নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও ববি প্রতিবেদক:: সুপ্রিয়া দাস নামে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গণিত বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। এর আগে সুপ্রিয়ার প্রেমিক তপু মজুমদার গত ১৫ জুন আত্মহত্যা করেন। এর দেড় মাস পরেই একই কায়দায় শনিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর জেলার নিজ বাড়িতে সুপ্রিয়ার বিয়োগান্তের ঘটনা ঘটল।

খবরটি নিশ্চিত করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার বরিশালটাইমসকে জানান, ‘খবর শুনে সন্ধ্যায় তার বাবার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। এটা খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাই।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থী তপু মজুমদারের সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল সুপ্রিয়ার। একই এলাকার বাসিন্দা উভয় পরিবার মেনেও নিয়েছিল তাদের সম্পর্ক। করোনার মধ্যে গত ১৪ জুন তপু মজুমদার সুপ্রিয়ার বাসায় গেলে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। কান্না করতে করতে সুপ্রিয়া ঘুমিয়ে পড়লে সকালে উঠে দেখতে পায় অনেক এসএমএস। তাৎক্ষণিক ফোন করলে সুপ্রিয়া জানতে পারে তপু আত্মহত্যা করেছেন। এরপরই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সুপ্রিয়া।

এদিকে তপুর আত্মহত্যার জন্য সামাজিকভাবে তাকে দোষারোপসহ নানান কটুক্তি করা হয়। সামাজিক ও মানসিক চাপেই সুপ্রিয়া আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে সুপ্রিয়ার এমন আত্মহত্যার খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এখন শিক্ষার্থীদের পক্ষে জানানো হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শ সেল গঠনের।

অবশ্য এতে সমর্থন রয়েছে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, অপ্রত্যাশিত মৃত্যু সত্যিই বেদনাদায়ক। এ ধরনের আত্মহত্যা রোধে মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শ সেল অত্যন্ত জরুরি।’