেন তার মৃত চাচা কবির উদ্দিনের স্ত্রী মহসিনা কবিরও উপস্থিত ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ছেলেসন্তান না থাকায় মন্টিকে তিনিও আইন মোতাবেক ফরায়েজ দিচ্ছেন। কিন্তু এতেও মন্টি তুষ্ট নন, প্রতিনিয়ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ঝামেলা করছেন এবং তাদের হুমকি-ধামকি দেন।
বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির সন্ত্রাস থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলনের আগে সেমাবার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল আদালতে একটি নালিশি করেন ভাতিজি সুরমা আক্তার। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক নালিশি অভিযোগটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পিতৃহারা ভাতিজিদের মারধর এবং হয়রানি করার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বিতর্কিত মন্টি সোমবারও সদর রোডের বাসায় অবস্থান করেন। এবং তার বিরুদ্ধে ভাতিজিদের করা সংবাদ সম্মেলন সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সংবাদ সম্মেলনের তার বিরুদ্ধে আনীত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ে সাংবাদিকেরা তাকে প্রশ্ন করতে পারেন এমনটা ভেবেই তিনি কারও ফোন ধরছেন না।’
তবে দলের নাম ভাঙিয়ে প্রভাব বিস্তার করে আত্মীয়-স্বজনদের হয়রানি করাসহ কোনো প্রকার অবৈধ কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার। এই বিএনপি নেতা জানান, বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগে তাকে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষান্তে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এরপরে বিএনপির নাম ব্যবহার করে তার কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। যদি এরপরেও করে থাকে এর প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
বরিশালের হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ আসনের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা ডাকবাংলোয় হিজলা উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকার অসহায় দুঃস্থ গরিব মানুষের মাঝে দীর্ঘদিন গরু ছাগল সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দান করে আসছেন।
জানাযায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় মসজিদ মাদরাসা এতিমখানা সহ অনেক প্রতিষ্ঠা করেন। এ এম বরিস্টার মাসুম মতবিনিময় সভায় বলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে আকাঙ্ক্ষা আগামী নির্বাচনে ক্লিন দূর্নীতি মুক্ত দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে পারবেন তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে আমি দলের জন্য যোগ্য মনে করি। তাছাড়া দলের জন্য তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত নিবে সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মনে করবো।
বরিশালের হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ আসনের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা ডাকবাংলোয় হিজলা উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকার অসহায় দুঃস্থ গরিব মানুষের মাঝে দীর্ঘদিন গরু ছাগল সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দান করে আসছেন।
জানাযায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় মসজিদ মাদরাসা এতিমখানা সহ অনেক প্রতিষ্ঠা করেন। এ এম বরিস্টার মাসুম মতবিনিময় সভায় বলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে আকাঙ্ক্ষা আগামী নির্বাচনে ক্লিন দূর্নীতি মুক্ত দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে পারবেন তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে আমি দলের জন্য যোগ্য মনে করি। তাছাড়া দলের জন্য তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত নিবে সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মনে করবো।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৩
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে উপজেলার ২১১নং দক্ষিণ শিয়ালগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯২ জন। আর তাদের পাঠদান করেন মাত্র একজন শিক্ষক। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
অভিভাবকরা বলেছেন, মো. হাবিবুর রহমান নামে একজন শিক্ষক রয়েছেন। তিনি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটিতে আর কোনো শিক্ষক না থাকায় তিনি একাই সব শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন। এমনকি বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজে তাকে সবসময় ব্যস্ত থাকতে হয়। সে কারণে বর্তমানে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের দক্ষিণ শিয়ালগুনি গ্রামে ১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালে সরকারিকরণ হয় বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯২ জন এবং শিক্ষক পদসংখ্যা ৬টি, এর মধ্যে মাত্র একজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
জানা গেছে, কাওসার হোসেন নামে এক সহকারী শিক্ষক গত বছরের নভেম্বর থেকে পিটিআই ট্রেনিং করেছেন, অপর দুজন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে একজন নুসরাত জাহান আছেন ৬ মাস ধরে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এবং আরেকজন শিক্ষক মাধবী আক্তার এক বছর ধরে সাসপেনশনে আছেন। বাকি দুজন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষক একজন এবং সহকারী শিক্ষক একজনের পদ শূন্য রয়েছে।
বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, দুই শিফটে ক্লাস হয়। কোনোভাবে চালাই। আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কাজ থাকলে স্কুল ছুটি দিয়ে যায়। এ ছাড়া করার তো আর কিছু নাই।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, এই উপজেলায় দুই সপ্তাহ হলো যোগদান করেছি। বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আমার জানা নেই। দ্রুত বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে উপজেলার ২১১নং দক্ষিণ শিয়ালগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯২ জন। আর তাদের পাঠদান করেন মাত্র একজন শিক্ষক। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
অভিভাবকরা বলেছেন, মো. হাবিবুর রহমান নামে একজন শিক্ষক রয়েছেন। তিনি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটিতে আর কোনো শিক্ষক না থাকায় তিনি একাই সব শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন। এমনকি বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজে তাকে সবসময় ব্যস্ত থাকতে হয়। সে কারণে বর্তমানে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের দক্ষিণ শিয়ালগুনি গ্রামে ১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালে সরকারিকরণ হয় বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯২ জন এবং শিক্ষক পদসংখ্যা ৬টি, এর মধ্যে মাত্র একজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
জানা গেছে, কাওসার হোসেন নামে এক সহকারী শিক্ষক গত বছরের নভেম্বর থেকে পিটিআই ট্রেনিং করেছেন, অপর দুজন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে একজন নুসরাত জাহান আছেন ৬ মাস ধরে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এবং আরেকজন শিক্ষক মাধবী আক্তার এক বছর ধরে সাসপেনশনে আছেন। বাকি দুজন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষক একজন এবং সহকারী শিক্ষক একজনের পদ শূন্য রয়েছে।
বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, দুই শিফটে ক্লাস হয়। কোনোভাবে চালাই। আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কাজ থাকলে স্কুল ছুটি দিয়ে যায়। এ ছাড়া করার তো আর কিছু নাই।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, এই উপজেলায় দুই সপ্তাহ হলো যোগদান করেছি। বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আমার জানা নেই। দ্রুত বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:১৩
পঞ্চাশোর্ধ শাহিনুর বেগমকে তার স্বামী ত্যাগ করেছেন বহুকাল আগেই। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তার ঠাঁই হয় পাংশা গ্রামের বাবার বাড়িতে। দারিদ্র্যের চরম কষাঘাতে জর্জরিত হয়েও শাহিনুর তার ছেলেকে ঘিরে বাঁচার স্বপ্ন দেখতেন। ছেলে বড় হয়ে তার সব অভাব অনটন দূর করে দেবে। কিন্তু অভাগিনী যেদিকে তাকায় সেদিকে সাগরও নাকি শুকিয়ে যায়! শাহিনুর যখন ভেবেছিলেন ছেলে কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ করলেই সংসারের হাল ধরবে, ঠিক তখনই ছেলে রাহাত হাওলাদার (১৭) অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। প্রথমে জ্বীন-ভূতের আছর মনে করে ঝাড়ফুঁক করানো হয় তাকে। তবে শেষ পর্যন্ত জানা যায়, রাহাত এক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। ডাক্তার জানায়, তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করতে হলে এক দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা দরকার। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে শাহিনুরের। যেখানে তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকাই দায়, সেখানে সন্তানের এই দীর্ঘমেয়াদি ব্যয়বহুল চিকিৎসা হবে কীভাবে?
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পাংশা গ্রামের শাহিনুর বেগমের দুঃখের গল্পটা ছিল এমনই। তবে এই কষ্টের গল্পটা সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে পৌঁছে যায় বাবুগঞ্জের মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের কাছে। মানুষের দুঃখ-কষ্টে যার হৃদয় কেঁদে ওঠে সেই মানবিক ইউএনও এই খবর শুনে কি আর চুপ করে বসে থাকতে পারেন? তিনি ছুটে যান শাহিনুর বেগমের জীর্ণ কুটিরে। তার দুরবস্থা দেখে তাকে একটি সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উপহার দেওয়ার প্রস্তাব করেন। সেইসঙ্গে তার ছেলের সুচিকিৎসার জন্য অনুদান দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শাহিনুর বেগমের হাতে তার সন্তানের চিকিৎসা অনুদানের সেই চেক তুলে দেন তিনি। ইউএনওর এই অনন্য মানবিক কর্মের সাক্ষী হয়ে থাকেন বাবুগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ওই অনুদানের চেক বিতরণকালে বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বাচ্চু, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুর রহিম, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হানিফ ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় শাহিনুর বেগমকে বাবুগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে খালি থাকা সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের মধ্য থেকে তার সুবিধাজনক এলাকায় একটি ঘর বেছে নেওয়ার অপশন দেন মানবিক ইউএনও ফারুক আহমেদ। তবে শাহিনুর বেগম তার বাবার বাড়ি পাংশা গ্রামেই থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করে পৈত্রিক জমিতে একটি বসতঘর নির্মাণ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'আমি মানুষের সেবা করতে এসেছি। সাধ্যমতো সেটা করে যেতে চাই। মানুষের অভাব, অভিযোগ, চাহিদা অনেক। সব পূরণ করার ইচ্ছা থাকলেও আমার সাধ্য সীমিত। তবুও সবসময় চেষ্টা করি সীমিত সাধ্যের মধ্যেই সরকারি বিধিবিধানের ভেতরে থেকে যতটুকু সম্ভব মানুষের খেদমত করা যায়। স্বামী পরিত্যক্তা শাহিনুর বেগমের অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সাধ্যমতো অনুদান দেওয়া হয়েছে। এখন তার চাহিদা তাদের পৈত্রিক জমিতে একটি পাকা বসতঘর। ভবিষ্যতে জমি আছে ঘর নাই এমন ক্যাটাগরির জন্য অর্থ বরাদ্দ পেলে তার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।'
পঞ্চাশোর্ধ শাহিনুর বেগমকে তার স্বামী ত্যাগ করেছেন বহুকাল আগেই। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তার ঠাঁই হয় পাংশা গ্রামের বাবার বাড়িতে। দারিদ্র্যের চরম কষাঘাতে জর্জরিত হয়েও শাহিনুর তার ছেলেকে ঘিরে বাঁচার স্বপ্ন দেখতেন। ছেলে বড় হয়ে তার সব অভাব অনটন দূর করে দেবে। কিন্তু অভাগিনী যেদিকে তাকায় সেদিকে সাগরও নাকি শুকিয়ে যায়! শাহিনুর যখন ভেবেছিলেন ছেলে কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ করলেই সংসারের হাল ধরবে, ঠিক তখনই ছেলে রাহাত হাওলাদার (১৭) অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। প্রথমে জ্বীন-ভূতের আছর মনে করে ঝাড়ফুঁক করানো হয় তাকে। তবে শেষ পর্যন্ত জানা যায়, রাহাত এক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। ডাক্তার জানায়, তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করতে হলে এক দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা দরকার। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে শাহিনুরের। যেখানে তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকাই দায়, সেখানে সন্তানের এই দীর্ঘমেয়াদি ব্যয়বহুল চিকিৎসা হবে কীভাবে?
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পাংশা গ্রামের শাহিনুর বেগমের দুঃখের গল্পটা ছিল এমনই। তবে এই কষ্টের গল্পটা সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে পৌঁছে যায় বাবুগঞ্জের মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের কাছে। মানুষের দুঃখ-কষ্টে যার হৃদয় কেঁদে ওঠে সেই মানবিক ইউএনও এই খবর শুনে কি আর চুপ করে বসে থাকতে পারেন? তিনি ছুটে যান শাহিনুর বেগমের জীর্ণ কুটিরে। তার দুরবস্থা দেখে তাকে একটি সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উপহার দেওয়ার প্রস্তাব করেন। সেইসঙ্গে তার ছেলের সুচিকিৎসার জন্য অনুদান দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শাহিনুর বেগমের হাতে তার সন্তানের চিকিৎসা অনুদানের সেই চেক তুলে দেন তিনি। ইউএনওর এই অনন্য মানবিক কর্মের সাক্ষী হয়ে থাকেন বাবুগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ওই অনুদানের চেক বিতরণকালে বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বাচ্চু, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুর রহিম, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হানিফ ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় শাহিনুর বেগমকে বাবুগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে খালি থাকা সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের মধ্য থেকে তার সুবিধাজনক এলাকায় একটি ঘর বেছে নেওয়ার অপশন দেন মানবিক ইউএনও ফারুক আহমেদ। তবে শাহিনুর বেগম তার বাবার বাড়ি পাংশা গ্রামেই থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করে পৈত্রিক জমিতে একটি বসতঘর নির্মাণ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'আমি মানুষের সেবা করতে এসেছি। সাধ্যমতো সেটা করে যেতে চাই। মানুষের অভাব, অভিযোগ, চাহিদা অনেক। সব পূরণ করার ইচ্ছা থাকলেও আমার সাধ্য সীমিত। তবুও সবসময় চেষ্টা করি সীমিত সাধ্যের মধ্যেই সরকারি বিধিবিধানের ভেতরে থেকে যতটুকু সম্ভব মানুষের খেদমত করা যায়। স্বামী পরিত্যক্তা শাহিনুর বেগমের অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সাধ্যমতো অনুদান দেওয়া হয়েছে। এখন তার চাহিদা তাদের পৈত্রিক জমিতে একটি পাকা বসতঘর। ভবিষ্যতে জমি আছে ঘর নাই এমন ক্যাটাগরির জন্য অর্থ বরাদ্দ পেলে তার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।'
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.