বার্তা পরিবেশক অনলাইন:: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর প্রেমালাপের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ওই শিক্ষককে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের (টিএসসিসি) পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতিও দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অফিস আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও এক নারী শিক্ষার্থীর মধ্যে কথোপকথনের একাধিক অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়।

অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও নারী শিক্ষার্থীর মধ্যে ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপে যেভাবে অশ্লীল ও আপত্তিকর কথাবার্তা হয়েছে তাতে শিক্ষক সমাজসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যকার সম্পর্কের পবিত্রতা ক্ষুন্ন হয়েছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেজ ও আইডিতে ১৪ মিনিট ২০ সেকেন্ডের একটি কথোপকথন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অধ্যাপক মিজানের সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ কথোপকথন শোনা যায়। এরপর শুক্রবার আবারও ফেসবুকে বিভিন্ন আইডি থেকে ৯ মিনিট ৯ সেকেন্ডের আরও একটি কথোপকথন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অধ্যাপক মিজান এক নারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস চালু হলে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তার বাসায় ডাকেন। রাতযাপনেরও প্রস্তাব দেন। ওই নারী এতে সম্মতি জানায়।

এদিকে, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুনকে আহ্বায়ক এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, আমরা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তিনি জবাব দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব এবং ওই ছাত্রীকেও তদন্ত কমিটি অনুসন্ধান করবে।