বার্তা প্রতিবেদক, পটুয়াখালী :: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে পটুয়াখালীতে ঈদগাহ বা খোলা জায়গার বদলে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার (২৩ মে) সকালে জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা অনুসরণ করে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আদায়ের জন্য অনুরোধ করা হলো। এজন্য ১১টি নির্দেশনা রয়েছে। সেগুলো হলো-

(১) মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খােলা জায়গার পরিবর্তে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। প্রয়ােজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

(২) ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানাে যাবে না। নামাজের আগে মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

(৩) করােনাভাইরাস সংক্রমণ রােধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে অজুর স্থানে সাবান-হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

(৪) প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদে আসতে হবে। অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
(৫) ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
(৬) ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।
(৭) এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

(৮) শিশু, বৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়ােজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
(৯) করােনাভাইরাস সংক্রমণ রােধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং হাত মেলানাে পরিহার করতে হবে।

(১০) খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করবেন।
(১১) উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রাণঘাতী করােনাভাইরাস সংক্রমণ রােধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।