ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বরগুনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা রাতের জোয়ারে সাড়ে ১১ ফিট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে জেলার ৬ টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে সেসব এলাকার ঘরবাড়ি এবং মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে শস্যক্ষেত্র।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) বরগুনা জেলা শাসকের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে তাৎক্ষনিকভাবে প্রস্তুতকৃত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।
এ সময় তিনি জানান, জেলার ছয়টি উপজেলার ৪২টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ৮০০ বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ১৩.৫৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষত্রিগ্রস্থ হয়েছে। এতে ১২১টি মাছের ঘের এবং ১০টি চিংড়ির ঘের ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ২৫০ হেক্টর ফসলের ক্ষেত এবং ৫০ হেক্টর সব্জির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়াও ১৫টি মুরগীর এবং ১৯টি গরুর খামার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
অন্যদিকে স্থানীরা জানায়, জোয়ারের তীব্রতায় প্লাবিত হয়ে বরগুনা শহরের অনেক ধান চালের আরৎ, ইলেকট্রনিক্সের দোকান, ওষুধের দোকান, কাপড়ের দোকান এবং কসমেটিকসের দোকানসহ অনেক দোকানে পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে লাখ লাখ টাকার মালামাল।
ভুক্তভোগী একাধিক এলাকাবাসী জানান, ঝড়ের তীব্রতা যখন চরমে ঠিক তখনই প্রাকৃতিক নিয়মে ভাটা শুরু হয়ে যায়। এ কারণে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে বেঁচে যায় বরগুনা সহ আশেপাশের উপকূলীয় এলাকা। জোয়ারের তীব্রতা আরো ঘণ্টাখানেক সময় ধরে অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ শতগুণ বেড়ে যেত।