মঠবাড়িয়া: মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী গ্রামের কলেজ ছাত্রী হীরা রানী (২১) নামের এক স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় শ্বাশুড়ি স্নেহলতা বাদী হয়ে জামাতা বিশ্বজিত হাওলাদারসহ দুইজনকে আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। রোববার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দাউদখালী গ্রামের কানাই চন্দ্র হাওলাদারের কলেজ পড়–য়া মেয়ে হীরা রানীর সাথে সাথে বরগুনা সদরের হেউলিবুনিয়া গ্রামের রবীন্দ্র নাথ হাওলাদারের ছেলে বিশ্বজিত হাওলাদারের প্রায় ২ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী বিশ্বজিত হাওলাদার স্ত্রী হীরা রানীকে আমুয়া শহীদ রাজা ডিগ্রি কলেজে ভর্তি করে দেন। কলেজের হোস্টেলে থেকে হীরা রানী পড়া-শুনা করতেন। এর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের বিরুদ্ধে পৃথক মামলায় জড়িয়ে পড়েন। মামলার পর স্বামীর সাথে স্ত্রী হীরার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। হীরা রানী বাবার বাড়িতে থেকে পড়া-শুনা করে আসছিলেন। গত শনিবার প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়ে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হন। মামলায় উল্লেখ করা হয় শনিবার হীরা রানী নিখোঁজ হওয়ার পর বিকেলেই অজ্ঞাত স্থান থেকে হীরার বাবার কাছে তার অপহৃতা মেয়েকে ফেরত দেয়ার নামে মোবাইলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করে অপহরণকারীরা।

এ ঘটনায় হীরা রানীর মা স্নেহলতা বাদী হয়ে হীরার স্বামী বিশ্বজিত হাওলাদার(২৬) ও তার সহযোগী দীলিপ হাওলাদার (৩৫) কে আসামী করে গতকাল রবিবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এব্যাপারে বক্তব্য নিতে বিশ্বজিতের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

মঠবাড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মামলার পর আসামীরা পলাতক রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার ও অপহৃত কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।