বার্তা প্রতিবেদক, ভোলা :: ভোলার মনপুরায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিধ্বস্ত ঘরগুলো পরিদর্শন করেছেন ইউএনও বিপুল চন্দ্র দাস ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দীপক।

এ দিকে উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চর ও কাজীর চরে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান আমানতউল্লা আলমগীর। এ ছাড়াও উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়ায় ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড করে দেয় উপজেলার শতাধিক ঘরবাড়িসহ দোকানপাট।

বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাজিরহাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ব্যাটারি জামাল, মো. ফরিদ, মো. সবু মাঝি, ৬নং ওয়ার্ডের মো. জহির মাঝির বাড়ির সম্পূর্ণ টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে।

এ ছাড়াও রানী বিবি, মফিজ মাঝি, নুরুউদ্দিনসহ শতাধিক ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দাসেরহাটের নুরমোহাম্মদ ও বাবুল মাঝির মাছের আড়তের দোকান ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

এ সব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাড়িঘরের টিনের চাল ও বেড়াগুলো সম্পূর্ণ ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে রয়েছে। তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সব মালামাল বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। খোলা আকাশের নিচে কোনোরকম দিনাতিপাত করছেন বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির লোকজন।

এ ব্যাপারে হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দ্বীপক বলেন, আমার ইউনিয়নে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্রদাস বলেন, মনপুরায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিধ্বস্ত ঘরবাড়িগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ২০ কেজি চাল দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ঘরগুলোর জন্য নগদ টাকা ও টিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সব টিন ও নগদ টাকা দ্রুত বিতরণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলোর তালিকা জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।