০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:৪৫
লাল, নীল, সবুজ ও হলুদ বাতির ঝলমল আলোয় নদীটি এক টুকরো শহরে রূপান্তরিত হয়। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে নদীর বুক জুড়ে জ্বলে ওঠে মাছ ধরা ট্রলারের রঙিন বাতির ঝলকানি। দূর থেকে মনে হয় নদীর বুকে বসেছে কোনো আলোর মেলা।
জেলেদের কোলাহল, জালের শব্দ আর ইঞ্জিনের গর্জন মিলিয়ে নদীটি যেন পরিণত হয় শ্রম, আশা আর সংগ্রামের প্রতীকে। সন্ধ্যার পরে মনভোলানো এ সৌন্দর্য আকর্ষণ করে যে কাউকে।
তাই তো নানা বয়সী মানুষ ছুটে আসছেন নদীর তীরে। এটি পটুয়াখালী জেলার মৎস্যবন্দর আলীপুর-মহিপুরের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত খাপড়াভাঙ্গা নদী। অনেকের কাছে শিববাড়িয়া নদী নামেও পরিচিত।
নদীটির দুই তীরে অবস্থিত মহিপুর-আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। সমুদ্রে মাছ ধরা অবস্থায় বৈরী আবহাওয়া বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বঙ্গোপসাগর থেকে জেলেরা দ্রুত আশ্রয় নেয় এ নদীতে। ফলে নদীটি জেলেদের কাছে পোতাশ্রয় নামেও পরিচিতি লাভ করেছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এসব ট্রলার নদীর বুকে ভেসে থাকায় এক টুকরো শহরে রূপান্তরিত হয়। রাতে নদীর দৃশ্য যেন অন্য এক রূপ নেয়। লাল, সবুজ, নীল বাতির আলোয় মুখরিত হয়ে ওঠে নদীর বুক।
খাপড়াভাঙ্গা সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে শতশত মানুষ এই দৃশ্য উপভোগ করতে আসেন প্রতি সন্ধ্যায় ।অনেকে মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও ও সেলফি তুলে ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ধীরে ধীরে স্থানীয়দের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় বিনোদন স্পটে পরিণত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কথা হয় কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কাজী সাঈদের সাথে। তিনি বলেন, আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দর, খাপড়াভাঙ্গা নদীটি চমৎকার একটি পর্যটন স্পট হতে পারে। এই নদীটিতে কিছু প্রমোদতরী ভাসতে পারে।
যাতে পর্যটকরা নদীটির দু’মাথার আন্ধারমানিক ও রামনাবাদ মোহনায় যেতে পারে। নদীটির দু’পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ছাতা বেঞ্চ বসানোর ব্যবস্থা করতে পারলে আকর্ষণ বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, নদীর পাড়ে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় স্টল করে সকাল-সন্ধ্যা মাছের দোকান বসালে পর্যটকরা তাজা মাছ কেনার পাশাপাশি সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পরিচয় জানতে পারবে।
সর্বোপরি পরিকল্পিত পরিকল্পনার মাধ্যমে খাপড়াভাঙ্গা নদীটির সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করতে পারলে সাগরকন্যা কুয়াকাটা পাবে আরও একটি দর্শনীয় পর্যটন স্পট এবং দেশী-বিদেশী ভ্রমণপিপাসু দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজিব হাওলাদার বলেন, এখন সন্ধ্যা নামলেই মনে হয় নদীর মাঝখানে একটা শহর জেগে উঠেছে। বাতিগুলোর ঝলকানি নদীকে যেন অন্য রকম রূপ দিয়েছে।
খাপড়াভাঙ্গা সেতুতে ঘুরতে আসা কুয়াকাটা থেকে আগত পর্যটক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আমরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে শুধু এই দৃশ্য দেখার জন্য এখানে এসেছি। সত্যি অসাধারণ লেগেছে।
সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে ফুচকা দোকানী জসিম মোল্লা বলেন, আগে শুধু ট্রলার ভীড়ত, এখন সন্ধ্যা নামলেই মানুষ এখানে ঘুরতে আসে। আমাদের ব্যবসাও ভালো হচ্ছে।
পর্যটক মাহমুদা আক্তার বলেন, এ দৃশ্যটাকে ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয়। মনে হয় নদীর মধ্যে আলোকসজ্জা করা শহর ভাসছে। আমি ভিডিও করে পরিবারের সবাইকে পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসীন সাদেক বলেন, খাপড়াভাঙ্গা সেতুর দু'পাশে সন্ধ্যার পরের দৃশ্যটি অত্যন্ত মনোরম।
এটি আগত পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন প্রজাতির খাবারগুলো ভাসমান দোকান আকারে রেস্টুরেন্টের করলে পর্যটকরা এই স্পটে আসবে। পাশাপাশি ট্রলারের মাধ্যমে নদীর মোহনাগুলো ঘুরে দেখার ব্যবস্থা হলে এই স্পটটি আরো আকর্ষণীয় হবে। এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলব।
লাল, নীল, সবুজ ও হলুদ বাতির ঝলমল আলোয় নদীটি এক টুকরো শহরে রূপান্তরিত হয়। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে নদীর বুক জুড়ে জ্বলে ওঠে মাছ ধরা ট্রলারের রঙিন বাতির ঝলকানি। দূর থেকে মনে হয় নদীর বুকে বসেছে কোনো আলোর মেলা।
জেলেদের কোলাহল, জালের শব্দ আর ইঞ্জিনের গর্জন মিলিয়ে নদীটি যেন পরিণত হয় শ্রম, আশা আর সংগ্রামের প্রতীকে। সন্ধ্যার পরে মনভোলানো এ সৌন্দর্য আকর্ষণ করে যে কাউকে।
তাই তো নানা বয়সী মানুষ ছুটে আসছেন নদীর তীরে। এটি পটুয়াখালী জেলার মৎস্যবন্দর আলীপুর-মহিপুরের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত খাপড়াভাঙ্গা নদী। অনেকের কাছে শিববাড়িয়া নদী নামেও পরিচিত।
নদীটির দুই তীরে অবস্থিত মহিপুর-আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। সমুদ্রে মাছ ধরা অবস্থায় বৈরী আবহাওয়া বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বঙ্গোপসাগর থেকে জেলেরা দ্রুত আশ্রয় নেয় এ নদীতে। ফলে নদীটি জেলেদের কাছে পোতাশ্রয় নামেও পরিচিতি লাভ করেছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এসব ট্রলার নদীর বুকে ভেসে থাকায় এক টুকরো শহরে রূপান্তরিত হয়। রাতে নদীর দৃশ্য যেন অন্য এক রূপ নেয়। লাল, সবুজ, নীল বাতির আলোয় মুখরিত হয়ে ওঠে নদীর বুক।
খাপড়াভাঙ্গা সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে শতশত মানুষ এই দৃশ্য উপভোগ করতে আসেন প্রতি সন্ধ্যায় ।অনেকে মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও ও সেলফি তুলে ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ধীরে ধীরে স্থানীয়দের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় বিনোদন স্পটে পরিণত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কথা হয় কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কাজী সাঈদের সাথে। তিনি বলেন, আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দর, খাপড়াভাঙ্গা নদীটি চমৎকার একটি পর্যটন স্পট হতে পারে। এই নদীটিতে কিছু প্রমোদতরী ভাসতে পারে।
যাতে পর্যটকরা নদীটির দু’মাথার আন্ধারমানিক ও রামনাবাদ মোহনায় যেতে পারে। নদীটির দু’পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ছাতা বেঞ্চ বসানোর ব্যবস্থা করতে পারলে আকর্ষণ বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, নদীর পাড়ে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় স্টল করে সকাল-সন্ধ্যা মাছের দোকান বসালে পর্যটকরা তাজা মাছ কেনার পাশাপাশি সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পরিচয় জানতে পারবে।
সর্বোপরি পরিকল্পিত পরিকল্পনার মাধ্যমে খাপড়াভাঙ্গা নদীটির সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করতে পারলে সাগরকন্যা কুয়াকাটা পাবে আরও একটি দর্শনীয় পর্যটন স্পট এবং দেশী-বিদেশী ভ্রমণপিপাসু দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজিব হাওলাদার বলেন, এখন সন্ধ্যা নামলেই মনে হয় নদীর মাঝখানে একটা শহর জেগে উঠেছে। বাতিগুলোর ঝলকানি নদীকে যেন অন্য রকম রূপ দিয়েছে।
খাপড়াভাঙ্গা সেতুতে ঘুরতে আসা কুয়াকাটা থেকে আগত পর্যটক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আমরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে শুধু এই দৃশ্য দেখার জন্য এখানে এসেছি। সত্যি অসাধারণ লেগেছে।
সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে ফুচকা দোকানী জসিম মোল্লা বলেন, আগে শুধু ট্রলার ভীড়ত, এখন সন্ধ্যা নামলেই মানুষ এখানে ঘুরতে আসে। আমাদের ব্যবসাও ভালো হচ্ছে।
পর্যটক মাহমুদা আক্তার বলেন, এ দৃশ্যটাকে ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয়। মনে হয় নদীর মধ্যে আলোকসজ্জা করা শহর ভাসছে। আমি ভিডিও করে পরিবারের সবাইকে পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসীন সাদেক বলেন, খাপড়াভাঙ্গা সেতুর দু'পাশে সন্ধ্যার পরের দৃশ্যটি অত্যন্ত মনোরম।
এটি আগত পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন প্রজাতির খাবারগুলো ভাসমান দোকান আকারে রেস্টুরেন্টের করলে পর্যটকরা এই স্পটে আসবে। পাশাপাশি ট্রলারের মাধ্যমে নদীর মোহনাগুলো ঘুরে দেখার ব্যবস্থা হলে এই স্পটটি আরো আকর্ষণীয় হবে। এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলব।
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০০
পটুয়াখালীর দুমকিতে আলোচিত শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩) ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছর করে এবং পর্নোগ্রাফি আইনের ৮(২) ধারায় দুই আসামিকে অতিরিক্ত ৩ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নীলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইমরান মুন্সী (১৭), সাকিব মুন্সী (১৭) ও সিফাত মুন্সী (১৬)। আদালত আসামিদের অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে শিশু আইনের অধীনে বিচার করেন। রায়ের মাধ্যমে ইমরান মুন্সীকে ১০ বছরের এবং সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সীকে ১০ বছরের পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি আইনে আরও ৩ বছর করে মোট ১৩ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী লামিয়া বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়িতে যাওয়ার পথে আসামিরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা একটি পরিত্যক্ত বাড়ির জঙ্গলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার দুমকি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় প্রদান করেন। রাস্ট্রপক্ষের পিপি এডভোকেট আবদুল্লাহ আল-নোমান এবং আসামি পক্ষে এডভোকেট মো: শহিদুল ইসলাম তালুকদার মামলাটি পরিচালনা করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই শহীদ কন্যা লামিয়াকে ঘটনার পর ঢাকায় মায়ের ভাড়া বাসায় নেওয়া হলে সেখানে লোকলজ্জা ও অপমান সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পটুয়াখালীর দুমকিতে আলোচিত শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩) ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছর করে এবং পর্নোগ্রাফি আইনের ৮(২) ধারায় দুই আসামিকে অতিরিক্ত ৩ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নীলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইমরান মুন্সী (১৭), সাকিব মুন্সী (১৭) ও সিফাত মুন্সী (১৬)। আদালত আসামিদের অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে শিশু আইনের অধীনে বিচার করেন। রায়ের মাধ্যমে ইমরান মুন্সীকে ১০ বছরের এবং সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সীকে ১০ বছরের পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি আইনে আরও ৩ বছর করে মোট ১৩ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী লামিয়া বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়িতে যাওয়ার পথে আসামিরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা একটি পরিত্যক্ত বাড়ির জঙ্গলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার দুমকি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় প্রদান করেন। রাস্ট্রপক্ষের পিপি এডভোকেট আবদুল্লাহ আল-নোমান এবং আসামি পক্ষে এডভোকেট মো: শহিদুল ইসলাম তালুকদার মামলাটি পরিচালনা করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই শহীদ কন্যা লামিয়াকে ঘটনার পর ঢাকায় মায়ের ভাড়া বাসায় নেওয়া হলে সেখানে লোকলজ্জা ও অপমান সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ০১:১৮
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, তার স্ত্রী দেলোয়ারা সুলতানা ও পুত্র রায়হান সাকিবের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে। ২১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে দুদকের অনুমোদনক্রমে দুদক পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
দুদকের সহকারী কমিশনার তাপস বিশ্বাস জানান, ব্যতীত আ স ম ফিরোজের বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা। অর্থাৎ ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা।
সুতরাং আসম ফিরোজের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ লাখ ৪৮৪ টাকা। অর্থাৎ তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৪ টাকা। এ আয়ের পক্ষে কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।
এছাড়াও অনুসন্ধানকালে, ব্যয়বতীত দেলোয়ারা সুলতানার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। অর্থাৎ ১ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২১৭ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। সুতরাং দেলোয়ারা সুলতানার নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা। অর্থাৎ দেলোয়ারা সুলতানার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা।
অনুসন্ধানকালে, রায়হান শাকিবের ব্যয়বতীত তার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। অর্থাৎ ৬ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৮৪২ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। সুতরাং আসামি রায়হান শাকিবের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। অর্থাৎ রায়হান শাকিবের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। উক্ত আয়ের পক্ষে তিনি কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।
তাই দুদকের পটুয়াখালীর উপপরিচালক তানভীর আহমদ তিনটি মামলা রুজু করেন। অবৈধভাবে অর্জিত মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, তার স্ত্রী দেলোয়ারা সুলতানা ও পুত্র রায়হান সাকিবের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে। ২১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে দুদকের অনুমোদনক্রমে দুদক পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
দুদকের সহকারী কমিশনার তাপস বিশ্বাস জানান, ব্যতীত আ স ম ফিরোজের বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা। অর্থাৎ ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা।
সুতরাং আসম ফিরোজের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ লাখ ৪৮৪ টাকা। অর্থাৎ তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৪ টাকা। এ আয়ের পক্ষে কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।
এছাড়াও অনুসন্ধানকালে, ব্যয়বতীত দেলোয়ারা সুলতানার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। অর্থাৎ ১ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২১৭ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। সুতরাং দেলোয়ারা সুলতানার নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা। অর্থাৎ দেলোয়ারা সুলতানার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা।
অনুসন্ধানকালে, রায়হান শাকিবের ব্যয়বতীত তার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। অর্থাৎ ৬ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৮৪২ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। সুতরাং আসামি রায়হান শাকিবের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। অর্থাৎ রায়হান শাকিবের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। উক্ত আয়ের পক্ষে তিনি কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।
তাই দুদকের পটুয়াখালীর উপপরিচালক তানভীর আহমদ তিনটি মামলা রুজু করেন। অবৈধভাবে অর্জিত মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু করা হয়।
২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:৩১
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন হারবাল সহকারী কর্তৃক রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়েছে। পটুয়াখালী জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদকের একটি দল প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অভিযান চালায়।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত হারবাল সহকারী শফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে দুদক কর্মকর্তারা ছদ্মবেশে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে অভিযানের সময় অভিযুক্ত সবুজকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ওই দিন তার দায়িত্ব ছিল দ্বিতীয় শিফটে।
দুদকের পটুয়াখালী জেলা সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বরিশালটাইমসকে বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি মালি নন, তিনি হারবাল সহকারী। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাকে জরুরি বিভাগে কোনো দায়িত্ব দিইনি। আমার আগের যে কর্মকর্তা ছিলেন, তার সময় সবুজ ইমারজেন্সিতে ডিউটি করতেন। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অভিযোগ পেয়ে বলেছি, তিনি আর ডিউটি করতে পারবেন না।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন হারবাল সহকারী কর্তৃক রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়েছে। পটুয়াখালী জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদকের একটি দল প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অভিযান চালায়।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত হারবাল সহকারী শফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে দুদক কর্মকর্তারা ছদ্মবেশে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে অভিযানের সময় অভিযুক্ত সবুজকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ওই দিন তার দায়িত্ব ছিল দ্বিতীয় শিফটে।
দুদকের পটুয়াখালী জেলা সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বরিশালটাইমসকে বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি মালি নন, তিনি হারবাল সহকারী। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাকে জরুরি বিভাগে কোনো দায়িত্ব দিইনি। আমার আগের যে কর্মকর্তা ছিলেন, তার সময় সবুজ ইমারজেন্সিতে ডিউটি করতেন। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অভিযোগ পেয়ে বলেছি, তিনি আর ডিউটি করতে পারবেন না।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৬
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬