করোনার দুঃসময়ে মানবিক খাদ্য সহায়তা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে অনেকেই দাঁড়াচ্ছেন। দিন-রাত লাইনে দাঁড় করিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন মানুষগুলোর হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী। ছবিও তুলছেন কেউ কেউ। তবে এবার একটু ভিন্নতা নিয়ে বিপন্ন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালেন বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্ররা।

যারা লোকলজ্জায় কাউকে জানাতে পারেননি নিজের অসহায়ত্বের কথা ২২০টি পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে শুক্রবার ও শনিবার নগদ আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, গারুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কাইয়ুম খান, প্রধান শিক্ষক ফরিদুজ্জামান খান, মাহমুদ হাসান এফসিএ এবং কেনান হাওলাদারের দিকনির্দেশনায় সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আসাদুজ্জামান মোল্লা, বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহাদাৎ হোসেন সোহেল, ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার এইচএম মাহবুব আলম (সাবেক জিএস, শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদ, খ্যাতনামা যাদুকর কাওসার আকন, ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম অন্তর, ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার নির্বাহী অফিসার বশির গাজী (সাবেক এনডিসি, ঝালকাঠি), ফয়সাল হাওলাদারসহ বেশ কিছু প্রাক্তন মেধাবী শিক্ষার্থী লক্ষাধিক টাকার ফান্ড গঠন করে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ ও অসহায় মানুষদের খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নগদ ১০০০/৫০০ টাকা হরে আর্থিক সহায়তা দেন তারা।

সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ না করে গোপনে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার এ উদ্যোগ বেশ সমাদৃত ও মানুষের হৃদয়ে স্থান পেয়েছে।

ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আসাদুজ্জামান মোল্লা বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অর্থকষ্টে থাকা পরিবারগুলোকে আমাদের পক্ষ থেকে সামান্য উপহার হিসেবে এই নগদ আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। পরিবারগুলো এ সময়টাতে তারা খুব কষ্টে আছেন। আমরা সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি এবং ভবিষ্যতে এ সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।