১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:০৪
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের অভিযানে গত পাঁচ মাসে প্রায় ৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ জাল, ২ হাজার ৩৬২ কোটি টাকার জাটকা, ৬৭২ কোটি টাকার চিংড়ি রেণু, ১৩৫ কোটি টাকার ট্রলার, ২১ লাখ ৬৩ হাজার টাকার মাদক, ২৩৯ কোটি টাকার সামুদ্রিক মাছ, ৭ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেট, ১০ হাজার ৯৪০ কোটি টাকার বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার এবং দেশি-বিদেশি ১৫২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি-বোমাসহ ৪৩ জন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের বিসিজি বেইজ ভোলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. ইমাম হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দেশের সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, চোরাচালান, মাদক ও মানবপাচার দমন, অবৈধ ট্রলিং প্রতিরোধ এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গত পাঁচ মাসে ৬৫ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১ হাজার ৫০০টি বেহুন্দি জাল এবং ৫ হাজার ৬০০টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রায় ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ ৭৭ হাজার কেজি জাটকা, ২০ হাজার কেজি ইলিশ, ৩১ হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছ, ১৭ হাজার কেজি পাঙ্গাস পোনা এবং ৬ কোটি ৭২ লাখ পিস চিংড়ির রেণু জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং মাছ এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। চিংড়ির রেণুগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
অবৈধ ট্রলিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে ১৩৫ কোটি টাকা মূল্যের ১৩৩টি ট্রলিং বোট জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি সার্চ ও রেসকিউ অভিযানে ৫২০ জনকে জীবিত এবং ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জলদস্যুদের কবল থেকে ৪টি ফিশিং ট্রলার ও ৬৭ জন জেলেকেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গত পাঁচ মাসে ২৯টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৮ রাউন্ড গুলি, ১টি গোলার খোসা, ২৭টি হাতবোমা, ৪টি রকেট ফ্লেয়ার, ৩৯টি ধারালো দেশীয় অস্ত্র এবং ২০ লাখ ৫ হাজার টাকা মূল্যের ডাকাতি করা স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৪৩ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাতকে আটক করা হয়।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে ২১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা মূল্যের ১৮ কেজি ৮৪০ গ্রাম গাঁজা, ৫টি গাঁজার গাছ এবং ৩ হাজার ১৯৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা মূল্যের ৫ হাজার ৯০০ কেজি হাঙর, ৮৪৫ কেজি শাপলা পাতা, ৩০ হাজার ৮০ কেজি অবৈধ পলিথিন ও ১০ হাজার ২৫০ লিটার অপরিশোধিত পাম অয়েল জব্দ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের ১৯০ কেজি হরিণের মাংস, ১টি হরিণের সিং, প্রায় ৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা মূল্যের ৫ হাজার ৮৮৯টি আতশবাজি এবং ১৯ হাজার ৬০০ স্টিক বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট ও অন্যান্য অবৈধ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী জব্দ করা হয়।
অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযানে গত ৬ মাসে ১০৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৭০টি ড্রেজার এবং ৫৮টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। জনসেবামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন’-এর মাধ্যমে ১ হাজার ১২০ জন অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।
‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মৎস্য সংরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগকালীন উদ্ধার ও অগ্নি নির্বাপন বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়েছে বলেও জানান জোনাল কমান্ডার।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের অভিযানে গত পাঁচ মাসে প্রায় ৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ জাল, ২ হাজার ৩৬২ কোটি টাকার জাটকা, ৬৭২ কোটি টাকার চিংড়ি রেণু, ১৩৫ কোটি টাকার ট্রলার, ২১ লাখ ৬৩ হাজার টাকার মাদক, ২৩৯ কোটি টাকার সামুদ্রিক মাছ, ৭ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেট, ১০ হাজার ৯৪০ কোটি টাকার বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার এবং দেশি-বিদেশি ১৫২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি-বোমাসহ ৪৩ জন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের বিসিজি বেইজ ভোলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. ইমাম হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দেশের সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, চোরাচালান, মাদক ও মানবপাচার দমন, অবৈধ ট্রলিং প্রতিরোধ এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গত পাঁচ মাসে ৬৫ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১ হাজার ৫০০টি বেহুন্দি জাল এবং ৫ হাজার ৬০০টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রায় ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ ৭৭ হাজার কেজি জাটকা, ২০ হাজার কেজি ইলিশ, ৩১ হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছ, ১৭ হাজার কেজি পাঙ্গাস পোনা এবং ৬ কোটি ৭২ লাখ পিস চিংড়ির রেণু জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং মাছ এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। চিংড়ির রেণুগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
অবৈধ ট্রলিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে ১৩৫ কোটি টাকা মূল্যের ১৩৩টি ট্রলিং বোট জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি সার্চ ও রেসকিউ অভিযানে ৫২০ জনকে জীবিত এবং ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জলদস্যুদের কবল থেকে ৪টি ফিশিং ট্রলার ও ৬৭ জন জেলেকেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গত পাঁচ মাসে ২৯টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৮ রাউন্ড গুলি, ১টি গোলার খোসা, ২৭টি হাতবোমা, ৪টি রকেট ফ্লেয়ার, ৩৯টি ধারালো দেশীয় অস্ত্র এবং ২০ লাখ ৫ হাজার টাকা মূল্যের ডাকাতি করা স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৪৩ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাতকে আটক করা হয়।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে ২১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা মূল্যের ১৮ কেজি ৮৪০ গ্রাম গাঁজা, ৫টি গাঁজার গাছ এবং ৩ হাজার ১৯৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা মূল্যের ৫ হাজার ৯০০ কেজি হাঙর, ৮৪৫ কেজি শাপলা পাতা, ৩০ হাজার ৮০ কেজি অবৈধ পলিথিন ও ১০ হাজার ২৫০ লিটার অপরিশোধিত পাম অয়েল জব্দ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের ১৯০ কেজি হরিণের মাংস, ১টি হরিণের সিং, প্রায় ৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা মূল্যের ৫ হাজার ৮৮৯টি আতশবাজি এবং ১৯ হাজার ৬০০ স্টিক বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট ও অন্যান্য অবৈধ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী জব্দ করা হয়।
অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযানে গত ৬ মাসে ১০৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৭০টি ড্রেজার এবং ৫৮টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। জনসেবামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন’-এর মাধ্যমে ১ হাজার ১২০ জন অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।
‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মৎস্য সংরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগকালীন উদ্ধার ও অগ্নি নির্বাপন বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়েছে বলেও জানান জোনাল কমান্ডার।
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৬
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৪
ভোলার মনপুরা উপজেলায় নিখোঁজের প্রায় ৯ ঘণ্টা পর আলম মাঝি (৫০) নামে এক জেলের মরদেহ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ফকিরহাট গ্রামে নিহতের নিজ বসতবাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই একই গ্রামের মো. তাজুল ইসলামের ছেলে
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের বরাতে ইউপি সদস্য মো.জামাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জামাল মাঝির নদী তীরে বেঁধে রাখা নৌকা দেখতে যাবেন বলে স্ত্রীকে জানিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। তার স্ত্রী বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরও তিনি আর ঘরে ফেরেননি। এরপর সকালেও তিনি বাড়ি না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হয় এবং তার মোবাইলে কল দেন। পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয়রা বসতবাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধের বাইরে পুকুরের পাড়ে জামাল মাঝির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও জুতা দেখতে পান এবং জামাল মাঝির মরদেহ পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন তারা।
মনপুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ গিয়েছে। পরে বিস্তারিত জানা যাবে,তার পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ভোলার মনপুরা উপজেলায় নিখোঁজের প্রায় ৯ ঘণ্টা পর আলম মাঝি (৫০) নামে এক জেলের মরদেহ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ফকিরহাট গ্রামে নিহতের নিজ বসতবাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই একই গ্রামের মো. তাজুল ইসলামের ছেলে
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের বরাতে ইউপি সদস্য মো.জামাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জামাল মাঝির নদী তীরে বেঁধে রাখা নৌকা দেখতে যাবেন বলে স্ত্রীকে জানিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। তার স্ত্রী বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরও তিনি আর ঘরে ফেরেননি। এরপর সকালেও তিনি বাড়ি না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হয় এবং তার মোবাইলে কল দেন। পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয়রা বসতবাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধের বাইরে পুকুরের পাড়ে জামাল মাঝির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও জুতা দেখতে পান এবং জামাল মাঝির মরদেহ পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন তারা।
মনপুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ গিয়েছে। পরে বিস্তারিত জানা যাবে,তার পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৪৬
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর কাচারির খালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ১২ জন জেলেকে মোট ৬০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হান-উজ্জামান।
সোমবার (২০ অক্টোবর) অভিযানকালে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধনের অপরাধে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ (সংশোধিত ২০২৫) অনুযায়ী প্রত্যেককে ৫,০০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক ৭ জন জেলেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযানে ২০ কেজি মা ইলিশ মাছ উদ্ধার করা হয়, যা পরবর্তীতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মাদরাসাতুল মদিনাহ আল অ্যারাবিয়া লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে বিতরণ করা হয়। এছাড়া ১০,০০০ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে নদীতে মা ইলিশ নিধন থেকে সকলকে বিরত থাকার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অভিযানে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, নৌপুলিশ ও বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের একটি টিম সার্বিক সহযোগিতা করেছে। উপজেলা প্রশাসনের দৃঢ় সদিচ্ছা ও অব্যাহত প্রচেষ্টায় মা ইলিশ সংরক্ষণে বোরহানউদ্দিনে গড়ে উঠছে প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর কাচারির খালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ১২ জন জেলেকে মোট ৬০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হান-উজ্জামান।
সোমবার (২০ অক্টোবর) অভিযানকালে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধনের অপরাধে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ (সংশোধিত ২০২৫) অনুযায়ী প্রত্যেককে ৫,০০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক ৭ জন জেলেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযানে ২০ কেজি মা ইলিশ মাছ উদ্ধার করা হয়, যা পরবর্তীতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মাদরাসাতুল মদিনাহ আল অ্যারাবিয়া লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে বিতরণ করা হয়। এছাড়া ১০,০০০ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে নদীতে মা ইলিশ নিধন থেকে সকলকে বিরত থাকার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অভিযানে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, নৌপুলিশ ও বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের একটি টিম সার্বিক সহযোগিতা করেছে। উপজেলা প্রশাসনের দৃঢ় সদিচ্ছা ও অব্যাহত প্রচেষ্টায় মা ইলিশ সংরক্ষণে বোরহানউদ্দিনে গড়ে উঠছে প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত।
২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:৫৭
ভোলার দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ পাওয়া অর্ধকোটি টাকার নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি গত ৭–৮ বছর ধরে অযত্নে পড়ে রয়েছে বেতুয়ার খালে। এখন সেটি কাদামাটির নিচে চাপা পড়ে অচল হয়ে গেছে। ফলে চরাঞ্চলের অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী বঞ্চিত হচ্ছে জরুরি চিকিৎসাসেবা থেকে। অপরদিকে সরকারের প্রায় অর্ধকোটি টাকারও বেশি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত সরকারের সময় ২০১৮ সালে মেঘনা উপকূলীয় দৌলতখান উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিতে (প্রায়) অর্ধকোটি টাকার এই নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলেও এরপর থেকে এটি ব্যবহার হতে দেখা যায়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে থানাসংলগ্ন বেতুয়ার খালে ফেলে রাখা হয়। এখন সেটি কাদা ও মাটির নিচে চাপা পড়ে ব্যবহারের অযোগ্য অবস্থায় রয়েছে।
চরের এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ী জানান, ‘আমরা গরিব মানুষ, চরে থাকি বলেই চিকিৎসা পাই না। শুনছি সরকার নৌ অ্যাম্বুলেন্স দিছে, কিন্তু কখনো দেখি নাই। অসুখে পড়লে এখানেই মরতে হয়।’
গৃহবধূ জান্নাত বলেন, ‘আমরা চরে থাকি, মরে গেলেও কেউ খোঁজ নেয় না। শুনছি গরিবের জন্য সরকার অ্যাম্বুলেন্স দিছে, কিন্তু কোনোদিন কাজে লাগে নাই।’ সাবেক ইউপি মেম্বার আবু তাহের বলেন, ‘চরে চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই।
একবার হাসপাতালে গেছিলাম, তখন জিজ্ঞাসা করলাম নৌ অ্যাম্বুলেন্স কোথায়— তারা বলে, খুঁজে নেন।’ বেতুয়ার খালের জেলেরা জানায়, ‘নতুন আনার পর কোনোদিন রোগী আনতে দেখি নাই। এখন খালের মাটির নিচে চাপা পইড়া গেছে।’
এ বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সটি এক সময় সচল করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ওপি বন্ধ থাকায় ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরই এটি সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
ভোলার দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ পাওয়া অর্ধকোটি টাকার নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি গত ৭–৮ বছর ধরে অযত্নে পড়ে রয়েছে বেতুয়ার খালে। এখন সেটি কাদামাটির নিচে চাপা পড়ে অচল হয়ে গেছে। ফলে চরাঞ্চলের অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী বঞ্চিত হচ্ছে জরুরি চিকিৎসাসেবা থেকে। অপরদিকে সরকারের প্রায় অর্ধকোটি টাকারও বেশি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত সরকারের সময় ২০১৮ সালে মেঘনা উপকূলীয় দৌলতখান উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিতে (প্রায়) অর্ধকোটি টাকার এই নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলেও এরপর থেকে এটি ব্যবহার হতে দেখা যায়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে থানাসংলগ্ন বেতুয়ার খালে ফেলে রাখা হয়। এখন সেটি কাদা ও মাটির নিচে চাপা পড়ে ব্যবহারের অযোগ্য অবস্থায় রয়েছে।
চরের এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ী জানান, ‘আমরা গরিব মানুষ, চরে থাকি বলেই চিকিৎসা পাই না। শুনছি সরকার নৌ অ্যাম্বুলেন্স দিছে, কিন্তু কখনো দেখি নাই। অসুখে পড়লে এখানেই মরতে হয়।’
গৃহবধূ জান্নাত বলেন, ‘আমরা চরে থাকি, মরে গেলেও কেউ খোঁজ নেয় না। শুনছি গরিবের জন্য সরকার অ্যাম্বুলেন্স দিছে, কিন্তু কোনোদিন কাজে লাগে নাই।’ সাবেক ইউপি মেম্বার আবু তাহের বলেন, ‘চরে চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই।
একবার হাসপাতালে গেছিলাম, তখন জিজ্ঞাসা করলাম নৌ অ্যাম্বুলেন্স কোথায়— তারা বলে, খুঁজে নেন।’ বেতুয়ার খালের জেলেরা জানায়, ‘নতুন আনার পর কোনোদিন রোগী আনতে দেখি নাই। এখন খালের মাটির নিচে চাপা পইড়া গেছে।’
এ বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সটি এক সময় সচল করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ওপি বন্ধ থাকায় ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরই এটি সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.